রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও জীবনী | Rabindranath Tagore Biography in Bengali

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও জীবনী | Rabindranath Tagore Biography in Bengali

May 10, 2025 - 14:58
May 10, 2025 - 15:07
 0  3
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও  জীবনী | Rabindranath Tagore Biography in Bengali

নাম    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জন্মতারিখ  ১৮৬১ সালের ৭ই মে
জন্মস্থান কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি
পিতার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
মাতার নাম  সারদাসুন্দরী দেবী
স্ত্রীয়ের নাম মৃণালিনী দেবী
পুরস্কার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার
ছদ্মনাম  ভানুসিংহ
মৃত্যুতারিখ  ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট
মৃত্যুস্থান কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি

বাংলা সাহিত্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সর্বকালের বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক হিসেবে তিনি সারা বিশ্বে পরিচিত লাভ করেছেন। বাংলা সাহিত্য ,বাংলা নাটক, কবিতা, প্রবন্ধ গ্রন্থ , ছোটগল্প ইত্যাদি সব শাখাতেই তার পদাচারণ দেখা যায় । রবীন্দ্রনাথ তার কবিতা নাটক প্রবন্ধ ইত্যাদিতে সমসাময়িক মানুষের চিত্র তুলে ধরেন । গীতাঞ্জলি তার সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ, যার জন্য এশিয়াদের মধ্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ।

জন্ম

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৭ই মে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ২৫ শে বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতার নাম সারদা সুন্দরী দেবী । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন তার পিতা-মাতার চতুর্থদশ সন্তান । তার দাদার নাম ছিল প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর । ১৮৮৩ সালে রবীন্দ্রনাথের সাথে ভবতারিনী দেবীর বিবাহ হয় । বিবাহের পরে তার স্ত্রীর নাম হয় মৃণালিনী দেবী ।

শিক্ষা জীবন

ছোট বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হয়নি । ১৭ বছর বয়সে সে ব্যারিস্টারি পড়তে বিলেতে গিয়েছিলেন । ব্যারিস্টারি পড়া না শেষ হতেই আবার তিনি দেশে ফিরে আসেন । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬৩ সালে বোলপুরে শান্তিনিকেতন নামে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন । 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম নামক বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলেন । ১৯২১ সালে যা  পরবর্তীতে বিশ্বভারতী কলেজে পরিণত হয় । কবি হওয়ার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ শিল্পীও ছিলেন । ১৯২৬ সালে ফ্রান্সের পিগাল আর্ট গ্যালারিতে তার প্রথম চিত্র প্রদর্শনী হয় ৷

রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইন

রবীন্দ্রনাথ বিশ্ব ভ্রমণ করতেও ভালবাসতেন । ১৯৩০ সালে তিনি জার্মানিতে ভ্রমণ করতে যান তখন তার সাথে আইনস্টাইনের দেখা হয় । আইনস্টাইনের সাথে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন তার মধ্যে দর্শন, মানুষ , বিজ্ঞান ইত্যাদি ছিল । ১৯১৫ সালে রবীন্দ্রনাথকে ভারত সরকার নাইট উপাধি প্রদান করে । কিন্তু ১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সেই নাইট উপাধি পরিত্যাগ করেন । তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডিলিট উপাধি প্রদান করে । ১৯১৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৪০ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ।

রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি

কুশারী ছিল জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারের আসল পদবী । ঠাকুর বংশের আদি পুরুষ ছিলেন জগন্নাথ কুশারী । তিনি বসবাস করতেন খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার ভৈরব তীরবর্তী পিঠাবো গ্রামে । তিনি রায় চৌধুরীর এক কন্যাকে বিয়ে করে জাতিচ্যুত হন । পরে শশুরালাইয়ে দক্ষিণডিহিতে বসতি স্থাপন করতে বাধ্য হন । শিলাইদাহ, শাহজাদপুর ও কালিগ্রাম পরগনা সহ বাংলাদেশে মোট তিনটি জমিদারি ছিল ঠাকুর পরিবারের ।

১৮৯০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পূর্ববঙ্গে আসেন জমিদারী দেখাশোনার জন্য । তার বেশিরভাগ সাহিত্যগুলো পূর্ববঙ্গে বসেই লেখা । সোনার তরী, চিত্রা , চৈতালী , কল্পনা, ক্ষণিকা ইত্যাদি তিনি কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসবাস কালেই লিখেছিলেন । প্রতিসরে বশেই তিনি লিখেন চিত্রা ,সন্ধা , গোরা, ঘরে বাইরে ইত্যাদি গ্রন্থ ।

