ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী | Biography of Professor Muhammad Yunus

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনবৃত্তান্ত | Biography of D. Muhammad Yunus

May 27, 2025 - 03:16
May 27, 2025 - 03:30
 0  3
ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী | Biography of Professor Muhammad Yunus

জন্ম ২৮ জুন ১৯৪০ (বয়স ৮৪)
চট্টগ্রাম জেলা, বঙ্গ প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে হাটহাজারী উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলা, বাংলাদেশ)
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪০–১৯৪৭)
পাকিস্তানি (১৯৪৭–১৯৭১)
বাংলাদেশী (১৯৭১–বর্তমান)

জাতীয়তা

বাংলাদেশী

রাজনৈতিক দল

নাগরিক শক্তি (২০০৭)
স্বতন্ত্র (২০০৭–বর্তমান)

দাম্পত্য সঙ্গী

ভেরা ফরোস্টেনকো (বি. ১৯৭০; বিচ্ছেদ. ১৯৭৯)
আফরোজী ইউনূস (বি. ১৯৮৩)

সন্তান

মনিকা ইউনূস
দিনা আফরোজ ইউনূস

পিতা

দুলা মিঞা সওদাগর

আত্মীয়স্বজন

মুহাম্মদ ইব্রাহিম (ভাই)

শিক্ষা

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (বিএ, এমএ)
  • ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় (পিএইচডি)
পেশা
  • অর্থনীতিবিদ
  • অধ্যাপক
  • উদ্যোক্তা
পুরস্কার
  •  স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮৭)
  • বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (১৯৯৪)
  • গান্ধী শান্তি পুরস্কার (২০০০)
  • ভলভো পরিবেশ পুরস্কার (২০০৩)
  • নোবেল পুরস্কার নোবেল শান্তি পুরস্কার (২০০৬)
  •  প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম (২০০৯)
  • কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল (২০১০)
  • অলিম্পিক লরেল (২০২০)
  • (সম্পূর্ণ তালিকা)

নাম: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
জন্ম তারিখ: ২৮ জুন ১৯৪০
জন্মস্থান: বাথুয়া, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
পিতা: হাজী দুলা মিয়া শেঠ (একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী)
মাতা: সাফাত বেগম
পেশা: অর্থনীতিবিদ, সমাজসেবক, ব্যাংকার, লেখক
বিশেষ পরিচিতি: ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা

 ইউনূস এর জন্ম

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জন্ম ২৮ জুন ১৯৪০ সালে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস একমাত্র বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ। ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক। 
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন।

 ইউনূস এর পরিবার

মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন এবং তাঁর পিতার নাম হাজী দুলা মিয়া সওদাগর ও মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। মুহাম্মদ ইউনূসের সহধর্মিনী ডঃ আফরোজী ইউনুস।
ব্যক্তিগত জীবনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই কন্যার পিতা। মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং ছোট ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর একজন জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব।

 শিক্ষা জীবন

তাঁর প্রথম বিদ্যালয় মহাজন ফকিরের স্কুল। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় মুহাম্মদ ইউনূস মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান অধিকার করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। কলেজে তিনি নাটকে অভিনয় করে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা এবং আজাদী পত্রিকায় কলাম লেখার কাজে যুক্ত ছিলেন। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগ দেন এবং বয়েজ স্কাউটসের পক্ষ থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।

কর্মজীবন

স্নাতকের পর কর্মজীবনের শুরুতেই মুহাম্মদ ইউনূস ব্যুরো অব ইকোনমিক্স -এ গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।

১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এই পদে কর্মরত ছিলেন।

২০২৪ সালের ৬ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে। এবং পরবর্তীতে আগস্ট ২০২৪ তারিখে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা

মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৮৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন গরিব বাংলাদেশীদের মধ্যে ঋণ দেবার জন্য। তখন থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ৫.৩ মিলিয়ন ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করে। ঋণের টাকা ফেরত নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক “সংহতি দল” পদ্ধতি ব্যবহার করে। একটি অনানুষ্ঠানিক ছোট দল একত্রে ঋণের জন্য আবেদন করে এবং এর সদস্যবৃন্দ একে অন্যের জামিনদার হিসেবে থাকে এবং একে অন্যের উন্নয়নে সাহায্য করে। ব্যাংকের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে গরিবকে রক্ষা করার জন্য ব্যাংক অন্যান্য পদ্ধতিও প্রয়োগ করে। ক্ষুদ্রঋণের সাথে যোগ হয় গৃহঋণ, মৎস খামাড় এবং সেচ ঋণ প্রকল্প সহ অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যবস্থা। গরিবের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য উন্নত বিশ্ব এমন কি যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশসমূহকে গ্রামীণের এই মডেল ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

তার এই অবদানের জন্য মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।

মুক্তিযুদ্ধে  অবদান

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশে জনমত গড়ে তোলা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালীন সময়ে মুহাম্মদ ইউনূস দেশের নাগরিকদের দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের সময় তিনি বুঝতে পারেন স্বল্প পরিমাণে ঋণ দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। সেই সময়ে তিনি গবেষণার লক্ষ্যে গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেন। ১৯৭৪ সালে মুহাম্মদ ইউনুস তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করেন যা সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় অধিগ্রহণ করে।

 প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ

নিজের জ্ঞাণ ও ভাবনাগুলো সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে মুহাম্মদ ইউনূস নিজের লেখা বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশ করেন। যার মধ্যে অন্যতম বইগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হল –

  • Banker to the Poor:Micro-lending and The battle against World Poverty. (১৯৯৮)
  • Three Farmers of Jobra; Department of Economics, Chittagong University; (১৯৭৪)
  • Creating a World Without Poverty
  • আত্মজীবনী মূলক বই – দারিদ্র্য হীন বিশ্বের অভিমুখে
  • দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্বের জন্য
  • গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন
  • পথের বাধা সরিয়ে নিন, মানুষকে এগুতে দিন

অ্যাওয়ার্ড / পুরস্কার

প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার ছাড়াও ড. মোহাম্মদ ইউনূস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬২টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল অর্জন করেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১০ টি দেশ থেকে বিশেষ সম্মাননা সহ সর্বমোট ২৬ টি দেশ থেকে ১১২ টি পুরষ্কার লাভ করেন। উনার উল্লেখযোগ্য পুরষ্কারসমূহ থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু পুরষ্কার নিম্নে তুলে ধরা হল –

