মিচেল মার্শ এর জীবনী Biography Of Mitchell Marsh
মিচেল মার্শ এর জীবনী Biography Of Mitchell Marsh

ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
পূর্ণ নাম |
মিচেল রস মার্শ
|
জন্ম | ২০ অক্টোবর ১৯৯১ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া |
উচ্চতা | ১৯৩ সেমি (৬ ফু ৪ ইঞ্চি)[১] |
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডান-হাতি ব্যাটসম্যান |
বোলিংয়ের ধরন | ডান-হাতি মিডিয়াম ফাস্ট |
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার |
সম্পর্ক | গফ মার্শ] (পিতা) শন মার্শ (ভাই) মেলিশা মার্শ (বোন) |
মিচেল রস 'মিচ' মার্শ (জন্ম: ২০ অক্টোবর ১৯৯১ পার্থ, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া) হলেন একজন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার যিনি বর্তমানে ওয়েস্টার্ন ওয়ারিয়র্স এবং আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ান আরেক ক্রিকেটার শ মার্শের ভাই।
Mitchell Marsh এর চরিত্রের রাশিফল
আপনি একজন বিবেচক। আপনি কখনো স্থির হতে পারেন না। আপনি সর্বদা পরিকল্পনা করতে থাকেন এবং আলস্য সহ্য করতে পারেন না। আপনার স্বেচ্ছাশক্তি প্রবল এবং স্বাধীন-চেত্তা আপনার মধ্যে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত। অন্যের হস্তক্ষেপে আপনি বিরক্ত হন, আর কারণ অধীন থাকা আপনি পছন্দ করেন না।আপনি ন্যায়পরায়ণতার খুব বড় হিসাব স্থাপন করেন, এবং এই শব্দটাকে বিস্তৃত অর্থে ব্যবহার করেন। আপনি আপনার বন্ধুদের কাছ থেকে সৎ-উদ্দেশ্য, সৎ-বক্তৃতা আর টাকা-পয়সার ব্যাপারে সততা আশা করেন।আপনার সবথেকে বড় অক্ষমতা হলো অন্যের সাথে ব্যবহার। আপনি অদক্ষতা সহ্য করতে পারেন না, যারা আপনার চোখে-চোখ রাখতে পারে না তাদের আপনি খুব নিচু রূপে দেখেন। যাদের আপনি সমর্থন করেন না তাদের প্রতি একটু বেশি দয়াবান ও সহিষ্ণু হওয়া খুব কঠিন নয়। যেকোনো মূল্যেই এটা খুব ভালো প্রচেষ্টা হতে পারে।আপনি মৌলিক চিন্তা-ভাবনার অধিকারী। এই চিন্তা-ভাবনা ভিন্ন-ভিন্ন ভাবে প্রকাশ পাই। আপনি নতুন কিছু পদ্ধতিও আবিষ্কার করেন। আপনি যাই চিন্তা করেন, সেটা দিয়ে পৃথিবীকে আপনি নতুন দিশা দেন।
Mitchell Marsh এর সুখ ও সাচ্ছন্দের রাশিফল
অল্পসময়ে খুব বেশি আশা করা,আপনাকে প্রচন্ড অভ্যন্তরীণ উত্তেজনার মধ্যে রাখে এবং আপস করার ক্ষেত্রে আপনি খুব জেদী। আপনি প্রচন্ড বিচলিত আর একসাথে বিভিন্ন দিকে নিজের শক্তিকে ছড়িয়ে দেন এবং খুব কমই কোনো কিছু সম্পূর্ণ করতে পারেন, কারণ সবসময় নতুন কিছু আবিস্কৃত হয়। বয়স বাড়ার সাথে আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং আপনাকে বিশ্রাম করতে শিখতে হবে। যোগার মত কোনো শারীরিক ও মানসিক তপশ্চর্যা দারুন প্রতিবিধান হতে পারে।আপনি যেকোনো বিষয়ের গভীরে গিয়ে ভাবতে পারেন, এই কারণে আপনি কোনো বিষয়ের ওপর সহজেই দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। যদিও এই পদ্ধতি যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ এবং এটি কোনো কোনো সময় বিরক্তির সৃষ্টি করতে পারে। আপনি কঠোর পরিশ্রমের সাথে পড়াশোনা করবেন এবং আপনি সর্বদাই পড়াকু স্বভাবের হবেন। নিত্য পড়াশোনা করলে আপনি সহজেই পড়াশোনা শেষ করতে পারবেন। আপনি কোনো একটি নির্দিষ্টি বিষয়ে আটকে পরতে পারেন এবং এই কারণে আপনার সেই বিষয় কে রোজ ঝালিয়ে নেওয়া উচিত। কোনো কোনো সময় আপনি আশানুরূপ ফলাফল না পেলেও আপনার অর্জিত জ্ঞান আপনাকে জীবনের অন্যান্য বিষয়ে সাফল্য পেতে সাহায্য করবে।
খেলোয়াড়ী জীবন
মার্শ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বুনবুরে ফোর্ড রেনজার কাপের খেলায় ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ওয়ারিয়র্সের হয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি ৭০ বছর ধরে একজন অস্ট্রেলিয়ান ঘরোয়া ওয়ানডে খেলা এবং ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সর্বকনিষ্ঠ অভিষেক হওয়া খেলোয়াড়। এপ্রিল ২০০৯ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ায়, ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ স্কোয়াড খেলার জন্য তাকে সুযোগ দেওয়া হয়।
