ভিভ রিচার্ডস এর জীবনী | Biography of Viv Richards
ভিভ রিচার্ডস এর জীবনী | Biography of Viv Richards

ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
পূর্ণ নাম |
স্যার আইজাক ভিভিয়ান আলেকজান্ডার রিচার্ডস
|
জন্ম | ৭ মার্চ ১৯৫২ সেন্ট জোন্স, এন্টিগুয়া |
ডাকনাম |
মাস্টার ব্লাস্টার, স্মোকি, স্মোকিন জো, কিং ভিভ |
উচ্চতা |
৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার) |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
ডানহাতি |
বোলিংয়ের ধরন |
ডানহাতি মিডিয়াম/অফ-ব্রেক |
ভূমিকা |
ব্যাটসম্যান |
ভিভ রিচার্ডস ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত ক্রিকেট খেলোয়াড়। সর্বকালের সেরা ব্যাটস্ম্যানদের অন্যতম বলে তিনি স্বীকৃত। তার আমলে ত্রাস সৃষ্টিকারী ব্যাটস্ম্যান ছিলেন। ১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ৫৬ বলে শত রান করেন যেটি বহুদিন টেস্ট ক্রিকেটে সবথেকে কম বলে শতরানের বিশ্ব রেকর্ড ছিল। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একই সংখ্যক বলে শতরান করে পাকিস্তানের মিসবা উল হক উনার বিশ্ব রেকর্ড স্পর্শ করেন। আরো পরে নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ৫৪ বলে শতরান করে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েন।
আন্তর্জাতিক আঙিনায় যাত্রা শুরু
১৯৭৪ সালের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টেস্ট দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে তাঁর অভিষেক। ভাগবত চন্দ্রশেখর দুই ইনিংসে তাঁকে এক অঙ্কের ঘরে থাকতে আউট করেন। এরপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটা জেতে ২৬৭ রানে।
Viv Richards এর চরিত্রের রাশিফল
আপনি অন্যদের থেকে একটু বেশি চালক। এটার কারণ হলো আপনি যেকোনো কিছুই খুব তাড়াতাড়ি আর অল্প প্রয়াসের ফলেই শিখে যান।সময়ের সাথে সাথে আপনি আপনার অর্জিত বিদ্যা-বুদ্ধি, আপনার সুদূরদর্শীতা, আপনার দয়াশীলতা, আপনার অতিথিবত্সলতা দেখাবেন। তথাপি আপনাকে আপনার ক্ষমতা অনুযায়ী চিন্তা আর কর্ম করতে হবে, যাতে আপনি সেই জায়গাতে পৌছাতে পারেন যেটা আপনি দেখাতে চাইছেন। যদিও আপনি একজন অসাধারণ মানুষ তবু যখন ক্রোধ আপনার ওপর ভারী হয় তখন আপনি খিটখিটে, উত্তেজিত, প্রজ্বালিত আর সহনশীলতাকে বর্জন করেন। এইসব মুহুর্তে সব থেকে ভালো হয় যদি আপনি নিজের ক্রিয়া-কলাপের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করেন। আপনার মস্তিষ্ক এমন ভাবে সাজান যাতে আপনি দৃঢ় এবং এইসব গুনাবলী উত্পন্ন করতে সঙ্কল্প নিতে পারেন। আপনি একজন সহানুভূতিশীল মানুষ। তবে আমরা আপনাকে পরামর্শ দেব আপনি অন্যদের প্রতি আরো বেশি সহানুভূতিশীল হন যাতে তাদের দরকারে আপনার সাহায্য তারা পায় এবং একটু বেশি ভালো হবার চেষ্টা করুন যাতে আপনি অন্যের ওপর চেল্লা-মিল্লি করলেও তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ান।
Viv Richards এর সুখ ও সাচ্ছন্দের রাশিফল
আপনি সাহসী এবং উচ্চাকাঙ্খী। আপনি ঝুঁকি নিতে ও সেগুলোকে মঞ্চস্থ করার ক্ষেত্রে ভয় পান না, আপনি অসম্ভব সক্রিয় মানুষ যে অন্যকেও সক্রিয় হতে অনুপ্রেরণা যোগায়। আপনি সবসময় কিছু গঠনমূলক কাজে ব্যস্ত থাকেন আর আপনার শক্তিকে খুব কম অপব্যবহার করেন। আপনি আপনার জীবনে যা করেন সেটা যদি আপনার কাছে অপরিপূরক হয়, তাহলে আপনি সেটা বদলাতে ভয় পান না।