হযরত ইয়াহিয়া আঃ এর জীবনী | Biography of hazrat Yaḥyā (alaihissalam)
হযরত ইয়াহিয়া আঃ এর জীবনী | Biography of Yaḥyā (alaihissalam)

নবী
ইয়াহিয়া
يحيى যোহন আলাইহিস সালাম
|
|
---|---|
জন্ম |
জেরুসালেম, লেভান্ত
|
মৃত্যু |
দামেস্ক, সিরিয়া
সেবাস্তিয়া, পশ্চিম তীর |
সমাধি |
নবী ইয়াহিয়ার রওজা, উমাইয়া মসজিদ, দামেস্ক, সিরিয়া |
অন্যান্য নাম |
ইয়াহিয়া বিন জাকারিয়া |
উত্তরসূরী |
ঈসা |
পিতা-মাতা |
যাকারিয়া (সখরিয়) |
আত্মীয় |
মরিয়ম (ফুফু) |
হযরত ইয়াহইয়া আঃ এর পরিচয় ও বিশেষ ঘটনা - হিকমাহ
হযরত ইয়াহিয়া
(হিব্রু: יוחנן המטביל, Yo-hanan ha-matbil; আরবি: يحيى Yahyá এবং يوحنا Yūhannā; আর্মেনীয়: Yokhanan) কুরআনের বর্ণনা অনুসারে একজন নবী ছিলেন।
সূরা মারইয়ামে হযরত ইয়াহিয়া (আ:) কথা বলা হয়েছে। তিনি ছিলেন বিশেষ গুণের অধিকারী।
তাফসির :
মহান আল্লাহ ইয়াহইয়া (আ.)-কে এই তিন স্থানেই নিরাপত্তা দান করেছেন। তাঁর জন্ম হয়েছে আল্লাহর বিশেষ হুকুমে। শয়তানের কুপ্রভাব থেকে তিনি মুক্ত ছিলেন।
তাঁর মৃত্যু হয়েছে ঈমানের ওপর। কাজেই তিনি কবরের আজাব থেকে নিরাপত্তা লাভ করেছেন। এবং তিনি নিষ্পাপ জীবন যাপন করেছেন, তাই পরকালে তাঁর কোনো ভয় নেই। কিয়ামতের দিনও বিশেষ নিরাপত্তা লাভ করবেন।
বাইবেলের লুকের বর্ণনা অনুসারে ইয়াহইয়া (আ.) ছিলেন ঈসা (আ.)-এর চেয়ে ছয় মাসের বড়।
আপাদমস্তক রোমীয় সভ্যতার প্রতিভূ। তাঁর কারণে সারা দেশে নৈতিকতাবিরোধী ও আল্লাহর অবাধ্যতামূলক কার্যকলাপের প্রসার ঘটেছিল। তিনি নিজের ভাই ফিলিপের স্ত্রী হিরোদিয়াসকে নিজের গৃহে রক্ষিতা রেখেছিলেন। ইয়াহইয়া (আ.) এ জন্য হিরোদকে ভর্ত্সনা করেন এবং তাঁর পাপাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। এ অপরাধে হিরোদ তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান। তবু তিনি তাঁকে একজন সৎকর্মশীল মনে করে তাঁর প্রতি সম্মান দেখাতেন। এবং জনগণের মধ্যে তাঁর প্রভাবের কারণে তাঁকে ভয়ও পেতেন।
কিন্তু হিরোদিয়াস মনে করতেন, ইয়াহইয়া (আ.) জনগণের মধ্যে যে নৈতিক চেতনা সঞ্চার করেছেন, তার ফলে জনগণের দৃষ্টিতে তাঁর মতে মেয়েরা ঘৃণিত হয়ে যাচ্ছে। তাই তাঁর প্রাণসংহারের প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত হিরোদের জন্মবার্ষিকী উৎসবে তিনি তাঁর কাঙ্ক্ষিত সুযোগ পেয়ে যান। উৎসবে তাঁর মেয়ে মনোমুগ্ধকর নৃত্য প্রদর্শন করে হিরোদের চিত্ত জয় করেন। হিরোদ সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে বলে, কী পুরস্কার চাও, বলো। মেয়ে তার ব্যভিচারী মাকে জিজ্ঞেস করে, কী চাইব? মা বলেন, ইয়াহইয়ার মস্তক চাও! তাই সে হিরোদের সামনে হাতজোড় করে বলল, জাহাঁপনা! আমাকে এখনই ইয়াহইয়া বাপ্তাইজকের মাথা একটি থালায় করে এনে দিন।
