লিয়ান্দ্রো পারেদেস এর জীবনী | Biography of Leandro Paredes
লিয়ান্দ্রো পারেদেস এর জীবনী | Biography of Leandro Paredes

ব্যক্তিগত তথ্য |
|||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম |
লিওনার্দো দানিয়েল পারেদেস | ||
জন্ম |
২৯ জুন ১৯৯৪ | ||
জন্ম স্থান |
সান হুস্তো,আর্জেন্টিনা | ||
উচ্চতা |
১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান |
মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য |
|||
বর্তমান দল
|
জুভেন্টাস (পারি সাঁ-জেরমাঁ থেকে ধারে) |
||
জার্সি নম্বর |
32 | ||
যুব পর্যায় |
|||
২০০২–২০১০ |
বোকা জুনিয়র্স | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* |
|||
বছর |
দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১০–২০১৫ |
বোকা জুনিয়র্স | ২৮ | (৫) |
২০১৪ |
→ কিয়েভোভেরোনা (ধার) | ১ | (০) |
২০১৪–২০১৫ |
→ রোমা (ধার) | ১০ | (১) |
২০১৫–২০১৭ |
রোমা | ২৭ | (৩) |
২০১৫–২০১৬ |
→ এম্পোলি (ধার) | ৩৩ | (২) |
২০১৭–২০১৯ |
জিনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ | ৪৩ | (৭) |
২০১৯– |
পারি সাঁ-জেরমাঁ | ৫৫ | (১) |
2022- |
জুভেন্টাস (ধারে) | 7 | (0) |
জাতীয় দল‡ |
|||
২০১১ |
আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-১৭ | ৬ | (২) |
২০১৭ – |
আর্জেন্টিনা | ৩৭ | (৪) |
পারেদেসের সেরা তিনে আর্জেন্টিনা তো নেই-ই
লিওনার্দো ডেনিয়েল পারেদেস (রুশঃ Леа́ндро Даниэ́ль Паре́дес; স্প্যানিশঃ leˈandɾo paˈɾeðes; জন্ম ২৯ জুন ১৯৯৪) একজন আর্জেন্টাইন পেশাদার ফুটবলার যিনি ইতালিয় ক্লাব জুভেন্টাস (পারি সাঁ-জেরমাঁ থেকে ধারে) ও আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল এর হয়ে রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
ক্লাব ক্যারিয়ার
বোকা জুনিয়র্স
লিগে বোকা জুনিয়র্সের হয়ে অভিষেক হয় পারেদেসর, ম্যাচটিতে তার দল ২-০ গোলে পরাজিত হয়।
রোমা
২০১৪ সালের ১৯ জুলাইয়ে দলবদল জটিলতার কারণে অস্থায়ী চুক্তিতে পারেদেস রোমাতে যোগ দেয়। ২৭ সেপ্টেম্বরে রোমার হয়ে অভিষেক ম্যাচে হেলাস ভেরোনার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পায়। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাগলিয়ারির বিপক্ষে রোমার হয়ে প্রথম গোল করে, ম্যাচটিতে ২-১ গোলে জয় পায় তার দল। ২০১৫ সালের জুনে রোমা পারেদেসকে €৬,০৬৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময় স্থায়ী চুক্তি করে।
জেনিত সেইন্ট পিটাসবার্গ
২০১৭ সালের ১ জুলাইয়ে জেনিত পারেদেসকে চার বছরের চুক্তিতে দলবদ্ধ করে, তার জন্য দলবদল বাবদ ২৩ মিলিয়ন ইউরো খরচ করা হয়।
পারি সাঁ-জেরমাঁ
২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি পারেদেস পারি সাঁ-জেরমাঁতে সাড়ে চার বছরের চুক্তিতে যোগ দেন।ক্লাব ক্যারিয়ার:
-
বোকা জুনিয়র্স (আর্জেন্টিনা):
তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় এই ক্লাব থেকে।
-
রোমা (ইতালি):
২০১৪ সালে ইউরোপে যান এবং রোমার হয়ে খেলা শুরু করেন।
-
জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ (রাশিয়া):
২০১৭ সালে রাশিয়ার ক্লাবে যোগ দেন এবং বেশ ভাল পারফর্ম করেন।
-
প্যারিস সাঁ-জার্মাঁ (PSG, ফ্রান্স):
২০১৯ সালে তিনি ফরাসি জায়ান্ট ক্লাবে যোগ দেন এবং বহু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অংশ নেন।
-
জুভেন্টাস (ইতালি):
২০২2-২৩ মৌসুমে ধারে খেলেন।
-
রোমা (ফিরে আসা):
২০২৩ সালে তিনি আবার রোমা ক্লাবে যোগ দেন।
জাতীয় দল ক্যারিয়ার (আর্জেন্টিনা):
-
জাতীয় দলে অভিষেক: ২০১৭ সালে
-
বিশ্বকাপ ২০২২: আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন
-
কোপা আমেরিকা ২০২১: আর্জেন্টিনা জয়ী দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন
খেলার ধরন:
-
দক্ষ পাসার ও বল কন্ট্রোলার
-
প্রতিপক্ষের আক্রমণ থামাতে পারদর্শী
-
ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে তার খেলা দলের ভারসাম্য বজায় রাখে
ব্যক্তিগত জীবন:
-
পারেদেসের পরিবার ইতালীয় বংশোদ্ভূত, যার ফলে তার ইউরোপীয় পাসপোর্টও আছে
-
তিনি বিবাহিত এবং তাঁর সন্তান রয়েছে
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
