আজহার আলী এর জীবনী | Biography Of Azhar Ali

আজহার আলী এর জীবনী | Biography Of Azhar Ali

May 27, 2025 - 13:14
Jun 20, 2025 - 16:53
 0  0
আজহার আলী এর জীবনী | Biography Of Azhar Ali

ব্যক্তিগত তথ্য

পূর্ণ নাম

আজহার আলী

জন্ম

১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ (বয়স ৪০)
লাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান

উচ্চতা

১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি)

ব্যাটিংয়ের ধরন

ডান-হাতি

বোলিংয়ের ধরন

লেগ-ব্রেক

ভূমিকা

ব্যাটসম্যান

আজহার আলী

 (উর্দুاظہر علی‎‎; জন্ম: ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ কসুরপাঞ্জাব) হলেন একজন পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার[] তিনি ২০১০ সালের জুলাইয়ে লর্ডসে অনুষ্ঠিত ১ম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং অনিয়মিত লেগ ব্রেক বোলার। আজহার লাহোর, লাহোর ব্লুজ, লাহোর হোয়াইট, এ্যাবোটাবাদ, খান রিসার্চ ল্যাবরেটরি, পাঞ্জাব এবং হান্টলি (স্কটল্যান্ড) দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। আজহার আলী তার টেস্টসূলভ ব্যাটিং মানসিকতা এবং একাগ্রতার জন্য সুপরিচিত।

খেলোয়াড়ী জীবন

ইউনুস খান এবং মোহাম্মদ ইউসুফ এর মিডল অর্ডারের অভাব পুরণের উদ্দেশ্য ২০১০ সালের পাকিস্তানের টেস্ট দলের জন্য আজহার আলীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর তিনি উমর আমিনের সাথে জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেন।

১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কখনো টি-টোয়েন্টি খেলেননি। সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৮ সালে। চার বছর ধরে শুধু টেস্ট সংস্করণই খেলে যাচ্ছিলেন আজহার আলী। এবার টেস্টও ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার।

আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তান-ইংল্যান্ড করাচি টেস্টই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর সর্বশেষ ম্যাচ।

এক সময় পাকিস্তানকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া আজহার থেমে যাচ্ছেন ৯৭ টেস্টে। পাকিস্তানের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলার রেকর্ড আছে পাঁচজনের। ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টের সুযোগ না নিলেও অবসরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা পাঁচজনের একজন হিসেবে।

একটি ট্রিপলসহ ১৯ সেঞ্চুরি ও ৪২.৪৯ গড়ে এখন পর্যন্ত করেছেন ৭ হাজার ৯৭ রান।তবে সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। সর্বশেষ ৮ ইনিংসে ফিফটি মাত্র একটি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দুই ইনিংসে আউট হয়েছেন ২৭ ও ৪০ রান করে।

আরও পড়ুন

তবে তৃপ্তি নিয়েই বিদায় নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার, ‘বেশির ভাগ লক্ষ্য পূরণ করেই আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছি। খুব বেশি মানুষ দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পায় না, আমি পেরেছি। লেগস্পিনার হিসেবে ক্রিকেটার জীবন শুরু করে টেস্ট ব্যাটিং লাইনআপের একজন হয়ে অবসর নেওয়া—এটাই আমার জীবনের সুন্দরতম মুহূর্ত, যা আজীবন নিজের মধ্যে ধারণ করে যাব।’

আজহার আলী, নীরব এক লড়াকু;

উমর আকমলের মতো আলোচনায় তাঁকে পাবেন না। বাবর আজমের ব্যাটিংয়ের মোহনীয়তাও নেই ব্যাটিংয়ে। মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো জনপ্রিয়তা নেই তাঁর। তবে ধৈর্য কাশ্মীরি আর একাগ্রতার ছবি আঁকা হলে পাকিস্তান থেকে সেটা নিশ্চিতভাবেই আজহার আলীই হবেন। 

