হার্শেল গিবস এর জীবনী | Biography of Herschelle Gibbs

হার্শেল গিবস এর জীবনী | Biography of Herschelle Gibbs

May 28, 2025 - 13:05
May 29, 2025 - 03:14
 0  0
হার্শেল গিবস এর জীবনী | Biography of Herschelle Gibbs

ব্যক্তিগত তথ্য

পূর্ণ নাম

হার্সেল হারমান গিবস
জন্ম ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ (বয়স ৫১)
গ্রীন পয়েন্ট, কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা

ডাকনাম

স্কুটার

উচ্চতা

৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরন ডান-হাতি
বোলিংয়ের ধরন ডান-হাতি মিডিয়াম

ভূমিকা

ওপেনিং ব্যাটিং

হার্শেল হারম্যান গিবস (ইংরেজিHerschelle Gibbs; জন্ম: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪) কেপটাউনের গ্রীন পয়েন্টে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকার অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হার্শেল গিবস মূলতঃ তার ব্যাটিংয়ের জন্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। রন্ডেবস এলাকার সেন্ট জোসেফ’স মারিয়েস্ট কলেজ ও পরবর্তীকালে ডাইওসেসান কলেজে অধ্যয়ন করেন। সহজাত ক্রীড়া প্রতিভার অধিকারী গিবস বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়েই বিদ্যালয় দলের পক্ষে রাগবিক্রিকেট ও ফুটবলে অংশগ্রহণ করতেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

টেস্ট ক্রিকেটে তিনি দুইটি দ্বি-শতক হাঁকান। ১৯৯৯ সালে জাদ স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ২১১* করেন। সেজন্যে তাকে ৪৬৮ বল মোকাবেলা করতে হয়। পরেরটি করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। ঐ খেলায় তিনি ২৪০ বলে ২২৮ রান করেন। নিউল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে গ্রেইম স্মিথের সাথে ৩৬৮ রানের জুটি গড়ে নতুন জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। দলনায়ক স্মিথের সাথে আরও দুইটি ত্রি-শতক রানের জুটি গড়েন যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনবার তিন শতাধিক রানের জুটি। এছাড়াও জ্যাক ক্যালিসের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে অপরাজিত ৩১৫ রানের দক্ষিণ আফ্রিকান রেকর্ড স্থাপন করেন।

ভারতীয় মহিলা দলের কোচ হতে চেয়ে আবেদন হার্শেল গিবসের

ভারতীয় মহিলা দলের কোচ হতে চেয়ে আবেদন হার্শেল গিবসের
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য নতুন কোচ নির্বাচন করতে এখন নেমেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। দেশ-বিদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ও কোচ ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তবে সেই তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার হার্শেল গিবসের নাম নিয়েই ক্রীড়ামহলে বেশি চাঞ্চল্য।

ভারতীয় মহিলা দলের কোচ হতে চেয়ে আবেদন হার্শেল গিবসের
ভারতীয় মহিলা দলের কোচ হতে চেয়ে আবেদন হার্শেল গিবসের

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:০০

সদ্যসমাপ্ত আইসিসি মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ভারতীয় দল। সিনিয়র ক্রিকেটার মিতালি রাজকে ওই ম্যাচে বাদ দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন কোচ রমেশ পাওয়ার ও অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। রমেশ পওয়ারের চুক্তি আর নবীকরণ হয়নি।


ফলে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য নতুন কোচ নির্বাচন করতে এখন নেমেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। দেশ-বিদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ও কোচ ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তবে সেই তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার হার্শেল গিবসের নাম নিয়েই ক্রীড়ামহলে বেশি চাঞ্চল্য।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৯০ টেস্ট, ২৪৮ ওয়ানডে এবং ২৩ টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন গিবস। যদিও কোনও বড় দলকে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই তাঁর। এর আগে কুয়েত জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। সদ্যসমাপ্ত আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগের দল ‘বালখ লেজেন্ডস’কেও কোচিং করিয়েছেন। ২০০০ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে খারাপ খেলার জন্য অভিযুক্ত হয়েছিলেন। ছয় মাসের জন্য নির্বাসিতও হয়েছিলেন তিনি।

গিবস যে কোচ হতে চেয়ে আবেদন করেছেন, বিসিসিআইয়ের তরফে সেই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। গিবস নিজেও তাঁর টুইটারে জানিয়েছেন এই কথা।

কীর্তিগাঁথা

স্ট্যাম্পে বল ছুঁড়ে ব্যাটসম্যানকে আউট করার ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসে তাকে জন্টি রোডসের পরের আসনে রাখা হয়েছে। ২০০৫ সালের শেষদিকে ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর থেকে একদিনের আন্তর্জাতিকে সর্বোচ্চ রান আউট করার ক্ষেত্রে যে-কোন ফিল্ডারের চেয়ে অষ্টম ও রান আউটে সফলতার দিক থেকে দশম সর্বোচ্চ ফিল্ডারের মর্যাদা লাভকারী ক্রিকেটার। গিবস বলেছেন যে, খেলা শুরুর পূর্বে তিনি খুব কমসংখ্যক সময়েই নেট প্র্যাকটিস করেছেন।

২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে এক ওভারে ছয়টি ছক্কা হাঁকান। ৮ জুন, ২০০৭ তারিখে সেন্ট কিটসে তেনিয়েলে পোভে নাম্নী এক রমণীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। কিন্ত স্বল্পকাল পরেই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে তাদের।

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে পঞ্চম আন্তর্জাতিক ফ্রাঞ্চাইজ খেলোয়াড় ছিলেন ও প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড় হিসেবে নব-প্রবর্তিত টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় নাম লেখান।

আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
  • দক্ষিণ আফ্রিকা
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৬৪)
২৭ নভেম্বর ১৯৯৬ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট ১০ জানুয়ারি ২০০৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৪২)
৩ অক্টোবর ১৯৯৬ বনাম কেনিয়া

শেষ ওডিআই

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ বনাম ভারত

ওডিআই শার্ট নং

০৯ (গিবস কর্তৃক বার্ষিকাকারে পরিবর্তিত)

খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান

খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৯০ ২৪৮ ১৯৩ ৩৮৮
রানের সংখ্যা ৬,১৬৭ ৮,০৯৪ ১৩,৪২৫ ১১,৯৭৬
ব্যাটিং গড় ৪১.৯৫ ৩৬.১৩ ৪২.২১ ৩৫.৪২
১০০/৫০ ১৪/২৬ ২১/৩৭ ৩১/৬০ ২৭/৬২
সর্বোচ্চ রান ২২৮ ১৭৫ ২২৮ ১৭৫
বল করেছে ১৩৮ ৬৬
উইকেট
বোলিং গড় ২৬.০০ ২৮.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ০/৪ ২/১৪ ১/১৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৯৪/– ১০৮/– ১৭৬/– ১৭০/–

sourse: anandabazar: wikipedia

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0