ড্যারিল কালিনান এর জীবনী | Biography of Daryll Cullinan
ড্যারিল কালিনান এর জীবনী | Biography of Daryll Cullinan

ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
পূর্ণ নাম |
ড্যারিল জন কালিনান
|
জন্ম |
৪ মার্চ ১৯৬৭ কিম্বার্লি, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
ডানহাতি |
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক |
ড্যারিল জন কালিনান (ইংরেজি: Daryll Cullinan; জন্ম: ৪ মার্চ, ১৯৬৭) কেপ প্রদেশের কিম্বার্লিতে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। দলে ড্যারিল কালিনান মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে ভূমিকা রাখেন। অবসর পরবর্তীকালে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে কলকাতা টাইগার্সের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।
শৈশবকাল
মাত্র ১৬ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় সেঞ্চুরি করেন। এছাড়া, ঐ সময়ে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অপরাজিত ৩৩৭* রান করে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন। ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত আলবাট্রসেস দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেছিলেন। ঐ দলটিতে বর্ষসেরা ক্রিকেটার মার্ক রাশমেয়ার, ডেভ রান্ডল, ডেভ কালাহান, মেরিক প্রিঙ্গল ও সালিয়েগ ন্যাকারডিয়েনের ন্যায় তারকা খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ ছিল।
ব্যক্তিগত জীবন
কালিনানের ভাই ওয়ারেন ওজা রাস্কোতে একটি রেস্তোঁরার পরিচালক। ভার্জিনিয়া নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তার সাথে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। আইডেন ও জেমস নামে তাদের দুই সন্তান রয়েছে।
শৈশবকাল
মাত্র ১৬ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় সেঞ্চুরি করেন। এছাড়া, ঐ সময়ে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অপরাজিত ৩৩৭* রান করে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন। ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত আলবাট্রসেস দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেছিলেন। ঐ দলটিতে বর্ষসেরা ক্রিকেটার মার্ক রাশমেয়ার, ডেভ রান্ডল, ডেভ কালাহান, মেরিক প্রিঙ্গল ও সালিয়েগ ন্যাকারডিয়েনের ন্যায় তারকা খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ ছিল।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রায় ২০ বছরকাল নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। কালামারি খাবার রান্না বন্ধ রাখার সাথে তিনি জড়িত ছিলেন যা অপ্রত্যাশিত ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার আঞ্চলিক খেলায় সতীর্থ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় রজার টেলেমাচাসের বলে ছক্কা হাঁকান ও রান্নাঘরে ঢুকে যায়। উইজডেন এ প্রসঙ্গে জানায় যে, বলটি ফুটন্ত কড়াইয়ের মাঝখানে পড়ে। বলটি ঠাণ্ডা করতে প্রায় দশ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু বলটি খেলার অনুপযোগী হওয়ায় আম্পায়ারগণ নতুন বল ব্যবহার করতে বাধ্য হন।
টেস্ট ক্রিকেট
টেস্টে তার নিজস্ব সর্বোচ্চ রান ২৭৫ যা দক্ষিণ আফ্রিকান রেকর্ড হিসেবে বিবেচিত ছিল। পরবর্তীকালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হাশিম আমলা অপরাজিত ৩১১* রান করে ভেঙ্গে ফেলেন। কালিনানের টেস্ট রানের গড় ছিল ৪৪.২১। পরবর্তীতে আরও নয়জন দক্ষিণ আফ্রিকান তাকে অতিক্রম করেন। হেরাল্ড সান কালিনানের শেন ওয়ার্ন ভীতির কথা তুলে ধরে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি মাত্র ১২.৭৫ রান গড়ে রান তোলে চারবার শেন ওয়ার্নের শিকারে পরিণত হন। এছাড়াও একদিনের আন্তর্জাতিকে আটবার আউট হন।
ড্যারিল কালিনান, দ্য সুইট টাইমার অ্যান্ড দ্য বানি
ক্রিকেটে মজার একটা টার্ম আছে ‘বানি’। কোনো ব্যাটসম্যান যদি বারবার একই বোলারের হাতে আউট হন, তাঁকে বলা হয় ওই বোলারের ‘বানি’। তো অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্নের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় ‘বানি’ কে ছিল জানেন? দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার ড্যারিল কালিনান! টেস্ট এবং ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই তিনি ছিলেন ওয়ার্নের নিয়মিত শিকার। একবার কিংবা দুবার নয়, ক্যারিয়ারে মোট ১২ বার ওয়ার্নের ঘূর্ণিতে আউট হয়েছেন কালিনান!
