হাকিম জিয়েচ এর জীবনী | Biography of Hakim Ziyech

হাকিম জিয়েচ এর জীবনী | Biography of Hakim Ziyech

May 28, 2025 - 01:59
 0  1
হাকিম জিয়েচ এর জীবনী | Biography of Hakim Ziyech

ব্যক্তিগত তথ্য

পূর্ণ নাম

হাকিম জিয়েশ

জন্ম

১৯ মার্চ ১৯৯৩ (বয়স ৩২)

জন্ম স্থান

ড্রন্তে, নেদারল্যান্ডস

উচ্চতা

১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি)

মাঠে অবস্থান

মধ্যমাঠের খেলোয়াড়

ক্লাবের তথ্য

বর্তমান দল

আয়াক্স

জার্সি নম্বর

১০

যুব পর্যায়

রিয়াল ড্রন্তে

–২০০৪

এএসভি ড্রন্তে

২০০৪–২০১২

হিরেনভিন

জ্যেষ্ঠ পর্যায়*

বছর

দল ম্যাচ (গোল)

২০১২–২০১৪

হিরেনভিন ৩৬ (১১)

২০১৪–২০১৬

টোয়েন্টে ৬৮ (৩০)

২০১৬–

আয়াক্স ৬২ (১৬)

জাতীয় দল

২০১২

নেদারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ (০)

২০১২–২০১৩

নেদারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২০ (১)

২০১৩–২০১৪

নেদারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ (২)

২০১৫–

মরক্কো ১৫ (৮)

অবসর ভাঙা মরক্কোর মহানায়ক

হাকিম জিয়েশ 

(জন্ম: ১৯ মার্চ ১৯৯৩) হলেন মরক্কোর একজন পেশাদার ফুটবলার, যিনি ওলন্দাজ ক্লাব এএফসি আয়াক্স এবং মরক্কো জাতীয় দলের হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি আয়াক্সের হয়ে এরেডিভিসিতে খেলেন। তিনি তার খেলার কৌশল এবং ফ্রি-কিকের ক্ষমতার জন্য অধিক পরিচিত।

হাকিম জিয়েচ (Hakim Ziyech) একজন মরক্কান পেশাদার ফুটবলার, যিনি মূলত ডান উইঙ্গার ও অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। তিনি তাঁর সৃজনশীলতা, ড্রিবলিং দক্ষতা, এবং ফ্রি-কিক নেওয়ার ক্ষমতার জন্য পরিচিত।

 ব্যক্তিগত তথ্য

  • পূর্ণ নাম: হাকিম জিয়েচ

  • জন্ম তারিখ: ১৯ মার্চ ১৯৯৩ (বয়স ৩২)

  • জন্মস্থান: ড্রনটেন, নেদারল্যান্ডস

  • উচ্চতা: ১.৮০ মিটার

  • পজিশন: ডান উইঙ্গার / অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার

  • পছন্দের পা: বাম

  • বর্তমান ক্লাব: আল-দুহাইল এসসি (কাতার)

  • জাতীয় দল: মরক্কো

 ক্লাব ক্যারিয়ার

১. হেরেনভেন (২০১২–২০১৪)

জিয়েচ তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন ডাচ ক্লাব হেরেনভেনের হয়ে। ২০১২ সালে তিনি প্রথমবারের মতো ক্লাবের মূল দলে সুযোগ পান এবং একই বছরে ইউরোপা লিগে অভিষেক করেন।

২. টুয়েন্টে (২০১৪–২০১৬)

২০১৪ সালে তিনি এফসি টুয়েন্টেতে যোগ দেন, যেখানে তিনি তাঁর সৃজনশীল খেলা এবং গোল করার ক্ষমতা দিয়ে নজর কাড়েন।

৩. আয়াক্স (২০১৬–২০২০)

২০১৬ সালে জিয়েচ আয়াক্সে যোগ দেন। এখানে তিনি ২০১৮–১৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছান এবং ডাচ লিগ ও কাপ জয় করেন।

৪. চেলসি (২০২০–২০২৩)

২০২০ সালে তিনি ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে যোগ দেন। চেলসির হয়ে তিনি ২০২১ সালে UEFA চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, UEFA সুপার কাপ এবং FIFA ক্লাব বিশ্বকাপ জয় করেন।

৫. গালাতাসারাই (২০২৩–২০২৪)

২০২৩ সালে তিনি তুর্কি ক্লাব গালাতাসারাইয়ে ধারে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে স্থায়ী চুক্তিতে রূপান্তরিত হয়। তবে ২০২৪ সালে তিনি ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

৬. আল-দুহাইল এসসি (২০২৫–বর্তমান)

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তিনি কাতারের ক্লাব আল-দুহাইল এসসিতে যোগ দেন এবং মার্চ মাসে আল আহলি এসসির বিরুদ্ধে প্রথম গোল করেন।

 আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

জিয়েচ নেদারল্যান্ডসে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি মরক্কোর জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি ২০১৫ সালে মরক্কোর হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক করেন এবং ৬৪টি ম্যাচে ২৫টি গোল করেছেন।

