হামজা চৌধুরি এর জীবনী | Biography of Hamza Choudhury
হামজা চৌধুরি এর জীবনী | Biography of Hamza Choudhury

ব্যক্তিগত তথ্য |
|||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম |
হামজা দেওয়ান চৌধুরী | ||
জন্ম |
১ অক্টোবর ১৯৯৭ | ||
জন্ম স্থান |
লাফবারা, ইংল্যান্ড | ||
উচ্চতা |
৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার) | ||
মাঠে অবস্থান |
মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য |
|||
বর্তমান দল
|
শেফিল্ড ইউনাইটেড |
||
জার্সি নম্বর |
২৪ | ||
যুব পর্যায় |
|||
২০১১–২০১৫ |
লেস্টার সিটি | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* |
|||
বছর |
দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১৫– |
লেস্টার সিটি | ৯১ | (১) |
২০১৬–২০১৭ |
→ বার্টিন আলবিয়ন (ধার) | ১৩ | (০) |
২০২২–২০২৩ |
→ ওয়াটফোর্ড (ধার) | ৩৬ | (০) |
২০২৫– |
১শেফিল্ড ইউনাইটেড (ধার) | ৮ | (০) |
জাতীয় দল‡ |
|||
২০১৮–২০১৯ |
ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ | ৭ | (০) |
২০২৫– |
বাংলাদেশ | ১ |
হামজা চৌধুরী যেভাবে ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের হলেন
হামজা দেওয়ান চৌধুরী
(জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯৯৭) একজন বাংলাদেশি ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লিগের ২য় স্তর ইএফএল চ্যাম্পিয়নশিপ শেফিল্ড ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব এবং বাংলাদেশের হয়ে মধ্য মাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত রক্ষণাত্মক মধ্য মাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝে মধ্যে কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর জানায় যে হামজা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
হামজা ইংল্যান্ডের লেস্টারশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তিনি জন্মগতভাবে একজন বাংলাদেশী মা ও গ্রেনাডীয় পিতার সন্তান। হামজা একটি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মুসলিম পরিবারে নিজের মাতা ও সৎ পিতার কোলে বেড়ে ওঠেন এবং শৈশব থেকেই তিনি বাংলাদেশ সফর করছেন। তার মায়ের পৈতৃক নিবাস হল বাংলাদেশের হবিগঞ্জের বাহুবলে। তার সৎ বাবাও বাঙালি। চৌধুরী স্বাচ্ছন্দ্যে সিলেটি ভাষায় কথা বলতে পারেন। তিনি তার পূর্বপুরুষের মাধ্যমে গ্রেনাডা জাতীয় দলের হয়ে খেলার যোগ্য।
চৌধুরী একজন সুন্নি মুসলিম এবং তার যৌবনে সান্ধ্য মাদ্রাসায় পড়তেন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন যে, ম্যাচের জন্য চেঞ্জিং রুম থেকে বের হওয়ার আগে, তিনি আরবীতে কুরআনের কিছু অংশ; যেমন: আয়াত আল কুরসি ও বিভিন্ন দুআ পাঠ করেন।
২০১৯ সালের এপ্রিল তিনি ঐতিহাসিক একটি টুইটের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। পরে তাকে অসদাচরণের জন্য অভিযুক্ত করা হয় এবং ৫,০০০ ইউরো জরিমানা করা হয় এবং একটি শিক্ষাগত কোর্সে রাখা হয়।
তিনি এবং তার স্ত্রীর ২০১৮, ২০২০ ও ২০২৩ সালে জন্মগ্রহণকারী তিনটি সন্তান রয়েছে।
ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন
২০২১ সালে এফএ ফাইনাল কাপ জয়ের পর হামজা তার একজন বন্ধুর সাথে ফিলিস্তিনি পতাকা উচিয়ে বিজয় উৎযাপন করেন, যখন ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত চলছিল।
ক্লাব কর্মজীবন
