হোসে মারিয়া গিমেনেজ এর জীবনী | Biography of José María Giménez

rana24

May 28, 2025 - 10:25

May 28, 2025 - 10:34

0 1

ব্যক্তিগত তথ্য
২০১৭-এ হিমেনেস
পূর্ণ নাম	হোসে মারিয়া হিমেনেস দে ভার্গাস
জন্ম	২০ জানুয়ারি ১৯৯৫ (বয়স ৩০)
জন্ম স্থান	তোলেদো, উরুগুয়ে
উচ্চতা	১.৮৫ মিটার (৬ ফুট ১ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান	রক্ষণভাগের খেলোয়াড়
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল	আতলেতিকো মাদ্রিদ
জার্সি নম্বর	২৩
জাতীয় দল^‡
বছর	দল	ম্যাচ	(গোল)
২০১৩–২০১৪	উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২০	১১	(০)
২০১৩–	উরুগুয়ে	৪৩	(৬)
‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৫ জুন ২০১৮ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

হোসে মারিয়া গিমেনেজ

হোসে মারিয়া হিমেনেস দে ভার্গাস

(স্পেনীয় উচ্চারণ: [xoˈse maˈɾi.a xiˈmenez ðe ˈβarɣas];জন্ম: ২০ জানুয়ারি ১৯৯৫) হলেন উরুগুয়ের একজন পেশাদার ফুটবলার, যিনি লা লিগা ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদ এবং উরুগুয়ে জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে একজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।

প্রাথমিক জীবন ও ক্যারিয়ারের সূচনা

গিমেনেজ ১৯৯৫ সালের ২০ জানুয়ারি উরুগুয়ের তোলে‌দো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন ডানুবিও এফসি-তে, যেখানে ২০১২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত খেলেন।

ক্লাব ক্যারিয়ার

ডানুবিও এফসি (২০১২–২০১৩)

গিমেনেজ ডানুবিও ক্লাবে ১৬টি ম্যাচ খেলেন এবং ২০১৩ সালে স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেন।

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ (২০১৩–বর্তমান)

২০১৩ সালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকে গিমেনেজ ক্লাবটির গুরুত্বপূর্ণ ডিফেন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। তিনি ক্লাবের হয়ে ২৫২টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ৬টি গোল করেছেন। তিনি ২০১৩–১৪ এবং ২০২০–২১ মৌসুমে লা লিগা জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও, তিনি ২০১৭–১৮ মৌসুমে উয়েফা ইউরোপা লিগ এবং ২০১৮ সালে উয়েফা সুপার কাপ জয়ী দলের অংশ ছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

২০১৮ সালের ২রা জুন, তিনি রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত উরুগুয়ের ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দলে স্থান পান।

গিমেনেজ ২০১৩ সালে উরুগুয়ে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক করেন এবং এখন পর্যন্ত ৯৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন, যেখানে তিনি ৮টি গোল করেছেন। তিনি ২০১৪, ২০১৮, এবং ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপে উরুগুয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, তিনি পাঁচটি কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার "টিম অব দ্য টুর্নামেন্ট"-এ নির্বাচিত হন।

২০১৩ সালের ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে গিমেনেজ উরুগুয়ের হয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং দলটি ফ্রান্সের কাছে রানার-আপ হয়ে শেষ করেছিল ।

২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উরুগুয়ের সিনিয়র দলের হয়ে তার অভিষেক হয়।

২ জুন ২০১৪ তারিখে, গিমেনেজকে ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য উরুগুয়ের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় । ১৯ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার দলের দ্বিতীয় গ্রুপ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে অভিষেক করেন, আহত অধিনায়ক দিয়েগো লুগানোর পরিবর্তে লা সেলেস্তের হয়ে ২-১ ব্যবধানে জয়লাভ করেন । তিনি শেষ গ্রুপ ম্যাচে - ইতালির বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয় - এবং কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে পরাজয় - শুরু করেন ।

৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে প্রীতি ম্যাচে জিমেনেজ তার প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন। ২০১৫ সালের মে মাসে, কোচ অস্কার তাবারেজ তাকে ২০১৫ কোপা আমেরিকার জন্য উরুগুয়ের দলে অন্তর্ভুক্ত করেন । ২০ জুন, প্যারাগুয়ের সাথে ১-১ গোলে ড্রয়ে তিনি উরুগুয়ের হয়ে গোল করেন, যার ফলে উভয় দলই নকআউট পর্বে উন্নীত হয় ।

২০১৮ সালের মে মাসে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য উরুগুয়ের ২৬ সদস্যের প্রাথমিক দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৫ জুন, ০-০ সমতায় থাকা অবস্থায়, মিশরের বিপক্ষে উরুগুয়ের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী খেলার শেষ মিনিটে তিনি জয়সূচক গোলটি করেন ।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে, তাবারেজ ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৯ কোপা আমেরিকার জন্য চূড়ান্ত ২৩ সদস্যের উরুগুয়ে দলে গিমেনেজকে অন্তর্ভুক্ত করেন । পোর্তো আলেগ্রেতে জাপানের সাথে ২-২ গ্রুপ ড্রতে তিনি সমতাসূচক গোল করেন এবং কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া সত্ত্বেও টুর্নামেন্টের সেরা দলে একমাত্র উরুগুয়েয়ান ছিলেন।