গর্ডন গ্রীনিজ এর জীবনী | Biography of Gordon Greenidge
গর্ডন গ্রীনিজ এর জীবনী | Biography of Gordon Greenidge

ব্যক্তিগত তথ্য |
|
---|---|
পূর্ণ নাম |
কুথবার্ট গর্ডন গ্রীনিজ
|
জন্ম |
১ মে ১৯৫১ ব্ল্যাক বেস, সেন্ট পিটার, বার্বাডোস |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
ডানহাতি |
বোলিংয়ের ধরন |
ডানহাতি সিম বোলিং/অফ-স্পিন |
ভূমিকা |
উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক, কোচ |
সম্পর্ক | কার্ল গ্রীনিজ (পুত্র), মার্ক ল্যাভিন (কাকাতো ভাই) |
কুথবার্ট গর্ডন গ্রীনিজ, এমবিই (ইংরেজি: Gordon Greenidge, জন্ম: ১ মে, ১৯৫১) বার্বাডোসের সেন্ট পিটার এলাকার ব্ল্যাক বেসে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের সদস্য গর্ডন গ্রীনিজ বিশ্বের অন্যতম সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৯১ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৭০ থেকে ১৯৮৭ সময়কালের ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেন। তন্মধ্যে, ১৯৭৩ সালে হ্যাম্পশায়ার দল দ্বিতীয়বারের মতো তাদের ইতিহাসে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ে সমর্থ হয়। সারে দলের তুলনায় দলটি ৩১ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। দলটি ২০ খেলায় অংশ নিয়ে ১০টিতে জয় পায় ও বাদ-বাকী খেলাগুলোয় ড্র করে। এ মৌসুমে রিচার্ড জিলিয়াট দলের নেত্বত্ব দেন। গর্ডন গ্রীনিজ ক্লাবের পক্ষে সর্বাধিকসংখ্যক ১,৬২০ রান তুলেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষে গ্রীনিজ শুরুতেই ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ২২ নভেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে ব্যাঙ্গালোরের এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টেস্টে ভিভ রিচার্ডসের সাথে তারও অভিষেক ঘটে। রিচার্ডস তেমন সফলতা না পেলেও তিনি ঠিকই তার অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছিলেন।[৩][৪] এরপর থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত একাধারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি।
তিনি তার সহযোগী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডেসমন্ড হেইন্সকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে গড়া অর্ধেক রানেই সফলকাম হয়েছিলেন। এ দু’জন সর্বমোট ৬,৪৮২ রান তুলেছিলেন যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
ক্রিকেটে গর্ডন গ্রিনিজের আবির্ভাব
কুথবার্ট গর্ডন গ্রিনিজ পহেলা মে ১৯৫১ সালে বার্বাডোসে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় বার্বাডোসের ‘থ্রি ডব্লিউজ’ ক্রিকেট বিশ্ব চষে বেড়াচ্ছিলেন। হয়তো তাদের অনুপ্রেরণায় গর্ডন গ্রিনিজের ক্রিকেটে হাতেখড়ি। সত্তরের দশকের শুরুতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে গর্ডন গ্রিনিজের। ১৯৭৪ সালে বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তার। অভিষেক টেস্টেই নিজের জাত চেনান গ্রিনিজ। প্রথম ইনিংসে ৯৩ রান করে রান আউট হওয়ার পর পরের ইনিংসেই ১০৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি।
১৯৮৪ মৌসুমে বিখ্যাত ‘ব্লাকওয়াশ’ সিরিজে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান গর্ডন গ্রিনিজ। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অপরাজিত ২১৪* রানের ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংসের সুবাদে লর্ডস টেস্টের শেষ দিনে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৪২ রানের টার্গেট অতিক্রম করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, লর্ডসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড এটি।