  • প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড। (১৯৭৮)
  • রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার। (১৯৮৪)
  • কেন্দ্রীয় ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড। (১৯৮৫)
  • স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮৭)
  • আগা খান অ্যাওয়ার্ড। (১৯৮৯)
  • কেয়ার পুরস্কার। (১৯৯৩)
  • নোবেল পুরস্কার (শান্তি)। (২০০৬)
  • মানবহিতৈষণা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র। (১৯৯৩)
  • মুহাম্মদ সাহেবুদ্দিন বিজ্ঞান (সামাজিক অর্থনীতি) পুরস্কার,শ্রীলঙ্কা (১৯৯৩)
  • রিয়াল এডমিরাল এম এ খান স্মৃতি পদক,বাংলাদেশ (১৯৯৩)
  • বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার,যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪)
  • পিফার শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪)
  • ডঃ মুহাম্মাদ ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণ পদক, বাংলাদেশ (১৯৯৪)
  • ম্যাক্স সছমিধেইনি ফাউন্ডেশন ফ্রিডম পুরস্কার,সুইজারল্যান্ড (১৯৯৫)
  • ঢাকা মেট্রোপলিটন রোটারারি ক্লাব ফাউন্ডেশন পুরস্কার, বাংলাদেশ (১৯৯৫)
  • আন্তর্জাতিক সাইমন বলিভার পুরস্কার (১৯৯৬)
  • ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্ট আলামনাই পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৬)
  • আন্তর্জাতিক একটিভিটিস্ট পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭)
  • প্লানেটরি কনশিয়াশনেস বিজনেস ইনোভেশন পুরস্কার, জার্মানি (১৯৯৭)
  • হেল্প ফর সেলফ হেল্প পুরস্কার,নরওয়ে (১৯৯৭)
  • শান্তি মানব পুরস্কার (ম্যান ফর পিস এওয়ার্ড), ইতালি (১৯৯৭)
  • বিশ্ব ফোরাম পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭)
  • ওয়ান ওয়ার্ল্ড ব্রডকাস্টিং ট্রাস্ট মিডিয়া পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (১৯৯৮)বিশ্ব
  • দ্যা প্রিন্স অফ আউস্তুরিয়া এ্যাওয়ার্ড ফর কনকর্ড, স্পেন (১৯৯৮)
  • সিডনি শান্তি পুরস্কার, অস্ট্রেলিয়া (১৯৯৮)
  • অযাকি (গাকুডো) পুরস্কার, জাপান (১৯৯৮)
  • ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮)
  • জাস্টটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার,ফ্রান্স (১৯৯৮) ( Les Justes D’or )
  • রোটারারি এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়ার্ল্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৯)
  • গোল্ডেন পেগাসাস এ্যাওয়ার্ড, ইটালি (১৯৯৯)
  • রোমা এ্যাওয়ার্ড ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান, ইটালি (১৯৯৯)
  • রাথিন্দ্রা পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮)
  • অমেগা এ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্সি ফরব লাইফ টাইম এচিভমেন্ট, সুইজারল্যান্ড (২০০০)
  • এ্যাওয়ার্ড অফ দ্যা মেডেল অফ দ্যা প্রেসিডেন্সি,ইটালি (২০০০)
  • কিং হুসেইন হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড, জর্ডান (২০০০)
  • আই ডি ই বি গোল্ড মেডেল এ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ (২০০০)
  • আরতুসি পুরস্কার, ইটালি (২০০১)
  • গ্র্যান্ড প্রাইজ অফ দ্যা ফুকুওকা এশিয়ান কালচার পুরস্কার, জাপান (২০০১)
  • হো চি মীণ পুরস্কার, ভিয়েতনাম (২০০১)
  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পুরস্কার ‘কাজা ডি গ্রানাডা’, স্পেন (২০০১)
  • নাভারা ইন্টারন্যাশনাল এইড এ্যাওয়ার্ড, স্পেন (২০০১)
  • মহাত্মা গান্ধী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০২)
  • বিশ্ব টেকনোলজি নেটওয়ার্ক পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (২০০৩)
  • ভলভো পরিবেশ পুরস্কার, সুইডেন (২০০৩)
  • জাতীয় মেধা পুরস্কার, কলম্বিয়া (২০০৩)
  • দ্যা মেডেল অফ দ্যা পেইন্টার অসওয়াল্ড গুয়ায়াসামিন পুরস্কার, ফ্রান্স (২০০৩)
  • তেলিছিনকো পুরস্কার, স্পেন (২০০৪)
  • সিটি অফ অরভিতো পুরস্কার, ইটালি (২০০৪)
  • দ্যা ইকোনমিস্ট ইনোভেশন পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
  • ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
  • লিডারশীপ ইন সোশ্যাল অন্টাপ্রিনেয়ার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
