স্টিফেন ফ্লেমিং এর জীবনী biography of Stephen Fleming
স্টিফেন ফ্লেমিং এর জীবনী-biography of Stephen Fleming

ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
পূর্ণ নাম
|
স্টিফেন পল ফ্লেমিং
|
জন্ম |
১ এপ্রিল ১৯৭৩ ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
বামহাতি ব্যাটসম্যান |
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম |
ভূমিকা | অধিনায়ক, উচ্চ মধ্যসারির ব্যাটসম্যান |
স্টিফেন পল ফ্লেমিং, ওএনজেডএম (ইংরেজি: Stephen Fleming; জন্ম: ১ এপ্রিল, ১৯৭৩) ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে ‘ব্ল্যাক ক্যাপস’ নামে পরিচিত নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন স্টিফেন ফ্লেমিং।
১১১টি টেস্ট খেলে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বাধিক টেস্ট খেলোয়াড়ের মর্যাদা লাভ করেন। পাশাপাশি সবচেয়ে অধিক সময় খেলেন ও দলের নেতৃত্বে থেকে ভারত, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের মাধ্যমে সর্বাধিক সফলতা লাভ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
৯ মে, ২০০৭ তারিখে দীর্ঘদিনের বান্ধবী কেলি পেইনের সাথে ওয়েলিংটনে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ দম্পতির কন্যা টেলা ২০০৬ সালে জন্মগ্রহণ করে।[৯] ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সেমি-ফাইনালের পূর্বে দ্বিতীয় সন্তান কুপারের জন্মগ্রহণের কারণে নিউজিল্যান্ডে ফিরে আসেন। তার বাবা সাউথ ক্রাইস্টচার্চ ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ২০১১ সালে রাণীর জন্মদিনের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ক্রিকেটে সবিশেষ ভূমিকা রাখায় তাকে নিউজিল্যান্ড অর্ডার অব মেরিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
খেলোয়াড়ী জীবন
বামহাতি ব্যাটসম্যান ফ্লেমিং মার্চ, ১৯৯৪ সালে টেস্টে অভিষিক্ত হন। ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে ৯২ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেছিলেন তিনি। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে তিনি তার প্রথম সেঞ্চুরি করেন। ঐ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে লি জার্মনের কাছ থেকে অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন মাত্র ২৩ বছর ৩২১ দিন বয়সে। এরফলে তিনি নিউজিল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়কের মর্যাদা লাভ করেন।
ভারতের হেড কোচ কি স্টিফেন ফ্লেমিং! জোর জল্পনা
মুম্বই: ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য কি ফের বিদেশি কোচ নিযুক্ত হতে চলেছে? জল্পনা কিন্তু সেরকমই। শোনা যাচ্ছে, চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংকে (Stephen Fleming) চাইছে বিসিসিআই (BCCI)। পছন্দের তালিকায় আছেন টম মুডিও (Tom Moody)। তবে ভারতীয় বোর্ড চাইছে প্রাক্তন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ককেই। তবে তার জন্য ফ্লেমিংকে আবেদন করতে হবে, তাহলেই কথাবার্তা এগোবে।
১৩ মে বিসিসিআই ঘোষণা করেছিল, রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) চুক্তি শেষ হচ্ছে জুন মাসে। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে কাজ করতে চাইলে ২৭ মে-র (আইপিএল ফাইনালের পরের দিন) মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। বোর্ড সচিব জয় শাহ (Jay Shah) জানিয়েছিলেন, দ্রাবিড় নিজেও নতুন করে আবেদন করতে পারেন। সচিব আরও বলেন, দেশি বা বিদেশি কোচ নিয়ে কোনও বাছবিছার নেই। ইঙ্গিত ছিল সেদিনই।
সূত্রের খবর, শর্টলিস্ট করা প্রার্থীদের ইন্টারভিউ করার আগেই আবেদন করবেন সিএসকে কোচ। ২০০৯ সালে চেন্নাইয়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগ দেওয়ার পর অভূতপূর্ব সাফল্য এনে দিয়েছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) ক্যারিজমা বরাবর সাফল্যের কৃতিত্ব নিয়ে নিলেও ভারতীয় বোর্ড ফ্লেমিংয়ের অবদানের যথাযথ সম্মান করে। অন্যদিকে ২০১৬ সালের আইপিএল জয়ী সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (SRH) হেড কোচ পদে ছিলেন মুডি।
প্রসঙ্গত, ভারত শেষবার আইসিসি ট্রফি (ICC Trophy) জিতেছিল বিদেশি কোচের আমলেই। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের সময় হেড কোচ ছিলেন ডানকান ফ্লেচার (Duncan Fletcher)। তার আগে ২০১১ সালে গ্যারি কার্স্টেনের (Gary Kirsten) আমলে ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছিল ধোনির ভারত। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর চাকরি যায় ফ্লেচারের। তারপর রবি শাস্ত্রী, অনিল কুম্বলে, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো হাইপ্রোফাইল হেডস্যররা এলেও আইসিসি ট্রফি আসেনি।
ভারতের ক্রিকেট কোচ হতে পারেন স্টিফেন ফ্লেমিং
আইপিএল চলাকালে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এলো এক দারুণ খবর। ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ হচ্ছেন দেশটির বাইরের একজন। আর তিনি হলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও কৃতি ওপেনিং ব্যাটার স্টিফেন ফ্লেমিং।
