মিচেল স্টার্ক এর জীবনী | Biography of Mitchell Starc
মিচেল স্টার্ক এর জীবনী | Biography of Mitchell Starc

ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
পূর্ণ নাম |
মিচেল আরন স্টার্ক
|
জন্ম | ৩০ জানুয়ারি ১৯৯০ বাকহাম হিলস, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া |
উচ্চতা |
১৯৭ সেন্টিমিটার (৬ ফুট ৫+১⁄২ ইঞ্চি) |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
বামহাতি |
বোলিংয়ের ধরন |
বামহাতি ফাস্ট |
ভূমিকা |
বোলার |
মিচেল আরন স্টার্ক (ইংরেজি: Mitchell Aaron Starc; জন্ম: ৩০ জানুয়ারি, ১৯৯০) নিউ সাউথ ওয়েলসে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বামহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া দলে খেলছেন দীর্ঘদেহী ছয় ফুট সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী মিচেল স্টার্ক। এছাড়াও, ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজ ও সিডনি সিক্সার্স এবং আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
Mitchell Starc এর চরিত্রের রাশিফল
জনসমক্ষে নিজের বক্তব্য কিভাবে রাখতে হয় সেটা আপনি জানেন এবং রসাত্মক সত্তার সুন্দর উপহার আপনার কাছে আছে। তাই আপনার বন্ধুরা হাসিখুশি সঙ্গের জন্য আপনাকে কৃতিত্ব দেন। আপনি নিশ্চয়ই রসাল প্রকৃতির। আপনার বন্ধুরা আপনার ওপর রীতিমতো প্রভাব ফেলে, তাই এটা খুবই জরুরি যে আপনি প্রচন্ড চিন্তা-ভাবনা করে নিজের বন্ধুদের বাছুন।আপনার সবথেকে বড় ব্যর্থতা হলো আপনি বহুমুখী এবং আপনার শক্তি অনেক দিকে একসাথে পরিচালিত হয়। আপনার কর্ম এবং ইচ্ছাকে কিছু কম শাখায় একত্রিত করুন, এবং এই পরিবর্তনের ফলে আপনি ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন।আপনার চরিত্রে কিছুটা দার্শনিক ভাব আছে, তবে এটা সুপ্ত অবস্থায় থাকে। আপনি আন্তরিক ও উদারমনের মানুষ, যদিও সামান্য নীরস প্রকৃতির। আপনি নিজের প্রতি কিছুটা গর্বিত এবং যারা আপনার আত্মগর্ব নিয়ে ভাবনা করে তারা আপনার প্রিয় বন্ধু হয়ে যায়।আপনি উচ্চ-আদর্শবান, যা সবসময় প্রতীত হয় না। যখন আপনার আদর্শ বিফল হয়ে যায় তখন আপনি খুবই মনমরা হয়ে পরেন। আপনার মধ্যে অস্থিরতার ঝলকানি দেখা যায়, যার জন্য কোনো আদর্শ ভাব উচিত সময়ে পরিপক্ব হবার আগেই আপনি সেটাকে পরিত্যাগ করেন। তাই, আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী আপনি জীবনে সাফল্য, সুখ-শান্তি অর্জন করতে পারেন না।
Mitchell Starc এর সুখ ও সাচ্ছন্দের রাশিফল
আপনার বিভিন্ন বিষয় গোপন রাখার অভ্যাস আছে যা আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে নিজের কাছে গুপ্ত রাখতে সহায়তা করে। অন্য দিকে, আপনি আপনার আনুষ্ঠানিক শিক্ষালাভের ক্ষত্রে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন। আপনি যদি সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে কঠোর পরিশ্রম করেন তবে আপনি এই চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করতে পারবেন। আপনার শিক্ষালাভের দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত এবং নিয়মিত আপনার পুরোনো পাঠ ঝালিয়ে নেওয়া উচিত। এটি করা উচিত যাতে আপনি যে সমস্ত জ্ঞান অর্জন করেছেন তা সম্পূর্ণ ভাবে আত্মস্থ করতে পারেন। নেতিবাচক সঙ্গে আপনার শিক্ষায় বাধা সৃষ্টি হতে পারে এই কারণে আপনার দেখেশুনে নিজের সঙ্গ স্থির করা উচিত। পরিস্থিতি কখনও কখনও আপনার বিরুদ্ধে যেতে পারে, তবে আপনাকে সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে যাতে আপনার শিক্ষাগত জীবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।আপনি আদর্শবাদী এবং অন্যের কাছে অনুপ্রেরনাদায়ক, কারণ আপনার সহজাত আধ্যাত্মিক বিশ্বাস আছে। অত্যন্ত সংবেদনশীল, অন্যেরা আপনাকে পছন্দ করে - খুব কমই আপনি কারো আবেগকে আহত করেন। জীবনের কাঠিন্যকে বুঝে, সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে সম্পূর্ণ সতন্ত্র হাতে আপনি খুশি হন।
মিচেল স্টার্ক এর শুরুর ক্যারিয়ার – Mitchell Starc Starting Career :
মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc) মাত্র 9 বছর বয়সে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেন। প্রথম দিকে, তিনি একজন উইকেট-রক্ষক এবং ফাস্ট বোলার হিসেবে কাজ করতেন। যখন তার বয়স 9 বছর, তখন তিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পান। এবং তিনি সেখানে গিয়েছিলেন এবং অবিচ্ছিন্নভাবে দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছেন। মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc) মাত্র 19 বছর বয়সে স্টকে তার ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে তার প্রথম ঘরোয়া ম্যাচ খেলেছিলেন। এই দলে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরে তাকে অস্ট্রেলিয়া ডাকা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।
প্রথম দিকে, মিচেল স্টার্ক তার বোলিং এবং ব্যাট দিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করতেন। তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে ব্যাট এবং বল উভয়েই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন।
ঘরোয়া ক্রিকেট
সিডনির বেরালা স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের সাবেক কনিষ্ঠ ক্রিকেটার ছিলেন। হোমবুশ বয়েজ হাই স্কুলে অধ্যয়নকালীন সময় বিদ্যালয়ের প্রথম সারির দলে প্রতিনিধিত্ব করেন। ক্লাবে থাকাকালীন একই ইনিংসে উইকেটরক্ষণসহ বোলিং করতেন। নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এনডিসিএ) ক্রিকেটার হিসেবেও খেলেছেন তিনি।
একদিনের আন্তর্জাতিক
২০১০ সালের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়া দলের ভারত সফরের সময় বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়ের আঘাতজনিত কারণে স্টার্ককে জশ হ্যাজলউডের পরিবর্তে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ডগ বলিঙ্গার প্রথম টেস্টে আহত হলে স্টার্ক, পিটার জর্জ এবং জেমস প্যাটিনসনের মধ্যে স্থান দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে জর্জকে সুযোগ দেয়া হয় এবং প্যাটিনসন আঘাত পেলে অক্টোবর, ২০১০ সালে বিশাখাপত্তনমে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে মিচেল স্টার্কের। তবে তাকে ব্যাট করতে হয়নি; কিন্তু উইকেটবিহীন অবস্থায় খেলা শেষ করতে হয় তাকে।
ভারতের মাটিতে এর পর ২০২০ সালে আরো একবার সফর করেন। তবে সে বারেও বিশেষ সাফল্য পাননি। সামগ্রিকভাবে ৪ ম্যাচে মাত্র ৩ টি উইকেট পান। অনেকে মনে করেন, এটা একটা কারণ যার জন্যে তিনি আইপিএল এড়িয়ে যান। একই ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেও সফল হননি।
অস্ট্রেলিয়ার বাইরে ইংল্যান্ড হচ্ছে তার পছন্দের সফরভূমি। যেখানে অন্যান্য দেশে ১০ টিও ম্যাচ খেলেননি সেখানে ইংল্যান্ডে খেলেছেন ২১ টি।এছাড়াও স্টার্ক ২০২৩ ভারত বিশ্বকাপ এবং ২০১৫ এ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ জেতার গৌরব অর্জন করেন৷
আইপিএলের নিলামে ইতিহাস গড়ে কলকাতায় মিচেল স্টার্ক
ইতিহাসে এবারই প্রথম ভারতের বাইরে আইপিএলের নিলাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ (১৯ ডিসেম্বর) আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসেছে আসন্ন ২০২৪ আইপিএলের মিনি নিলাম। এই মিনি নিলামেই আজ বড় এক কান্ডের সাক্ষী হলো সবাই। আইপিএল নিলামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ককে দলে ভিড়িয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
চলমান নিলামের জন্য মোট ৩৩৩ জন ক্রিকেটারের নাম জমা পড়েছিল। তবে সেখানে মাত্র ৭৭ জনের স্লটে মোট ক্রিকেটার বেঁচা-কেনা হবে। যেখানে ৩০ জনের স্লট থাকবে শুধু বিদেশী ক্রিকেটারদের জন্য। কাগজে এটি মিনি নিলাম হলেও এই মিনি নিলামেই নতুন করে ইতিহাস গড়লো আইপিএল।
