রামনরেশ সারওয়ান এর জীবনী | Biography Of Ramnaresh Sarwan
রামনরেশ সারওয়ান এর জীবনী | Biography Of Ramnaresh Sarwan

ব্যক্তিগত তথ্য |
|
---|---|
পূর্ণ নাম |
রামনরেশ রনি সারওয়ান
|
জন্ম | ২৩ জুন ১৯৮০ ওয়াকনাম দ্বীপ, গায়ানা |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
ডানহাতি |
বোলিংয়ের ধরন |
ডানহাতি লেগ ব্রেক |
ভূমিকা |
ব্যাটসম্যান |
রামনরেশ রনি সারওয়ান
(ইংরেজি: Ramnaresh Sarwan; জন্ম: ২৩ জুন, ১৯৮০) গায়ানার ওয়াকনাম দ্বীপে জন্মগ্রহণকারী ইন্দো-গায়ানীয় বংশোদ্ভূত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ভূমিকা রাখলেও ডানহাতে লেগ ব্রেক বোলিং করতেন। রামনরেশ সারওয়ান ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স দলের পক্ষে খেলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
মে, ২০০০ সালে বার্বাডোসে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ৮৪*সহ দ্বিতীয় ইনিংসেও অপরাজিত ছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মার্চ, ২০০১ সালে ৯১ রানে আউট হয়ে যাবার ফলে অভিষেক শতক থেকে বঞ্চিত হন তিনি। অক্টোবর, ২০০২ সালে চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রান করেন। এরপর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের মাধ্যমে তার শতরান আসে। মে, ২০০৩ সালে সেন্ট জন্সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার পরবর্তী শতক পান। ২৯ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে অধিনায়ক ব্রায়ান লারা’র অবসরের ঘোষণার কারণে তাকে দলের অধিনায়ক মনোনীত করা হয়।
২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে তিনি তার ব্যাটিং নৈপুণ্য অব্যাহত রাখেন। তন্মধ্যে এন্টিগুয়ার নর্থ সাউন্ডের দ্বিতীয় টেস্টে অর্ধশতকসহ ১২৮ রানের ইনিংসের ফলে খেলা ড্রয়ে পরিণত হয়। জামাইকায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এরফলে ২৮ বছর ২২৮ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে তিনি এ রান তোলেন। ২০০৯ সালে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩শ টেস্ট সেঞ্চুরি করার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বাধিক সেঞ্চুরি করে সুনীল গাভাস্কার, রিকি পন্টিংয়ের রেকর্ড স্পর্শ করেন। ফেব্রুয়ারি/মার্চ, ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা ২৯১ রান সংগ্রহ করেন। মাঝে-মধ্যে দলের প্রয়োজনে লেগ ব্রেক বোলিং করেন যাতে তার সেরা সাফল্য হচ্ছে ৪/৩৭।
ক্রিকেটার সারওয়ানের স্বপ্নপূরণ শপিং মলে
শচীন টেন্ডুলকারের আছে ‘শচিনস’। মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারা মিলে দিয়েছেন ‘মিনিস্ট্রি অব ক্র্যাবস।’ বাংলাদেশে সাকিব আল হাসান–ইমরুল কায়েসদেরও আছে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। গায়ানায় এসে জানা গেল, ক্রিকেটারদের রেস্টুরেন্ট ব্যবসা সম্প্রসারিত এখানেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সাবেক অধিনায়ক রামনরেশ সারওয়ান বছরখানেক হলো জর্জটাউনে খুলে বসেছেন ‘আরএস ৫৩ রেস্টোবার অ্যান্ড লাউঞ্জ।’ এর বাইরে তাঁর আছে একটি ইন্ডিয়ান–থাই খাবারের রেস্টুরেন্টও।
সারওয়ানের সঙ্গে অন্য ক্রিকেটার–রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের পার্থক্য, প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের পাশে যে আমাজনিয়া মলে তাঁর এই রেস্তোরাঁর কারবার, সেই আস্ত মলটারই মালিক তিনি। ‘আরএস ৫৩ রেস্টোবার অ্যান্ড লাউঞ্জ’ লাগোয়া অফিস রুমে বসে সারওয়ান চালাচ্ছেন তাঁর ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৮৭টি টেস্ট, ১৮১টি ওয়ানডে এবং ১৮টি টি–টোয়েন্টি খেলে সারওয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ২০১৩ সালে। গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক হিসেবে যোগ দিলেও পরে ব্যক্তিগত কারণে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। বর্তমানে পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। স্ত্রী, দুই পুত্র আর এক কন্যাসন্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হলেও শপিং মল আর রেস্টুরেন্ট ব্যবসাটা তাঁর জর্জটাউনে বাড়ির কাছেই।
ছুটি কাটাতে স্ত্রী–সন্তানদের নিয়ে গায়ানায় আসা সারওয়ানের সঙ্গে কাল দুপুরে আড্ডার মতোই সময় কাটল তাঁর রেস্টুরেন্ট ‘আরএস ৫৩ রেস্টোবার অ্যান্ড লাউঞ্জে’ বসে। সারেওয়ান কথা বলেছেন স্টেলা মারিস প্রাইমারি স্কুলে তাঁর ক্রিকেটের হাতেখড়ি থেকে শুরু করে আবার সেখানে এসেই ক্রিকেটকে বিদায় জানানো পর্যন্ত প্রায় সব প্রসঙ্গেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রেকর্ড ৪১৮ রান তাড়া করে জেতা অ্যান্টিগা টেস্ট, তাঁর ক্যারিয়ারে ব্রায়ান লারার প্রভাব থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী জীবন, বাদ যায়নি কিছুই।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
শারীরিক অসুস্থতা ও খেলায় ধারাবাহিকতা না থাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে চুক্তি বাতিল করা হয়। এ প্রসঙ্গে কোচ অটিস গিবসন মন্তব্য করেন যে, 'তাকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত বেশ কঠিন ছিল। কিন্তু ভবিষ্যতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে খেলার সুযোগ পাবেন যদি খেলার ছন্দে ফিরে আসেন তিনি।' নিয়মিত উইকেট-রক্ষক দিনেশ রামদিনের সাথে তাকেও শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য মনোনীত করা হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর ২০১২ মৌসুমে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি।
২০১৩ সালের ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী আসরে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক মনোনীত হন তিনি।
প্রারম্ভিক জীবন
১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল শিরোপা জয় করে। ১৬ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার এমলুলেকি এনকালা’র সাথে যৌথভাবে শীর্ষ উইকেটশিকারী ছিলেন।
আন্তর্জাতিক তথ্য |
|
---|---|
জাতীয় দল |
|
টেস্ট অভিষেক |
১৮ মে ২০০০ বনাম পাকিস্তান |
শেষ টেস্ট |
২৮ জুন ২০১১ বনাম ভারত |
ওডিআই অভিষেক(ক্যাপ ১০১) |
২০ জুলাই ২০০০ বনাম ইংল্যান্ড |
শেষ ওডিআই |
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
sourse:prothomalo:wikipedia...
What's Your Reaction?






