অ্যালেক স্টুয়ার্ট এর জীবনী | Biography Of Alec Stewart

অ্যালেক স্টুয়ার্ট এর জীবনী | Biography Of Alec Stewart

May 30, 2025 - 12:47
 0  0
অ্যালেক স্টুয়ার্ট  এর জীবনী | Biography Of Alec Stewart

ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
অ্যালেক জেমস স্টুয়ার্ট
জন্ম ৮ এপ্রিল ১৯৬৩ (বয়স ৬২)
মার্টন পার্ক, ইংল্যান্ড

ডাকনাম

দ্য গফার

উচ্চতা

৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার)

ব্যাটিংয়ের ধরন

ডানহাতি

বোলিংয়ের ধরন

মাঝে-মধ্যে ডানহাতি মিডিয়াম

ভূমিকা

উইকেট-রক্ষক, অধিনায়ক

সম্পর্ক

এমজে স্টুয়ার্ট (বাবা)

অ্যালেক জেমস স্টুয়ার্ট, ওবিই (ইংরেজি: Alec Stewart; জন্ম: ৮ এপ্রিল, ১৯৬৩) মার্টন পার্ক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের সাবেক ও বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও উইকেট-রক্ষক ছিলেন। এছাড়াও তিনি দলের অধিনায়কত্ব করেন। ‘দ্য গফার’ ডাকনামে পরিচিত অ্যালেক স্টুয়ার্ট ইংল্যান্ড দলে সর্বাধিকসংখ্যক টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের গৌরব অর্জন করেন। কাউন্টি ক্রিকেটে সারে দলে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।

প্রারম্ভিক জীবন

ইংল্যান্ডের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার মিকি স্টুয়ার্টের কনিষ্ঠ সন্তান অ্যালেক স্টুয়ার্ট টেমস নদীর উপকূলে অবস্থিত কিংসটনের টিফিন স্কুলে অধ্যয়ন করেন। ১৯৮১ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে সারে দলের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমার অধিকারী স্টুয়ার্ট ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন ও মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

১৯৮৯-৯০ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টের মাধ্যমে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। নাসের হুসেনও তার সাথে অভিষিক্ত হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে অ্যালেক স্টুয়ার্টের কাছ থেকেই অধিনায়কের দায়িত্বভার পান নাসের।

খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান। তিনি নিয়মিত উইকেট-রক্ষক জ্যাক রাসেলের স্থলাভিষিক্ত হন। কিন্তু দলের ভারসাম্য রক্ষার্থে রাসেলকে প্রায়শঃই দলের বাইরে থাকতে হতো। ফলে ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে রাসেল অবসর নিলে তিনিই দলে স্থায়ীভাবে অবস্থান করেন।

৪ জুন, ১৯৯২ তারিখে এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত ড্র হওয়া প্রথম টেস্টে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৯০ রান সংগ্রহ করেন। এ সেঞ্চুরিটি ছিল পাঁচ টেস্টের মধ্যে চতুর্থ সেঞ্চুরি। ১৯৯৪ সালে কেনসিংটন ওভালে সপ্তম ইংরেজ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। ১১৮ ও ১৪৩ রান করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ১৯৩৫ সালের পর এ মাঠে প্রথমবারের মতো পরাজিত হয়।

অ্যালেক স্টুয়ার্ট: এখন ক্রিকেটার তৈরির কারিগর

মিকি স্টুয়ার্ট তখন পেশাদার ফুটবল, পেশাদার ক্রিকেট, দুটোই খেলতেন। ছেলেকে নিয়ে একদিন মাঠে গেছেন একটা ফুটবল ম্যাচ দেখাতে। ছোট্ট ছেলেটা খুব মজা করছিলো। হাজারো সমর্থকের সাথে গলা মিলিয়ে চিৎকার করছিলো সে।

খেলা শেষে ছেলেটির বাবা মিকি স্টুয়ার্ট এসে বললেন, “এই শত শত মানুষের মধ্যে বেশিরভাগই হয়তো কোনোদিন পেশাদার খেলোয়াড় হতে পারবে না। এর মধ্যে হয়তো একজন পেশাদার খেলোয়াড় হবে।”

ছেলেটি হাত উঁচু করে বললো, “সেই মানুষটা আমি।”

