সাইম আইয়ুব এর জীবনী | Biography of Saim Ayub

সাইম আইয়ুব এর জীবনী | Biography of Saim Ayub

May 31, 2025 - 00:54
 0  0
সাইম আইয়ুব এর জীবনী | Biography of Saim Ayub

ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম ২৪ মে ২০০২ (বয়স ২২)
করাচি, সিন্ধু, পাকিস্তান

উচ্চতা

5 ft 8 in

ব্যাটিংয়ের ধরন

বাঁহাতি

বোলিংয়ের ধরন

ডানহাতি অফ-ব্রেক

ভূমিকা

ওপেনিং ব্যাটার

সাইম আইয়ুব (উর্দু: صائم ایوب‎‎; জন্ম ২৪ মে ২০০২) একজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার যিনি পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে করাচি হোয়াইটসের হয়ে খেলেন। তিনি ২০২৩ সালের ২৪শে মার্চ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক করেন এবং ২০২৪ সালের ৩রা জানুয়ারী টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষের ম্যাচে তার টেস্ট অভিষেক হয়।

প্রারম্ভিক জীবন

তার বাবা আইয়ুব আহমেদ এবং তার চাচা মোহাম্মদ জাভেদ উভয়েই ক্লাব পর্যায়ে ক্রিকেট খেলতেন, সাইম অল্প বয়সে গুলিস্তানে জোহর থেকে টেপ বল ক্রিকেটের মাধ্যমে খেলায় দীক্ষিত হন, তার বাবার পাশাপাশি তার দুই বড় ভাই তাকে সাহায্য করেন।

ঘরোয়া এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্যারিয়ার

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাইম ২০২১ পাকিস্তান সুপার লিগে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে তার টি-টোয়েন্টি অভিষেক করেন।

২০২২ সালের মার্চ মাসে তিনি ২০২১-২২ পাকিস্তান কাপে সিন্ধুর হয়ে লিস্ট এ ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন।

একই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি ২০২২-২৩ বর্ষের কায়েদ-ই-আজম ট্রফি আয়োজনে সিন্ধুর হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

২০২২ সালের ডিসেম্বরে, তরুণ ফাস্ট বোলার ইহসানুল্লাহ এবং ব্যাটসম্যান হাসিবুল্লাহ খানের সাথে সাইম আইয়ুবকেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করাচির দ্বিতীয় টেস্টের জন্য জাতীয় দলে নেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য ছিল এই তরুণ খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করা এবং জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশের সাথে পরিচিত করানো।

২০২৩ সালের মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক (টি২০আই) সিরিজের জন্য সাইম আইয়ুবকে পাকিস্তান দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি ২০২৩ সালের ২৪শে মার্চ সিরিজের প্রথম টি২০আই ম্যাচে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক করেন। এরপর, ২০২৩ সালের ২০শে নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য তাকে পাকিস্তান টেস্ট দলে নেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তার টেস্ট অভিষেক হয় এবং প্রথম ইনিংসে তিনি শূন্য রানে আউট হন।

২০২৪ সালের মে মাসে, সাইম আইয়ুব ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তান দলে জায়গা পান। এরপর ২০২৪ সালের আগস্টে, বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য তাকে পাকিস্তান দলে নেওয়া হয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৭ সদস্যের পাকিস্তান দলেও তার নাম ছিল। ২০২৪ সালের ১৫ই অক্টোবর মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬০ বল খেলে ৭৭ রান করে তিনি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ স্কোর করেন।

২০২৪ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের জন্য সাইম আইয়ুবকে পাকিস্তান দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি সিরিজের প্রথম ওডিআই ম্যাচে ১ রান করে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন।

২০২৪ সালের ২৬শে নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে সাইম আইয়ুব মাত্র ৫৩ বলে দ্রুত সেঞ্চুরি করে একটি রেকর্ড গড়েন। এই কৃতিত্ব শাহিদ আফ্রিদির পর দ্বিতীয় দ্রুততম পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে ওডিআই সেঞ্চুরির রেকর্ড তৈরি করে। সাইমের বিস্ফোরক ইনিংসের ওপর ভর করে পাকিস্তান ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় এবং মাত্র ১৪৬ রানের লক্ষ্য সহজেই পেরিয়ে যায়, যেখানে তখনও ৩২ ওভারের বেশি খেলা বাকি ছিল।

২০২৪ সালের ১৩ই ডিসেম্বর সাইম আইয়ুব দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৭ বলে ৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে তার প্রথম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক অর্ধ শতক করেন।

২০২৪ সালের ১৭ই ডিসেম্বর, সাইম আইয়ুব দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার দ্বিতীয় ওডিআই শতক করেন। এর মাধ্যমে ২২ বছর বয়সী এই পাকিস্তানি ব্যাটার রান তাড়া করার সময় ওডিআই ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ব্রায়ান লারার ৩১ বছর আগের রেকর্ডটি ভেঙে দেন।

সায়িম আইয়ুবের গল্পটা শুধুই উত্থানের

গল্পটা উত্থানের। আর সেই উত্থান যাত্রার নায়ক হচ্ছেন সায়িম আইয়ুব। পাকিস্তানি এ ক্রিকেটারের বয়স তখন ১৬। অনূর্ধ্ব-১৬ বয়সভিত্তিক সিরিজের অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দিয়েছিল পাকিস্তান। সেই দলে ছিলেন সাইম আইয়ুবও। কৈশোর মন তখন অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম গুলোতে পদচারণায় ব্যাকুল।