সম্প্রতি ভারতীয় দলের প্রধান কোচের পদের জন্য আবেদন জানিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। কিছু মিডিয়ার রিপোর্টে দাবি, আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের কোচ ফ্লিমিংকেও এই পদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, ‘বিসিসিআই ফ্লেমিংয়ের সঙ্গে পোস্টটি নিয়ে আলোচনা করছে। ফ্লেমিংয়ের মেয়াদে চেন্নাই পাঁচবার আইপিএল শিরোপা জিতেছে এবং বোর্ড বিশ্বাস করে যে, ফ্লেমিং ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য উপযুক্ত প্রার্থী হবেন।’
তবে এ সব আলোচনার মধ্যেই বেরিয়ে এসেছে চেন্নাই’র বক্তব্যও।
এই খবরের পরেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফ্লেমিং ভারতীয় দলের কোচ হলে বড় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। ফ্লেমিংয়ের সব পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে চেন্নাইয়ের সিইও কাশী বিশ্বনাথন ফ্লেমিংয়ের কোচ হওয়ার খবর নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত এমন কিছু শুনিনি। ফ্লেমিংও এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি।
শ্রীলঙ্কার একটি আদালত লিজেন্ডস ক্রিকেট লিগের (অস্বীকৃত আসর) সময় ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য ভারতীয় নাগরিক ইয়োনি প্যাটেল ও পি আকাশের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। দুজনই বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
ম্যাচ ফিক্সিং মামলার রায়ে এই নির্দেশ দিয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধেই ওই ক্রিকেট লিগে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। বলা হচ্ছে, ৮ থেকে ১৯ মার্চ ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ফিক্সিংয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত ইয়োনি প্যাটেল ক্যান্ডি সোয়াম্প আর্মি দলের মালিক।
লিগের ফাইনাল ম্যাচে নিউইয়র্ক সুপার স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে শিরোপা জেতে রাজস্থান কিংস। শ্রীলঙ্কার সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা (বর্তমানে জাতীয় নির্বাচকদের চেয়ারম্যান) এবং নিউজিল্যান্ডের সাবেক খেলোয়াড় নিল ব্রুম, আসামী ও আকাশের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয বিষয়ে ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের বিশেষ তদন্ত ইউনিটের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগপত্রে তারা বলেন যে, লিগে খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে ওই দুজনই ম্যাচ ফিক্স করার জন্য তাদের কাছে গিয়েছিলেন।
মূল্যায়ন
মূলতঃ তিনি তার অধিনায়কত্বের জন্য স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। শেন ওয়ার্নের ন্যায় ক্রিকেটারগণ তাকে বিশ্ব ক্রিকেটে সেরা অধিনায়কদের একজনরূপে অভিহিত করেছেন।সাম্প্রতিককালে গ্রেম সোয়ান তার দেখা সত্যিকারের দুইজন অধিনায়কদের মধ্যে অ্যান্ড্রু স্ট্রসের সাথে তাকেও অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
তীক্ষ্ণবুদ্ধিসম্পন্ন অধিনায়ক হিসেবে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের সুনাম ছিল। এছাড়াও, ধ্রুপদী ঘরানার বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। ১১১টি টেস্টে অংশগ্রহণ করে নিউজিল্যান্ডীয়দের মাঝে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে আরোহণ করেছেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাত সহস্রাধিক রান তুলতে পেরেছেন। মার্টিন ক্রো’র অবসর গ্রহণের পর একদল তরুণ খেলোয়াড়কে সাথে নিয়ে দল পরিচালনায় অগ্রসর হন। এ সময়ে তিনবার ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার সৌভাগ্য হয় তার। কিন্তু কোনবারই সফলতা পাননি। তবে, স্বর্ণালী মুহূর্ত আসে ২০০০ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। তার দল প্রথমবারের মতো আইসিসির কোন শিরোপা লাভে সক্ষম হয়।
অবসর
২৬ মার্চ,২০০৮ তারিখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি।
২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চেন্নাই সুপার কিংস দলে $৩৫০,০০০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হন। পরবর্তীতে ২০০৯ সাল থেকে দলীয় কোচের দায়িত্বভার পালন করছেন। ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সালে বিগ ব্যাশ লিগে মেলবোর্ন স্টার্সের কোচ হিসেবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
আন্তর্জাতিক তথ্য | |
---|---|
জাতীয় দল |
|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৮৮) |
১৯ মার্চ ১৯৯৪ বনাম ভারত |
শেষ টেস্ট | ২২ মার্চ ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড |
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৮৮) |
২৫ মার্চ ১৯৯৪ বনাম ভারত |
শেষ ওডিআই | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ বনাম শ্রীলঙ্কা |
ওডিআই শার্ট নং | ৭ |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ১ অক্টোবর ২০১৪
|
sourse:songbadprokash: kolkatatvonline: wikipedia...
What's Your Reaction?