সেদিন মিকি স্টুয়ার্ট হয়তো হেসেছিলেন। কিন্তু কালক্রমে সেই ছেলেটির কথাই সত্যি হয়েছে। ছেলেটি হয়ে উঠেছেন পেশাদার এক ক্রিকেটার। বাবাকেও ছাপিয়ে গেছেন যে জগতে। বাবা মিকি স্টুয়ার্ট ইংল্যান্ডের হয়ে ৮টি টেস্ট খেলেছিলেন। আর সেদিনের সেই ছেলেটি বড় হয়ে ১৩৩টি টেস্ট খেলেছে; ১৫টি সেঞ্চুরিসহ ৮ হাজারের ওপরে টেস্ট রান করেছে।

সেই ছেলেটিই অ্যালেক স্টুয়ার্ট।

এককালের ওপেনিং ব্যাটসম্যান, উইকেটরক্ষক, অধিনায়ক; অনেক পরিচয় অ্যালেক স্টুয়ার্টের। কিন্তু এই সবকিছু ছাপিয়ে তিনি এখন একজন ক্রিকেটার গড়ার কারিগর। বাবার পথ ধরে অ্যালেকও হয়ে উঠেছিলেন সারের একজন কিংবদন্তী। সেই সারে ক্লাবেরই ক্রিকেট পরিচালক এখন অ্যালেক স্টুয়ার্ট। আর এখানেই তিনি এখনকার অলি পোপ বা স্যাম কুরানের মতো ইংল্যান্ডের তরুণ প্রতিভাদের তুলে আনছেন, তৈরি করছেন ইংলিশ ক্রিকেটের জন্য অসাধারণ এক পাইপলাইন।

সারের সাথে অ্যালেক স্টুযার্টের সম্পর্ক বাবার আমল থেকে। বাবা মাইকেল জেমস স্টুয়ার্ট বা মিকি স্টুয়ার্ট ছিলেন সারের কিংবদন্তী। সারের কোচও ছিলেন। মিকি যখন সারের কোচ, তখনই অ্যালেক একটু একটু করে বিকশিত হয়েছেন। আবার বাবার কোচিংয়ে ইংল্যান্ড জাতীয় দলেও খেলেছেন তিনি। সারের হয়ে বাবা-ছেলে দুজনই অসামান্য সব পারফরম্যান্স করেছেন।

পিতা-পুত্রকে তাই স্থায়ীভাবেই স্মরণীয় করে রেখেছে সারে। ওভালের একটি গেটের নামকরণ করা হয়েছে ছেলে অ্যালেকের নামে। অন্যদিকে একটি প্যাভিলিয়নের নাম বাবা মিকির নামে। এই প্রসঙ্গ উঠতেই অ্যালেক স্টুয়ার্ট একটু হাসেন। বলেন, প্যাভিলিয়নের আগে তো গেট। তাই তিনি একটু আগে আছেন,

“দেখুন, প্রথমের ব্যাপারটা প্রথমে। আপনাকে তো ভেতরে গিয়ে প্যাভিলিয়ন বা অন্য কোথাও যেতে গেলে আগে গেট দিয়ে ঢুকতে হবে।”

মজা করে এই কথাটা বললেও স্টুয়ার্ট বাবা-ছেলে অনেকদিন অবধি একটা রেকর্ড নিজেদের করে রেখেছিলেন। জিম্বাবুয়ের ম্যালকম ওয়ালার ও অ্যান্ডি ওয়ালারের আগ অবধি স্টুয়ার্টরাই ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে একই সময়ে দলে থাকা একমাত্র বাবা ও ছেলে জুটি।

অ্যালেক স্টুয়ার্টের অভিষেক হয়েছিলো যখন, তখনই জাতীয় দলের কোচ মিকি স্টুয়ার্ট।  

তার জন্য অভিষেকের সময়টা কঠিন ছিলো না। কারণ কাউন্টি ক্রিকেটে তিনি লম্বা সময় ধরে বাবার কোচিংয়ে খেলে অভ্যস্ত ছিলেন। অ্যালেক বলছিলেন, এই ধরনের ক্ষেত্রে কোচ-খেলোয়াড় ও পিতা-পুত্র সম্পর্কের পার্থক্যটা ধরে রাখা খুব জরুরি।

