সান্তিয়াগো বুয়েনো এর জীবনী | Biography of Santiago Bueno

সান্তিয়াগো বুয়েনো এর জীবনী | Biography of Santiago Bueno

May 28, 2025 - 10:56
May 28, 2025 - 13:01
 0  1
সান্তিয়াগো বুয়েনো এর জীবনী | Biography of Santiago Bueno

১৯৭১ সালে সান্তিয়াগো বের্নাবেউ

ব্যক্তিগত তথ্য

পূর্ণ নাম

সান্তিয়াগো বের্নাবেউ দে ইয়েস্তে

জন্ম

৮ জুন ১৮৯৫

জন্ম স্থান

আলমানসা, আলবাস্তে, স্পেন

মৃত্যু

২ জুন ১৯৭৮ (বয়স ৮২)

মৃত্যুর স্থান

মাদ্রিদ, স্পেন

মাঠে অবস্থান

স্ট্রাইকার

যুব পর্যায়

রিয়াল মাদ্রিদ

জ্যেষ্ঠ পর্যায়*

বছর

দল ম্যাচ (গোল)

১৯১১–১৯২৭

রিয়াল মাদ্রিদ [দ্রষ্টব্য ১] (০)

পরিচালিত দল

১৯২৭–১৯৩৩

রিয়াল মাদ্রিদ (ফুটবল পরিচালক)

১৯৩৩–১৯৩৬

রিয়াল মাদ্রিদ (সহযোগী ম্যানেজার)

১৯৩৬–১৯৪১

রিয়াল মাদ্রিদ

১৯৪৩–১৯৭৮

রিয়াল মাদ্রিদ (সভাপতি)

* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

সান্তিয়াগো বার্নাব্যু (ফুটবলার)

সান্তিয়াগো বের্নাবেউ দে ইয়েস্তে 

(স্পেনীয় উচ্চারণ: [sanˈtjaɣo βeɾnaˈβeu̯ ˈʝeste]; ৮ জুন ১৮৯৫ – ২ জুন ১৯৭৮) ছিলেন একজন আক্রমণভাগের ফুটবলার খেলোয়াড়,যিনি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতেন। তাকে রিয়ালের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন।

সাধারণত রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবকে স্পেন এবং ইউরোপের সবচেয়ে সফল ফুটবল ক্লাব হিসেবে রূপান্তরের জন্য তার অবদান সবচেয়ে বেশি বিবেচনা করা হয়। দলের বর্তমান স্টেডিয়াম তার সম্মানে নামকরণ করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর ১৯৪৩ থেকে জুন ১৯৭৮ পর্যন্ত ৩৫ বছরের জন্য ক্লাবের সভাপতি ছিলেন।

সান্তিয়াগো ইগনাসিও বুয়েনো সিউতো (Santiago Ignacio Bueno Sciutto) একজন উরুগুয়ান পেশাদার ফুটবলার, যিনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স এবং উরুগুয়ে জাতীয় দলের হয়ে সেন্টার-ব্যাক হিসেবে খেলেন।

প্রাথমিক জীবন ও ক্যারিয়ারের সূচনা

বুয়েনো ১৯৯৮ সালের ৯ নভেম্বর উরুগুয়ের মন্টেভিডিও শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১০ বছর বয়সে পেনারোলের যুব একাডেমিতে যোগ দেন এবং ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর ক্লাব নাসিওনালের বিপক্ষে পেশাদার অভিষেক করেন। তার প্রতিভা ইউরোপীয় স্কাউটদের নজরে আসে এবং ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তিনি স্প্যানিশ ক্লাব এফসি বার্সেলোনায় যোগ দেন।

ক্লাব ক্যারিয়ার

 পেনারোল (২০১৬–২০১৭)

পেনারোলে বুয়েনো মূলত যুব দলে খেলেছেন এবং সিনিয়র দলে তার সুযোগ সীমিত ছিল।

 বার্সেলোনা বি ও পেরালাদা (২০১৭–২০১৯)

বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর তিনি বার্সেলোনা বি দলে খেলেন এবং ২০১৮–২০১৯ মৌসুমে সিডি পেরালাদায় ধারে যান, যেখানে তিনি ৪১টি ম্যাচে ৩টি গোল করেন।