মার্শ যেন লখনৌয়ের সত্যিকারের ‘জায়ান্ট’
সকল আশার আলো নিভে গেলেও মিচেল মার্শের ব্যাটে ছড়িয়েছে উজ্জ্বলতা। ব্যাট হাতের অজি ব্যাটার আরও একবার দেখালেন নিজের সামর্থ্য। শতক করে হাত দু’খানা মেলে দিলেন গগনপানে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মিচেল মার্শ।
লখনৌ সুপার জায়ান্টস ছিটকে গেছে প্লে-অফের দৌড় থেকে। স্রেফ নিয়মরক্ষার ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল গুজরাট টাইটান্স। ম্যাচটাকে খুব একটা হালকাভাবে নিলেন না মিচেল মার্শ। ওপেনিংয়ে নেমে প্রায় ইনিংসের শেষ অবধি টিকে থেকেছেন তিনি। কিন্তু শুধু টিকে থাকার জন্যে টিকে থাকেননি, সমানতালে আগ্রসনকে সঙ্গী করে রান তুলেছেন।
স্রেফ ৬৪ বলের ইনিংসটিতে তিনি লখনৌয়ের স্কোরবোর্ডে যুক্ত করেছেন ১১৭ রান। প্রায় ১৮৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটিতে পেশিশক্তি হয়েছে দৃশ্যমান। বাহারি সব শটে পসরা সাজিয়েছিলেন তিনি গুজরাটের বিপক্ষে। আটটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। চার মেরেছেন গুণে গুণে দশটি।
মারকাটারি ইনিংস বলতে যা বোঝায়, তার সবকিছুই ছিল মার্শের এই ইনিংসে। গুজরাটের বোলারদের প্লে-অফের আগে একটা রিয়েলিটি চেক দিয়ে দিলেন মার্শ। তিনি বরং উপকারই করলেন গুজরাটের। বোলারদের দূর্বলতা আর সক্ষমতার বাস্তবতা অন্তত জানতে পারল গুজরাট টাইটান্স।
লখনৌ সুপার জায়ান্টসের এবারের আইপিএল যাত্রা ছিল রীতিমত এক রোলারকোস্টার রাইড। তবে ব্যাট হাতে মার্শের মৌসুমটা খুব একটা বাজে কাটেনি। ১২ ইনিংসে প্রায় ৪৭ গড়ে ৫৬০ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকার সেরা পাঁচে তিনি একমাত্র বিদেশি।
দলের বাকিরা পারফরম করতে পারলেই হয়ত ভিন্ন হতে পারত লখনৌয়ের ভাগ্য। তবে এখন আর ভাগ্য বদলের খুব বেশি সুযোগ বাকি নেই। তাইতো পরিসংখ্যান পুষ্ট করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন পেষণাও নেই মার্শের সামনে। সে কারণেই বোধহয় নির্ভার মার্শ প্রথম শতক তুলে নিলেন, দলকে বড় সংগ্রহও গড়ে দিলেন। অন্তত সান্ত্বনার জয় তো পেতেই পারে তার দল।
জন্মদিনে নিজেকে শতক উপহার দিতে পেরে খুশি মিচেল মার্শ
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের চতুর্থ বলে প্রথম কোনো বলের মুখোমুখি হন মিচেল মার্শ। শাহিন আফ্রিদির সেই বলটি ছিল ইনসুইংগার। মার্শ ব্যাট চালান, কিন্তু বল চলে যায় উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। আফ্রিদি এটাকে ক্যাচই মনে করেছিলেন। কিন্তু তিনি ছাড়া আর কেউ আবেদনই করেননি।
মিচেল মার্শ তখন কী মনে করেছিলেন বা তাঁর দিনটা কেমন যাবে ভেবেছিলেন! কারণ, মার্শের জীবনে আজকের দিন বা তারিখটা যে বিশেষ। নিজের জন্মদিন বলে কথা! যে করেই হোক, বিশেষ দিনটাকে রাঙাতে হবে—এমনটা ভাবতে ভাবতেই হয়তো আফ্রিদির পরের বলটার মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্শ।
এক পা এগিয়ে এসে আফ্রিদির বলটি লং অফের ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠালেন মার্শ। এই যে শুরু, বলতে গেলে আর থামেননি তিনি আউট হওয়ার আগে। শাহিন আফ্রিদিরই বলে উসামা মিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক করেছেন মার্শ। ১০৮ বলে ১২১ রানে থামা ইনিংসটিতে মেরেছেন ১০টি চার ও ৯টি ছয়।
সব মিলিয়ে কী দারুণই না কাটল মিচেল মার্শের ৩২তম জন্মদিনটা! কেমন লেগেছে তাঁর—ইনিংস শেষে মাঠে নেওয়া সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল মার্শকে। এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘অসাধারণ জন্মদিন। এটাকে (সেঞ্চুরি) উপহার হিসেবে পাওয়াটা দারুণ।’
নিজের ইনিংসটি নিয়ে এরপর মার্শ বলেছেন, ‘আমরা জানতাম, এটা বড় স্কোরের মাঠ। আমি এখানে অনেক খেলেছি এবং (সেঞ্চুরি) মিস করেছি। শেষ পর্যন্ত খেলতে চেয়েছিলাম। সেটা হয়নি, তবে খুশি। এমনিতে আমি সেঞ্চুরি সেভাবে উদ্যাপন করি না। তবে আজ কিছুটা করেছি।’