সিরিজের চতুর্থ টেস্টেও দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরি করেন গর্ডন গ্রিনিজ। ম্যানচেস্টারে তার ২২৩ রানের ইনিংসের সুবাদে ইনিংস ব্যবধানে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্রিকেট বিশ্বে গর্ডন গ্রিনিজ এবং ডেসমন্ড হেইনসের উদ্বোধনী উইকেট জুটি সর্বকালের সেরা। এই দুই ব্যাটসম্যান একসাথে ভেঙেছেন অনেক রেকর্ড, গড়েছেন তারচেয়েও বেশি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে যেকোনো জুটিতে তারা তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছেন। উদ্বোধনী উইকেট জুটিতে ধরাছোঁয়ার বাহিরে হেইনস এবং গ্রিনিজ। ১৪৮ ইনিংসে ৪৭.৩১ ব্যাটিং গড়ে ৬,৪৮২ রান যোগ করেছেন উদ্বোধনী উইকেট জুটিতে। এর মধ্যে ১৬ বার শতরানের এবং ২৬ বার অর্ধশত রানের জুটি গড়েছেন।
গর্ডন গ্রিনিজ, রিটায়ার্ড নট আউট
রিটায়ার্ড আউট, রিটায়ার্ড হার্ট, রিটায়ার্ড নট আউট, এরকম প্রায় সমার্থক ক্রিকেটীয় শব্দ শোনেননি, এমন কোনো ক্রিকেটপ্রেমী খুঁজে পাওয়া বেশ দুস্কর। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে কেউ কখনো ‘রিটায়ার্ড নট আউট’ হয়েছে, এমন শুনেছেন? কিংবা কতজন রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন তার হিসাবটা কি জানা আছে? এ ধরনের ক্রিকেটীয় টার্ম বহুল প্রচলিত হলেও প্রকৃত পক্ষে ক্রিকেট ইতিহাসে রিটায়ার্ড আউট কিংবা নট আউট থাকার ঘটনা কিন্তু খুবই নগণ্য।
ল’জ অব ক্রিকেটের ২৫ নং ল অনুযায়ী কোনো ব্যাটসম্যান আঘাতজনিত বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া স্বেচ্ছায় ব্যাটিং ছেড়ে চলে গেলে তাঁকে ‘রিটায়ার্ড আউট’ ঘোষণা করা হয়। এই আউটের কৃতিত্ব কোনো বোলারের প্রাপ্য নয়। প্রচলিত অর্থে রিটায়ার্ড হার্ট আলাদা মনে হলেও ক্রিকেটীয় আইনে এটাও রিটায়ার্ড আউটের অন্তর্ভূক্ত।
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে কোন কারন ছাড়া রিটায়ার্ড আউটের ঘটনা প্রায়শই ঘটলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই আউটের ঘটনা ঘটেছে মাত্র দুবার। একই ম্যাচে একই দিনে ঘটা এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী বাংলাদেশ!
২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা ম্যাচে মারভান আতাপাত্তু (২০১) ও মাহেলা জয়াবর্ধনে (১৫০) স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছিলেন সতীর্থদের ব্যাটিং প্র্যাক্টিসের সুযোগ করে দেয়ার জন্য। স্কোরবোর্ডে তাদের দুজনের নামের পাশে লেখা হয়েছিল ‘রিটায়ার্ড আউট’। অখেলোড়সুলভ আচরণের জন্য এটা নিয়ে বেশ সমালোচনার ঝড় উঠেছিল সে সময়।
অসুস্থতা, ক্লান্তি কিংবা আঘাতজনিত কারণে অনেক সময় আউট না হয়েও মাঠ থেকে বেরিয়ে যান ব্যাটসম্যানরা। সে ব্যাটসম্যান যদি পরবর্তীতে ব্যাটিং করতে অক্ষম থাকেন তাহলে তাকে ক্রিকেটীয় আইন অনুযায়ী রিটায়ার্ড নট আউট বলে বিবেচিত করা হয়।
ক্রিকেট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত রিটায়ার্ড নট আউটের ঘটনা ঘটেছে একবার। যিনি এই প্রথম এবং একমাত্র রিটায়ার্ড নট আউটের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি অবশ্য বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন এক সময়ে। তিনি বাংলাদেশের ১৯৯৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের অন্যতম পথিকৃত ব্যক্তি ছিলেন। যাহোক পরিচয় বর্ণনা দীর্ঘায়িত না করে বলি, ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম এবং রিটায়ার্ড নট আউট আউট থাকার বিরল রেকর্ড গড়েছিলেন গর্ডন গ্রিনিজ।
