মঈন আলী এর জীবনী | Biography Of Moeen Ali
মঈন আলী এর জীবনী | Biography Of Moeen Ali

ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
পূর্ণ নাম |
মঈন মুনির আলী
|
জন্ম | ১৮ জুন ১৯৮৭ বার্মিংহাম, পশ্চিম মিডল্যান্ডস, ইংল্যান্ড |
ডাকনাম |
এমও |
উচ্চতা |
৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার) |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
বা-হাতি ব্যাটসম্যান |
বোলিংয়ের ধরন |
ডান-হাতি অফ ব্রেক |
ভূমিকা |
অল-রাউন্ডার |
সম্পর্ক | কাদের আলী (ভাই) কবির আলী (চাচাত ভাই) |
মঈন মুনির আলী (জন্ম: ১৮ জুন, ১৯৮৭) হলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত একজন ইংরেজ ক্রিকেটার। তিনি একজন বা-হাতি ব্যাটসম্যান এবং অফ স্পিন বোলার যিনি ২০০৬ মৌসুমের পরে ওরচেস্টারশায়ার থেকে খেলার আগে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলেছেন। ২০১৪ সালের হিসাব মোতাবেক, আলী ইংল্যান্ডের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একজন নিয়মিত খেলোয়াড়। তিনি ২০০৪ এবং ২০০৫ উভয় সালে ওয়ারউইকশায়ারের এনবিসি এর ডেনিস কম্পটন অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন।
মঈন আলীর জীবনী
ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম শহরে জন্ম মঈন আলীর। মঈন আলী পাকিস্তান বংশদ্ভূত।
তার দাদা পাকিস্তান থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়ে বসবাস শুরু করেন। মঈন আলীর খুব চাকচিক্যময় জীবন ছিলো না! তার বাবা সারাদিন ট্যাক্সি চালিয়ে উপার্জন করে তা দিয়ে সংসার চালাতেন। মঈন আলী সারাদিন তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে খেলাধুলা নিয়েই বেশি মেতে থাকতো।মঈন আলী নিজে একজন ক্রিকেট খেলোয়াড় হলেও তিনি ব্যাপক ফুটবল ভক্ত। এবং লিভারপুল এএফসির এক অন্ধ ভক্ত মঈন।
আরো পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান
মঈন আলী খুব অল্প বয়স থেকেই ক্রিকেটের সাথে যুক্ত হয়েছেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই মঈন স্থানীয় একটি ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট জীবন শুরু করেন। এবং নিজের ১৬ তম জন্মদিনে জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি মারেন এই ইংরেজ অলরাউন্ডার। পরবর্তীতে আন্ডার-১৯ এবং প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে নিজের সেরা সাফল্য দিয়ে ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেটের দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ শুরু করেন মঈন আলী।
Moeen Ali এর চরিত্রের রাশিফল
আপনি আপনার জীবন অনুকুল পরিস্থিতিতে সুরু করেছেন, এটা বলাই যেতে পারে যে আপনি রুপোর চামচ নিয়ে জন্মেছেন। আপনার স্মৃতিশক্তি অস্বাভাবিক ভাবে ভালো, আর আপনি কোনো উপকার কখনই ভোলেন না। আপনি অতিরিক্ত উদার। আপনি সুশৃঙ্খল স্বভাবের, যেটা আপনার কাজে, পোশাকে আর বিশেষ করে আপনার ঘরে প্রতিফলিত হয়।আপনি খুব উচ্চাকাঙ্খী এবং নিজের আকাঙ্খা পূরণের জন্য নিজের জন্য খুব লক্ষ্য রাখেন। প্রায়ই আপনি নিজের লক্ষ্যের থেকে কিছুটা কম পান, যেটা হওয়াটা স্বাভাবিক, তবু আপনি গড়ের থেকে বেশিই অর্জন করেন।ব্যক্তিগতভাবে আপনি আকর্ষক, দয়াবান এবং সুরুচিসম্পন্ন। আপনি বড়ই উদার মনের মানুষ। যখন জিনিসগুলো সঠিক ভাবে যাই না তখন আপনি সুবিবেচক। আপনি তেজস্বী ব্যক্তিত্বের অধিকারী।আপনি জন্মগত নেতা কিন্তু এটার প্রদর্শনে আপনি খুব ই লাজুক। আপনি খুব বড় চিন্তা করেন, বড় কাজ করেন এবং ছোট-খাটো ব্যাপারে আপনি বিরক্ত হন না।
Moeen Ali এর সুখ ও সাচ্ছন্দের রাশিফল