কাতার বিশ্বকাপ শুরুর তখন তিন মাস বাকি। মরক্কো ফুটবলে একদম টালমাটাল অবস্থা। মরক্কোর বসনিয়ান কোচ হালিলহোজিচের সাথে তখন সম্পর্কটা ঠিকঠাক যাচ্ছিল না মরক্কোর দুই তারকা ফুটবলার হাকিম জিয়েচ আর নুসাইর মাজরাউয়ির। হাকিম জিয়েচ তো জাতীয় দলকে সে সময় বিদায়ই বলে দিলেন। এমন সংকটাপন্ন অবস্থায় কোচকে ছাঁটাই করা ছাড়া মরক্কোর আর বিকল্প কোনো রাস্তা খোলা ছিল না।

যেই ভাবনা সেই কাজ। হালিলহোজিচকে কোচের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। তাঁর জায়গায় আনা হলো ওয়ালিদ রেগুরাইকে। বিশ্বকাপ শুরুর তিন মাস আগে কোচ পরিবর্তন। রেগুরাইয়ের উপর তাই বাড়তি একটা চাপ এমনিতেই তখন তৈরি হয়েছিল। তবে তাঁর মূল চ্যালেঞ্জ ছিল হাকিম জিয়েচকে ফিরিয়ে আনা। সেই কাজটায় তিনি ভালভাবেই সফল হয়েছিলেন।

হাকিম জিয়েচ বিশ্বকাপের আগ দিয়েই দলে ফিরেছিলেন। আর শুধু ফিরেই ক্ষান্ত হলেন না। বিশ্বকাপে মরক্কোর একটি রূপকথার জন্ম দিলেন। কখনোই কোয়ার্টার ফাইনালে না খেলা মরক্কো এবার নিজেদের নিয়ে গেল শেষ আটে। এটাকে রূপকথা বলবেন না তো কী বলবেন!

এমনিতে আফ্রিকার দল হিসেবে মরক্কো বেশ শক্তিশালী একটা দল। কিন্তু বিশ্বকাপের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আবার মরক্কো ঢের পিছিয়ে। সেই ১৯৮৬ বিশ্বকাপে একবার তাঁরা রাউন্ড অফ সিক্সটিনে নিজেদের নাম লিখিয়েছিল। সেটিই ছিল তাদের ইতিহাসের সেরা সাফল্য। এ বাদে বিশ্বকাপে আরো চারবার অংশ নিলেও প্রতিবারই তাদের ফিরতে হয়েছে ঐ প্রথম রাউন্ডেই।

এবারও যে খুব আশা নিয়ে মরক্কো দলটা কাতারে এসেছিল, ব্যাপারটা তেমনও নয়। কারণ তাদের গ্রুপে ছিল বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া আর কানাডা। প্রত্যেকটি দলই ছিল তাদের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। তাই ফুটবল বিশ্লেষক থেকে শুরু করে অধিকাংশ ফুটবল অনুরাগীরাই মরক্কোকে এ গ্রুপের সম্ভাব্য চতুর্থ স্থান ধরেই সমীকরণ সাজিয়েছিল।

কিন্তু মরক্কো সেই সব চুলচেরা বিশ্লেষণ, পরিসংখ্যানকে পাত্তা না দিয়ে হয়েছিল সেই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল। এফ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হওয়াতেও আবার একটু জিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ তাঁরা পায়নি। কারণ প্রত্যেকটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল রাউন্ড অফ সিক্সটিনে অপেক্ষাকৃত খর্বশক্তির দলের সাথে খেলার সুযোগ পেয়েছে, সেখানে মরক্কোর ক্ষেত্রে মিলেছে বৈপরীত্ব। কারণ ই গ্রুপের রানার্স আপ দল যে আবার স্পেন। যারা ইউরোপ তো বটেই, পুরো ফুটবল বিশ্বেই ভীতি জাগানিয়া এক দল। টিকিটাকা ফুটবল খেলা স্পেন এ বিশ্বকাপেরই অন্যতম এক ফেবারিট দল ছিল।

কিন্তু সেই ট্যাগলাইনের প্রমাণটা তো করতে হয় মাঠে। আর সেই মাঠের জয়টা গিয়েছে মরক্কোর ঘরে। ম্যাচের সিংহভাগ বল স্পেনের দিকেই ছিল। কিন্তু ঐ যে, ম্যাচ জিততে হয় গোল করে। স্পেন সেই চূড়ান্ত নিশানা পেতেই ব্যর্থ হয়েছে। এতে অবশ্য তাদের ব্যর্থতার চেয়ে মরক্কোর ডিফেন্ডারদের তারিফ করাটাই শ্রেয়। তবে ম্যাচের নায়ক ছিলেন মরক্কোর গোলবার সামলানো ইয়াসিন বুনু। পুরো ম্যাচজুড়েই দারুণ সব সেভ দিয়েছেন।