আপনার জ্ঞান অর্জনে রাস্তা অন্যদের থেকে আলাদা, যা শিক্ষা লাভের পথকে বেশ মসৃণ করে তোলে। আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য জিনিসগুলি ধরে রাখেন না এবং জীবনে নতুন পরিবর্তনগুলিকে স্বাগত জানানো আপনার চরিত্রের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য, এটি আপনাকে একাধিক বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। আপনার মানুষিক অস্থিরতার কারণে অনেক সময় আপনি পড়াশোনার প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়েন, আপনার জীবনে এমন পরিস্থিতির জন্ম দেওয়া ঠিক হবে না কারণ এটি শিক্ষা অর্জনের পথকে অবরুদ্ধ করতে পারে। আপনি আপনার শিক্ষকদের কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে সহায়তা পাবেন এবং তারা আপনাকে শিক্ষা সম্পর্কিত সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো দ্বিধা করবে না। আপনার শিক্ষকের সাথে আপনার বন্ধন খুবই মজবুত হবে এবং আপনি সফল ভাবে জীবনযাপন করবেন। যেহেতু আপনি খুবই পরিশ্রমী তাই যে সকল বিষয়ে আপনি দুর্বল, সেই সকল বিষয়ে আপনি বিশেষ ভাবে নজর দেবেন, এর ফলে ধীরে ধীরে দুর্বল বিষয়ে আপনি পারদর্শী হয়ে উঠবেন।
`ভিভ রিচার্ডস ছিলেন স্পেশাল, ভেরি স্পেশাল`
৮৬টি টেস্ট খেলেছেন, ২২৪টি ওয়ানডে। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। শর্ট বল পেলেই হুক করার জন্যও। রিচি রিচার্ডসন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের পালাবদলের সবচেয়ে বড় সাক্ষীও। ১৯৮৩ সালে যখন অভিষেক, ক্রিকেট বিশ্ব ক্যারিবিয়ানদের পদানত। ১৯৯৬ সালে যখন খেলা ছাড়লেন, অস্তমিত ক্যারিবিয়ান সাম্রাজ্যের সূর্য। রিচার্ডসনের কষ্টটা আরও বেশি, কারণ তিনিই তখন অধিনায়ক। চট্টগ্রামে এই সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় রিচার্ডসন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ম্যানেজার।
রিচি রিচার্ডসন: আমি ব্যাপারটা অন্যভাবে দেখি। দূরের চিত্রটা দেখি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে যা হয়েছে, তাতে আমি একটুও বিস্মিত নই। কারণ আমার খেলোয়াড়ি জীবনেই পতনের চিহ্নটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু কেউই তাতে গা করেনি। সবাই ভেবেছে, আমাদের গ্রেট সব প্লেয়ার আছে। আমরা পুরো বিশ্বের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছি, চিরকাল তাই ঘুরিয়ে যাব। তরুণ খেলোয়াড় তুলে আনা, অবকাঠামো, এসব দিকে একদমই নজর দিইনি। এখন এসব নিয়ে কাজ হচ্ছে। আবার ফিরে আসার কাজটা খুব কঠিন, তবে আমি কিছু ইতিবাচক দিকও দেখতে পাচ্ছি। খেলোয়াড়দের মনমানসিকতায় পরিবর্তন, অনুশীলনে নিবেদন...তবে অবস্থাটা এমন যে সবার সম্মিলিত চেষ্টা লাগবে।
ভিভ রিচার্ডস: আধুনিক ব্যাটিং এর জনক
ক্রিকেটে একজন ব্যাটসম্যানের জন্য স্ট্রাইক রেট কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
যুগ ভেদে বিষয়টিতে পার্থক্য হয়। তবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি জানার আগে জেনে নেওয়া উচিত স্ট্রাইক রেট আসলে কাকে বলে? স্ট্রাইকে রেট হচ্ছে বল প্রতি একজন ব্যাটসম্যান কত রান করলেন সেটার হিসাব। সহজ ভাষায়, একজন ব্যাটসম্যান যদি ১০০ বলে ৮০ রান করে, তাহলে তার স্ট্রাইক রেট হচ্ছে ৮০।
ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেটটা দলের চাহিদার সাথে পাল্টে যায়। যেমন- ‘৭০ এর দশকে বেশিরভাগ দলের চাহিদা ছিল ওপেনিং ব্যাটসম্যানরা উইকেট টিকিয়ে রেখে মোটামুটি একটা সম্মানজনক রান করবে, যাতে পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা সেটার সুবিধা নিয়ে একটু দ্রুত রান তুলতে পারে। বর্তমান যুগে আবার ওপেনিং ব্যাটসম্যানদেরকে পাওয়ার প্লের সুবিধা নিয়ে একটু আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে হয়।