১৯৮৩ সালের আজকের এই দিনে (৩০ এপ্রিল) তিনি অনন্য এ ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৮৩ সালে ভারতের বিপক্ষে সে টেস্ট ম্যাচে কোনো আঘাতজনিত কিংবা ক্লান্তির কারণে মাঠ ছাড়েননি গর্ডন গ্রিনিজ। সম্পূর্ণ ভিন্ন এক কারণে মাঠ থেকে চলে গিয়েছিলেনতিনি। তার সেই ‘রিটায়ার্ড নট আউট’ থাকার পিছনে আছে মর্মান্তিক এক ইতিহাস।
গর্ডন গ্রিনিজ: পর্দার আড়ালের নায়ক
বাংলাদেশের তখন একটাই লক্ষ্য, উপমহাদেশের মাটিতে আসন্ন বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। সেজন্য ১৯৯৪ সালের আইসিসি ট্রফিতে সেরা তিন দলের একদল হতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকালেও দ্বিতীয় রাউন্ডে এসে বাদ পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই সাথে ১৯৯৬ সালে ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের আসরে নিজেদের নাম লেখাতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। ১৯৯৬ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। পরের বছর একই দেশে আইসিসি ট্রফি জিততে পারলেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে তারা। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কোচ হিসাবে নির্বাচিত করে কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান গর্ডন গ্রিনিজকে।
বাংলাদেশ তখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জয়ের মুখ দেখেনি। নেদারল্যান্ড, কেনিয়ার মতো আইসিসির সহযোগী দেশ হিসেবে ক্রিকেট খেলতো। তাই তার মতো একজন কিংবদন্তীর এ দেশে কোচ হিসেবে আসাটা ছিল অনেক গর্বের। গ্রিনিজ খুব সহজেই বাংলাদেশের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিলেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর আকরাম খান, মিনহাজুল, আতাহার, রফিক, খালেদদের নিয়ে বিকেএসপিতে আবাসিক ক্যাম্প করেছিলেন তিনি। প্রায় পাঁচ মাসের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শেষে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন শিষ্যদের নিয়ে। লক্ষ্য একটাই, আইসিসি ট্রফিতে ভালো খেলে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা।
জাতীয় পর্যায়ে খেলা কম-বেশি প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই প্রতিভা থাকে। চাপ সামলে পরিস্থিতি অনুযায়ী যারা খেলতে পারেন, তারাই দর্শকদের মনে দাগ কেটে যান। গর্ডন গ্রিনিজ তার শিষ্যদের শেখালেন কিভাবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হয়।
সাতানব্বইয়ের আইসিসি ট্রফির প্রথম রাউন্ডে ডেনমার্ক, পশ্চিম আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা, স্বাগতিক মালয়েশিয়া এবং গত আসরের চ্যাম্পিয়ন সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে বাংলাদেশ। গ্রিনিজের অধীনে বাংলাদেশ সহজেই প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকিয়ে যায়। দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিরুদ্ধে সহজ জয় পায় বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যায়। বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে। হেরে গেলে সেমিফাইনালে উঠতে হলে অনেক ‘যদি কিন্তু’র সম্মুখীন হতে হতো বাংলাদেশের।
নেদারল্যান্ডসকে ১৭১ রানে বেধে রেখে বোলাররা ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ করে দিলো। তারপরেই বৃষ্টি আঘাত হানে। পুনরায় খেলা শুরু হলে বাংলাদেশের সামনে ৩৩ ওভারে ১৪১ রানের টার্গেট দাঁড়ায়। ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখান থেকে আকরাম খানের অপরাজিত ৬৮* রানের উপর ভর করে বাংলাদেশ ৩ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সেই সাথে বিশ্বকাপ খেলার পথে আরেকধাপ এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৭২ রানের সহজ জয় তুলে নিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। নিরানব্বইয়ের বিশ্বকাপ খেলার প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পর বাংলাদেশের সামনে আইসিসি ট্রফি জয়ের হাতছানি। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্টিভ টিকোলোর কেনিয়া।