  • প্রিমিও গ্যালিলীয় ২০০০ স্পেশাল প্রাইজ ফর পিস ২০০৪, ইটালি (২০০৪)
  • নিক্কেই এশিয়া পুরস্কার, জাপান (২০০৪)
  • গোল্ডেন ক্রস অফ দ্যা সিভিল অর্ডার অফ দ্যা সোশ্যাল সলিডারিটি,স্পেন (২০০৫)
  • ফ্রিডম এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৫)
  • বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি গোল্ড মেডেল, বাংলাদেশ (২০০৫)
  • প্রাইজ ২ পন্টে, ইটালি (২০০৫)
  • ফাউন্ডেশন অফ জাস্টিস, স্পেন (২০০৫)
  • হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি নেউসতাদ এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬)
  • গ্লোব সিটিজেন অফ দ্যা ইয়ার এ্যাওয়ার্ড,যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬)
  • ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট স্বাধীনতা পুরস্কার, নেদারল্যান্ড (২০০৬)
  • ইতু বিশ্ব তথ্য সংগঠন পুরস্কার, সুইজারল্যান্ড (২০০৬)
  • সিউল শান্তি পুরস্কার, কোরিয়া (২০০৬)
  • কনভিভেঞ্চিয়া (উত্তম সহকারিতা) সেউতা পুরস্কার, স্পেন (২০০৬)
  • দুর্যোগ উপশম পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৬)
  • সেরা বাঙালী, ইন্ডিয়া (২০০৬)
  • গ্লোবাল ট্রেইলব্লেজার পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • এ বি আই সি সি এ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশীপ ইন গ্লোবাল ট্রেড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • সামাজিক উদ্যোক্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • বিশ্ব উদ্যোগী নেতৃত্ব পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • রেড ক্রস স্বর্ণ পদক, স্পেন (২০০৭)
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম শত বার্ষিকী স্মারক, ইন্ডিয়া (২০০৭)
  • ই এফ আর বাণিজ্য সপ্তাহ পুরস্কার,নেদারল্যান্ড (২০০৭)
  • নিকলস চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • ভিশন এ্যাওয়ার্ড, জার্মানি (২০০৭)
  • বাফি গ্লোবাল এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • রুবিন মিউজিয়াম মানডালা এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • সাকাল বর্ষ ব্যক্তিত্ব পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৭)
  • ১ম আহপাডা গ্লোবাল পুরস্কার, ফিলিপাইন (২০০৭)
  • মেডেল অফ ওনার, ব্রাজিল (২০০৭)
  • জাতিসংঘ সাউথ- সাউথ সহযোগিতা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • প্রোজেক্ট উদ্যোগী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • আন্তর্জাতিক নারী স্বাস্থ্য মিশন পুরস্কার, নিউইয়র্ক (২০০৮)
  • কিতাকইয়ুশু পরিবেশ পুরস্কার, জাপান (২০০৮)
  • চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • প্রেসিডেন্স পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • মানব নিরাপত্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • বাৎসরিক উন্নয়ন পুরস্কার, অস্টিয়া (২০০৮)
  • মানবসেবা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • শিশু বন্ধু পুরস্কার,স্পেন (২০০৮)
  • এ জি আই আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
  • করিনি আন্তর্জাতিক গ্রন্থ পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
  • টু উয়িংস প্রাইজ,জার্মানি (২০০৮)
  • বিশ্ব মানবতাবাদী পুরস্কার, ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
  • ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড ,ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
  • এস্টরিল গ্লোবাল ইস্যু’স ডিসটিনগুইশড বুক প্রাইজ, পর্তুগাল (২০০৯)
  • এইসেনহওয়ের মেডেল ফর লিডারশীপ অ্যান্ড সার্ভিস, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  • গোল্ডেন বিয়াটেক এ্যাওয়ার্ড, স্লোভাকিয়া (২০০৯)
  • গোল্ড মেডেল অফ ওনার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  • প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  • পি আই সি এম ই টি এ্যাওয়ার্ড, পোর্টল্যান্ড (২০০৯)
  • বৈরুত লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড (২০০৯)
  • সোলারওয়ার্ল্ড আইন্সটাইন এ্যাওয়ার্ড (২০১০)

