ইয়ন মর্গ্যান এর জীবনী Biography Of Eoin Morgan
ইয়ন মর্গ্যান এর জীবনী Biography Of Eoin Morgan

ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
পূর্ণ নাম |
ইয়ন জোসেফ জেরার্ড মর্গ্যান
|
জন্ম | ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৬ ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড |
ডাকনাম |
মগি[১] |
উচ্চতা |
৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
বামহাতি |
বোলিংয়ের ধরন |
ডানহাতি মিডিয়াম |
ভূমিকা |
মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক |
ইয়ন জোসেফ জেরার্ড মর্গ্যান
(ইংরেজি: Eoin Morgan; জন্ম: ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৬) আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়। বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের পক্ষ হয়ে খেলে থাকেন। টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক এবং টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ড দলের সদস্য ইয়ন মর্গ্যান। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিক দলে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি আয়ারল্যান্ডের পক্ষ হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলেছিলেন। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলছেন। ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র ব্যাটসম্যানরূপে দুই দেশের হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি দলের ইনিংস সমাপণকারীর ভূমিকায়ও আবির্ভূত হয়ে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। রিভার্স সুইপ শটে দক্ষ ক্রিকেটার হিসেবেও চিহ্নিত তিনি; যা আয়ারল্যান্ডের জনপ্রিয় ক্রীড়া হার্লিং থেকে প্রভাবিত হয়েছেন।
প্রারম্ভিক জীবন
মর্গ্যান ডাবলিনে জন্মগ্রহণ করেন। লিসন স্ট্রিটের ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি স্কুলে অধ্যয়ন করেন। বিদ্যালয়ের পক্ষ হয়ে সেখানে তিনবার সিনিয়র কাপ জয় করেন। শৈশবে সপ্তাহে দুইবার হার্লিং খেলায় অংশগ্রহণ করতেন যা তাকে দক্ষ ব্যাটসম্যানরূপে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। হার্লিং খেলাকে অনুসরণ করে রিভার্স সুইপে দক্ষ হয়ে উঠেন।
এ সময়ে সংক্ষিপ্তকালের জন্য ডালউইচ কলেজে ক্রিকেট খেলা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। এভাবেই তিনি ইংল্যান্ডের পক্ষ হয়ে খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ হন।[২] মর্গ্যান আয়ারল্যান্ড যুব দলের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ দলে খেলেন। আয়ারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের সদস্য নির্বাচিত হয়ে ২০০৪ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ও সব মিলিয়ে আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী হন। দুই বছর পর তিনি আয়ারল্যান্ড দলের হয়ে ২০০৬ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় দলকে নেতৃত্ব দেন। সেখানে তিনি সামগ্রীকভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
মর্গ্যান সানডে টাইমস পত্রিকাকে জানান যে, ‘তেরো বছর বয়স থেকেই আমি ইংল্যান্ডের পক্ষে ক্রিকেট খেলতে চেয়েছি। সেজন্যে তা বলতে আমি কোনরূপ লজ্জ্বাবোধ করিনি যা আমি করতে চেয়েছি। ক্রিকেটের সাথে সংশ্লিষ্ট নিজ দেশের ব্যক্তিরাও এতে একমত পোষণ করেছিলেন, “সুন্দর খেলা প্রদর্শনে যদি তুমি তা করতে পারো তাহলে তা হবে অবিশ্বাস্য”। তাই আমার এ বিষয়ে কোন লজ্জ্বাবোধ হয়নি এবং আমার বাবাও এ বিষয়ে কোন লজ্জ্বা অনুভব করেননি’।[৫] আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ১০টি পূর্ণাঙ্গ সদস্যভূক্ত দেশ হিসেবে ইংল্যান্ড অন্যতম, যেখানে আয়ারল্যান্ড দল তৎকালীন সময়ই সহযোগী সদস্য দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিল। একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সদস্যভূক্ত দেশগুলোই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্ট ম্যাচসহ সকল স্তরের ক্রিকেটেই অংশগ্রহণ করতে পারে।
মর্গ্যান ইংল্যান্ডের টুয়েন্টি২০ দলের অন্যতম সদস্যরূপে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০১০ আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। গ্রুপ-পর্বের খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং নিজ মাতৃভূমি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দলের সর্বোচ্চ রান করেন। এছাড়াও, সুপার এইট পর্বে নিউজিল্যান্ডের পক্ষেও তিনি একই ভূমিকা নেন। দলের কার্যকরী বোলিং ও কেভিন পিটারসন এবং ক্রেইগ কাইজওয়েটারের অর্ধ-শতকে সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের প্রান্তে নিয়ে যান।
আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ডের পক্ষে ফ্রেডরিক ফেনের সেঞ্চুরি করার শতাধিক বছর পর জুলাই, ২০১০ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে ইয়ন মর্গ্যান তার এ রেকর্ডের সাথে যুক্ত হন।
অধিনায়কত্
আয়ারল্যান্ড দলের বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অধিনায়কত্ব করেন। স্টুয়ার্ট ব্রডের অনুপস্থিতিতে ২০১২-১৩ মৌসুমে ভারত দলের বিপক্ষেও তিনি অধিনায়করূপে নির্বাচিত হন।
৬ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে শ্রীলঙ্কা সফরে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত চতুর্থ একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কত্ব করেন। কিন্তু দলের ধীরগতিতে বোলিংয়ের কারণে তার ম্যাচ ফি’র ২০% অর্থ জরিমানা করা হয়। ৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে ঐ একই কারণে দলের মূল অধিনায়ক অ্যালাস্টেয়ার কুককে পরবর্তী এক খেলায় নিষিদ্ধতার কারণে তিনি ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক মনোনীত হন।