প্রতিসরের কাছারি বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নাগর নদীকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা লেখেন আমাদের ছোট নদী । এ ছাড়াও তিনি দুই বিঘা জমি, তালগাছ প্রভৃতি কবিতা রচনা করেন । ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ হলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তোলেন ।

হিন্দু ও মুসলমানদের মিলনের জন্য তিনি রাখি উৎসবের প্রচলন শুরু করেন । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট দুইবার ঢাকাতে আসেন । প্রথমবার ১৮৯৮ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৯২৬ সালে । আমার সোনার বাংলা ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রচনা করেন, যা বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় ।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস সমূহ: 

উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন সোর্চ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট ১৩টি উপন্যাস রচনা করেছেন। 

উপন্যাসের নাম প্রকাশের বছর
বৌ-ঠাকুরাণীর হাট ১৮৮৩
রাজর্ষি ১৮৮৭ 
চোখের বালি ১৯০৩ 
নৌকাডুবি  ১৯০৬ 
প্রজাপতির নির্বন্ধ  ১৯০৮
গোরা  ১৯১০ 
ঘরে বাইরে ১৯১৬ 
চতুরঙ্গ  ১৯১৬ 
যোগাযোগ  ১৯২৯ 
শেষের কবিতা ১৯২৯ 
দুই বোন  ১৯৩৩ 
মালঞ্চ  ১৯৩৪ 
চার অধ্যায় ১৯৩৪

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প সমূহ:

ছোটগল্প সমূহ প্রকাশের বছর
ভিখারিণী ১২৮৪ ও ১৩৬১
ঘাটের কথা ১২৯১
রাজপথের কথা ১২৯১
মুকুট ১২৯২
দেনাপাওনা ১২৯৮
পোস্টমাস্টার ১২৯৮
গিন্নি ১২৯৮
রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা ১২৯৮
ব্যবধান ১২৯৮

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক সমূহ

নাটক সমূহ প্রকাশের বছর
শারদোৎসব  ১৯০৮
রাজা ১৯১০
ডাকঘর  ১৯১২
অচলায়তন ১৯১২
ফাল্গুনী  ১৯১৬
মুক্তধারা ১৯২২
রক্তকরবী ১৯২৬
তাসের দেশ ১৯৩৩
কালের যাত্রা ১৯৩২

প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্য সমূহ

প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্য সমূহ প্রকাশের বছর
য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র ১৮৮১
বিবিধ প্রসঙ্গ ১৮৮৩
আলোচনা  ১৮৮৫
সমালোচনা  ১৮৮৮
মন্ত্রি-অভিষেক ১৮৯০
য়ুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি ১৮৯১
পঞ্চভূত  ১৮৯৭
ঔপনিষদ ব্রহ্ম ১৯০১
আত্মশক্তি ১৯০৫
ভারতবর্ষ  ১৯০৬
দেশ নায়ক ১৯০৬
বিচিত্র প্রবন্ধ ১৯০৭
চারিত্রপূজা ১৯০৭
প্রাচীন সাহিত্য ১৯০৭ 
লোকসাহিত্য ১৯০৭
সাহিত্য  ১৯০৭
আধুনিক সাহিত্য ১৯০৭
রাজা প্রজা ১৯০৮
সমূহ  ১৯০৮
স্বদেশ  ১৯০৮
সংকল্প ও স্বদেশ
সমাজ  ১৯০৮
শিক্ষা  ১৯০৮
শব্দতত্ত্ব  ১৯০৯
ধর্ম  ১৯০৯
বিদ্যাসাগরচরিত ১৯০৯
দেশের কাজ ১৯০৯
জীবন-স্মৃতি ১৯১২
সঞ্চয়  ১৯১৬ 
পরিচয়  ১৯১৬
জাপান-যাত্রী ১৯১৯
যাত্রী  ১৯২৯
পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি ১৯২৯
জাভা-যাত্রীর পত্র ১৯২৯
রাশিয়ার চিঠি ১৯৩১
বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ  ১৯৩৩
শিক্ষার বিকিরণ ১৯৩৩
মানুষের ধর্ম্ম ১৯৩৩
ভারতপথিক রামমোহন রায় ১৯৩৩
ছন্দ ১৯৩৬
জাপানে-পারস্যে ১৯৩৬
জাপানে-পারস্যে ১৯৩৬
সাহিত্যের পথে ১৯৩৬
কালান্তর  ১৯৩৭
বিশ্বপরিচয়  ১৯৩৭
বাংলাভাষা-পরিচয় ১৯৩৮
ছেলেবেলা  ১৯৪০
সভ্যতার সংকট ১৯৪১
আশ্রমের রূপ ও বিকাশ ১৯৪১
সংকলন  ১৯২৬
ব্যক্তিত্ব 
আত্মপরিচয়  ১৯৪৩
সাহিত্যের স্বরূপ ১৯৪৩
মহাত্মা গান্ধী ১৯৪৮
বিশ্বভারতী  ১৯৫১
শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রম ১৯৫১
সমবায়নীতি  ১৯৫৪
ইতিহাস  ১৯৫৫
ঝান্সীর রানী ১৯৫৬
খৃষ্ট ১৯৫৯
বুদ্ধদেব  ১৯৬০
পল্লীপ্রকৃতি  ১৯৬২
স্বদেশী সমাজ ১৯৬৩
পারস্য-যাত্রী ১৯৬৩
দীপিকা ১৯৬৩
সংগীতচিন্তা ১৯৬৬
বাংলা শব্দতত্ত্ব ১৯৮৩