প্রথমে ব্যাট করে অধিনায়ক টিকোলোর ১৪৭ রানের অতিমানবীয় ইনিংসের কল্যাণে কেনিয়া ২৪১ রান সংগ্রহ করে। বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ ঐদিন আর ব্যাট করার সুযোগ পায়নি। রিজার্ভ ডে’তে বাংলাদেশকে ২৫ ওভারে ১৬৬ রান তাড়া করতে পাঠানো হয়। তখনকার হিসাবে ২৫ ওভারে ১৬৬ রান করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল। কিন্তু গর্ডন গ্রিনিজের অধীনে ক্রিকেটাররা চাপের মুখে কিভাবে খেলতে হয়, স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচগুলোর ফলাফল নিজেদের অনুকূলে কি করে আনতে হয় সেটা শিখে গেছেন।
শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন মোহাম্মদ রফিক, আমিনুল ইসলামরা। শেষের দিকে খালেদ মাসুদ পাইলটের ৭ বলে ২ ছয়ের সাহায্যে ১৫* রানের ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশের শেষ বলে দরকার পড়ে মাত্র ১ রানের। হাসিবুল হাসান শান্ত শেষ বল থেকে ১ রান নিয়ে বাংলাদেশকে আইসিসি ট্রফি জয়ের আনন্দে ভাসান।
সাফল্যগাঁথা
তিনি ১৯৮৪ সালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে দুইটি ডাবল সেঞ্চুরি করেন। গ্রীষ্মকালীন ঐ সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলটি ৫-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয় করেছিল। পরবর্তীকালে ঐ সিরিজটি ব্ল্যাকওয়াশ নামে পরিচিতি পায়।
জুন, ১৯৮৪ সালে লর্ডসে অনুষ্ঠিত ২য় টেস্টে তিনি ২১৪ রান করেছিলেন। এরপর জুলাই, ১৯৮৪ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ৪র্থ টেস্টের পঞ্চম দিবসেও তিনি ডাবল সেঞ্চুরি হিসেবে ২২৩ রান করেন। এটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা ইনিংসগুলোর অন্যতম ও প্রথম যা শেষদিনে সফলতমভাবে ৩৪২ রান করে টপকিয়ে বিজয়ী হয়েছিল। স্মর্তব্য যে, লর্ডসেও দলটি সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়লাভ করেছিল।
টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে বার্বাডিয়ানদের মধ্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন গর্ডন গ্রীনিজ।
সম্মাননা
১৯৭৭ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটাররূপে মনোনীত হন।
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও পরিচালনা করার মাধ্যমে দলটিকে আইসিসি ট্রফি জয়ে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন তিনি। এর ফলস্বরূপ তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বাংলাদেশের সম্মানিত নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।
এছাড়াও তিনি ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে কোচের দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর ঘটনাক্রমে ২৬ জুন, ২০০০ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল পূর্ববর্তী সময়ে তাদের অসামান্য ক্রীড়ানৈপুণ্যের দরুন টেস্টখেলুড়ে দলের বিরল মর্যাদা লাভ করে।
২০০৯ সালে আইসিসি’র ক্রিকেট হল অব ফেমের উদ্বোধনী তালিকায় ৫৫জনের একজন মনোনীত হন।
আন্তর্জাতিক তথ্য |
|
---|---|
জাতীয় দল |
|
টেস্ট অভিষেক |
২২ নভেম্বর ১৯৭৪ বনাম ভারত |
শেষ টেস্ট |
২৭ এপ্রিল ১৯৯১ বনাম অস্ট্রেলিয়া |
ওডিআই অভিষেক(ক্যাপ ১৬) |
১১ জুন ১৯৭৫ বনাম পাকিস্তান |
শেষ ওডিআই |
২৫ মে ১৯৯১ বনাম ইংল্যান্ড |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১২
|
sourse:khela71: archive.roar.media: wikipedia...
What's Your Reaction?






