জাস্টিন ল্যাঙ্গার এর জীবনী Biography Of Justin Langer
জাস্টিন ল্যাঙ্গার এর জীবনী Biography Of Justin Langer
| ব্যক্তিগত তথ্য | |
|---|---|
|
পূর্ণ নাম |
জাস্টিন লি ল্যাঙ্গার
|
| জন্ম | ২১ নভেম্বর ১৯৭০ পার্থ, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া |
|
ডাকনাম |
"আলফি", "জেএল" |
|
উচ্চতা |
১.৭৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি) |
|
ব্যাটিংয়ের ধরন |
বামহাতি |
|
বোলিংয়ের ধরন |
ডানহাতি মিডিয়াম |
জাস্টিন লি ল্যাঙ্গার
, এএম (ইংরেজি: Justin Langer; জন্ম: ২১ নভেম্বর, ১৯৭০) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার। তিনি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। বামহাতি ব্যাটসম্যান জাস্টিন ল্যাঙ্গার অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। জাতীয় দলে খেলার পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, ইংরেজ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে মিডলসেক্স ও সমারসেট দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। যে-কোন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের তুলনায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বাধিক রান করার গৌরব অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে পার্থ স্কর্চার্সের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।
টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করা সবসময়েই কঠিন, সেটা যত ছোট লক্ষ্যই থাকুক না কেন। সেজন্য ১৯৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়া যখন মাত্র ১৮৬ রান তাড়া করতে নামলো, তখনও কেউ কেউ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাজিত দলের তালিকায় ফেলে দিতে পারেনি। এছাড়া পরিস্থিতিটাও এমন ছিল যে সিরিজে ফিরে আসতে হলে টেস্টটা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিততেই হবে। মরিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিরে আসার রূপ আগেও অনেকবার দেখা হয়েছে বিধায় নিজের দেশে খেলা হওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ব্যাপারে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন।
খেলা শুরু হবার পর দেখা গেলো, বোদ্ধারা ভুল ভাবেননি। এমব্রোস, বিশপ, বেঞ্জামিন আর ওয়ালশের তোপে পড়ে একে একে ডেভিড বুন, মার্ক টেলর, ওয়াহ ব্রাদার্স, অ্যালান বোর্ডাররা সাজঘরে ফিরে গেলেন। মাত্র ৭৩ রানেই ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার পরাজয় চোখের সামনে ফুটে উঠেছিল। ঠিক সেই সময়ে খর্বাকৃতির একজন ব্যাটসম্যান লোয়ার অর্ডারের টিম মে’কে নিয়ে মোটামুটি একাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভয়ংকর পেস আক্রমণের বিপক্ষে লড়াই করে যাচ্ছিলেন। সমস্যা হচ্ছে, সেই খর্বাকৃতির ব্যাটসম্যানের সেটাই ছিলো অভিষেক টেস্ট। আর অভিষেক টেস্টে ফর্মে থাকা এমব্রোসকে সামলানো মোটেও সহজ কিছু নয়।
তখনও অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ক্রিকেটে অন্য সবার চেয়ে এগিয়েই ছিল, তবে সেটা একচেটিয়াভাবে নয়। একক সাম্রাজ্যটা শুরু হয় আরো কয়েকদিন পর, কিংবা বলা যায় এই ম্যাচের মাধ্যমেই হয়তো সেটার সূত্রপাত।
সময়টা ১৯৯৯ সাল, ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবার পর বছরের শেষপ্রান্তে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম টেস্টটা সহজেই (১০ উইকেটে) জিতলেও দ্বিতীয় টেস্টে দুর্দান্তভাবে ঘুরে আসে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২২ রানে অল আউট হওয়ার পর যখন মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ালো ১৯০ রান, তখন ধারণা করা হচ্ছিল যে এই টেস্টের পরিণতিও প্রথম টেস্টের মতোই হতে যাচ্ছে।
‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেই পাকিস্তানীদের সেরাটা বেরিয়ে আসে’– এই কথারই বাস্তব প্রতিফলন যেন দেখা গেল এর পরপরই। ১৯০ থেকে ২৪৬– মাত্র ৫৬ রানের মাঝে অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করে বেশ ভালোভাবেই ম্যাচে ফিরে আসলো পাকিস্তানীরা। এরপর ইনজামাম উল হকের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তারা দাঁড় করালো ৩৬৯ রানের এক লক্ষ্যমাত্রা।
চতুর্থ ইনিংসে ৩৬৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা যেকোনো যুগের বিবেচনাতেই অনেক বড়। এর সাথে ওয়াসিম, ওয়াকার, সাকলাইন মুস্তাকের সমন্বয়ে গড়া বোলিং লাইন আপ সেই সময়ের সবচেয়ে বিধ্বংসী বোলিং লাইন আপ বলেই পরিচিত ছিল। ১২৬ রানেই ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়াটা কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষাই ছিল।
মাঠে তখন ব্যাট করছেন আগের টেস্টেই অভিষেক হওয়া অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এবং দলে জায়গা পেতে লড়াই করা জাস্টিন ল্যাঙ্গার। এই দুজনের ২৩৮ রানের জুটিই অবিশ্বাস্য এক জয় উপহার দিল অস্ট্রেলিয়াকে। ল্যাঙ্গার খেললেন ৩৩৮ মিনিটে ১২৭ রানের এক ইনিংস, যা কি না অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে মন্থরতম সেঞ্চুরি।
মন্থরতম ইনিংস হলেও সেটা ছিল লড়াকু একটি ইনিংস, যা ক্যারিয়ারের প্রায় সবসময়ই খেলে গিয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
জানুয়ারি, ১৯৯৩ সালে অ্যাডিলেড ওভালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেস বোলিং আক্রমণ রুখে দিয়ে দলের বাদ-বাকী অস্ট্রেলীয় দলের অন্যান্যদের সাথে মিশ্র অভ্যর্থনা পান। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২০ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হন। ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া মাত্র ১ রানের ব্যবধানে পরাভূত হয়। সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ১১ রান করেন। ঐ টেস্টে কার্টলি অ্যামব্রোস ও ইয়ান বিশপের আধিপত্য ছিল।
সম্মাননা
২০০১ সালে অ্যান্ডি ক্যাড্ডিক, মার্টিন বিকনেল, ড্যারেন লেহম্যান ও মার্ক অ্যালিয়েনের সাথে তিনিও উইজডেন কর্তৃক পাঁচজন বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের একজনরূপে মনোনীত হন।
অবসর
১ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে ল্যাঙ্গার টেস্ট ক্রিকেট থেকে তার অবসরের ঘোষণা দেন। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজের পঞ্চম টেস্ট শুরুর পরেরদিন তার এ ঘোষণা আসে। ড্যামিয়েন মার্টিনের দলে আকস্মিক প্রত্যাবর্তনের তিন টেস্টের পর তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। একই দিনে সমারসেট কর্তৃপক্ষ জানায় যে, তিনি ২০০৭ সাল পর্যন্ত সমারসেট দলের অধিনায়কত্ব হতে রাজী হয়েছেন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সাথে চূড়ান্ত মৌসুম অতিবাহিত করেন।
| খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
sourse; archive .roar. media ;wikipedia
What's Your Reaction?
Like
0
Dislike
0
Love
0
Funny
0
Angry
0
Sad
0
Wow
0