ডেভিড বুন এর জীবনী Biography Of David Boon

ডেভিড বুন এর জীবনী Biography Of David Boon

May 29, 2025 - 12:06
Jun 20, 2025 - 18:09
 0  0
ডেভিড বুন এর জীবনী Biography Of David Boon

ব্যক্তিগত তথ্য

পূর্ণ নাম

ডেভিড ক্লেয়ারেন্স বুন
জন্ম ২৯ ডিসেম্বর ১৯৬০ (বয়স ৬৪)
লোনস্টেন, তাসমানিয়া, অস্ট্রেলিয়া

ব্যাটিংয়ের ধরন

ডানহাতি

বোলিংয়ের ধরন

ডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকা ব্যাটসম্যান

ডেভিড ক্লেয়ারেন্স বুন, এমবিই[] (ইংরেজি: David Clarence Boon; জন্ম: ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৬০) তাসমানিয়ায় লোনস্টেন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। তার ডাক নাম বুনি। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৬ মেয়াদকালে অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষ হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে দৃপ্ত পদচারণা করেছেন। ক্রিকেট খেলায় তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন। পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে অফ-স্পিন বোলাররূপে আবির্ভূত হতেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি নিজ রাজ্য দল তাসমানিয়া এবং ইংরেজ কাউন্টিতে ডারহামের পক্ষ হয়ে অংশ নিয়েছেন।

এছাড়াও ডেভিড বুন তার স্থূলকায় দেহ ও স্বতন্ত্রধর্মী গোঁফের জন্যেও পরিচিতি পেয়ে আসছেন।

খেলোয়াড়ী জীবন 

১৭ বছর বয়সে শেফিল্ড শিল্ড ক্রিকেটের ১৯৭৮-৭৯ সালের দ্বিতীয় মৌসুমে তাসমানিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অভিষেক ঘটে ডেভিড বুনের। জ্যাক সিমন্স নামীয় এক ইংরেজ ক্রিকেটার ও তাসমানিয়ার অধিনায়করূপে তখন লোনস্টেনে কোচিং দিচ্ছিলেন। তিনি ভবিষ্যতের টেস্ট খেলোয়াড়রূপে বুনকে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে উপদেশ দিয়ে আসছিলেন। এ প্রেক্ষিতেই বুন কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নিজ সন্তানের নাম সিমন্সের নামানুসারে রাখেন। উইজডেনে লেখে যে, বুনের চমকপ্রদ টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তোলার নেপথ্যে শেফিল্ড শিল্ডে মজবুত ক্রীড়াশৈলী ও একক সিদ্ধান্ত বিরাট ভূমিকা রাখে। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া সীমিত ওভারের প্রতিযোগিতা জিলেট কাপ প্রতিযোগিতায় তাসমানিয়ার বিস্ময়কর জয়ের অন্যতম তারকা খেলোয়াড় ছিলেন ডেভিড বুন।

টেস্ট পর্যায়ে সাত সহস্রাধিক রান করেছেন এবং শতাধিক টেস্ট-ওয়ানডে উভয় পর্যায়ের খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ১২ নভেম্বর, ১৯৮৪ তারিখে বিশ্ব সিরিজ কাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ফাইনালের মাধ্যেমে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ৭১ বলে ৩৯ রান করলেও দল পরাজিত হয় এবং পরবর্তী সুযোগের জন্য প্রায় একবছর অপেক্ষা করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী একাদশের পক্ষে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপনার জন্যে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ব্রিসবেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেন। তিনি শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেস আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রান করেন। খেলা শেষে কিম হিউজ অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব থেকে নিজ নাম প্রত্যাহার করেন। ঐ সিরিজে বুন আরো দু’টো টেস্ট খেলেন এবং বিশ্ব সিরিজ কাপে পরীক্ষামূলকভাবে মাঝারীসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে আটটি ওডিআইয়ে অংশ নেন। তার সর্বোচ্চ রান ছিল ৫৫। কিন্তু চূড়ান্ত খেলায় তাকে নেয়া হয়নি।

টেস্ট পর্যায়ে সাত সহস্রাধিক রান করেছেন এবং শতাধিক টেস্ট-ওয়ানডে উভয় পর্যায়ের খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গন থেকে অবসর নেয়ার পর ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে ডারহাম দলের পক্ষে অধিনায়করূপে অবসর নেন ও পরবর্তীকালে জাতীয় দলের নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য হন।

