ইফতিখার আহমেদ এর জীবনী | Biography Of Iftikhar Ahmed
ইফতিখার আহমেদ এর জীবনী | Biography Of Iftikhar Ahmed

ব্যক্তিগত তথ্য |
|
---|---|
জন্ম | ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯০ পেশাওয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়া, পাকিস্তান |
উচ্চতা |
১.৭৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি) |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
ডানহাতি |
বোলিংয়ের ধরন |
ডানহাতি অফ ব্রেক |
ভূমিকা |
মাঝারিসারি ব্যাটসম্যান |
ইফতিখার আহমেদ
(উর্দু ও পশতু: افتخار احمد; জন্ম: ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯০) একজন পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার । পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সেরা একাদশে রয়েছেন তিনি। পাকিস্তান সুপার লিগে, তিনি আগে করাচি কিংস, ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছেন এবং এখন কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সে আছেন। নভেম্বর ২০১৫ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়।
প্রারম্ভিক জীবন
তিনি পাকিস্তানের পেশাওয়ারের একটি পশতুন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ।
তিনি তার নিজ গ্রামে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করেছেন যাতে স্থানীয় প্রতিভাবান ক্রিকেট খেলোয়াড়েরা বিকাশ করতে পারে।
ইফতিম্যানিয়ার শুরু যেভাবে
ইফতিম্যানিয়া এখন রীতিমতো টুইটার ট্রেন্ড, পাকিস্তানে তো বটেই বিশ্বের ক্রিকেট অঙ্গনে এখন ইফতিম্যানিয়া একটা পরিচিত শব্দ।
ফেব্রুয়ারির পাঁচ তারিখে ইফতিখার ৯৪ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলেছেন, যেখানে তিনি ছয় বলে ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
ক্রিকেট ইতিহাসে অনেক ব্যাটসম্যানেরই ছয় বলে ছয়টি ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড থাকলেও, পাকিস্তানের কোনও ব্যাটসম্যান আগে এই কীর্তি গড়তে পারেননি।
ইফতিখারের ইনিংস দেখা পর পাকিস্তানী ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ক্রিকেটার বাজিদ খান টুইট করেছেন, “ইফতিম্যানিয়া, ব্যাস এটাই।”
সম্প্রতি ওয়াহাব রিয়াজকে পাকিস্তানের একটি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে।
ইফতিখারের ওই ছয় ছক্কার পরে পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেট সমর্থক এখনই ওয়াহাব রিয়াজকে মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলছেন, যে মন্ত্রীর পদ তিনি এখনও গ্রহনই করেননি।
এই নিবন্ধে Xএর কনটেন্ট রয়েছে। কোন কিছু লোড করার আগে আমরা আপনার অনুমতি চাইছি, কারণ তারা হয়ত কুকি এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকতে পারে। আপনি সম্মতি দেবার আগে হয়ত X কুকি সম্পর্কিত নীতি এবং ব্যক্তিগত বিষয়ক নীতি প়ড়ে নিতে চাইতে পারেন। এই কনটেন্ট দেখতে হলে 'সম্মতি দিচ্ছি এবং এগোন' বেছে নিন।
ম্যাচের পরে দেখা গেছে ওয়াহাব রিয়াজ ও ইফতিখার আহমেদ নিজেদের মধ্যে খুনসুটি করছেন।
ওয়াহাব রিয়াজ টুইট করে লিখেছেন, “অবিশ্বাস্য সব শট মেরেছে ইফতিখার। আমি নিজের জন্য হতাশ কিন্তু তোমার জন্য খুশি।”
ইফতিখারের ব্যাটিং দেখে এক ক্রিকেট সমর্থক টুইটারে মন্তব্য করেছেন, ''মনে হচ্ছে ইফতিখারের যুগে বাস করছি আমরা, লোকটা একটা মিশনে আছে বটে।''
বালোচিস্তানের কোয়েটা শহরে এই ছয় ছক্কার কীর্তি গড়ার পরে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ইফতিখারকে পাঁচ লাখ পাকিস্তানি রুপীর চেক উপহার দিয়েছেন।
ইফতিখার প্রায় অর্ধযুগ আগে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু করেছেন।
ক্যারিয়ারের নানা উত্থান পতনের সময় পার করে ৩২ বছর বয়সে তিনি পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত হয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২ এ ইফতিখার পাকিস্তানের সেরা পারফর্মারদের একজন ছিলেন, মূলত তার ছক্কা হাঁকানোর ক্ষমতার কারণে তাকে টি-টোয়েন্টি উপযোগী ক্রিকেটার ধরে নেয়া হয়।