কিন্তু বিধিবাম! ছোট বাউন্ডারির স্টেডিয়ামেই সেবার খেলতে হয়েছিল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৬ দলকে। সায়িম আইয়ুব হয়েছিলেন সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটার। কিন্তু আশৈশব যে তিনি মেলবোর্ন, সিডনি স্টেডিয়ামের গল্প শুনে বড় হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়াতে এসেও খেলতে পারলেন না সেই সব ঐতিহাসিক মাঠে। শুধু অজি সফরেই তাই তৃপ্ততা ভর করেনি আইয়ুবের মনে।

তবে, সেদিনের সেই কিশোরেরই স্বপ্ন পূরণ হলো ৫ বছর বাদে। সায়িম আইয়ুবের টেস্ট অভিষেক হলো অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। একেই বুঝি বলে ভাগ্যবদল। এক দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে উপমহাদেশের অনেক ক্রিকেটারের যেখানে অস্ট্রেলিয়ায় খেলার সাধই পূরণ হয় না। সেখানে সায়িম আইয়ুব অস্ট্রেলিয়ার পা রাখলেন দুই বার। একবার বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দলের ত্রাতা হিসেবে, আরেক বার সিনিয়র দলের সবচেয়ে জুনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে।

পিএসএল দিয়ে আলোচনায় সায়িম আইয়ুবের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকও টি-টোয়েন্টি দিয়ে। পাকিস্তানের হয়ে সব মিলিয়ে ১১ টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। খুব একটা ভালো করেননি। কিন্তু তাঁর আক্রমণাত্বক ব্যাটিং ঠিকই আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় ডাক পেয়েছেন বিপিএলেও। এবারের আসরে খেলছেন দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে।

সায়িম আইয়ুবের ক্রিকেটের হাতেখড়ি তাঁর বড় ভাইয়ের হাত ধরে। বড় ভাই নিজেও ছিলেন ক্রিকেটার। তবে সেই ক্রিকেটটা তিনি খেলতেন শখের বশে। ইচ্ছা ছিল ক্রিকেট বলেও ক্যারিয়ার গড়ার। কিন্তু পরিবারের বাধ্যবাধকতায় সেটি আর হয়ে ওঠেনি। কিন্তু বড় ভাইয়ের সেই সাধ পূরণ করছেন ছোট ভাই সাইম আইয়ুব। মজার ব্যাপার হলো, তাঁর বড় ভাই ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে পরিবার থেকে নিষেধাজ্ঞা পেলেও, সাইম আইয়ুবের ক্ষেত্রে হয়েছিল ঠিক উল্টোটা।

কনিষ্ঠ পুত্রের মাঝে ক্রিকেটের প্রতি প্রবল নেশা খুঁজে পাওয়ায় তাঁর বাবা তাঁকে লাহোরের একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দেয়। এরপর থেকেই সায়িম আইয়ুবের বাইশ গজ মাতানো শুরু। শুরুর দিকে

পাকিস্তান সুপার লিগ

২০২১ সালে, তিনি কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলেন কিন্তু ভালো দক্ষতা দেখাতে পারেননি, তাই তিনি চুড়ান্ত একাদশের নিয়মিত সদস্য হতে পারেননি এবং পরবর্তী মৌসুমের জন্য স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছিলেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে পিএসএল চলাকালীন পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলার সময়ে তিনি ৩৩ বলে তার প্রথম পিএসএল হাফ সেঞ্চুরি করেন, পর্যবেক্ষকরা তাকে সাঈদ আনোয়ারের সাথে তুলনা করেন। একই মৌসুমে পেশোয়ার জালমি এবং কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের মধ্যে ২৫তম ম্যাচে, সাইম ৩৪ বলে ৭৪ রান করেছিলেন এবং ২০ ওভারে ২৪০/২ স্কোরকার্ডে পৌঁছতে পেশোয়ার জালমিকে সাহায্য করেছিলেন এবং ২৭তম ম্যাচে, তিনি ৩৩ বলে ৫৮ রান করেন। তিনি ১২ ম্যাচে ২৮.৪১ গড় এবং ১৬৫.৫৩ স্ট্রাইক রেটসহ ৩৪১ রান নিয়ে মৌসুম শেষ করেছিলেন। তিনি ২০২৩ সালের সিপিএল মৌসুমেও অংশ নিয়েছিলেন। তিনি লীগে ভাল দক্ষতা দেখিয়েছিলেন এবং ফাইনালে তার অসাধারণ দক্ষতা দিয়ে তার দল অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে শিরোপা পেতে সাহায্য করেছিলেন।

ওপেনিং ব্যাটার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
  • পাকিস্তান
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৫৬)
৩ জানুয়ারি ২০২৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট ৩১ আগস্ট ২০২৪ বনাম বাংলাদেশ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২৪৩)
৪ নভেম্বর ২০২৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই শার্ট নং ৬৩
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ ১০১)
২৪ মার্চ ২০২৩ বনাম আফগানিস্তান
শেষ টি২০আই ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
টি২০আই শার্ট নং ৬৩

খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৭ ২১
রানের সংখ্যা ৩২৩ ৫১৫ ৪৯৮ ১,৪০৩
ব্যাটিং গড় ২৬.৯১ ৫৬.০০ ২১.৬৫ ৩৮.৯৭
১০০/৫০ ০/৩ ৩/১ ০/১ ৩/৬
সর্বোচ্চ রান ৭৭ ১১৩* ৯৮* ২০৩
বল করেছে ১৩২ ৭৮ ৩০ ৩৩৬
উইকেট
বোলিং গড় ৪৫.০০ ২৩.৬৬ ৬১.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/১০১ ২/২৯ ২/১০১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/– ৫/– ১৩/– ১১/–

sourse: khela71.com : wikipedia..

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0