২০১৫ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আয়ারল্যান্ড সফরে তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন না। ফলশ্রুতিতে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) কর্তৃপক্ষ ২৮ এপ্রিল জেমস টেলরকে প্রথমবারের মতো একদিনের আন্তর্জাতিকে অধিনায়ক হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত করে।
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন ইংল্যান্ডের
বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন ইংল্যান্ডের একদিনের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান (Eoin Morgan)। ২০১৯ সালে ইয়ন মর্গ্যানের নেতৃত্বে একদিনের বিশ্বকাপে প্রথমবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল টিম ইংল্যান্ড। গত বছরেই আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের দাঁড়ি দিয়েছিলেন। এরপর তিনি শুধুমাত্র ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছিলেন। এবার সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসর নিলেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মর্গ্যান (Eoin Morgan)। প্রায় দু-দশকের ক্রিকেট কেরিয়ার থেকে অবসর নিলেন তিনি।
শুধু ইংল্যান্ড নয়, আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মর্গ্যান। এ বছর যদিও তাঁকে কোনও আইপিএল দলই নেয়নি। বেশ কিছু বছর ধরেই ছন্দে ছিলেন না মর্গ্যান। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে শেষ সিরিজে প্রথম দু’টি ম্যাচেই শূন্য করেন তিনি। শেষ ম্যাচে চোটের কারণে খেলেননি মর্গ্যান। শেষ দেড় বছরে ৪৮টি ইনিংস খেলে একটি মাত্র অর্ধশতরান করেন তিনি।
ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার আগে আয়ারল্যান্ডের হয়েও খেলেছিলেন মর্গ্যান। এক দিনের ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডের হয়ে মর্গ্যানের অভিষেক হয় ২০০৬ সালে। ২০০৯ সাল থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা শুরু করেন মর্গ্যান। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ১৬টি টেস্ট খেলেন তিনি। লাল বলের ক্রিকেটে তাঁর সংগ্রহ ৭০০ রান। দু’টি শতরান রয়েছে তাঁর। এক দিনের ক্রিকেটে ২৪৮টি ম্যাচ খেলেছেন মর্গ্যান। তাঁর সংগ্রহ ৭৭০১ রান। ১৪টি শতরান রয়েছে মর্গ্যানের এক দিনের ক্রিকেটে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ১১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে তাঁর সংগ্রহ ২৪৫৮ রান।
কী বললেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক
সোমবার এক বিবৃতিতে ৩৬ বছর বয়সি মর্গ্যান (Eoin Morgan) বলেন, 'অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করছি আমি। অনেক চিন্তা-ভাবনার পর, মনে হয়েছে খেলার জগৎ থেকে সরে আসার এটাই সঠিক সময় আমার জন্য। ক্রিকেট আমাকে বছরের পর বছর অনেক কিছু দিয়েছে। মিডলসেক্সে যোগ দেওয়ার জন্য ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডে চলে আসি। শেষে এসএ২০-তে পার্ল রয়্যালসের হয়ে খেলা, প্রতিটা মুহূর্ত আমি উপভোগ করেছি।' প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএ ২০-তে পার্ল রয়্যালসের হয়ে প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালসের বিপক্ষে টি-২০ ম্যাচই মর্গ্যানের কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ বলে জানা গেছে। এখানে ৭ ম্যাচে ২১.৩৩ গড়ে ১২৮ রান করেছেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে একটি অর্ধশতরান। মর্গ্যান (Eoin Morgan) আরও বলেন, 'যদিও আমি আমার খেলোয়াড় জীবনের ইতি টানছি, তবুও আমি এই খেলার সঙ্গেই যুক্ত থাকব। একজন ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক হিসেবে আন্তর্জাতিক ও ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে সম্প্রচারকারীদের সঙ্গে কাজ করব।'
একঝলকে তাঁর ক্রিকেট জীবন
২০২২ সালের জুন মাসেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন মর্গ্যান (Eoin Morgan)। ২০১০ টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন তিনি। পরে বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বে ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। যদিও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তাঁরা।
২০০৩ সালে মর্গানের (Eoin Morgan) কেরিয়ার শুরু হয়েছিল আয়ারল্যান্ডে। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আইরিশদের হয়ে অভিষেক হয় তার। পরে ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা শুরু করেন তিনি। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান। একদিনের ম্যাচ খেলেছেন ২৪৮টি , টেস্ট খেলেছেন ১৬টি এবং ১১৫টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে খেলেছেন মর্গ্যান (Eoin Morgan)। ওয়ানডেও টেস্ট ক্রিকেটে সব মিলিয়ে মোট ১৬টি শতরান রয়েছে তাঁর।
আন্তর্জাতিক তথ্য | |
---|---|
জাতীয় দল |
|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৪৯) |
২৭ মে ২০১০ ইংল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ |
শেষ টেস্ট | ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান |
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২০৮) |
৫ আগস্ট ২০০৬ আয়ারল্যান্ড বনাম স্কটল্যান্ড |
শেষ ওডিআই | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া |
ওডিআই শার্ট নং | ১৬ |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
sourse: madhyom: anandabazar: wikipedia...
What's Your Reaction?