আপনার আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী মনোভাব রয়েছে l আপনি সবসময় ভালো ভাবেন এবং আপনার কিছু ঘটানোর ক্ষমতা রয়েছে l অন্যের প্রতি খুবই দয়া ও সহনশীল , আপনি খুবই বাস্তবসম্পন্ন এবং সব ছোটখাটো বিষয়ে সম্পূর্ণ বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করেন l আপনার জীবনের প্রতি বিশ্বাস ও একটি দার্শনিক চিন্তাধারা রয়েছে যা আপনাকে নানা সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে এবং আপনাকে সুখ অর্জনের জন্য মহান শক্তি দেয়lআপনি জীবনে কিছু অর্জন করতে চান, আর সেই কারণে আপনার মধ্যে একটি স্ফূর্তি রয়েছে। কিন্তু আপনি আপনার মনের দ্বন্দ্বপূর্ণ অবস্থার শিকার হতে পারেন এবং এর ফলে আপনি শিক্ষালাভের আকাঙ্খা হারিয়ে ফেলতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে, আপনার সবকিছু ছেড়ে স্বাধীনভাবে বা স্বাধীন চিত্তে ভাবনা চিন্তা করা উচিত। আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে আপনি বাকিদের চেয়ে ভাল করতে পারেন এবং এর জন্য আপনার শিক্ষার সহায়তা দরকার। আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী গ্রহণ করে এবং তা অনুযায়ী কাজ করলে, আপনাকে সাফল্য লাভ থেকে কেউ থামাতে পারবে না। আপনি অন্যদের সাথে আপনার জ্ঞান ভাগ করতে চান এবং জ্ঞানের বিস্তারের মাধ্যমে আপনি তা ভালভাবে মনে রাখতে সক্ষম হবেন। এটি স্পষ্টভাবেই আপনার শিক্ষালাভে সহায়তা প্রদান করবে। আপনি এমন শিক্ষা লাভ করবেন যা আপনাকে জীবনের প্রতিটি দিকে উন্নতিতে সহায়তা করবে এবং মানসিকভাবেও আপনি সন্তুষ্ট থাকবেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
আলী মাত্র ১৫ বছর বয়সে ওয়ারউইকশায়ারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন, যেখানে তিনি কাউন্টি সেকেন্ড এলেভেনের হয়ে অর্ধ-শতক করেন।
২০১৪
মঈনকে বাংলাদেশের ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ২০১৪ আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটের জন্য ইংল্যান্ড স্কোয়াডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তার ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক অভিষেক হয়, তিনি উক্ত ম্যাচে আউট হওয়ার আগে ৪৪ রান করেন এবং তার প্রথম ওয়ানডে উইকেট লাভ করেন।
মঈন আলীর পারফরম্যান্স কেমন সম্প্রতি
চলতি বছরের জুলাই মাসে মঈন আলী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৮ বলে ৫২ রানের একটি ইনিংস খেলেন।
জনি বেয়ারস্টোর সাথে ৩৫ বলে ১০৬ রানের একটি জুটি গড়েন- যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রেকর্ড।
জুলাই মাস থেকে বিশ্বকাপের শুরু পর্যন্ত ১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড।
এই সময়ের মধ্যে ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যান মঈন আলী।
১৩ ম্যাচে ২৭৯ রান তুলেছেন তিনি ১৭১ স্ট্রাইক রেটে।
তার চেয়ে বেশি রান করেছেন ডাউইড মালান কিন্তু গড় ও স্ট্রাইক রেটে অনেক পিছিয়ে।
এই সময়ের মধ্যে ইংল্যান্ডর হয়ে মঈন আলীর চেয়ে বেশি ছক্কা কেউ মারেনি।
এই ১৩ ম্যাচেই মঈন আলী তিনটি ফিফটি হাঁকিয়েছেন, এর বাইরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি ২৭ বলে ৪৪ রানের ইনিংসও আছে।
পাকিস্তান সিরিজের আগে মঈন আলী বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেও একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে অধিনায়কত্ব করেছিলেন।
ব্রিজটাউনে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ২৮ বলে ৬৩ রান ও ২ উইকেট নিয়ে প্রায় একাই ম্যাচ জিতিয়ে এনেছিলেন।
ইনিংসের শেষ দিকের ওভারগুলোতে যখন দ্রুত রানের প্রয়োজন হয় তখন মঈন আলী অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন, ব্রিজটাউনে সেদিন তিনি এক ওভারে ২৮ রান নিয়েছিলেন।
ছোট ফরম্যাটের মঈন আলী এমন ইনিংসে অলংকৃত।
লর্ডসে একটি রান আউটকে ঘিরে ক্রিকেট বিশ্বে কেন এত তর্কাতর্কি?