 জিরোনা এফসি (২০১৯–২০২৩)

২০১৯ সালে বুয়েনো জিরোনা এফসিতে যোগ দেন। তিনি ক্লাবটির হয়ে ১২০টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন এবং ৪টি গোল করেন।

🐺 উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স (২০২৩–বর্তমান)

২০২৩ সালের আগস্টে বুয়েনো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সে পাঁচ বছরের চুক্তিতে যোগ দেন। ২০২৪–২৫ মৌসুম পর্যন্ত তিনি ক্লাবটির হয়ে ৭৮টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ২টি গোল করেছেন।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

বুয়েনো উরুগুয়ের অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-২০ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ২০১৭ সালে দক্ষিণ আমেরিকান যুব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে তিনি উরুগুয়ে জাতীয় দলের ৫৫ সদস্যের প্রাথমিক বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত হন, তবে চূড়ান্ত দলে সুযোগ পাননি। ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ জাপানের বিপক্ষে ১–১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে তিনি জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক করেন।

প্রাক-গৃহযুদ্ধ

বের্নাবেউ স্পেনের আলবাস্তে আলমান্সায় জন্মগ্রহণ করেন। যখন খুব ছোট ছিলেন তার পরিবার তখন মাদ্রিদে চলে যায়। কয়েক বছর ধরে মাদ্রিদের ম্যাচগুলিতে নিয়মিত দর্শক হওয়ার পর ১৯০৯ সালে ১৪ বছর বয়সে রিয়াল মাদ্রিদ যুব দলে যোগ দেয়। ১৯২৭ সালে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে। সে বেশ কয়েক বছর ধরে দলের অধিনায়ক হিলেন। ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত তিনি ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলেন, প্রথম পরিচালক হিসেবে পরে সহযোগী ম্যানেজার এবং পরবর্তীতে প্রথম দলের ম্যানেজার হয়ে ওঠে।

গৃহযুদ্ধ

১৯৩৬ সালে স্পেনের গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে সকল ধরনের স্পেনীয় ফুটবল খেলা বন্ধ হয়ে যায়। যুদ্ধের সময় তিনি জেনারেল আগুস্তিন মুনিয়োস গ্রান্দেসের

ের অধীনে একজন সৈনিক হিসেবে জাতীয়তাবাদীদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন।

গৃহযুদ্ধের পরে

যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে স্পেনে আবার ফুটবল শুরু হয়, তবে ততোদিনে রিয়াল মাদ্রিদ একটি মৃত ক্লাব হয়ে যায়। পুরানো প্রশাসক (বেশ কয়েকজন যুদ্ধের সময় নিহত বা গুম হয়ে গিয়েছিল) এবং এমনকি তাদের প্রারম্ভিক বছরে অর্জন করা ক্লাবের ট্রফিগুলিও চুরি হয়ে গিয়েছিলো।রিয়াল মাদ্রিদ প্রাথমিকভাবে পুনর্নির্মাণে কোনও সরকারি সহায়তা পায়নি। বার্নাব্যুই পরবর্তী কয়েক মাস ধরে সাবেক খেলোয়াড়, পরিচালক এবং ক্লাব সদস্যদের খোজ করেন এবং যোগাযোগের জন্য ব্যস্ত ছিলেন। অবশেষে ক্লাবটির পুনর্গঠন করেন।

১৯৪৩ সালে এফসি বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের জয় লাভের পর সরকার সহিংসতার পর সরকার একটি সমাধান নিল এবং ক্লাবের দুই ক্লাবের সভাপতিদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। বার্নাব্যু রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২ জুন ১৯৭৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।

সাফল্য তৎক্ষণাৎ আসেনি। ক্লাবটি তখনও খুব খারাপ অবস্থায় ছিলো এবং অন্যান্য ক্লাবগুলি যেমন আতলেতিকো মাদ্রিদ, বার্সেলোনা এবং অ্যাথলেতিক বিলবাও খুব শক্তিশালী দল ছিল।