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিখ্যাত উক্তি:

বিভিন্ন সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিখ্যাত বেশ কিছু উক্তি প্রদান করেছেন। তার বিখ্যাত উক্তিগুলো থেকে সংগ্রহীত কিছু উক্তি তুলে ধরা হল।

” Poverty does not belong in civilized human society. Its proper place is in a museum. That’s where it will be. “

“Once we know where we want to go, getting there will be so much easier.”

” If you think creating a world without any poverty is impossible, let’s do it. Because it is the right thing to do ”

” We can remove poverty from the surface of the earth only if we can redesign our institutions – like the banking institutions, and other institutions; if we redesign our policies, if we look back on our concepts, so that we have a different idea of poor people”

” If we are looking for one single action which will enable the poor to overcome their poverty, I would focus on credit ”

” Like navigation markings in unknown waters, definitions of poverty need to be distinctive and unambiguous. A definition that is not precise is as bad as no definition at all”

আশাকরি এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনার চাকরির প্রস্তুতিতে অনেক কাজে আসবে।

রাজনৈতিক ভূমিকা

ড. ইউনূস বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে, তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকা সমাজের উন্নতি এবং অর্থনৈতিক সমতা তৈরিতে নতুন ধারণা এবং উদ্যোগ নিয়ে আসার চেষ্টা ছিল।

আন্তর্জাতিক অবদান

ড. ইউনূস বিশ্বব্যাপী তার ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মডেল প্রচার করেছেন। তিনি ইউনূস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য আরও নতুন নতুন সামাজিক ব্যবসার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এছাড়া তিনি প্রায় ১০০টিরও বেশি দেশে সামাজিক ব্যবসা প্রচারের জন্য কাজ করেছেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন সমাজে সামাজিক উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করেছেন।