ক্রিকেটের সবচেয়ে বিখ্যাত দ্বৈরথগুলোর একটা ছিল ওয়ার্ন বনাম কালিনান। ওয়ার্নকে তো এমন কথাও বলতে শোনা গেছে যে, ‘কত উইকেট পেলাম না পেলাম, সেসব নিয়ে ততক্ষণ ভাবি না, যতক্ষণ আমি কালিনানকে আউট করতে পারছি।’
অবসরের পর এক সাক্ষাৎকারে ওয়ার্ন সম্পর্কে কালিনানের সরল স্বীকারোক্তিটা ছিল এরকম, ‘কেন জানি না, খুব সাধারণ ভাবেই ওয়ার্ন ওয়াজ টু গুড ফর মি!’
ক্যারিয়ারজুড়ে বিশ্বের প্রায় সব আন্তর্জাতিক দলের বিরুদ্ধে ভাল পারফর্ম করলেও একমাত্র অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই টেস্টে তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল রীতিমতো ভয়াবহ! মাত্র ১২.৭৫! এই লজ্জাজনক রেকর্ডের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান যে শেন ওয়ার্নের তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না!
ডানহাতি ব্যাটসম্যান কালিনান বরাবরই লেগ স্পিনে একটু দুর্বল ছিলেন৷ অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার একটি টেস্ট ম্যাচের ঘটনা। মাত্রই ক্রিজে নামা কালিনানকে দেখে ওয়ার্ন বলে উঠেছিলেন, ‘শুধুমাত্র তোমাকে আউট করার জন্যই আমি গত দুই বছর ধরে অপেক্ষা করছি।’ ওয়ার্নের স্লেজিংয়ের প্রত্যুত্তরে কালিনানের তৎক্ষণাৎ জবাব, ‘মনে হচ্ছে এই পুরো সময়টা তুমি কেবল খেয়েই পার করেছ ৷’ বোঝাই যাচ্ছে, কালিনানের ইঙ্গিতটা ছিল ওয়ার্নের মুটিয়ে যাওয়া নাদুসনুদুস শরীরের দিকে!
স্টাইলিশ, এলিগ্যান্ট ও ন্যাচারাল স্ট্রোকমেকিং সাবেক ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে বিবেচনা করা হত তাঁর প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটিং প্রতিভা হিসেবে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর সাউন্ড টেকনিক, টেম্পারমেন্ট এবং ক্রিকেটের প্রায় সব ধরনের শটে তুমুল পারদর্শিতা দেখে অনেকে তাঁকে প্রোটিয়া কিংবদন্তী গ্রায়েম পোলকের উত্তরসূরি হিসেবেও ভাবতে আরম্ভ করেছিলেন।
বিশেষ করে পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে কালিনানের মত সাবলীল ব্যাটসম্যান সে যুগে কমই ছিল। এমন কোন শট নেই যেটা তাঁর হাতে ছিল না। উইকেটের দুদিকেই সমান স্বচ্ছন্দ কালিনান ছিলেন একজন ‘সুইট টাইমার অব দ্য বল’।
তাঁর সবচাইতে পছন্দের দুটো শট ছিল কাভার ড্রাইভ ও স্কয়ার কাট। পেসারদের রাইজিং লেন্থ বলে ‘অন দ্য আপ’ ড্রাইভিংকে রীতিমতো শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছিলেন তিনি।
কিংবদন্তী অলরাউন্ডার ক্লাইভ রাইসের মতে, ‘টেকনিক্যালি কালিনান ছিলেন পরিপূর্ণ এক ব্যাটসম্যান। ওর ব্যাটিং শট গুলো থেকে মনে হতে এমসিসির টেক্সটবুক থেকে উঠে এসেছে।’
ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান হিসেবে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি করা কালিনান ছিলেন নব্বই দশকের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৩৩৭ রানের ইনিংসটিও কালিনানের দখলে।
আন্তর্জাতিক তথ্য | |
---|---|
জাতীয় দল |
|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৫৩) |
২ জানুয়ারি ১৯৯৩ বনাম ভারত |
শেষ টেস্ট | ২৩ এপ্রিল ২০০১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৫) |
৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ বনাম পাকিস্তান |
শেষ ওডিআই | ৪ নভেম্বর ২০০০ বনাম নিউজিল্যান্ড |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
sourse:/khela71.com :wikipedia...
What's Your Reaction?






