ডেভিড ওয়ার্নার এর জীবনী Biography Of David Warne

ডেভিড ওয়ার্নার এর জীবনী Biography Of David Warne

May 24, 2025 - 12:18
Jun 1, 2025 - 15:49
 0  0
ডেভিড ওয়ার্নার এর জীবনী  Biography Of David Warne

ব্যক্তিগত তথ্য

পূর্ণ নাম

ডেভিড অ্যান্ড্রু ওয়ার্নার
জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯৮৬ (বয়স ৩৮)
প্যাডিংটন, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া

ডাকনাম

লয়েড

উচ্চতা

১.৭১ মিটার (৫ ফুট ৭ ইঞ্চি)

ব্যাটিংয়ের ধরন

বামহাতি ব্যাটসম্যান

বোলিংয়ের ধরন

ডানহাতি লেগ ব্রেক
ডানহাতি মিডিয়া

প্রারম্ভিক জীবন

নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের সিডনির উত্তরাংশের উপকণ্ঠে প্যাডিংটন এলাকায় ডেভিড ওয়ার্নার জন্মগ্রহণ করেন। ১৩ বছর বয়সে বল শূন্যে মারার অভ্যাসের কারণ কোচ তাকে ডানহাতে ব্যাটিং করার পরামর্শ দেন। কিন্তু এক মৌসুম পর তার মা শিলা ওয়ার্নার তাকে পুনরায় একই অবস্থানে নিয়ে যান। সিডনি কোস্টাল ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে বামহাতে ব্যাটিং করে তিনি অনূর্ধ্ব-১৬ দলের রান সংগ্রহের রেকর্ড ভঙ্গ করেন। ১৫ বছর বয়সে ইস্টার্ন সাবার্ব ক্লাবের পক্ষে প্রথম গ্রেড ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। এরপর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফর করেন ও রাজ্য দলের পক্ষে চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি মাত্রাভিল পাবলিক স্কুল ও র‌্যান্ডউইক বয়েজ হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন

ঘরোয়া ক্রিকেট

আক্রমণাত্মক বামহাতি ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত ওয়ার্নার। পাশাপাশি দৌঁড়িয়ে ফিল্ডিং করেন। মাঝেমাঝে স্পিন বোলারের ভূমিকাও অবতীর্ণ হন তিনি। অফ-স্পিন বোলিংয়ের সাথে লেগ স্পিন বোলিংয়ের যোগসূত্র রক্ষা করেন। ১৭০ সেন্টিমিটারের দীর্ঘদেহী শরীরে শক্তিশালী হাতের ব্যাটিংয়ে বলকে শূন্যে উঠাতে পারেন অবলীলাক্রমে। ২০০৯ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে শন টেইটের বলকে অ্যাডিলেড ওভালের ছাদে পাঠান। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেও তিনি একই বোলারকে মোকাবেলা করে সফলকাম হন।

তাসমানিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ১৬৫* রান করে একদিনের সর্বোচ্চ রান করেন ব্লুজের খেলোয়াড় হিসেবে।পরবর্তীতে ৫৪ বলে ৯৭ রান করে অল্পের জন্য অস্ট্রেলীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়তে পারেননি।

আবার মাঠে ফিরতে চলেছেন ডেভিড ওয়ার্নার!

আগামী ২২ নভেম্বর ভারতীয় ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফর করতে যাচ্ছে। রোহিত শর্মাদের চাপে রাখার জন্য অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে খেলতে চান ডেভিড ওয়ার্নার।


 

উসমান খোয়াজার সঙ্গে এখনও ওয়ার্নারের বিকল্প হিসেবে সেইভাবে কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি অস্ট্রেলিয়া দলে। ওয়ার্নার অবসর নেওয়ার পর এখন ওপেনার হিসেবে মাঠে নামছেন স্টিভ স্মিথ। সেই অর্থে স্টিভ স্মিথ ওপেনার হিসেবে স্পেশালিস্ট নন। ওয়ার্নারের অবসরের পর অস্ট্রেলিয়া ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে দু’টি এবং নিউজিল্যান্ডে গিয়ে তিনটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে। এই পাঁচটি টেস্টে খোয়াজার সঙ্গে ওপেন করেছেন স্টিভ স্মিথ। ব্রিসবেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিশতরান করলেও ওপেনার স্মিথ সেইভাবে নজর কাড়তে পারেননি। তখন ওয়ার্নারের উত্তরসূরি হিসেবে ভাবা হয়েছিল ক্যামরন বেনক্রাফ্ট, মার্কস হ্যারিস ও ম্যাচ ম্যাট রানশোর নাম। কিন্তু তাঁদের কারওর উপরেই সেইভাবে ভরসা রাখতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকরা। তাই ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াকে কঠিন লড়াইয়ের সামনে পড়তে হবে। সেই কারণেই অনেকেই আশা করছেন, অস্ট্রেলিয়া দল ডেভিড ওয়ার্নারের উপরে নির্ভর করতে পারে দলে ফিরিয়ে আনতে। 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