ড.ইউনুস! বাংলার ইতিহাসে গত ৯০ বছরে জন্ম নেয়া একমাত্র গ্লোবাল সেলিব্রেটি হলেন প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস। শতকরা ৮৩% লোকই জানেন না কে ড.মোহাম্মদ ইউনুস!
পৃথিবীতে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার নোবেল, সেটা নিশ্চয়ই জানেন? সম্মানসূচক হিসেবে নোবেলের পরে কোন পুরস্কারের অবস্থান তা কি জানেন? সম্মানসূচকে,
১.নোবেল
২.অ্যামেরিকার প্রসিডেন্সিয়াল এওয়ার্ড
৩.মার্কিন কংগ্রেশনাল এওয়ার্ড
পৃথিবীর ইতিহাসে উপরের ৩ টা পুরস্কারই জিতেছেন এমন মানুষ আছে বা ছিলেন ১২ জন!বুঝতেই পারছেন পরের লাইনটা কি হবে,
হ্যা, সেই ১২ জনের একজন প্রফেসর ড.মোহাম্মদ ইউনুস 🧡
মেসিকে নিশ্চয়ই চিনেন! যদি বলি এই লিওনেল মেসি লাইনে দাড়িয়ে ছিলেন প্রফেসর ডা ইউনুসের জন্য,বিশ্বাস হয়,না হলেও সত্য!
'অলিম্পিক গেমস' পৃথিবীর সম্মানজনক প্রতিযোগিতার একটি। আর অলিম্পিকে সবচেয়ে সম্মানিত মেহমান হলেন মশাল বাহক, জাপানে অনুষ্ঠিত ২০২০ অলিম্পিকে মশাল বাহক ছিলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস💖 বর্তমানে বিশ্বের লিডিং ইন্টালেকচুয়ালের যেকোনো তালিকায় টপ ১০ এর ভিতরে থাকেন ডা.ইউনুস। মুসলিম বিশ্বে নোবেল বিজয়ী ইউনুসের বিকল্প খুজে পাওয়া টা খুবি কঠিন,কিন্তু তিনি আমাদের বাংলাদেশের! এদেশে আর এমন ইউনুস জন্মাবে কিনা আজও সন্দেহ!
১. মাইক্রোসফটের বিল গেটস নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে প্রফেসর ইউনুসকে পুরো সিলিকন ভ্যালি শহর দেখিয়েছিলেন।
২. কোর্ট-কাছাড়ির ৮ তলার এজলাশে তাঁকে যখনই হাজিরা দিতে হত সেসময় কোর্ট বিল্ডিং এর লিফট বন্ধ করে দেয়া হত। ৮২ বছরের অশিতিপর এই আসামীকে প্রতিবারই হেঁটে হেঁটে ৮ তলায় যেতে হত। এবং এই ঘটনা নাকি ৪০ বারের মত ঘটেছে।
শাকুর মজিদ
নাট্যকার,লেখক,স্থপতি।
সারা পৃথিবীর ১০৭টা ইউনিভার্সিটিতে মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টার আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের উদ্যোগে এটা করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাঁর মাইক্রো-ফাইনান্স। যেটা তাঁকে এবং তাঁর গ্রামীন ব্যাংকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার এনে দিয়েছিল। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্রীভাবে 'সুদখোর' ঢাকা হয় বারবার। মজার ব্যাপার হচ্ছে- মুহাম্মদ ইউনূসকে যারা পছন্দ করেন তাদের বেশীরভাগও জানেন না, মুহাম্মদ ইউনূসের সুদের ব্যবসা নাই। গ্রামীণ ব্যাংক তার প্রতিষ্ঠিত হলেও গ্রামীন ব্যাংকে তাঁর এক টাকার মালিকানাও নাই, শেয়ারও নাই। কখনোই ছিল না।
জিনিসটা আপনার-আমার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাইক্রো-ফাইনান্সের ধারণার মূল ভিত্তিই হচ্ছে এটা।
এই ব্যবসার কেউ মালিক হতে পারবে না। সম্পূর্ণ নন-প্রফিট তথা অলাভজনক। এটাকে বলে সামাজিক ব্যবসা। নির্দিষ্ট কোনো মালিক নাই। জনগণই এর মালিক।
বাইর থেকে অনুদানের টাকা এনে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। নিজে এটি প্রতিষ্ঠা করলেও প্রতিষ্ঠানে তার এক পয়সার মালিকানাও রাখেননি। বরং এর ২৫% মালিকানা সরকারের, বাকি মালিকানা গরীব মানুষের। নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকে ড মুহাম্মদ ইউনূস মাত্র ৩০০ ডলার বেতনে চাকরী করতেন।
তিনি যে নিজের কোনো শেয়ার রাখেননি তা না, কোম্পানীকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন যাতে কেউ এর একক মালিক হতে না পারে। কোম্পানী অধ্যাদেশ ২৮ ধারা অনুযায়ী তিনি এটি রেজিস্ট্রেশন করেন।
শুধু যে গ্রামীন ব্যাংকে তিনি মালিকানা রাখেননি তা কিন্তু না। জর্জ সরোস, টেলিনরদের এনে তিনি গ্রামীন টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর কথায় টেলিনর বাংলাদেশে আসে। তাঁর কথায় তাঁর বিলিয়নিয়ার বন্ধুরা গরীবদের উন্নতির জন্য ফান্ড দেয়। তিনি গ্রামীন টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। সেটাও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই। অনেকেই জানেন না গ্রামীন টেলিকমকে নন ফর প্রফিট কোম্পানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানেও তিনি নিজের জন্য ১% মালিকানাও রাখেননি। তিনি চাইলে ইজিলি ১০-১৫ পার্সেন্ট মালিকানা নিজের জন্য রেখে দিতে পারতেন। অথচ লাভের এক টাকাও যাতে নিজের কাছে না আসে, সেটা নিশ্চিত করেন তিনি।