সেই সাথে শেষের দাপটটা তিনিই দেখিয়েছেন। কারণ পেনাল্টি শ্যুটআউটে যাওয়া ম্যাচে কোনো স্প্যানিশ শ্যুটারই তাঁকে ভেদ করতে পারেনি। স্পেনের নেওয়া তিন শটের তিনটিই তিনি নিজের আগ্রাসনে সেভ করেছেন। কার্যত মরক্কোর জয়টা ওখানেই চলে আসে। মরক্কোর কাব্যগাঁথা লেখা হয় ঐ সব পেনাল্টি সেভের মাধ্যমেই। এমন সব কাব্যগাঁথায় প্রধান চরিত্র হয়ে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে যান গোলরক্ষক বুনু।

শুধু কি মরক্কোর ইতিহাসেই? না। বিশ্বকাপের ইতিহাসেও তো তিনি এক অনন্য কীর্তিতে নাম লিখিয়ে ফেললেন। পেনাল্টি শ্যুটআউটে তিনটি শট সেভ দেওয়ার রেকর্ড এতদিন পর্যন্ত তিনজনের ছিল। এবার সেই ছোট তালিকায় চতুর্থ গোলরক্ষক হিসেবে নিজের নাম লিখিয়ে ফেললেন ইয়াসিন বুনু।

মরক্কোর রাউন্ড অফ সিক্সটিন নিশ্চিত হওয়ার পর ছেলে আশরাফ হাকিমির কপালে মায়ের চুম্বনের একটি দৃশ্য পুরো বিশ্বেরই হৃদয় ছুঁয়েছিল। কারণ তখন সেটা মরক্কোর জন্য অভাবনীয় এক সাফল্য হিসেবেই আবির্ভূত হয়েছিল। স্পেনকে হারিয়ে এবার সেরা আট নিশ্চিত করায় সেই সাফল্যকেও যেন ছাপিয়ে গেল। বিশ্বকাপে মরক্কোর ইতিহাসের সেরা সাফল্যের মঞ্চটা তৈরি হলো এই কাতারেই।

তবে এই দলটার আরো দূর পথ পাড়ি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সবার মধ্যে সেই চেতণার বলয় রয়েছে। সবাই যখন তাদের গ্রুপ পর্বের চতুর্থ দল হিসেবে বিবেচনা করছিল, তখন তাঁরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে একটা বার্তা দিয়ে রেখেছিল। এরপর সবাই যখন বলতে শুরু করলো, এবার আর মরক্কোর রক্ষে নেই, স্পেনের কাছে পাত্তাই পাবে না তাঁরা, তখন তারা আবার প্রমাণ করলো। একটা মাঝারি মানের দলের অপরাজেয় হয়ে ওঠার যাত্রা তো এমনই হয়।

তাই কাতার বিশ্বকাপে আর দুই ধাপ এগোনোও মরক্কোর জন্য এখন খুব অসম্ভব নয়। কারণ বিস্ময়ের প্রতিকূল রাস্তা পেরিয়ে তাঁরা এখন সবাইকে বাস্তমব করতে বাধ্য করেছে। তাই এই মরক্কো আরো দুই একটা রূপকথার জন্ম দিলে বিস্ময়ের কিছু নেই। তবে আজকের রাতটা মরক্কোর জন্য নিশ্চিতভাবেই রূপকথার এক রাত। পুরো মরক্কোবাসী সমস্বরে আজ বলতেই পারে, আজ রাতে রূপকথা আছে।

 অর্জনসমূহ

ক্লাব

  • আয়াক্স:

    • ডাচ লিগ: ২০১৮–১৯

    • ডাচ কাপ: ২০১৮–১৯

  • চেলসি:

    • UEFA চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: ২০২০–২১

    • UEFA সুপার কাপ: ২০২১

    • FIFA ক্লাব বিশ্বকাপ: ২০২১

  • গালাতাসারাই:

    • তুর্কি সুপার লিগ: ২০২৩–২৪

    • তুর্কি সুপার কাপ: ২০২৩

 খেলার ধরণ

জিয়েচ মূলত ডান উইঙ্গার হিসেবে খেলেন, তবে তিনি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেও দক্ষ। তিনি বাম পায়ে খেলা পছন্দ করেন এবং ডান দিক থেকে কাট ইন করে গোলের সুযোগ তৈরি করেন। তাঁর ফ্রি-কিক নেওয়ার দক্ষতা, দীর্ঘ পাস, এবং সৃজনশীলতা তাঁকে একজন বিশেষ খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।


হাকিম জিয়েচ একজন প্রতিভাবান ফুটবলার, যিনি ইউরোপীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁর দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। তাঁর ক্যারিয়ার এখনও চলমান, এবং তিনি ভবিষ্যতে আরও সাফল্য অর্জন করতে পারেন।

sourse: wikipedia

https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AE_%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B6#:~:text=%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AE%20%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B6%20(%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%3A%20%E0%A7%A7%E0%A7%AF%20%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A,%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%20%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95%20%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A5%A4

https://khela71.com/hakim-ziyech-is-leading-morocco-to-their-record-run-in-wc-2022/

https://en.wikipedia.org/wiki/Hakim_Ziyech

https://khela71.com/for-the-very-first-time-morocco-made-it-to-the-quarter-final/

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0