মারলন স্যামুয়েলস এর জীবনী | Biography of Marlon Samuels
মারলন স্যামুয়েলস এর জীবনী | Biography of Marlon Samuels

ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
পূর্ণ নাম |
মারলন নাথানিয়েল স্যামুয়েলস
|
জন্ম |
৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
ডানহাতি |
বোলিংয়ের ধরন |
ডানহাতি অফ ব্রেক |
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, অধিনায়ক |
মারলন নাথানিয়েল স্যামুয়েলস (ইংরেজি: Marlon Nathaniel Samuels; জন্ম: ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১) জ্যামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটার। প্রধানত তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং ইনিংসের মাঝামাঝি ব্যাটিং করতে নামেন মারলন স্যামুয়েলস।
তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটার রবার্ট স্যামুয়েলসের ছোট ভাই।
খেলোয়াড়ী জীবন
২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষিক্ত হন স্যামুয়েলস। একই বছর নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত আইসিসি নক-আউট ট্রফিতে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অভিষেক ঘটান শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলে।
তিনি তার অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরি করেন ২০০২/০৩ মৌসুমে কলকাতায় ভারতের বিরুদ্ধে। জাভাগাল শ্রীনাথ, অনিল কুম্বলে, হরভজন সিংয়ের ন্যায় বোলারদেরকে মোকাবেলা করে ১০৪ রানের ঐ ইনিংসের ফলে ৩য় টেস্টে দলটি ড্র করতে সক্ষমতা অর্জন করেছিল।
৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ বিশ্বকাপজয়ী স্যামুয়েলস
আবারও নিষেধাজ্ঞার কবলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার মারলন স্যামুয়েলস। এবার ছয় বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। আবুধাবির টি-টেন ক্রিকেট লিগে খেলার সময় দুর্নীতিবিরোধী ৪টি ধারা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে এই শাস্তি পেলেন স্যামুয়েলস। যদিও ওই মৌসুমে টুর্নামেন্টের কোনো ম্যাচই খেলেননি তিনি। নিষেধাজ্ঞা ১১ নভেম্বর ২০২৩ থেকে কার্যকর হয়।
এক বিবৃতিতে এইচআর এবং ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের আইসিসির মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, ‘স্যামুয়েলস প্রায় দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন, সেই সময় তিনি অসংখ্য দুর্নীতিবিরোধী সেশনে অংশ নিয়েছিলেন এবং দুর্নীতিবিরোধী কোডের অধীনে তার বাধ্যবাধকতা ঠিক কী তা তিনি জানতেন। এরপরেও লঙ্ঘন করে এবার শাস্তির মুখে। যদিও তিনি এখন অবসরে।’
জানা যায়, স্যামুয়েলসের বিপক্ষে যে চারটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল, দুর্নীতিবিরোধী স্বতন্ত্র ট্রাইব্যুনালে শুনানির পর সবকটিই প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে নিজের অধিকার স্যামুয়েলস প্রয়োগ করেছেন বলেও জানায় আইসিসি। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে স্যামুয়েলসকে শাস্তি প্রদান করা হয়।
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কোডের ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৬ ও ২.৪.৭ নম্বর ধারা ভেঙেছেন স্যামুয়েলস।উপহার, অর্থ, আতিথেয়তা বা অন্য সুবিধা নেয়া এবং এ সকল তথ্য আকসুর কর্মকর্তাকে না জানানোয় বা জানাতে দেরি করায় এসব ধারা ভঙ হয়। তার বিরুদ্ধে ৭৫০ বা এর বেশি ইউএস ডলার নেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। প্রায় একইরকম অভিযোগ আছে বাংলাদেশি অলরাউন্ডার নাসির হোসেরনের বিপক্ষেও।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও দুর্নীতির অভিযোগে সাজা পেয়েছিলেন স্যামুয়েলস। ২০০৮ সালে এমন অপরাধে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো তাকে। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারতের ওয়ানডে ম্যাচের তথ্য বাইরে পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েন।