ভারতের নাম্বার থ্রি যেমন ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়, দলের ভরসার পাত্র। পাকিস্তান জাতীয় দলে এই ভূমিকাই পালন করেছেন আজহার আলী। পরিসংখ্যানে দ্রাবিড় হয়তো অনেক এগিয়েই থাকবেন, কিন্তু পাকিস্তান দলে আজহারের ভূমিকাটা নেহায়েতই কম নয়। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই তিনি ছিলেন সমান ধারাবাহিক। মিসবাহ উল হকের সময়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এই তারকা। 

অথচ ছোটবেলায় ব্যাটসম্যান হওয়ার কথাই ছিল না এই তারকার। তাঁর বাবা এবং ভাই দুজনেই ছিলেন ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটার। তাঁদের দেখেই মূলত ক্রিকেটের প্রেমে পড়া। তবে শুরুটা করেছিলেন লেগস্পিনার হিসেবে। জাতীয় দলের বয়সভিত্তিক পর্যায়েও ডাক পেয়েছিলেন স্পেশালিস্ট লেগস্পিনার হিসেবে। অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে এসে ভাবেন ব্যাটসম্যান বনে যাবেন।

এরপরই নিজেকে বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন, ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেলতে শুরু করেন। ১৯ বছর বয়সেই তিনি স্কটল্যান্ডে চলে যান এবং হান্টলি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলতে শুরু করেন। সেখানেই মূলত ধীরে ধীরে ব্যাটিংয়ের সকল বেসিক নিয়ম আয়ত্ত্ব করতে শুরু করেন আজহার। 

তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম টার্নিং পয়েন্ট ২০০৭-০৮ মৌসুম। সেই মৌসুমে কায়েদে আজন্ম ট্রফিতে ৫০.২৫ গড়ে ৫০৩ রান করেন। পরের মৌসুমেও দলকে নিয়ে যান ফাইনালে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেই ম্যাচে করেন যথাক্রমে ৯৯ এবং ২৫ রান। এরপর ডাক পান পাকিস্তান এ দলের অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলংকা সফরের দলে। সেখানেই বজায় রাখেন রানের ধারা, প্রায় ৪০ এর বেশি গড় নিয়ে শেষ করেন সেই সফর। 

আজহার আলী সেই গুটিকয়েক পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের একজন যাদের ওডিআই অভিষেকের আগেই টেস্ট অভিষেক হয়ে গিয়েছিল। ২০১০ সালে লর্ডসে অজিদের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক ঘটে আজহারের। নিজের দ্বিতীয় টেস্টেই জানান দেন নিজের প্রতিভার, ১৮০ রান তাড়া করতে নেমে ৫১ রানের ম্যাচজয়ী এক ইনিংস খেলেন তিনি। 

আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
  • পাকিস্তান
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৯৯)
১৩ জুলাই ২০১০ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট ১৭–২১ নভেম্বর ২০১৪ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৮৫)
৩০ মে ২০১১ বনাম আয়ারল্যান্ড
শেষ ওডিআই ৩ জানুয়ারি ২০১৩ বনাম ভারত

খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৩৬ ১৪ ১০৩ ৯৭
রানের সংখ্যা ২,৫৯৭ ৪৫২ ৫,৭২৯ ৩,১৩৯
ব্যাটিং গড় ৪১.২২ ৪১.০৯ ৩৬.৬০ ৪৯.০৪
১০০/৫০ ৭/১৬ –/৪ ১৭/২৬ ৬/২০
সর্বোচ্চ রান ১৫৭ ৯৬ ১৫৭ ১১৯
বল করেছে ১৩২ ৪৮ ১,৪০৭ ১,৫৪২
উইকেট ২৬ ৪৫
বোলিং গড় ৮৯.০০ ৩৫.৪২ ২৯.৩৩
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ১/৪ ৪/৩৪ ৫/২৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৩/– ২/- ৮৪/– ২৬/–

sourse:khela71: prothomalo: wikipedia

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0