এক ইংলিশ গ্রেটের আক্ষেপ

অবশ্য বাবা মিকি শুধু পেশাদার ক্রিকেটার ছিলেন না, তিনি পেশাদার ফুটবলারও ছিলেন। মিকি স্টুয়ার্ট মোটে ৮ টেস্ট খেললেও ছেলে খেলেছেন ১৩৩ টেস্ট! সেই সাথে নব্বইয়ের দশকে ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও ছিলেন তিনি! এবং ইংল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ছিলেন অ্যালেক।

ক্রিকেটের বাপ কা বেটা – এমন নজীর আছে বিস্তর। কেউ কেউ বাবাকে ছুঁতে পারেন না বাইজ গজের জীবনে। তবে, কেউ কেউ ছাড়িয়ে যান বাবাকেও। আজ তেমনই এক বাবা-ছেলে জুটির কথা বলবো। তাহলে হলেন মিকি আর্থার ও অ্যালেক স্টুয়ার্ট। দু’জনেই ইংল্যান্ডের হয়ে জাতীয় দলে খেলেছেন। বাবা মিকি স্টুয়ার্ট ও ছেলে অ্যালেক স্টুয়ার্ট দু’জনেই ইংল্যান্ড জাতীয় দল সহ কাউন্টি দল সারের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন।

অবশ্য বাবা মিকি শুধু পেশাদার ক্রিকেটার ছিলেন না, তিনি পেশাদার ফুটবলারও ছিলেন। মিকি স্টুয়ার্ট মোটে ৮ টেস্ট খেললেও ছেলে খেলেছেন ১৩৩ টেস্ট! সেই সাথে নব্বইয়ের দশকে ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও ছিলেন তিনি! এবং ইংল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ছিলেন অ্যালেক।

জন্ম ১৯৬৩ সালের আট এপ্রিল। পুরো নাম অ্যালেক জেমস স্টুয়ার্ট। ১৯৮১ সালে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল সারের হয়ে ক্রিকেটে পা দেন। যেই দলের হয়ে বাবা মিকি স্টুয়ার্ট ১৮ বছর ক্রিকেট খেলেছেন সেই দলের হয়েই ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় অ্যালেকের! ছেলেবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হবেন। বাবা-ছেলে দু’জনেই সারের হয়ে ক্রিকেটে অনেক অবদান রাখেন। আর সেজন্যই সারে ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষ থেকে বাবা-ছেলেকে এক অনন্য সম্মাননা দেওয়া হয়।

অধিনায়কত্ব

অধিনায়ক গ্রাহাম গুচের সহকারী হিসেবে ভারত  শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯৯৩ সালে চার টেস্টে নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে গুচ অবসর নিলে মাইক অ্যাথারটনকে তার স্থলে দলের দায়িত্বভার দেয়া হয়।

১৯৯৮ সালে অ্যাথারটন পদত্যাগ করলে অবশ্যম্ভাবী হিসেবে স্টুয়ার্টকে অধিনায়ক মনোনীত করা হয়। ৩৫ বছর বয়সে দলের অধিনায়কত্ব লাভকারী স্টুয়ার্টের অধিনায়কের মেয়াদকাল ছিল মাত্র ১২ মাস।

আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
  • ইংল্যান্ড (১৯৮৯ - ২০০৩)
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫৪৩)
২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১০৪)
১৫ অক্টোবর ১৯৮৯ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ ওডিআই ২ মার্চ ২০০৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই শার্ট নং

খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৩৩ ১৭০ ৪৪৭ ৫০৪
রানের সংখ্যা ৮৪৬৩ ৪৬৭৭ ২৬১৬৫ ১৪৭৭১
ব্যাটিং গড় ৩৯.৫৪ ৩১.৬০ ৪০.০৬ ৩৫.০৮
১০০/৫০ ১৫/৪৫ ৪/২৮ ৪৮/১৪৮ ১৯/৯৪
সর্বোচ্চ রান ১৯০ ১১৬ ২৭১* ১৬৭*
বল করেছে ২০ ৫০২
উইকেট
বোলিং গড় ১৪৮.৬৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ১/৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৬৩/১৪ ১৫৯/১৫ ৭২১/৩২ ৪৪২/৪৮

sourse:khela71.com: archive:wikipedia...

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0