ডেভিড বুনের ১৪ বছরের ক্যারিয়ার থামল বাংলাদেশে

শেষ ম্যাচে ডেভিড বুনকে বিসিবির সম্মাননা, তুলে দিচ্ছেন পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট দিয়ে ম্যাচ রেফারি হিসেবে ১৪ বছরের পথচলা থামল ডেভিড বুনের। এর আগে টেস্ট শুরুর প্রথম দিন সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারকে বিশেষ সম্মাননা জানিয়েছে বিসিবি। সব মিলিয়ে ৮৭টি টেশট, ১৯০টি ওয়ানডে ও ১৯৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ম্যাচ রেফারির পাট চুকিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) পরিচালক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন বুন। এর আগে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলেও ছিলেন ৬৪ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার। ম্যাচ রেফারি হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করার আগে তাসমানিয়া রাজ্য দলের প্রশাসনিক দায়িত্বও পালন করেছেন টানা ১২ বছর।

বিজ্ঞাপন

রেফারি হিসেবে শেষ ম্যাচে দায়িত্ব পালন শেষে আইসিসিকে দেখা সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটা দারুণ একটা যাত্রা। সম্মানের সাথে ১৪ বছর এই দায়িত্বে ছিলাম। এই সুযোগটা পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। লম্বা এই সময়টায় কত স্মৃতি, কত বন্ধুত্ব হলো আমার।’

বুন আরও বলেন, ‘এই গ্রেট খেলাটার এত কাছাকাছি থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবানই মনে করছি। এত কাছ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দেখতে পারা দারুণ আনন্দের। আশা করছি, দুনিয়াব্যাপী ম্যাচে দায়িত্ব পালন করে কিছু হলেও অবদান রাখতে পেরেছি। আইসিসি আর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’

ক্রিকেটার হিসেবে ১২ বছর ছিলেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। চারটা অ্যাশেজ জিতেছেন, ১৯৮৭ সালে অজিদের বিশ্বকাপ জয়ী দলেও ছিলেন তিনি। সেই বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন বুন। ১০৭ টেস্টে ২১ সেঞ্চুরিতে তার রান ৭৪২২। ১৮১ ওয়ানডে খেলে করেছেন ৫৯৬৪ রান, সেঞ্চুরি আছে পাঁচটি।

ক্রিকেট বিশ্বকাপ

১৯৮৭ সালে ভারত-পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ৪র্থ আসরের প্রথম সেমি-ফাইনালে টসে জয়ী অস্ট্রেলিয়া দল হয়ে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে ডিন জোন্সকে সাথে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৮২ রান সংগ্রহ করেন। তিনি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন ৯১ বলে ৪টি চারের সাহায্যে। এতে তার দল ১৫ রানে জয়ী হয়ে ফাইনালে প্রবেশ করে।

এরপর, ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ে নামলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এ খেলায়ও ডেভিড বুন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন ১২৫ বলের বিনিময়ে। জিওফ মার্শ এবং ডিন জোন্সের সাথে জুটি গড়ে দলকে একপর্যায়ে ১/১৫০-এ নিয়ে যান। তিনি আউট হলে দলের দাঁড়ায় ৪/১৬৮। দলের পক্ষে একমাত্র তিনিই পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বুন তার অসাধারণ এ ইনিংসের জন্যে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার অর্জন করেন। তার এ রান দলকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা লাভে অসামান্য ভূমিকা রাখে।

সম্মাননা

১৯৮৯ সালে অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার পদবীতে ভূষিত হন। ২০০৫ সালে স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেম[] এবং ২০১৭ সালে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।

আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
  • অস্ট্রেলিয়া
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩২৫)
২৩ নভেম্বর ১৯৮৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট ২৯ জানুয়ারি ১৯৯৬ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮০)
১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ ওডিআই ১৫ মার্চ ১৯৯৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ

খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১০৭ ১৮১ ৩৫০ ৩১৩
রানের সংখ্যা ৭,৪২২ ৫,৯৬৪ ২৩,৪১৩ ১০,২৩৬
ব্যাটিং গড় ৪৩.৬৫ ৩৭.০৪ ৪৪.০০ ৩৭.৪৯
১০০/৫০ ২১/৩২ ৫/৩৭ ৬৮/১১৪ ৯/৬৮
সর্বোচ্চ রান ২০০ ১২২ ২২৭ ১৭২
বল করেছে ৩৬ ৮২ ১,১৫৩ ২৮০
উইকেট ১৪
বোলিং গড় ৪৯.৭১ ৬৬.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ২/১৮ ২/৪৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৯৯/– ৪৫/– ২৮৩/– ৮২/–

sourse:wikipedia :sarabangla...

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0