ক্রিকেট বিশ্লেষক মাজহার আরশাদ মনে করেন, যদি পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলানো হয় তবে ওয়ানডেতেও দারুণ প্রভাব রাখতে পারবেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান
ঘরোয়া ক্যারিয়ার
তিনি ২০১৭-১৮ কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে সুই নর্দান গ্যাস পাইপলাইনস লিমিটেডের হয়ে এগারো ম্যাচে ৭৩৫ রান সহ শীর্ষস্থানীয় রান স্কোরার ছিলেন।
২৭ জানুয়ারী ২০১৭-এ, ২০১৬-১৭ আঞ্চলিক একদিনের কাপের ফাইনালে তিনি ১৩১ অপরাজিত ছিলেন এবং ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। গওহর আলীর সাথে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন তিনি। তিনি ২০১৭ পাকিস্তান কাপে খাইবার পাখতুনখোয়ার হয়ে চার ম্যাচে ২৪৪ রান সহ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন।
২০১৮ সালের এপ্রিলে, তাকে ২০১৮ পাকিস্তান কাপের জন্য সিন্ধুর দলে রাখা হয়েছিল। টুর্নামেন্টের সিন্ধুর উদ্বোধনী ম্যাচে, তিনি বেলুচিস্তানের বিরুদ্ধে ১১৬ রান করেন এবং সিন্ধ ১২ রানে জয়ী হওয়ায় ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। তিনি টুর্নামেন্ট চলাকালীন সিন্ধুর হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন, চার ম্যাচে ২৩০ রান।
তিনি ২০১৮-১৯ কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে সুই নর্দান গ্যাস পাইপলাইনস লিমিটেডের হয়ে সাত ম্যাচে ৬৬০ রান সহ শীর্ষস্থানীয় রান স্কোরার ছিলেন। মার্চ ২০১৯ সালে, তাকে ২০১৯ পাকিস্তান কাপের জন্য পাঞ্জাবের স্কোয়াডে নাম দেওয়া হয়েছিল।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, তাকে ২০১৯-২০ কায়েদ-ই-আজম ট্রফি টুর্নামেন্টের জন্য খাইবার পাখতুনখোয়ার স্কোয়াডে নাম দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের অক্টোবরে, তিনি ২০২১-২২ জাতীয় টি২০ কাপে খাইবার পাখতুনখোয়ার সফল শিরোপা রক্ষার নেতৃত্ব দেন, এবং ফাইনাল এবং টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় উভয়ই নির্বাচিত হন।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
২০১৫ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তান এ -এর দুই দিনের ম্যাচে তিনি সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। একই সফরে ১৩ নভেম্বর ২০১৫-এ তার একদিনের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। আগস্ট ২০১৬-এ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়।
তাকে প্রাথমিকভাবে ২০১৬ আইসিসি বিশ্ব টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য পাকিস্তানের স্কোয়াডে নির্বাচিত করা হয়েছিল, কিন্তু পরে খারাপ ফর্মের কারণে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, মার্চ ২০১৬-এ ২০১৬ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের হয়ে তার টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়।
সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। দলে ফিরে ডাক পাওয়া তিনজন খেলোয়াড়ের একজন ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের মে মাসে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাকে ২০২০-২১ মৌসুমের আগে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ভূষিত করে।
২০২০ সালের জুনে, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন ইংল্যান্ডে পাকিস্তানের সফরের জন্য তাকে ২৯ সদস্যের একটি দলে নাম দেওয়া হয়েছিল। ১ নভেম্বর ২০২০-এ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে, ইফতিখার ওডিআই ক্রিকেটে তার প্রথম পাঁচ উইকেট লাভ করেন।
টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্যারিয়ার
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে, আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ টুর্নামেন্টের প্রথম সংস্করণে তাকে কান্দাহারের স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, ২০২৩ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলার সময়, তিনি তার প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেন। ইফতিখার ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এক ওভারে ছয়টি ছক্কা মারেন, পাশাপাশি ৫০ বলে অপরাজিত থেকে ৯৪ রান করে ম্যাচ শেষ করেন। অবিস্মরণীয় পারফরম্যান্সটি তার ক্যারিয়ারে একটি দৃষ্টান্ত হিসাবে দেখা হয়।