তবে এই স্ট্রাইক রেটের সাথে ব্যাটসম্যানের গড় সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। একজন ব্যাটসম্যান ইনিংস প্রতি যে রানটা করে সেটাই হচ্ছে তার গড়। অর্থাৎ কোনো ব্যাটসম্যানের গড় ৪০ এর অর্থ হচ্ছে, ইনিংস প্রতি সেই ব্যাটসম্যান ৪০ রান করেছেন। সাধারণত দেখা যায় যে, ব্যাটসম্যানের গড় যত বেশি, তার স্ট্রাইক রেট তত কম কিংবা যে ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট যতটা বেশি, তার গড় তত কম। বিষয়টি অস্বাভাবিক নয়। কারণ একজন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানের আউট হবার সম্ভাবনা সবসময়ই বেশি থাকে। এই কারণে শহীদ আফ্রিদি (২৩.৫৭ গড় আর ১১৭.০০ স্ট্রাইক রেট), বীরেন্দ্র শেবাগ (৩৫.০৫ গড় আর ১০৪.৩৩ স্ট্রাইক রেট), অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (৩৫.৮৯ গড় আর ৯৬.৯৪ স্ট্রাইক রেট) কিংবা জয়সুরিয়ার (৩২.৩৬ গড় আর ৯১.২০ স্ট্রাইক রেট) মতো ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রেট তুলনামূলক বেশি হলেও, গড় তুলনামূলক কম।
অথচ ‘৭০ কিংবা ‘৮০-র দশকের সেরা ব্যাটসম্যানদের দিকে তাকালে দেখা যায়, তাদের গড় ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি এবং স্ট্রাইক রেট কম। যেমন- ডেসমন্ড হেইন্স (৪১.৩৭ গড় আর ৬৩.০৯ স্ট্রাইক রেট), জাভেদ মিয়াদাদ (৪১.৭০ গড় আর ৬৭.০১ স্ট্রাইক রেট), ডিন জোন্স (৪৪.৬১ গড় আর ৭২.৫৬ স্ট্রাইক রেট)। যেসব মানুষ তাদের নিজ যুগের চেয়ে এগিয়ে থাকে, তারা সাধারণত একটু ‘বিশেষ কিছু’ই হন। আমরা আজ এমনই একজন বিশেষ ব্যাটসম্যানের গল্প শুনবো।
তিনি এমন একজন ছিলেন, যিনি কিনা আক্রমণ করতেন গিলক্রিস্ট কিংবা শেবাগদের মতো, কিন্তু ধারাবাহিক ছিলেন শচীন কিংবা লারার চেয়েও বেশি। তার ব্যাটিং গড় ছিল ৪৭.০০, যা কিনা তার প্রজন্মের সেরাদের চেয়ে তো বেশিই, এমনকি পরের প্রজন্মের শচীন, লারা, পন্টিং কিংবা ক্যালিসদের চেয়েও বেশি। স্ট্রাইক রেট (৯০.২০) এ এদের সকলের চেয়ে এগিয়ে, সমসাময়িকদের সাথে তুলনা করলে চোখ কপালে উঠে যেতে বাধ্য। সবচেয়ে বড় কথা, তার যুগে পাওয়ার প্লে বলতে কিছু ছিল না। সেই অবস্থাতেই তিনি যে গতিতে ব্যাট করেছেন, এখন ব্যাটসম্যানদের জন্য যত সুবিধা, সেগুলো পেলে কী করতেন, তা ভাবলেও অবাক লাগে।
একইসাথে বিধ্বংসী কিন্তু ধারাবাহিক এই ব্যাটসম্যানের নাম ভিভ রিচার্ডস। তাকে বিবেচনা করা হয় সর্বকালের সেরা ওয়ানডে ব্যাটসম্যান হিসেবে।
যিনি স্বভাবগতভাবে আক্রমণাত্মক, তিনি সবজায়গাতেই আক্রমণাত্মক হবেন, সেটা বলাই বাহুল্য। ওয়ানডের মতো টেস্ট ক্রিকেটেও তিনি সমান আক্রমণাত্মক ছিলেন। তিনি ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান, যিনি কিনা টেস্টে স্ট্রাইক রেট ১৫০ এর উপরে রেখে সেঞ্চুরি করেছেন।
মনে রাখতে হবে, সময়টি ছিল ১৯৮৬ সাল। সেই ইনিংসেই তিনি টেস্টে সবচেয়ে কম (৫৬) বলে সেঞ্চুরির রেকর্ডটি গড়েন। সেই ইনিংসটি সম্পর্কে সাবেক উইজডেন সম্পাদক শিল্ড বেরি বলেছিলেন, “পুরো ইনিংসটাতে রিচার্ডস যদি কোনো সংশয়ে ভুগে থাকেন, তাহলে সেটি হচ্ছে তিনি চার মারবেন নাকি ছয়।” পরবর্তীতে রেকর্ডটি ভেঙেছিলেন ব্রায়ান ম্যাককালাম, ৫৪ বলে।
আন্তর্জাতিক তথ্য | |
---|---|
জাতীয় দল |
|
টেস্ট অভিষেক(ক্যাপ ১৫১) |
২২ নভেম্বর ১৯৭৪ বনাম ভারত |
শেষ টেস্ট |
৮ আগস্ট ১৯৯১ বনাম ইংল্যান্ড |
ওডিআই অভিষেক |
৭ জুন ১৯৭৫ বনাম শ্রীলঙ্কা |
শেষ ওডিআই |
২৭ মে ১৯৯১ বনাম ইংল্যান্ড |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান |
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
sourse: utpalshuvro: celebrity :prothomalo :archive :wikipedia...
What's Your Reaction?