জসপ্রিত বুমরাহ'র না থাকা কেন ভারতের জন্য বড় দুশ্চিন্তা
মুয়াজ্জিন হতে চান মঈন আলী
অনেক দিন ধরেই ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমের নিয়মিত সদস্য মঈন আলী। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অভিষেক। একই বছর জুন মাসে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পা রাখেন টেস্ট আঙিনায়। এরপর গত এক দশক ধরে নিয়মিত খেলে চলেছেন ইংল্যান্ড দলের হয়ে। দলটির হয়ে একজন কার্যকর অলরাউন্ডার হিসেবে ভূমিকা রাখছেন ব্যাট ও বল হাতে। ২০২৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজের পর টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান মঈন। এরপর খেলে চলেছেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। ইংল্যান্ডের হয়ে জিতেছেন ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ^কাপ ও ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ শিরোপা।
ডানহাতি অফস্পিন বোলিং আর বামহাতে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করে থাকেন তিনি। লিডসে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টেই (২০১৪) খেলেন অপরাজিত ১০৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। পরের মাসে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটাও দারুণ কাটে তার। এরপর থেকেই কখনো ব্যাট হাতে, কখনো বল হাতে পারফর্ম করে গেছেন। ২০১৭ সালে ওভাল টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছেন হ্যাটট্রিক। তবে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড়ো অর্জনটি তার এসেছে ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে।
৬৮ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরিতে ৩ হাজার ৯৪ রানের পাশাপাশি উইকেট নিয়েছেন ২০৪টি। আর ১৩৮ ওয়ানডেতে রান প্রায় আড়াই হাজার, সেঞ্চুরি আছে ৩টি। ওয়ানডেতে উইকেট নিয়েছেন ১১১টি। বর্তমানে ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক তিনি। ইতঃপূর্বে দলকে বেশ কয়েকটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেতৃত্বও দিয়েছেন। তারও আগে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে ৩৬ বছর বয়সি মঈনের।
ঘরোয়া ক্রিকেটে মঈন আলীর উত্থানটা ছিল চমক জাগানিয়া। ২০০১ সালে স্থানীয় অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ের একটি ২০ ওভারের ম্যাচে খেলেছিলেন অপরাজিত ১৯৫ রানের ইনিংস। সেদিন তার বয়স ১৪ বছর হতে বাকি ছিল ৩ দিন। আরেকটি ম্যাচে ১১তম ওভারে যখন আউট হয়েছেন, তখন তার রান ছিল ১৩০। ২০০৬ সালের যুব বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বে সেমিফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড।
যার কারণে মাত্র ১৫ বছর বয়সে সুযোগ পান কাউন্টি দল ওয়ারউইকশায়ারে। কয়েক বছর খেলার পর যোগ দেন ওরচেস্টারশায়ারে। আইপিএলে তিন মৌসুম রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলে যোগ দিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসে। পিএসএলে খেলেছেন মুলতানের হয়ে। ঢাকার ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে খেলেছেন এক মৌসুম।