এতদিন আইপিএলে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া ক্রিকেটার ছিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার স্যাম কারেন। ২০২৩ সালেই সাড়ে আঠারো কোটি রুপিতে পাঞ্জাব কিংসে পাড়ি জমানো কারেন অবশ্য রেকর্ডটি বেশি দিন অক্ষত রাখতে পারলেন না। স্যাম কারেনের রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়েন অজি কাপ্তান এবং বোলিং অলরাউন্ডার প্যাট কামিন্স। ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে তাকে দলে ভেড়ায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
তবে ঘন্টাখানেক পরই প্যাট কামিন্সের রেকর্ড ভেঙ্গে দেন তারই জাতীয় দলের সতীর্থ মিচেল স্টার্ক। কলকাতা ও গুজরাটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে স্টার্ককে দলে ভেড়ায় কলকাতা। সর্বোচ্চ ২ কোটি বেইজ প্রাইসেই তাকে নিলামে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।
এছাড়া চেতন সাকারিয়াকে ৫০ লাখ রুপিতে দলে ভিড়িয়েছে কলকাতা। তবে এবার দল পাননি ২ কোটি বেইস প্রাইসে থাকা কলকাতার সাবেক পেসার লকি ফার্গুসন।
মিচেল স্টার্ক এর IPL ক্যারিয়ার – Mitchell Starc IPL Career :
দুবাইতে 19 ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইপিএল 2024 নিলামে শীর্ষ খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি একজন তাকে কলকাতা নাইট রাইডার্স 24 কোটি টাকার বিনিময়ে কিনে নেন। ইতিহাসে তিনিই প্রথম এতো বড়ো ধনরাশিতে নিলাম হওয়া একজন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।
মিচেল স্টার্ক আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছেন। তিনি 17 এপ্রিল 2014-এ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সাথে তার আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করেন, যেখানে তিনি তার প্রথম ম্যাচে কলকাতার বিরুদ্ধে তার প্রথম ম্যাচ খেলেন। তিনি 33 রানে এক উইকেট নেন।
মিচেল স্টার্ক আইপিএলের জন্য বিশেষ কিছু করেননি। আমরা তাকে কিছু সময়ের জন্য আইপিএলে দেখেছি। মিচেল স্টার্ক এবং কাইরন পোলার্ডের মধ্যে বিরোধ ছিল যা শিরোনামে ছিল। সেই সময় মিচেল স্টার্ক রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পক্ষে ছিলেন। কাইরন পোলার্ড মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলছিলেন, এদিকে মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc) বোলিং করছিলেন এবং কাইরন পোলার্ড মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলছিলেন।
একজন মিচেল স্টার্ক
দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্টিভেন স্মিথ নিষিদ্ধ। দলের সেরা দুই বোলার মিচেল স্টার্ক এবং জস হ্যাজলউডও বেশ কয়েকদিন সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন। ইনজুরি এবং টেস্ট সিরিজ খেলার পর বিশ্রাম দুইয়ে মিলে তাদের ওয়ানডে খেলা হচ্ছিল না। এদিকে বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করার সময় খুব বেশি হাতে নেই। শেষ পর্যন্ত সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল স্টার্ককে স্কোয়াডে রাখা হয়। স্কোয়াড ঘোষণার সময় সম্পূর্ণ ফিট না হওয়ার কারণে অ্যাশেজের কথা মাথায় রেখে জস হ্যাজলউডকে স্কোয়াডে রাখেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর থেকে বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া মোট ৩১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল, যার মধ্যে মাত্র সাতটি ম্যাচ খেলেছিলেন মিচেল স্টার্ক। বিশ্বকাপে আসার আগে নিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন গত বছরের নভেম্বরে। দীর্ঘদিন ওয়ানডে দলের বাইরে থাকার পরও তার উপর আস্থা রেখেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য তিনি তো আস্থা রাখার মতোই বোলার। গত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এবং ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট জেতা এই ক্রিকেটার এইবারও দুর্দান্ত ছন্দে আছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এইবারও তিনি আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় শীর্ষে থেকেই হয়তো টুর্নামেন্ট শেষ করবেন।