হিরোদ এ কথা শুনে বড়ই বিষণ্ন হয়ে পড়েন। কিন্তু প্রিয়ার মেয়ের দাবি না মেনে উপায় ছিল না। তিনি তত্ক্ষণাৎ কারাগার থেকে ইয়াহইয়া (আ.)-এর মাথা কেটে আনেন এবং তা একটি থালায় রেখে ওই নারীকে নজরানা দেন। (মথি ১৪ : ৩-১২, মার্ক ৬ : ১৭-১৯ ও লুক ৩ : ১৯-২০)।
বাইবেলের এই বর্ণনার ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তাই এ ঘটনার সত্য-মিথ্যা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না।
একদা হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) এর সাথে ইবলিশের দেখা হয় । ইবলিশের হস্তস্হিত একটি বস্তুর প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহর নবী জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি তোমার হাতে ? ইবলিশ বললো, - এটা শাহওয়াত বা প্রবৃত্তির তাড়না । এটা দিয়ে আমি বনী আদমকে শিকার করে থাকি । হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে শিকার করার জন্য কি তোমার কাছে কিছু আছে ? ইবলিশ বললো , - না; তবে এক রাত্রিতে আপনি পরিতৃপ্ত হয়ে ভোজন করেছিলেন, সেই সুযোগে আমি আপনাকে অবসাদ গ্রস্ত করে নামায হতে উদাসীন করে দিয়েছিলাম । হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) বললেন, 'আজ থেকে আমি আর কোনদিন তৃপ্ত হয়ে আহার করবো না ।' ইবলিশ বললো,- তাহলে আমিও আজ থেকে আর কোনদিন বনী আদমকে নসীহত করবো না ।
হযরত সুলাইমান (আঃ) বলেছেন, 'যে ব্যাক্তি স্বীয় প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে, সে দ্বিগ্বিজয়ী সেনাপতির চাইতেও বড় বাহাদুর ।'
মহানবী (সাঃ) বলেছেন, ' জঠর জ্বালার মাধ্যমে তুমি তোমার অন্তকরণকে জোর্তিময় করে তোল, ক্ষুধা ও তৃষ্ঞার অস্ত্রের মাধ্যমে তুমি তোমার রিপুর বিরুদ্ধে জিহাদে প্রবৃত্ত হও । ক্ষুধার সাহায্যে তুমি সদা বেহেশ্তের দরজায় কষাগাত করতে থাক । কেননা, এতে তোমার আমলনামায় জিহাদের সওয়াব লিপিবদ্ধ হবে । '
হযরত লোকমান হাকীম (রহঃ) স্বীয় পুত্রকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছিলেন, -'অধিক মাত্রায় নিদ্রা ও ভোজন থেকে নিজকে বিরত রাখ । কেননা, অধিক নিদ্রাযাপনকারী ও অধিক ভোজনকারী কিয়ামতের দিন আমল ও ইবাদত শূন্য হবে ।'
সুত্রঃ মুকাশাফাতুল ক্বুলুব । হযরত ইমাম গাজ্জ্বালী (রহঃ)
sourse: wikipedia ,,,,, somewhereinblog .....net/mobile/blog
What's Your Reaction?