কাব্যগ্রন্থ সমূহ:

কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের বছর
কবি-কাহিনী ১৮৭৮
বন-ফুল ১৮৮০
ভগ্নহৃদয় ১৮৮১
সন্ধ্যা সঙ্গীত ১৮৮২
প্রভাত সংগীত ১৮৮৩
ছবি ও গান ১৮৮৪
শৈশব সঙ্গীত ১৮৮৪
ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী ১৮৮৪
কড়ি ও কোমল ১৮৮৬
মানসী ১৮৯০
চিত্রাঙ্গদা ১৮৯২
সোনার তরী ১৮৯৪
বিদায়-অভিশাপ ১৮৯৪
নদী ১৮৯৬
চিত্রা ১৮৯৬
চৈতালি ১৮৯৬
কণিকা ১৮৯৯
কথা ১৯০০
কাহিনী ১৯০০
কথা ও কাহিনী ১৯০৮
কল্পনা ১৯০০
ক্ষণিকা ১৯০০
নৈবেদ্য ১৯০১
খেয়া ১৯০৬
শিশু ১৯০৯
গীতাঞ্জলি ১৯১০
স্মরণ ১৯১৪
উৎসর্গ ১৯১৪
গীতিমাল্য ১৯১৪
গীতালি ১৯১৪
বলাকা ১৯১৬
পলাতকা ১৯১৮
শিশু ভোলানাথ ১৯২২
পূরবী ১৯২৫
প্রবাহিণী ১৯২৫
লেখন ১৯২৭
মহুয়া ১৯২৯
বনবাণী ১৯৩১
নবীন ১৯৩১
পরিশেষ ১৯৩২
পুনশ্চ ১৯৩২
বিচিত্রিতা ১৯৩৩
শেষ সপ্তক ১৯৩৫
বীথিকা ১৯৩৫
পত্রপুট ১৯৩৬
শ্যামলী ১৯৩৬
খাপছাড়া ১৯৩৭
ছড়ার ছবি ১৯৩৭
প্রান্তিক ১৯৩৮
সেঁজুতি ১৯৩৮
প্রহাসিনী ১৯৩৯
আকাশ-প্রদীপ ১৯৩৯
নবজাতক ১৯৪০
সানাই ১৯৪০
রোগশয্যায় ১৯৪০
আরোগ্য ১৯৪১
জন্মদিনে ১৯৪১

গীতাঞ্জলি ও নোবেল পুরস্কার

১৯১০ সালে রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় । এটি রবীন্দ্রনাথের সবচেয়ে বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ । যা song offerings নামে ইংরেজি ভাষায় গদ্যে প্রকাশিত হয় । ইংরেজি song offerings কাব্যগ্রন্থটির ভূমিকা লেখেন YB Yeats. ১৯১৩ সালের ১০ নভেম্বর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পান । এটি ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম নোবেল পুরস্কার । ২০০৪ সালের ২৪শে মার্চ দিবে গত রাতে শান্তি নিকেতন থেকে নোবেল পুরস্কারটি চুরি হয়ে যায় ।

রবীন্দ্রনাথের কিছু রচনা ও তার চরিত্র

ক্রম রচনা ধরণ চরিত্র

চোখের বালি

উপন্যাস প্রধান চরিত্র বিনোদিনী , মহেন্দ্র ও বিহারী । উপন্যাসটিতে একসাথে তিনজনের প্রেমের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে ।