১৯৮৭ সালে বার্মিংহামে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ পরিবারে জন্ম মঈন আলীর। তার দাদা আজাদ কাশ্মির থেকে ইংল্যান্ডে অভিবাসী হয়েছিলেন। বাবা মুনীর আলী ছিলেন সাইক্রিয়াটিক নার্স, কাজের ফাঁকে ট্যাক্সিও চালাতেন। মঈন আলীর আরো দুই ভাই ও এক বোন রয়েছে। দুই ভাই কাদির ও ওমর খেলছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। সংসারে অভাব থাকলেও তার বাবা ছেলেদের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ দেখে সব রকম সহযোগিতা করেছেন।
একবার মঈন আলীকে নিয়ে গেছেন কাউন্টি দল সমারসেটে ট্রায়াল দিতে। ঘরে যা পয়সা ছিল তা দিয়ে যাতায়াত খরচের পর দু’জনের দুপুরে খাওয়া সম্ভব নয়। মঈন আলীর জন্য একটি স্যান্ডউইচ কিনে দিয়ে বাবা মাঠের পাশে বসে ছিলেন। মঈন টের পেলেন যে বাবার কাছে খাবার কেনার মতো পয়সা নেই। ইনিংস বিরতির সময় ড্রেসিং রুম থেকে দৌড়ে গিয়ে বাবার পাশে বসে ভাগ করে একটি স্যান্ডউইচ খেয়েছেন দু’জনে। বাবাই ছিলেন তার পৃষ্ঠপোষক। ইংল্যান্ডের আরেক ক্রিকেটার কবির আলী ছিলেন মঈনের চাচাতো ভাই। মহল্লার গলিতে ও পার্কে চাচাতো ভাইয়েরা মিলে ক্রিকেট খেলতেন। সেখানেই টেপটেনিসে ক্রিকেট খেলার শুরু তার।
বড়ো তারকা হলেও মঈন কখনোই তার নৈতিক অবস্থান থেকে সরে আসেননি। ম্যাচ জেতার পর ইংলিশ রীতি অনুযায়ী সতীর্থরা যখন শ্যাম্পেন ছিটিয়ে উদযাপন করেন, মঈন চুপচাপ নিজেকে সরিয়ে নেন সেখান থেকে। ক্রিকইনফোকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমার ধর্ম সবকিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দল থেকে বাদ পড়ার ভয় কিংবা অবসরের পর কী করবো সেসব নিয়ে আমার মাঝে কোনো চিন্তা নেই। আমি শুধু সেরা মানুষ হতে চাই। কতটি সেঞ্চুরি করলাম বা কতগুলো উইকেট নিলাম, সৃষ্টিকর্তার কাছে এসবের কোনো মূল্য নেই।
মঈন যখন ইংল্যান্ড জাতীয় দলে পা রাখেন সে সময়টাতে বিশ^ব্যাপী বিশেষ করে ইউরোপে ইসলামভীতি চরম আকার ধারণ করেছিল। শে^তাঙ্গরা মুসলিম মানেই সন্ত্রাসী ভাবতে থাকে এবং তাদের সাথে চলতে ফিরতে আপত্তি জানায়। মুসলিমদের সাথে রেস্টুরেন্টে একসাথে খাওয়া, একসাথে বাসে চড়া নিয়ে আপত্তি ছিল অনেকের। সেই সময়টাতেই মঈন নিজের মুসলিম পরিচয় গোপন করা তো দূরের কথা, তার বদলে আরো বেশি করে নিজের সংস্কৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
মঈন আলী তো বাংলাদেশেরই জামাই!
ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরের পক্ষে যে কজন ইংলিশ ক্রিকেটার সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন, মঈন আলী তাঁদের একজন। বাংলাদেশে সব সময় কেমন আতিথেয়তা পেয়েছেন, এখানকার মানুষ কতটা অতিথি পরায়ণ, সতীর্থ ও সমর্থকদের সেই গল্প শুনিয়েছেন বারবার। বাংলাদেশে যে অনেক বন্ধু আছে, সে কথা জানাতেও ভোলেননি। আর এখন তো জানা গেল শুধু বন্ধু নয়, মঈন আত্মীয়তার সূত্রেই বাংলাদেশের সঙ্গে বাঁধা। তিনি যে বাংলাদেশের জামাই!