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া দলের ব্যাটিং লাইনআপ সামাল দিচ্ছেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ এবং ডেভিড ওয়ার্নার। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মিডল-অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ফলাফলে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং ডিপার্টমেন্টেও দুর্বলতা রয়েছে। সেই দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও ম্যাচের ফলাফল নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছেন মিচেল স্টার্ক।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই মিচেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্সই ছিল অস্ট্রেলিয়া মূল ভরসা। তৃতীয় বোলার হিসাবে নাথান কোল্টার-নাইল, কেন রিচার্ডসন এবং জেসন বেহরেনডর্ফ পালাবদল করে খেলেছেন। জেসন বেহরেনডর্ফ গত কয়েক ম্যাচে সফলতা পেয়েছেন, তবে কোল্টার-নাইল এবং কেন রিচার্ডসন খুব একটা খারাপ না করলেও দলের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এছাড়া প্রধান স্পিনার হিসাবে খেলা অ্যাডাম জাম্পাও উইকেটশূন্য থাকার পাশাপাশি রান আটকাতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। পঞ্চম বোলারের অভাব তো এখনও বোধ করছে অস্ট্রেলিয়া। মার্কাস স্টোইনিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের পাশাপাশি অ্যারন ফিঞ্চ, স্টিভেন স্মিথকেও হাত ঘোরাতে দেখা গিয়েছে।
দলের অন্যান্য বোলাররা প্রতিপক্ষের উপর চাপ প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হলেও প্রতি ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে দেওয়ার দায়িত্ব একাই সামলাচ্ছেন মিচেল স্টার্ক। শুরুতে, মিডল ওভারে কিংবা ডেথে – যখনই উইকেটের প্রয়োজন পড়ে, অধিনায়ক স্টার্কের শরণাপন্ন হন। স্টার্ক এখন পর্যন্ত অধিনায়ককে হতাশ করেননি।
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচ ছিল আফগানিস্তানের সাথে। বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগে অস্ট্রেলিয়ার দুর্গতি এবং আফগানিস্তানের বিশ্বমানের তিন স্পিনার থাকার দরুন অনেকেই ভেবেছিল, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এই ম্যাচে। কিন্তু পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ম্যাচের প্রথম ওভার থেকেই জানান দিয়েছিল, বিশ্বকাপ তাদের ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে, বিশ্বকাপে তারা সবসময়ই সেরা। ম্যাচের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে আফগান ওপেনার শেহজাদের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়াকে শুভ সূচনা এনে দিয়েছিলেন স্টার্ক। এরপর ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলে নিয়ে এবং ওয়ার্নারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সহজ জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
মিচেল স্টার্ক এর ODI ক্যারিয়ার – Mitchell Starc ODI Career :
জশ হ্যাজলউডের ইনজুরির পর মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc) দলে জায়গা পেলেও দলে নির্বাচিত হওয়ার পর জেমস প্যাটিনসনের ইনজুরির পর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন।
20 অক্টোবর 2010-এ মিচেল স্টার্ক ভারতের বিপক্ষে তার প্রথম ম্যাচ খেলেন। তার প্রথম ম্যাচে মিচেল স্টার্ক কোনো সাফল্য পাননি।
মিচেল স্টার্ক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের হয়ে 100 টিরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন, যখন তিনি ওডিআই ক্রিকেটে অনেক রেকর্ডও করেছেন।মিচেল স্টার্ক 2015 সালের বিশ্বকাপে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টও হয়েছেন।
লিস্ট এ ক্রিকেট
২০০৯-১০ ফোর্ড রেঞ্জার কাপ মরসুমে সাইমন ক্যাটিচ নেতৃত্বাধীন নিউ সাউথ ওয়েলস দলের হয়ে মার্কাস নর্থের ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে উত্তর সিডনি ওভাল মাঠে লিস্ট এ ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। স্টুয়ার্ট ক্লার্ক ছিলেন তখন দলটির প্রধান দ্রুতগতির বোলার। ম্যাচটি নিউ সাউথ ওয়েলস জেতে। সেই মরসুমে নিউ সাউথ ওয়েলস লীগ তালিকায় চতুর্থ অবস্থান পায়। হ্যাজেলউড-স্টার্ক সেই মরসুমে দলের হয়ে যথাক্রমে সর্বাধিক ও দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট পান।