হামজা তার খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন ব্রিটিশ ক্লাব লেস্টার সিটির একাডেমিতে ২০১১–১২ মৌসুমে খেলার মাধ্যমে, এবং মাত্র ১৬ বছর বয়সে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ইউরোপিয়ান ক্লাবের নজরে আসেন। ২০১৬ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি, তিনি লিগ ওয়ান ক্লাব বার্টন আলবিয়নে ১ মাসের জন্য ধারে খেলার চুক্তিতে যোগ দেন ওই একই দিনে, তিনি ব্রিটিশ ফুটবল লিগে আত্মপ্রকাশ করেন, যেখানে ৭৭তম মিনিটে টম নেয়লরের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন। ইংল্যান্ডের বার্টনে অবস্থিত ফিরেল্লি স্টেডিয়ামে ওয়ালশালের বিপক্ষে ম্যাচটি ০-০ গোলে ড্র হয়।বার্টন আলবিয়নে তিনি ২টি মৌসুম অতিবাহিত করেন, যেখানে তিনি ২৬টি ম্যাচ খেলেন।
২০১৬ সালের ৬ই আগস্ট, হামজা আবারও বার্টন আলবিয়নের সাথে ২০১৬-১৭ মৌসুমের জন্য ধারে খেলার চুক্তি করেন। ওই দিনই, তিনি বার্টনের হয়ে প্রথমবারের মতো ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়নশিপে মাঠে নামেন, যেখানে নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে একটি গোলে সহায়তা করেন, যদিও তার দল ৪-৩ ব্যবধানে পরাজিত হয়। ২০১৭–১৮ মৌসুমে, তিনি বার্টন আলবিয়নের হয়ে ধারের খেলা শেষ করে পুনরায় লেস্টার সিটিতে যোগদান করেন।
২০১৭ সালের ১৯শে মার্চ, হামজার লেস্টার সিটির হয়ে অভিষেক হয়, ইএফএল কাপের তৃতীয় রাউন্ডে লিভারপুলের বিপক্ষে। খেলার ৮২তম মিনিটে মাঠে নেমে তিনি দলের জয়ে অবদান রাখেন, যা তাদের হোম গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০২২–২৩ মৌসুমে, তিনি ধারে লেস্টার সিটি থেকে ইংরেজ ক্লাব ওয়াটফোর্ডে যোগদান করেন।
আন্তর্জাতিক কর্মজীবন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে হামজা চৌধুরীর আর কোনও বাধা নেই।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ১৯শে ডিসেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, "বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছেন।"
প্রথমে হামজা নিজের ইচ্ছা প্রকাশ, অতঃপর বাংলাদেশের তরফ থেকে চেষ্টা, আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবনা, চলতি বছর বাংলাদেশের পাসপোর্ট হাতে পাওয়া, ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সবুজ সংকেত এবং সবশেষ ফুটবল বিশ্বের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার অনুমোদন পেয়ে লাল সবুজ জার্সি গায়ে বাংলাদেশের জাতীয় দলের হয়ে খেলা হামজা চৌধুরীর জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।
অনেকেই প্রত্যাশা করছিলেন হামজা চৌধুরী নভেম্বরে মালদ্বীপের বিপক্ষেই বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামবেন। ফিফার অনুমতি পেতে দেরির পাশাপাশি খানিকটা চোটেও ভুগছিলেন এই লেস্টার সিটি মিডফিল্ডার।
২০১৮ সালের ২৬ ই মে ২০১৮ তোলুন টুর্নামেন্টে চীন অনূর্ধ্ব-২১ এর বিরুদ্ধে ২-১ তে জয়ের প্রধান কারিগর হিসাবে চৌধুরী ইংল্যান্ড জাতীয় অনূর্ধ্ব-২১ ফুটবল দলের হয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে টুর্নামেন্টের পরবর্তী ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে ০-০ গোলে ম্যাচ ড্র শুরু করেন।
২০১৯ সালের ২৭ মে তাকে ২০১৯ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্যে ইংল্যান্ডের ২৩ সদস্যের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল; কিন্তু ফ্রান্সের কাছে প্রথমার্ধে ২-১ গোলে পরাজয়ের সময় একটি বেপরোয়া ট্যাকলের জন্য তাকে সোজা লাল কার্ড দেখানো হয়েছিল।