২০১৭ সালের ১৯ মে'তে ব্রাজিল ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের জন্য পেরেদেস কোচ সাম্পাওলির অধীন আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে ডাক পায়। ১৩ জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের মাধ্যমে জাতীয় দলের অভিষেক হয়, এবং তার প্রথম আন্তর্জাতিক গোলের সুবাদে ম্যাচটিতে ৬-০ গোলের জয় পায় আর্জেন্টিনা।
২০১৮ সালের মে'তে বিশ্বকাপের জন্য আর্জেন্টিনার ৩৫ সদস্যর দলে ডাক পান পারেদেস।
আর্জেন্টিনা দল সবশেষ টু স্টারসহ জার্সি গায়ে দিয়েছিল ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর। আর সেদিনই বদলে যাই আর্জেন্টিনার ফুটবলের ইতিহাস। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলে আলবিসেলেস্তেরা। এর পর থেকেই লিওনেল মেসি-ডি মারিয়াদের জার্সিতে যুক্ত হয় তৃতীয় স্টার।
থ্রিস্টার সম্বলিত জার্সি গায়ে প্রথমবার মাঠে নামে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পানামা। বিশ্বকাপ জয়ের পর প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ২-০ গোলের জয় পায় মেসিরা। বুয়েনস আইরেসে স্টাডিও মনুমেন্টালে ৮৪ হাজার দর্শকের সামনে আবারও জয় উদযাপন করে আলবিসেলেস্তেরা।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় বুয়েনস আইরেস স্টাডিও মনুমেন্টালে শুরু হয় ম্যাচটি। আর্জেন্টিনার হয়ে গোল দুইটি করেন থিয়াগো আলমাদা ও লিওনেল মেসি।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ চালাতে থাকে আর্জেন্টিনা। পুরো ম্যাচ জুড়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ বলও রাখে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে। তবে প্রথমার্ধে ভাঙতে পারেনি পানামার গোলবারের প্রাচীর। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল পেতে মরিয়া হয়ে উঠে স্বাগতিকরা।
ম্যাচের ৭৮ মিনিটে এসে দেখা দেয় কাঙ্খিত গোল। অবশ্য গোলটি অল্পের জন্য মেসির হয়নি। ৭৮ মিনিটে মেসির বাঁকানো ফ্রিকিক পানামার গোল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তখন লিয়ান্দ্রো পারেদেস ভলি করতে গিয়ে পারেননি। সে সময় পাশেই দাঁড়ানো থিয়াগো আলমাদা বাঁ পায়ের শটে গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা।
১১ মিনিটের ব্যবধানে স্বাগতিকদের স্কোর বোর্ডে দ্বিতীয় গোল যুক্ত হয়। ৮৯ আবারও ফ্রি কিক নেন মেসি। মেসির বাঁকানো শট সরাসরি ঢুকে পড়ে জালে। এতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির ৯৯তম গোল আর ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ৮০০তম!
শেষ পর্যন্ত পানামা গোলের দেখা না পেলে ২-০ গোল নিয়ে মাঠ ছাড়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনা টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত। ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কোনো ম্যাচ তো হারেইনি, সবার ওপরে থেকে, সবার আগে বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে। আর্জেন্টিনা দলে মেসি, দি মারিয়া, মার্তিনেজ, দি পলদের উপস্থিতি আর্জেন্টাইনদের বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখায়। আর ব্রাজিলে নেইমার, ভিনিসিয়ুস, আন্তোনি, জেসুস, কুতিনিও, কাসেমিরো, আলিসনদের দলটা তো ব্রাজিলের ইতিহাসেই অন্যতম প্রতিভাবান।
কিন্তু আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার লিয়ান্দ্রো পারেদেস কাতার বিশ্বকাপে ফেবারিটের তালিকার সেরা তিনে নিজের দল আর্জেন্টিনাকে তো রাখেনইনি, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকেও রাখেননি! তাঁর চোখে বিশ্বকাপের দাবিদার হিসেবে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকা তিন দল ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও স্পেন।
আর্জেন্টাইন দৈনিক টিওয়াইসি স্পোর্তে সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টিনা দল, পিএসজিতে মেসির আগমন, মেসি-দি মারিয়া-দি পলের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব, ২০১৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কোচ হোর্হে সাম্পাওলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক...অনেক কিছু নিয়েই কথা বলেছেন পারেদেস। বিশ্বকাপের বছরে সেখানে কাতার বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ তো স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে।
SOURSE : wikipedia ... prothomalo ... teachers
What's Your Reaction?






