জনি বেয়ারস্টো এর জীবনী Biography Of Jonny Bairstow
জনি বেয়ারস্টো এর জীবনী Biography Of Jonny Bairstow

ব্যক্তিগত তথ্য |
|
---|---|
পূর্ণ নাম |
জোনাথন মার্ক বেয়ারস্টো
|
জন্ম |
২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ |
উচ্চতা |
৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার) |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
ডান-হাতি |
ভূমিকা |
উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান |
সম্পর্ক |
ডেভিজ বেয়ারস্টো (পিতা), অ্যান্ড্রু বেয়ারস্টো (ভাই) |
জোনাথন মার্ক "জনি" বেয়ারস্টো;
(জন্ম ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯) হলেন একজন ইংরেজি ক্রিকেটার, যিনি বর্তমানে ইয়র্কশায়ার দলের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলে থাকেন। একজন ডান-হাতি ব্যাটসম্যান এবং উইকেটরক্ষক হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়াও তিনি সাবেক ইয়র্কশায়ার ও ইংল্যান্ড রক্ষক ডেভিড বেয়ারস্টো পুত্র ও সাবেক ডার্বিশায়ার প্লেয়ার অ্যান্ড্রু বেয়ারস্টো ভাই হিসেবে সুপরিচিত। তিনি শীর্ষ স্কোকার হিসেবে ২০১২ সালে লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৯৫ রান করেন।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১, কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে স্বপ্ন পূরণ জোনাথনের। ‘থ্রি লায়ন্স’দের ২২৩তম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেক হলো জোনাথন মার্ক বেয়ারস্টো’র, প্রতিপক্ষ ভারত। সপ্তাহ না ঘুরতেই হয়ে গেলো টি-টোয়েন্টি অভিষেক। ২৩ সেপ্টেম্বর কেনিংটন ওভালে ৫৬তম ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।
১৭ মে ২০১২, আরো একটি স্বপ্নপূরণ। প্রত্যেক ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে সাদা পোশাকের এই ক্রিকেটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার। আর সে যদি হয় কোনো টেস্টখেলুড়ে ক্রিকেটারের তনয়, তাহলে তো কথাই নেই! বাবা ছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান, তাই ছেলেও সেইভাবেই ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৫২তম ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অভিষেক হয় জনির। জোনাথান মার্ক বেয়ারস্টো নামটা এখন জনি বেয়ারস্টোতে রূপ নিয়েছে।
৩ জানুয়ারী ২০১৬। এই জানুয়ারী মাসটা জনির জীবনে অনেক কিছুই দিয়েছে, নিয়েছেও ঢের। বাবা ডেভিডের মৃত্যু, মায়ের জন্মদিন, মা-বাবার বিবাহবার্ষিকী, জনিদের পরিবারের বদলে যাওয়া, হাল ধরা – সবই এই মাসের সাথেই যেন জড়িত৷ সেদিন ৩ জানুয়ারী, দু’দিন পরই জনির বাবার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। এক মাস আগেই আরেক অভিভাবক, অর্থাৎ পিতামহকে হারিয়েছেন৷ তবু দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে এসেছেন৷ আগের দিনের ৩৯* নিয়ে ব্যাট শুরু করেছিলেন জনি। দিনের প্রথম সেশনে তুলে নিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। জনি তখন আকাশপানে চেয়ে কাঁদছেন। তার দু’চোখ অশ্রুসিক্ত। আকাশের দিকে তাকিয়ে স্মরণ করলেন গত হয়ে যাওয়া বাবা এবং দাদাকে। সেঞ্চুরি উৎসর্গ করলেন তাদের৷ গ্যালারিতে মা জ্যানেট আর বোন বেকি কেউই চোখের জল সামলাতে পারলেন না।
ভেজা চোখ দুটো নিয়েই জনি আবার ব্যাট করলেন৷ সেদিন আনন্দের কান্নার দিন, সেদিন প্রোটিয়া বোলাররা তাকে থামাতে পারেনি৷ শেষ পর্যন্ত তার প্রথম দেড়শতাধিক রানের মাইলফলকে পৌঁছানোর পর অধিনায়ক কুক ইনিংস ঘোষণা করেন। সে ম্যাচ এবং সে সিরিজ জোনাথনের দলই জিতেছিল।
আন্তর্জাতিক কর্মজীবন
২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ
২০১৯ সালে এপ্রিল ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ইংল্যান্ড দলে তিনি জায়গা পান। তিনি ২০১৯ সালের ১৪ই মে ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৩ বলে ১২৮ রান করে দলকে জিতাতে সাহায্য করেন। ২০১৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৯০ বলে শতক পূর্ণ করেন, যা বিশ্বকাপে তার প্রথম শতক। পরের খেলায় তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরপর তার দ্বিতীয় শতক তুলে নেন এবং ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন।
আন্তর্জাতিক তথ্য | |
---|---|
জাতীয় দল |
|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৫২) |
১৭ মে ২০১২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
শেষ টেস্ট |
৩ জানুয়ারী ২০১৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া |
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২২৩) |
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ বনাম ভারত |
শেষ ওডিআই |
৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা |
ওডিআই শার্ট নং |
৫১ |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএন ক্রিকইনফো, ৩ জুলাই ২০১৯
|
sourse: archive.roar.media: wikipedia
What's Your Reaction?