ইফতিখার আহমেদ যেভাবে সাধারণ ক্রিকেটার থেকে ট্রেন্ড হয়ে উঠলেন
পাকিস্তান সুপার লিগ শুরু হতে যাচ্ছে ১৩ই ফেব্রুয়ারি থেকে, তার আগেই এই টুর্নামেন্টের একটা বিজ্ঞাপন হয়ে দাঁড়িয়েছেন পাকিস্তানের হার্ড হিটার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইফতিখার আহমেদ।
পাকিস্তান সুপার লিগ শুরুর আগে একটি এক্সিবিশন ম্যাচে ওয়াহাব রিয়াজের ছয় বলে ছয়টি ছক্কা মেরেছেন কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের ইফতিখার।
ইফতিখার আহমেদ খুব সম্ভব তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটাচ্ছেন, যেখানেই ব্যাট হাতে নামছেন পারফর্ম করছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলেছেন তিনি।
ইফতিখার আহমেদ, স্বপ্নের মিশেলে সম্ভাবনার গল্প
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশকে ক্রিকেটার তৈরির কারখানা বললে মোটেও ভুল হয় না। এই প্রদেশ থেকেই উঠে এসেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ্, শাহিন শাহ্ আফ্রিদি , ফখর জামানের মতো ক্রিকেটাররা।
এমন না যে, এখানে ক্রিকেটের জন্য অনেক সমৃদ্ধ ব্যবস্থা আছে। কিন্তু পাখতুনখোয়ার মানুষ জন্ম থেকেই একজন যোদ্ধার মতো বেড়ে ওঠে। শত সীমাবদ্ধতাও তাদের অদম্য মানসিকতা আর কঠোর পরিশ্রমের কাছে পাত্তা পায় না। খাইবার পাখতুনখোয়ার এমন সীমাবদ্ধতার বেড়াজাল টপকে বাইশ গজের ক্রিকেটে ‘যোদ্ধা’ রূপে জানান দেওয়া আরেক ক্রিকেটারের নাম ইফতিখার আহমেদ।
ব্যাটিং স্ট্যান্স, ব্যাটের মুভমেন্ট- সবকিছুতেই পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার মিসবাহ উল হকের একটা ছাপ আছে ইফতিখারের ব্যাটিংয়ে। ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়েছেন সেই মিসবাহকে আদর্শ মেনেই। ইফতিখারের টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেট অভিষেকও হয় মিসবাহর অধিনায়কত্বে।
তবে তারও বহু আগে এসএনজি ওয়েল দলের একবার খেলেছিলেন ইফতিখার। আর সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন মিসবাহ। তাই মিসবাহর সাথে জানাশোনা ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। ইফতিখারের বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে প্রায়ই উঠে আসে মিসবাহর নাম। কারণ তাঁর মতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসা অব্দি এবং পরবর্তীতে পাকিস্তানের হয়ে খেলার সময়- সব সময়ই তিনি পেয়েছেন মিসবাহর সান্নিধ্য।
তবে, ইফতিখারের ক্রিকেট ক্যারিয়ার অগ্রযাত্রায় অবদান রয়েছে আরো একজনের। তিনি আব্দুর রহমান সাহিব। ২০১২ সালে তিনি কোয়েটার কোচ হয়ে আসলেন। এসেই তরুণ প্রতিভার খোঁজ করলেন। পেয়েও গেলেন দ্রুতই। ইফতিখারকে তাঁর মনে ধরলো বেশ। সেই আব্দুর রহমানের অধীনেই লিস্ট এ ক্রিকেটে অভিষেক হলো ইফতিখারের।
এর পর থেকেই ইফতিখারের উত্থানের গল্প লেখা শুরু। লিস্ট এ ক্রিকেট এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট- দুই ফরম্যাটেই সমান তালে রান করে যাচ্ছিলেন। দুটিতেই চল্লিশের উপরে গড় রেখে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের চেয়ে ইফতিখার লিস্ট এ ক্রিকেটে যেন আরো সফল। প্রায় ৫০ গড়ে মৌসুমের পর মৌসুম রানবন্যা বইয়ে দিচ্ছিলেন।
কিন্তু কী এক বৈপরীত্য। যে ইফতিখার লঙ্গার ভার্শন আর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্যুতি ছড়াচ্ছিলেন সেই ইফতিখারের পরিচিতি হয়ে উঠল একজন টি-টোয়েন্টি ব্যাটার হিসেবে। অবশ্য প্রথমে সুযোগ এসেছিল ওয়ানডে আর টেস্টেই। ২০১৫ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক, আর পরের বছর ২০১৬ তে টেস্ট।
অবাক করা ব্যাপার হলো, অভিষেকের প্রায় ৮ বছর হতে চললো। কিন্তু পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে আর টেস্ট মিলিয়ে ম্যাচ খেলেছেন মোটে ১৪ টি। বোঝাই যাচ্ছে, নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছেন কম। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটের ছাপ রাখতে পারেননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
ইফতিখার ম্যাক্সওয়েলের ছায়া!