শুধু একটি ম্যাচ নয়, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিততে চায় স্কটল্যান্ড
ক্রিকেটীয় বাস্তবতা বলে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি ম্যাচ জিততে পারলেও স্কটল্যান্ডের জন্য তা বড় অর্জন। তবে স্কটিশ ক্রিকেটারদের স্বপ্ন আরও বড়। দলের প্রতিনিধি হয়ে অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার মার্ক ওয়াট ও কোচ ডগ ওয়াটসন সরাসরিই বললেন, স্রেফ একটি জয় নয়, লক্ষ্য তাদের সিরিজ জয়।
তিন ম্যাচের এই টি-টোয়েন্টি সিরিজটি বুধবার শুরু হচ্ছে এডিনবারায়। পরের ম্যাচ দুটি শুক্র ও শনিবার।
এমনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারাই স্কটল্যান্ডের জন্য বড় এক উপলক্ষ। এমন সুযোগ তো তাদের জন্য বিরল! যা একটু-আধটু সুযোগ মেলে, তা মূলত বিশ্ব আসরগুলোয়। ওয়ানডেতে এই দুই দল পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে। তিনটিই বিশ্বকাপে। অন্য দুটি ম্যাচ ছিল দ্বিপাক্ষিক লড়াই। ইংল্যান্ড সফরে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া দল ফাঁকে ম্যাচ খেলেছে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে। টি-টোয়েন্টিতে তো দ্বিপাক্ষিক লড়াই এবারই প্রথম।
এই সিরিজটিও তারা পেয়ে গেছে ভাগ্যক্রমে। ইংল্যান্ড সফরের আগে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু আর্থিক কারণে সিরিজটি আয়োজনে অপারগতা জানায় ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড। সেই সুযোগটি লুফে নেয় ক্রিকেট স্কটল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টিতে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে একবারই। সেটির স্মৃতি এখনও তরতাজা। গত জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেন্ট লুসিয়ায় সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে বেশ চেপে ধরেছিল স্কটিশরা। আগে ব্যাট করে ১৮০ রান তুলেছিল তারা। রান তাড়ায় এক পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ৩৯ বলে ৮৭। শেষ পর্যন্ত মার্কাস স্টয়নিসের অভিজ্ঞতায় পার পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ানরা।
শুধু ওই ম্যাচেই নয়, এবারের বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। নামিবিয়া ও ওমানকে হারায় তারা সহজেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করা ছাড়াও ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও দুর্দান্ত শুরু করেছিল তারা। ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯০ রান তোলার পর বৃষ্টিতে ভেস্তে যায় সেই ম্যাচ।
বিশ্বকাপের ওই ম্যাচ এখনও দলকে পোড়ায় বলে জানালেন মার্ক ওয়াট। স্কটিশদের বোলিং আক্রমণের বড় অস্ত্র এই স্পিনার বললেন, এবার সেই আক্ষেপ তারা ঘুচিয়ে দিতে চান।
“এই সপ্তাহে আমরা মরিয়া হয়েই মাঠে নামব। স্রেফ একটি ম্যাচ নয়, সিরিজ জিততে চাই আমরা। সেন্ট লুসিয়ার সেই ম্যাচ থেকে অবশ্যই প্রেরণা পেতে পারি আমরা। আমাদের কিছু প্রমাণ করারও আছে, কারণ আমরা সবাই বিশ্বাস করি যে, ম্যাচটি আমাদের জেতা উচিত ছিল এবং বিশ্বকাপে আরও সামনে এগিয়ে যেতে পারতাম।”
Mitchell Marsh:: ফাইনালে ভারতকে ৬৫ রানে অলআউট করবে অজিরা, ভাইরাল মার্শের
ভবিষ্যদ্বাণী
Ind vs Aus World Cup Final: ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া, আশা না আশঙ্কা তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা ভারতীয় ক্রিকেটমহলে। ২০০৩ বিশ্বকাপের সে ফাইনাল এখনও ভোলেনি ভারত। ২০ বছর পর বদলা নেওয়ার সুযোগ এসেছে ভারতের কাছে। ফাইনালে অজিদের হারিয়ে বিশ্বকাপ উঠুক ভারতের হাতে এই আশায় বুক বাঁধছে আপামর ভারতবাসী। তবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া যে তেইশের বিশ্বকাপে ফাইনালে লড়বে তা আগে থাকতেই বলে দিয়েছিলেন অজি তারকা মিচেল মার্শ।
What's Your Reaction?