২০০০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে অভিষেক হয়েছিল স্যামুয়েলসের। শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছেন ২০১৮ সালে। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৪৫ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০১২ ও ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে তার অবদান অনেক। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সব সংস্করণ মিলিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে দুবার ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পাওয়া ক্রিকেটারও তিনি। সেই মারলন স্যামুয়েলসের গায়ে লেগে গেল কলঙ্কের দাগ।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃপক্ষ ১১ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। তিনিও দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ম্যানুকা ওভালে অনুষ্ঠিত গ্রুপ-পর্বের ৩য় খেলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্রিস গেইলের গড়া অনেকগুলো রেকর্ডের স্বাক্ষী ছিলেন তিনি। উভয়ের অসামান্য ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৩ রানে বিজয়ী হয়। গেইলের সাথে ৩৭২ রানের জুটি গড়ে একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে যে-কোন উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন। ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তেন্ডুলকর ও দ্রাবিড়ের গড়া ৩৩১ রানের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলে এ জুটি। এছাড়াও, লিস্ট-এ ক্রিকেটের যে-কোন জুটিতে এটি সর্বোচ্চ। খেলায় তিনি তার নিজস্ব সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৩৩* রান সংগ্রহ করেন।
সাফল্যগাঁথা
২০১২ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় ৫৬ বলে ৭৮ রান করার মাধ্যমে অসামান্য ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করে দলকে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেন। তন্মধ্যে ছয়টি ছয় এবং তিনটি চারের মার ছিল। তার এই ক্রীড়ানৈপুণ্যের ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলকে ৩৬ রানের ব্যবধানে পরাভূত করে। ঐ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারে ভূষিত হন।
অক্টোবর, ২০১২ সালে দ্বিতীয় বহিঃস্থ পেশাদারী ক্রিকেটার হিসেবে মেলবোর্ন রেনেগেডেস দলের পক্ষ হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিগ ব্যাশ টি২০ লীগে অংশগ্রহণ করেন।
২০১৩ সালের উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে তিনি ১৯৩৯ সালের বিজয়ী ডেনিস কম্পটনের নাতি ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার নিক কম্পটন, অস্ট্রেলিয়ার হাশিম আমলা, জ্যাক ক্যালিস এবং ডেল স্টেইনের সাথে মনোনীত হন।
নিষিদ্ধতা
২১ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে নাগপুরে অনুষ্ঠিত ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যেকার ১ম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় ভারতীয় পুলিশ স্যামুয়েলসকে নিজ দলের তথ্য লেনদেনের কারণে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দাবী করা হয় যে, এক জুয়ারীর সাথে তিনি টেলিফোনে কথাবার্তা বলেছিলেন যা গোপনে ধারণ করা হয়। এ সম্পর্কীয় তথ্যাদি পরবর্তীকালে পুলিশ প্রকাশ করে। মে মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এ বিষয়ে শুনানীর আয়োজন করে। ২৭ বছর বয়সী স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থগ্রহণ, সুবিধা গ্রহণ, অন্যান্য পুরস্কার গ্রহণের কথা অভিযোগ আকারে উত্থাপন করা হয় যা ক্রিকেটকে কলুষিত করেছে। এরফলে তাকে দুই বছরের জন্যে ক্রিকেট জীবন থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সালে প্রশ্নবিদ্ধ বোলিংয়ের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং ভঙ্গীমা পরিবর্তন না করা পর্যন্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বল করার অধিকার হারান।
আন্তর্জাতিক তথ্য | |
---|---|
জাতীয় দল |
|
টেস্ট অভিষে(ক্যাপ ২৩৭) |
১৫ ডিসেম্বর ২০০০ বনাম অস্ট্রেলিয়া |
শেষ টেস্ট |
২ জানুয়ারি ২০১৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা |
ওডিআই অভিষেক(ক্যাপ ১০৩) |
৪ অক্টোবর ২০০০ বনাম শ্রীলঙ্কা |
শেষ ওডিআই | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বনাম জিম্বাবুয়ে |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
What's Your Reaction?