টেস্ট ক্রিকেট
১ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে তার। খেলায় তিনি দুই উইকেট লাভ করেন। হোবার্টে অনুষ্ঠিত পরবর্তী টেস্টেও দুই উইকেট দখল করেন।[৮] ২০১১-১২ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে তাকে দলে রাখা হয়নি। কিন্তু পেস-বান্ধব ওয়াকা গ্রাউন্ডে স্পিনার নাথান লায়নের পরিবর্তে তাকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১২ সালে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ঐ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া পরাজিত হলেও স্টার্ক ৬/১৫৪ লাভসহ দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ ডিসেম্বর তারিখে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম করেন মাত্র ৩২ বলে। ভাল ফলাফল অর্জন করা স্বত্ত্বেও তাকে বিশ্রামে রাখা হয়। বক্সিং ডে টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার স্থলে জ্যাকসন বার্ডের অভিষেক ঘটে। পরের সপ্তাহেই অবশ্য সিডনি টেস্টে উভয়েই খেলার সুযোগ লাভ করেন। ২০১৩ সালে ভারত সফরে টেস্ট সিরিজে মাত্র ১ রানের জন্য প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন।
একদিবসিয়র মতো টেস্টেও ঘরের মাঠে খেলতে বেশি স্বচ্ছন্দ ও সফল। ভারত সফরে তার সাফল্য সর্বনিম্ন।
ক্রিকেট বিশ্বকা
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ১১ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ স্টার্ক-সহ অস্ট্রেলিয়া দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করে। গ্রুপ পর্বের তৃতীয় খেলায় সহঃ স্বাগতিক দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রশংসারযোগ্য ও নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান (৬/২৮) স্বত্ত্বেও তার দল মাত্র ১ উইকেটের ব্যবধানে হেরে যায়। তিনি ২২টি উইকেট নিয়ে একাদশ বিশ্বকাপে ট্রেন্ট বোল্টের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর মর্যাদা পান। কিন্তু বিচারকদের কাছ থেকে সেরার মর্যাদা পান তিনি ও শচীন তেন্ডুলকরের কাছ থেকে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট পুরস্কার গ্রহণ করেন। খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে শিরোপা জয় করে।এছাড়াও ২০২৩ এ ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২১ এ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপ জেতার গৌরব অর্জন করেন৷
রেকর্ডসমূহ
- ২০১৩ সালের বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি’র তৃতীয় টেস্টে চলকালে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে উভয় ইনিংসে ৯, ১০ ও ১১ নম্বরে ১০০ বল মোকাবেলা করেন।
- ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে এমসিজিতে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ওডিআইয়ে প্রথম অস্ট্রেলীয় হিসেবে ছয় উইকেট নেন। খেলায় তিনি নিজস্ব সেরা ৬/৪৩ লাভ করেন।
আন্তর্জাতিক তথ্য | |
---|---|
জাতীয় দল |
|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪২৫) |
১ ডিসেম্বর ২০১১ বনাম নিউজিল্যান্ড |
শেষ টেস্ট | ২৮ জুলাই ২০২৩ বনাম ইংল্যান্ড |
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৮৫) |
২০ অক্টোবর ২০১১ বনাম ভারত |
শেষ ওডিআই | ১৯ নভেম্বর ২০২৩ বনাম ভারত |
ওডিআই শার্ট নং | ৫৬ |
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৫৯) |
৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ বনাম পাকিস্তান |
শেষ টি২০আই | ৩১ অক্টোবর ২০২২ বনাম আয়ারল্যান্ড |
টি২০আই শার্ট নং | ৫৬ |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
sourse:crifosports: bhugolshiksha: celebrity:wikipedia...
What's Your Reaction?