ঘরোয়া ক্রিকেটে তার এ সাফল্যের প্রেক্ষিতে জানুয়ারি, ২০০৯ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার টুয়েন্টি২০ দলে অন্তর্ভুক্ত হন। ১১ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অভিষিক্ত হন। টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধ-শতক করেন ৪৩ বল ৮৯ রান যাতে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কার মার ছিল। ওয়ার্নার ক্রিস গেইলের শতকের চেয়ে মাত্র ১১ রান দূরে ছিলেন। অভিষেকে তার ৮৯ রান ছিল টুযেন্টি২০ আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও পঞ্চম সমতাসূচক সর্বোচ্চ স্কোর।

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে টি২০-তে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ২৯ বলে ৬৭ রান করেন। তার ৫০ রান আসে মাত্র ১৮ বলে। এর ফলে তিনি তার নিজস্ব ১৯ বলের রেকর্ড ভঙ্গ করেন ও যুবরাজ সিংয়ের পর দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধ-শতক করেন।

ট্রান্স-তাসমান ট্রফির ১ম টেস্টে শেন ওয়াটসনের আঘাতপ্রাপ্তিজনিত অনুপস্থিতিতে টেস্ট অভিষেক ঘটে ওয়ার্নারের। ১ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখে কুইন্সল্যান্ডের ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত ১ম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার এই অভিষেক। প্রথম ইনিংসে তিনি মাত্র ৩ রান করেন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র চার বলে অপরাজিত ১২* রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। পুল শটের মাধ্যমে জয়সূচক রানটি করেন তিনি।

১২ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখে তিনি তার প্রথম শতক করেন। হোবার্টে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ১২৩* রানে অপরাজিত থাকেন। এর ফলে তিনি ৬ষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে চতুর্থ ইনিংসে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেন।

ক্রিকেট বিশ্বকাপ

২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ১১ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ অস্ট্রেলিয়া দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করে। এতে তিনিও অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। ৪ মার্চ, ২০১৫ তারিখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ ও অস্ট্রেলিয়ার ওডিআই ইতিহাসে ২য় সর্বোচ্চ ১৭৮ রান সংগ্রহ করেন। তার উপরে রয়েছে ২০১১ সালে শেন ওয়াটসনের ১৮৫ রান। এরফলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়া ৪১৭/৬ সর্বোচ্চ রান তোলে। খেলায় তার দল ২৭৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়সহ বিশ্বকাপে সর্ববৃহৎ জয় পায়। এ জয়টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ড আয়ারল্যান্ডকে ২৯০ রানে হারিয়েছিল। তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০১৭-১৮ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ভারত সফর এ ব্যাঙ্গালুরু একদিবসীয়তে তিনি ১২৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন এবং সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র জয়টি আসে এই ম্যাচে।

খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান

প্রতিযোগিতা

টেস্ট ওডিআই এফসি এফসি

ম্যাচ সংখ্যা

৮৬ ১২৮ ৮৯ ১৪১

রানের সংখ্যা

৭,৩১১ ৫,৪৫৫ ৭,৫১১ ৫,৭৭৬

ব্যাটিং গড়

৪৮.০৯ ৪৫.৪৫ ৪৮.৭৭ ৪৩.৪২

১০০/৫০

২৪/৩০ ১৮/২৩ ২৫/৩১ ১৮/২১

সর্বোচ্চ রা

৩৩৫* ১৭৯ ২৫৩ ১৯৭

বল করেছে

৩৪২ ৫৯৫ ১৪৪

উইকেট

বোলিং গড়

৬৭.২৫ ৭৫.৮৩ ৩৯.৫০

ইনিংসে ৫ উইকেট

ম্যাচে ১০ উইকেট

সেরা বোলিং

২/৪৫ ২/৪৫ ১/১১

ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং

৬৯/– ৫৬/– ৬২/– ৬১/–

আইপিএল

ওয়ার্নার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান।তিনি তিনটি আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে অরেঞ্জ ক্যাপ লাভ করেন এবং ৫,০০০ এর অধিক রান করেন।

২০২০ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি ওয়ার্নার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক হিসেবে কেন উইলিয়ামসনের স্থলাভিষিক্ত হন। ৮ই অক্টোবর ওয়ার্নার আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৫০টি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেন। এই ম্যাচে তিনি ৪০ বলে ৫২ রান করেন এবং তার দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৬৯ রানের জয় পায়। ১৮ই অক্টোবর ওয়ার্নার প্রথম বিদেশি খেলোয়াড় এবং সবমিলিয়ে ৪র্থ খেলোয়াড় হিসেবে আইপিএলে ৫০০০ রান সম্পন্ন করেন। এই ম্যাচে তিনি ৩৩ বলে ৪৭* রান করেন কিন্তু তার দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে সুপার ওভারে হেরে যায়। এছাড়া তিনি সবচেয়ে কম ইনিংস (১৩৫) খেলে ৫,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।

soruse;wikipedia;dainikstatesmannews

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0