৪০ বলে সেঞ্চুরি! তাতেই বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির আগের সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার। নতুন রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অজি এ ব্যাটারের এমন ব্যাটিং তাণ্ডব যখন আলোচনায়, তখন পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাওয়া পাকিস্তান দলের মধ্যে একজন ‘ম্যাক্সওয়েল’ খুঁজে নিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি।
পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক মনে করেন, ম্যাক্সওয়েলের মতো তাঁরই ভূমিকায় আবর্তিত হতে পারেন ইফতিখার আহমেদ। সেই প্রত্যাশা জানিয়ে টুইটারে একটি টুইটও করেছেন শহীদ আফ্রিদি।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘পাওয়ার হিটিংয়ের দারুণ প্রদর্শনী। আমি চাই ইফতিখার আমাদের জন্য ম্যাক্সওয়েলের মতো একই ভূমিকায় আবর্তিত হোক। ওর মধ্যে অবশ্যই এই সামর্থ্য আছে। আর এই বিশ্বকাপের পিচগুলো পাওয়ার হিটিংয়ের জন্যই তৈরি। আমাদের সবার জ্বলে উঠা উচিৎ।’
যদিও চলতি বিশ্বকাপে ইফতিখার এখন পর্যন্ত নিজের সেরাটা দিতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে ৫ ইনিংসে রান করেছেন ১০১। তবে, সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ২৭ বলে ঝড়ো ৪০ রানের ইনিংসে চেনা ছন্দে ফেরার একটা আভাস দিয়ে রেখেছিলেন ইফতিখার। তবে, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে করেন মাত্র ২০ রান।
তবে এখন পর্যন্ত দল হিসেবে পাকিস্তান দলটা রয়েছে বেশ নাজুক অবস্থাতেই। প্রথম দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতলেও পরের তিন ম্যাচে হেরেছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তবে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা তাঁরা খেয়েছে আফগানদের বিপক্ষে হারার পর।
আফগানদের বিপক্ষে ৮ উইকেটে এ ম্যাচ হারের পর সেমির রাস্তা বেশ কঠিনই হয়ে যায় পাকিস্তানের জন্য। পরের ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে পাকিস্তানের এক উইকেটের হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়া প্রায় নিশ্চিতই।
আন্তর্জাতিক তথ্য | |
---|---|
জাতীয় দল |
|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২২১) |
১১ আগস্ট ২০১৬ বনাম ইংল্যান্ড |
শেষ টেস্ট | ৪ মার্চ ২০২২ বনাম অস্ট্রেলিয়া |
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২০৭) |
১৩ নভেম্বর ২০১৫ বনাম ইংল্যান্ড |
শেষ ওডিআই | ২ এপ্রিল ২০২২ বনাম অস্ট্রেলিয়া |
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৬৯) |
৪ মার্চ ২০১৬ বনাম শ্রীলঙ্কা |
শেষ টি২০আই | ১৩ নভেম্বর ২০২২ বনাম ইংল্যান্ড |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
sourse:bengali :khela71.com:wikipedia...
What's Your Reaction?