বাংলাদেশ এবং গ্রেনাডার প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা থাকার পরও চৌধুরী ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রকাশ করেছিলেন যে, তার লক্ষ্য ছিল ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা: "ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা আমার সবচে বড় স্বপ্ন; সিনিয়র দলের প্রতিনিধিত্ব করা আমার স্বপ্ন"। যাহোক, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কিছু রিপোর্ট নিশ্চিত করে যে, তিনি ২০২৪ সালের মার্চে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে যোগদান করার ব্যাপারে আলোচনায় ছিলেন।
২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট, তিনি বাংলাদেশী পাসপোর্ট পান এবং ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাকে একটি অনাপত্তি সনদ (NOC) প্রদান করে এবং তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার অনুমতি দেয়।
৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখে, হামজাকে বাংলাদেশের ২০২৭ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্রাথমিক দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল - ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ । ২৫ মার্চ, ভারতের বিরুদ্ধে ০-০ গোলে ড্র করে বাংলাদেশের হয়ে তার অভিষেক হয়েছিল।
হামজা চৌধুরী কোন দেশের ফুটবলার?
হামজা চৌধুরী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হলেও তিনি ইংল্যান্ডের একজন মিড ফিল্ডার। যিনি ফুটবল মাঠে মাঝ মাঠের খেলোয়াড়। অতি সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে এসেছেন এবং বাংলাদেশের জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলছেন। দেশের প্রতি ভালোবাসার টানে তিনি বাংলাদেশের ছুটে এসেছেন। বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারেশন তাকে জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। বাংলাদেশের ফুটবলেে হামজা চৌধরের ছোঁয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। তার ফুটবল নৈপুণ্যের কারণে দেশের ফুটবল আলোকিত হবে বলে ফুটবল প্রেমীরা ধারণা করছেন।
হামজা চৌধুরী কোন ক্লাবে খেলেন?
চৌধুরী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হলেও তিনি ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার সৎ পিতা গ্রানাডিয়ো হওয়ার কারণে তিনি ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। এবং তাঁর ফুটবল নৈপূণ্য সারা বিশ্বে মানুষকে মুগ্ধ করেছিল। তিনি ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লীগের চ্যাম্পিয়নশিপ শেফিল্ড ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব এর খেলোয়াড় হিসেবে দীর্ঘদিন ফুটবল খেলেছেন। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশের হয়ে বিশ্ব ফুটবল মঞ্চে নিজের কৃতিত্বকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ২০২৪ সালের ১৯ শে ডিসেম্বর হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুমতি পেয়েছেন।সেই থেকে তিনি নিয়মিত জাতীয় দলের ফুটবলার হিসেবে খেলছেন।
বাংলাদেশের এই সকল উজ্জল নক্ষত্র যদি এভাবে দেশে ফিরে আসেন এবং দেশের জন্য কাজ করেন তাহলে বাংলাদেশ সমৃদ্ধশালী হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।সম্প্রতি নোবেল বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ দেশে ফিরে এসে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন এবং সফলতার সাথে দেশ পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি দেশের আর একজন বিশেষ ব্যক্তিত্ব জনাব আশিক চৌধুরী দেশের ফিরে এসে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।। আরো একজন বিশেষ ব্যক্তি দেশে ফিরে এসেছেন তিনি হলেন ডঃ ইমাদুর রহমান। সারা বিশ্বে বিশেষ এই ব্যক্তির ব্যাপক সুনাম রয়েছে।
SOURSE : wikipedia ...muktoinfo ....bbc
What's Your Reaction?






