শিবনারায়ণ চন্দরপল এর জীবনী Biography Of Shivnarine Chanderpau
শিবনারায়ণ চন্দরপল এর জীবনী Biography Of Shivnarine Chanderpau

ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
জন্ম |
১৬ আগস্ট ১৯৭৪ ইউনিটি ভিলেজ, গায়ানা |
উচ্চতা |
৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার) |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
বামহাতি |
বোলিংয়ের ধর |
ডানহাতি লেগ ব্রেক |
ভূমিকা |
ব্যাটসম্যান |
সম্পর্ক | তেজনারায়ণ চন্দরপল (পুত্র) খেমরাজ চন্দরপল (বাবা) উমা চন্দরপল (মা) লরেন্স প্রীতিপাল (কাকাতো ভাই) |
শিবনারায়ণ চন্দরপল (ইংরেজি: Shivnarine Chanderpaul; জন্ম: ১৬ আগস্ট, ১৯৭৪) ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের গায়ানার ইউনিটি ভিলেজে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ছিলেন তিনি। প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও অষ্টম ক্যারিবীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে ১০০ টেস্ট খেলেন। এছাড়াও দলকে ১৪টি টেস্ট এবং ১৬টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সবচেয়ে বেশি টেস্ট (৬৮) ক্রিকেটে পরাজিত দলের হয়ে খেলেছেন যা ব্রায়ান লারা’র (৬৩) চেয়েও বেশি।
খেলোয়াড়ী জীব
ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দরপল বামহাতে ব্যাটিং করে থাকেন। তিনি উইকেটে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকার জন্যে প্রসিদ্ধ হয়ে আছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জ্যামাইকা বনাম গায়ানা দলের মধ্যেকার খেলায় সর্বোচ্চ ৩০৩* রান করেন।
১৯৯৩-৯৪ সালে বৌরদায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ধীরলয়ে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকার সুনামের পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ দ্রুততম শতক করারও গৌরব অর্জন করেন। ২০০২-০৩ মৌসুমে গায়ানার বৌরদায় অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে মাত্র ৬৯ বলে তিন অঙ্কের কোঠায় পৌঁছেন।
ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের হ্যামিলটনে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ৩য় টেস্টে তিনি তার ২৯তম টেস্ট সেঞ্চুরি করে ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের সাথে যোগ দেন। এছাড়াও তিনি সর্বোচ্চ টেস্ট রান সংগ্রহকারী হিসেবে ৬ষ্ঠ স্থানে পৌঁছান ও অ্যালান বর্ডারের ১১,১৭৪ রান অতিক্রম করেন। এছাড়াও তিনি ১৭শ বারের মতো অপরাজিত ছিলেন ও নতুন রেকর্ড গড়ে শচীন তেন্ডুলকরের ১৬বারের অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন।
২৪ মে, ২০১৫ তারিখে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ১২-সদস্যের প্রাথমিক দলে চন্দরপলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ব্রায়ান লারা এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। কিন্তু, সাবেক ফাস্ট বোলার মাইকেল হোল্ডিংয়ের মতে, ‘আমি মনে করি না যে, ক্রিকেটারগণ শুধুমাত্র সিরিজ থেকে বিদায় নেয়ার জন্য অংশগ্রহণ করেন না। ৩০ মে চন্দরপলকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করা হয়।
শিবনারায়ণ চন্দরপল: সাদা পোশাকে ধারাবাহিক এক ব্যাটসম্যান

শিবনারায়ণ চন্দরপল ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২১ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিলেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর প্রায় ৪১ বছর বয়স পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডল-অর্ডার আগলে রেখেছিলেন তিনি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটের চেয়ে সাদা পোশাকে তার আধিপত্য ছিলে বেশি। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে ব্রায়ান লারাসহ অন্যান্য সমসাময়িক ব্যাটসম্যানদের ছায়া হয়ে থাকা চন্দরপল ঠিকই তার দায়িত্ব যথাযথ পালন করতেন। তিনি তার সেরা সময় কাটিয়েছিলেন শেষ বয়সে এসে। যে বয়সে ক্রিকেটাররা বিদায় জানানোর জন্য উপযুক্ত সময় খোঁজে, তিনি সেই বয়সে এসে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছিলেন। লারার বিদায়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইনআপের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন তিনি।
ভিন্নধর্মী স্টাইলে ব্যাট করা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যখনি দল বিপদের মুখে পড়তো, তখনি ত্রাণকর্তা হিসাবে দলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতেন। ১৯৯৪ সালের ১৭ মার্চ জর্জটাউনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল চন্দরপলের। অভিষেকের ২১ বছর পর একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্রিজটাউনে ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি মোট ১৬৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। ওয়ানডে ক্রিকেটেও অভিষেক ঘটেছিল ১৯৯৪ সালে। ভারতের বিপক্ষে ফরিদাবাদে ১৭ই অক্টোবর নিজের অভিষেক ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। অভিষেক ম্যাচে ব্যাট কিংবা বল, কোনো ডিপার্টমেন্টেই ভারতকে হারাতে প্রয়োজন পড়েনি তার।
অধিনায়কত্ব
সম্প্রচারসত্ত্ব নিয়ে সাতজন খেলোয়াড়সহ তৎকালীন অধিনায়ক ব্রায়ান লারা'র সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের বিবাদ ঘটায় তাদেরকে বাদ দিয়ে মার্চ, ২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চন্দরপলকে অধিনায়ক করে প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাঠে নামে। গ্রাহাম ডোলিংয়ের পর মাত্র দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে অভিষিক্ত খেলায় অপরাজিত দ্বি-শতক হাঁকান ও ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন। ধারণা করা হয়েছিল যে, লারা দ্বিতীয় টেস্টে ফিরে এসে পুনরায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। অক্টোবর, ২০০৫ সালে বিশ্ব একাদশের ২০-সদস্য দলে থাকলেও ১৪-সদস্যের তালিকায় তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। তারপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়দের মধ্যে চন্দরপলের নাম আজও উচ্চারিত হয়; বিশেষ করে তার নিজ মাতৃভূমি গায়ানায়।
চন্দরপলের অধিনায়কত্বের পরিসংখ্যান | |||||
---|---|---|---|---|---|
খেলা | জয় | পরাজয় | ড্র | টাই | |
টেস্ট[১০] | ১৪ | ১ | ১০ | ৩ | ০ |
ওডিআই[১১] | ১৬ | ২ | ১৪ | – | ০ |
টি২০[১২] | ১ | ০ | ০ | – | ১ |
এপ্রিল ২০০৬ সালে চন্দরপল ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেবার অভিপ্রায়ে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। তিনি দূর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। চৌদ্দ টেস্টের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়, দশটিতে পরাজয় এবং তিনটিতে ড্র করে তার দল। ১৬টি ওডিআইয়ের মধ্যে ফলাফলও বেশ বিপর্যকর ছিল। মাত্র দুইটিতে জয় এবং চৌদ্দটিতে পরাজিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঐ মাসেই সাবেক ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা তার অধিনায়কত্ব ফিরে পান।
২০০৮ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
sourse;wikipedia;archive
What's Your Reaction?