বার্নাব্যু তার পরিকল্পনা শুরু করেন।তিনি প্রত্যেক স্তরে বয়সভিত্তিক দল গঠন করেন এবং প্রত্যেক দলের হন্য আলাদা আলাদা প্রশিক্ষক এবং প্রযুক্তিগত দল নিয়োগ করেন।বর্তমানে সকল পেশাদার ক্লাব নিজেদের খেলোয়াড় তৈরির জন্য এই পরিকল্পনা ব্যবহার করছে।

তারপরে তিনি ইউরোপের বৃহত্তম স্টেডিয়াম তৈরির প্রচেষ্টা করেছিলেন, এটি "এত ছোট ক্লাবের জন্য বড় স্টেডিয়াম" বলে মন্তব্য করা হয়েছিল,যেটা বর্তমান এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। সিউদাদ দেপর্তিভো নামক অনুশীলনের জন্য স্টেডিয়াম নির্মিত হয় যাতে খেলোয়াড়রা মূল স্টেডিয়াম ক্ষতিগ্রস্ত করা ছাড়া অনুশীলন করতে পারে। অবশেষে, তিনি বিদেশ থেকে বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের স্বাক্ষর করার একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী কৌশল শুরু করেছিলেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিলেন আলফ্রেদো দি স্তেফানোর স্বাক্ষর, এবং বিশ্বের প্রথম সত্যিকারের বহুজাতিক ক্লাব তৈরি করেছিলেন। বার্নব্যুয়ের সভাপতিত্বকালে সময়ে রিয়াল মাদ্রিদে অনেক কিংবদন্তি খেলেছে।

ইউরোপে প্রভাব ও সম্মান

১৯৫৫ সালে, লেকিপ সাংবাদিক গ্যাব্রিয়েল হ্যানোটের প্রস্তাবিত ধারণার উপর কাজ করেন এবং কোপা ল্যাটিনা (ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল এবং ইতালির ক্লাবগুলিকে নিয়ে একটি টুর্নামেন্ট) গড়ে তোলার জন্য, বার্নাব্যু প্যারিসের অ্যাম্বাসেডর হোটেলে বেদ্রিগনান এবং গুস্তাভ সেবেসের সাথে দেখা করেন। প্রথমে আমন্ত্রিত দলগুলির মধ্যে খেলা একটি প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা তৈরি করা হয়েছিলো, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যা বর্তমানে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে পরিণত হয়েছে। উয়েফা প্রশাসনের অধীনে, এটি বিশ্বের প্রধান ক্লাব টুর্নামেন্ট।[যাচাই করার জন্য উদ্ধৃতি প্রয়োজন]

বার্নাব্যু, ১৯৫৮ সালে বিমান বিপর্যয়ের পরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে সাহায্যের প্রস্তাব দেয়।

তার মৃত্যুর সময়, বার্নাব্যু৩৫5 বছর ক্লাবের সভাপতি ছিলেন, এই সময়ে তার ক্লাব ১টি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ, ৬টি ইউরোপিয়ান কাপ, ১৬টি লীগ শিরোপা, ৬টি স্পেনীয় কাপ, ২টি ল্যাটিন কাপ এবং ১টি কোপা ইভা ডুয়ার্তে জিতেছিল। ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনায় বিশ্বকাপ খেলা চলাকালীন সময় তিনি মারা যান। তার সম্মানে ফিফা টুর্নামেন্ট চলাকালীন তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছিলো।

২০০২ সালে, তিনি মরণোত্তর ফিফা অর্ডার অফ মেরিটে ভূষিত হন।

ব্যক্তিগত জীবন

সান্তিয়াগো বুয়েনোর বড় ভাই গাস্তন বুয়েনো একজন পেশাদার ফুটবলার এবং তার চাচাতো ভাই গনজালো বুয়েনো উরুগুয়ের যুব জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন।

 সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান (২০২৪–২৫ মৌসুম)

  • উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স: ২৮টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ১৮টি ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন।

  • উরুগুয়ে জাতীয় দল: ২০২৩ সাল থেকে জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন।

 অতিরিক্ত তথ্য

  • উচ্চতা: ১.৯০ মিটার

  • ওজন: ৭৬ কেজি

  • পজিশন: সেন্টার-ব্যাক

  • বর্তমান ক্লাব: উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স

  • জার্সি নম্বর: ৪

  • পছন্দের পা: ডান

sourse:  wikipedia

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0