গোরা

উপন্যাস প্রধান চরিত্র গোরা, ললিতা, বিনয় প্রমুখ । এটি একটি রাজনৈতিক উপন্যাস ।

ঘরে বাইরে

উপন্যাস এ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নিখিলেশ ও বিমলা । ব্রিটিশ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত ।

শেষের কবিতা

উপন্যাস প্রধান চরিত্র অমিত, লাবণ্য ও শোভন লাল । এটি রোমান্টিক কাব্য উপন্যাস ।

যোগাযোগ

উপন্যাস এ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মধুসূদন ও কুমুদিনী । এটি একটি সামাজিক উপন্যাস । পূর্বের ইতিহাস পরে বর্ণনা করে উপন্যাসটি রচিত হয়েছে ।

দুই বোন

উপন্যাস এটি কাব্যধর্মী উপন্যাস । প্রধান চরিত্র শর্মিলা ।

হৈমন্তী

ছোট গল্প গল্পের প্রধান চরিত্র হৈমন্তী , গৌরীশঙ্কর ও অপু । এটি যৌতুক প্রথা নিয়ে রচিত গল্প ।
ছুটি ছোট গল্প এ গল্পের প্রধান চরিত্র ফটিক । গল্পে গ্রাম্য বালক ফটিককে শহরে তার মামা নিয়ে আসলে তার মানসিক যন্ত্রণার প্রকাশ পায় ।

পোস্টমাস্টার

ছোট গল্প এ গল্পের প্রধান চরিত্র রতন ।
১০

কাবুলিওয়ালা

ছোট গল্প এ গল্পের প্রধান মুসলিম চরিত্র রহমত ও খুকি । গল্পটিতে একটি বয়স্ক লোকের শিশুর প্রতি ভালবাসা ও স্নেহ প্রকাশ পেয়েছে ।
১১

কালের যাত্রা

নাটক লেখক এ নাটকটি শরৎচন্দ্রকে উৎসর্গ করেন ।
১২

তাসের দেশ

নাটক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে এটি উৎসর্গ করেন ।
১৩

বিসর্জন

নাটক প্রধান চরিত্র জয়সিংহ ও রঘুপতি । এটি অমৃতাক্ষর ছন্দে রচিত । এই কাব্যনাট্যে গোমতি নদীর কথা উল্লেখ আছে ।
১৪

সোনার তরী

কাব্যগ্রন্থ এই গ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ । এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত । এ কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলো হল সোনার তরী, যেতে নাহি দেব, নিরুদ্দেশ যাত্রা , পুরস্কার ,দুই পাখি , বৈষ্ণব কবিতা প্রভৃতি ।
১৫

চিত্রা

কাব্যগ্রন্থ এই কাব্যগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতা দুই বিঘা জমি, উর্বশী , স্বর্গ হইতে বিদায় , ১৪০০ সাল প্রভৃতি ।
১৬

গীতাঞ্জলী

কাব্যগ্রন্থ এ কাব্যের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান । কবির সবচেয়ে বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ এটি ।
১৭

ক্ষণিকা

কাব্যগ্রন্থ এর উল্লেখযোগ্য কবিতা আষাঢ় , উদাসীন, অকালে, দুই তীরে প্রভৃতি ।
১৮

বলাকা

কাব্যগ্রন্থ এ কাব্যগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতা সবুজের অভিযান, শা-জাহান বলাকা, শঙ্খ, ছবি প্রভৃতি ।
১৯

স্মরণ

কাব্যগ্রন্থ এ কাব্যটি কবি তার স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রচনা করেন ।
২০

শেষ লেখা

কাব্যগ্রন্থ এটি কবির শেষ কাব্যগ্রন্থ । তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় । উল্লেখযোগ্য কবিতা সম্মুখে শান্তি পারাবার, তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছো আকীর্ণ করি , রূপ-নারায়ণের কূলে প্রভৃতি ।

রবীন্দ্রনাথের রচনাবলী নিয়ে গবেষণা করেন একজন ইংরেজি লেখক । তিনি হলেন উইলিয়াম রাদিচে । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করা হয় । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিশ্ব কবি, কবি গুরু, কবি দেব ইত্যাদি । রোমান ক্যাথলিক ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথকে প্রথম বিশ্ব কবি উপাধিতে ভূষিত করেন । ৭ আগস্ট ১৯৩৯ ( ২২ শে শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন ।

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0