মঈন আলীর স্ত্রী ফিরোজা হোসেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। জন্ম-বেড়ে ওঠা দুটিই ইংল্যান্ডে হলেও তাঁর বাপের বাড়ি সিলেটে। এক সময় সিলেট শহরের পীর মহল্লা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ফিরোজার বাবা এম হোসেন ও তাঁর স্ত্রী। এরপর সপরিবারে ইংল্যান্ডে থিতু হন। সেখানেই জন্ম ফিরোজার। মঈনের সঙ্গে পরিচয়, বন্ধুত্ব। এরপর বিয়ে। তাঁদের ফুটফুটে ছোট্ট একটা ছেলেও আছে। নাম আবু বকর।
বাবা-মায়ের সঙ্গে ফিরোজা এর আগেও বাংলাদেশে এসেছেন। বিয়ের পর মঈনের সঙ্গেও বাংলাদেশে এসেছিলেন বলে জানা গেছে। ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফরের সুযোগে এলেন এবারও। গত বুধবার ইংল্যান্ডের আরেক ক্রিকেটার আদিল রশিদের পাকিস্তান বংশোদ্ভূত স্ত্রীর সঙ্গে ফিরোজা বাংলাদেশে আসেন। বর্তমানে দুজনই ক্রিকেটার স্বামীদের সঙ্গে চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন। আদিল রশিদের স্ত্রী টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা দেখতে মাঠেও এলেন।
বাবা-মা এবং ফিরোজার তিন ভাই, দুই বোনও এখন ইংল্যান্ডের বাসিন্দা। এবারের সফরে সিলেটে না গেলেও আসার আগে সিলেটের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন মঈনের স্ত্রী। বাংলাদেশে আসার পরও ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন কারও কারও সঙ্গে। সেরকমই এক নিকটাত্মীয় কাল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করলেন, ‘সিলেটের পীর মহল্লায় ফিরোজাদের বাড়ি। ওর বাবা-মা একসময় সেখানেই থাকতেন। পরে তারা ইংল্যান্ডে চলে গেলেও ফিরোজার বাবা নিয়মিত দেশে আসেন এবং পীর মহল্লার বাড়িতেই ওঠেন। অন্য সময় বাড়িটায় কেউ থাকে না। বাড়িটা দেখাশোনার জন্য একজন তত্ত্বাবধায়ক আছেন।’
রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে ফিরোজা সংবাদমাধ্যম থেকে একটু দূরেই থাকতে চান। তবে কাল প্রথম আলোর অনুরোধে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আত্মীয় মঈনের স্ত্রীর কাছে বাংলাদেশে আসার পর গত দুই দিনের অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে ফিরোজার কণ্ঠে উচ্ছ্বাসই খুঁজে পেয়েছেন তিনি, ‘ফিরোজা বলেছেন বাংলাদেশে এসে তাঁর খুবই ভালো লাগছে। সবাইকে আপন মনে হচ্ছে। বিমানবন্দরে ইংল্যান্ড দলের কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান। বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং আতিথেয়তায় তিনি খুশি।’
মঈন আলীর অবসর
ইংরেজ ক্রিকেটার মঈন আলী খুব দুঃখ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ছিলেন। কিছুদিন থেকে অফ ফর্মে থাকার কারনে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল মঈনকে। এজন্য নিজের মনে কষ্ট নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান এই অলরাউন্ডার। মঈন আলী বলেন; আমি চাইলে টিকে থাকতে পারতাম! কিন্তু আমি আর থাকতে চাচ্ছি না। আমার বয়স ৩৭ বছর, আমি চাই নতুনরা সুযোগ পাক।
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের অলরাউন্ডার খেলোয়াড় মঈন আলী বাংলাদেশের সিলেট শহরে বিয়ে করেছেন। মঈন আলীর স্ত্রীর নাম ফিরোজা হোসেন। খুব সুন্দরী ও বংশীয় ঘরের মেয়ে ফিরোজা। মঈন আলী ও ফিরোজা হোসেনের ঘরে একজন পুত্র সন্তান এবং একজন কন্যা সন্তান রয়েছে।
বাংলাদেশে বিয়ে করেছেন মঈন আলী। বাংলাদেশের লন্ডন খ্যাত জেলা সিলেটে বিয়ে করেছেন এই ক্রিকেটার।
মঈন আলী পরিসংখ্যান, ব্যক্তিগত জীবন এবং অবসর নিয়ে অজানা তথ্য নিয়ে বিষদ আলোচনা করা হলো। এই আলোচনার বাহিরে আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের কে তা জানাতে পারেন।
আন্তর্জাতিক তথ্য | |
---|---|
জাতীয় দল |
|
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৩২) |
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
শেষ ওডিআই |
৫ মার্চ ২০১৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
ওডিআই শার্ট নং |
৫৭ |
টি২০আই অভিষেক(ক্যাপ ৬৬) |
১১ মার্চ ২০১৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
শেষ টি২০আই |
১৩ মার্চ ২০১৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
টি২০আই শার্ট নং | ৫৭ |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
sourse:sadhinsports: kishorkanthabd:celebrity:prothomalo:bengali:wikipedia...
What's Your Reaction?