তাঁর প্রতিষ্ঠিত সরকার নিয়ন্ত্রিত গ্রামীণ ব্যাংকে এখনো সুদের হার বাংলাদেশে সর্বনিম্ন। অথচ স্বাভাবিকভাবে আপনার মনে হবে গ্রামীন ব্যাংকের মত সুদ বোধহয় কেউ নেয় না। আর নিশ্চয় এই টাকায় প্রফিট করেন ড ইউনূস!
আসলে আমাদের দেশের মানুষ এসব কল্পনাও করতে পারেন না, একজন মানুষ ব্যবসা করবে অথচ সেখান থেকে নিজে কোনো লাভ করবে না। এমন কথা আমরা ভাবতেই পারিনা। আমরা ভাবতে পারি কেবল টাকা কামানোর কথা।
যেমনভাবে ড মুহাম্মদ ইউনূস বলেন- টাকা কামানোতে আছে সুখশান্তি, অন্যের উপকারে আছে প্রশান্তি। ওনার ভাষায় 'নিজের জন্য টাকা কামানো হয়তো হ্যাপিনেস, অন্যের উপকার হচ্ছে সুপার হ্যাপিনেস।'
মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন, সবাই এককভাবে সম্পত্তির মালিক হতে থাকলে গরীব আরো গরীব হয়ে যাবে, ধনী আরো ধনী হবে। ফলে বিশ্বব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে। এই বিশ্বাস থেকেই ওনি সব ননপ্রফিট বা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান তৈরী করে গেছেন, নিজের কোনো মালিকানা রাখেননি।
এরকমটা কি আপনি ভাবতে পারেন? আপনি বাংলাদেশের যেকোনো কোম্পানী দেখেন, তাদের সব নিজেদের মালিকানা।
কোম্পানীর কথা বাদ দেন, এনজিও ব্র্যাক দেখেন! মালিকানা ফজলে হাসান আবেদের পরিবারের। বড় বড় পদে পরিবারের সদস্যরা আছে।
কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূস সেটা করেননি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীতে নিজের বা পরিবারের কাউকে রাখেননি।
অথচ ড মুহাম্মদ ইউনূস চাইলে এসব ব্যবসায় নিজের মালিকানা রেখে ইজিলি বিলিয়নিয়ার হয়ে যেতে পারতেন। খুব ইজিলি।
তাঁর প্রায় সব বন্ধুবান্ধব বিলিয়নিয়ার, মাল্টি বিলিয়নিয়ার। তিনি সেদিকে যাননি।
অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে ড মুহাম্মদ ইউনূসের আয়ের উৎস কী?
আমি নিশ্চিত, এটাও অনেকে জানেন না। ড মুহাম্মদ ইউনূস হচ্ছেন পৃথিবীর ওয়ান অব দ্যা হায়েস্ট পেইড স্পীকার। স্পীচ দেয়ার জন্য ওনাকে টাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওনার বক্তব্য শোনার জন্য খরচ করতে হয় ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার মত। কখনো আরো বেশী। বিশ্বের নামীদামী প্রতিষ্ঠান গুলো ওনাকে নিয়ে যান ওনার বক্তব্য শুনতে। ওনাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার জন্যও ডাকা হয়।
২০২৪ সালের ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির ৩ জনের একজন হচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে আরেকজন প্রেসিডেন্ট ম্যাঁখ্রো।
২০২৬ ইতালী অলিম্পিকের জন্য ইতালীয়ানরা ওনাকে পাওয়ার জন্য তদবির করছে। যাতে ওনি পরামর্শ দেন।
এদিকে আমরা মনে করি গ্রামীন ব্যাংক আর গ্রামীন টেলিকমের মত ওনার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী থেকে টাকা পান তিনি। যেন গ্রামীন ব্যাংকের সুদগুলো সরকার খায় না, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস খায়। এরা কখনো প্রকাশ্যে স্বীকারই করে না যে, এগুলোতে তার ০.০১% শেয়ারও নাই।
ওনি একটা বিশ্ববিদ্যালয় করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশে, কিন্তু অনুমতি পাননি। একটা আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হতো। ওনি বললে পৃথিবীর সেরা সেরা প্রফেসররা সেখানে এসে ক্লাস নিয়ে যেতো। ওনি ডাকলে এমনকি বিল গেটস কিংবা আমেরিকান প্রেসিডেন্টও তাঁর ইউনিভার্সিটিতে স্পীচ দিতে চলে আসতো।
কিন্তু সেটা হতে দেয়া হয়নি। তাঁকে ইউনিভার্সিটি করতে দেয়া হয়নি। ড মুহাম্মদ ইউনূসকে যত জানবেন, আপনার মনে হবে- দেশ এবং জাতি হিসেবে আমরা ড মুহাম্মদ ইউনূসকে ডিজার্ভই করিনা।
একটা প্রশ্ন করি, আপনি কি জানতেন মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীনব্যাংক কিংবা গ্রামীন টেলিকমের মত ওনার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীতে নিজের জন্য কোনো শেয়ার রাখেননি?
আসুন যোগ্য ব্যক্তিকে সম্মান করতে শিখি. Collect,,

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0