জন বারডাইন এর জীবনী | Biography of John Bardeen

জন বারডাইন এর জীবনী | Biography of John Bardeen

May 20, 2025 - 13:47
May 22, 2025 - 23:57
 0  1
জন বারডাইন  এর জীবনী | Biography of John Bardeen

জন্ম

২৩ মে ১৯০৮
ম্যাডিসন, উইসকনসিন

মৃত্যু

৩০ জানুয়ারি ১৯৯১ (বয়স ৮২)
বোস্টন, ম্যাসাচুসেট্‌স

জাতীয়তা

 মার্কিন

মাতৃশিক্ষায়তন

ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন, ম্যাডিসন
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়

পরিচিতির কারণ

ট্রানজিস্টর
বিসিএস তত্ত্ব

পুরস্কার

 পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (১৯৫৬)
 পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (১৯৭২)
আইইইই মেডেল অফ অনার (১৯৭১)

বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন

কর্মক্ষেত্র

পদার্থবিজ্ঞান

প্রতিষ্ঠানসমূহ

বেল গবেষণাগার
মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়
ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় অ্যাট আর্বানা-শ্যাম্পেইন

ডক্টরাল উপদেষ্টা

ইউজিন ওয়াইগনার 

ডক্টরেট শিক্ষার্থী

জন শ্রিফার 
নিক হোলোনিয়া

জন বারডিন 

একজন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। ট্রানজিস্টর আবিষ্কারের জন্য তিনি উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড শকলি  ওয়াল্টার হাউজার ব্র্যাটেইন এর সাথে ১৯৫৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে তিনি অতিপরিবাহিতার তত্ত্ব আবিষ্কারের জন্য দ্বিতীয় বারের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন লিয়ান নেইল কুপার এবং জন রবার্ট শ্রিফারের সাথে।

ট্রানজিস্টর উদ্ভাবনের ফলেই আধুনিক যুগে প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটেছে। উদ্ভব ঘটেছে তথ্যপ্রযুক্তির যুগের। বর্তমানে কম্পিউটার থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত সর্বত্রই ট্রানজিস্টরের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। তার অতিপরিবাহিতা আবিষ্কারও আধুনিকতার প্রসারে অবদান রেখেছে। এই প্রযুক্তিটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সিএটি স্ক্যান এবং এমআরআই করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ১৯৯০ সালে লাইফ সাময়িকী কর্তৃক লিপিবদ্ধ "শতাব্দীর সেরা ১০০ মার্কিন প্রভাবশালী ব্যক্তি" শীর্ষক তালিকায় বারডিন স্থান পেয়েছিলেন।

জীবনী

জন বারডিন ১৯০৮ সালের ২৩ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ম্যাডিসনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ডঃ চার্লস আর বারডিন এবং "অ্যালথিয়া হারমার বারডিনের" পাঁচ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন। তার বাবা চার্লস বারডিন শারীরস্থান বিজ্ঞানের শিক্ষক এবং ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন-ম্যাডিসনের চিকিৎসাবিজ্ঞান স্কুলের প্রথম ডিন ছিলেন। বিয়ের আগে অ্যালথিয়া ডিউই ল্যাবরেটরি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন এবং একটি পুরো ডেকোরেশন ব্যবসা পরিচালনা করতেন। বিয়ের পর তিনি চারুকলার জগতে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেন। ছোটবেলায়ই গণিতে বারডিনের মেধার পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল। সপ্তম গ্রেডে পড়ার সময় বারডিনের শিক্ষক তাকে গণিতের উচ্চতর পড়াশোনার প্রতি উৎসাহিত করতেন। পরবর্তী বছরগুলোতে বারডিন তার এই শিক্ষককে গণিতের তার প্রথম উৎসাহ বলে উল্লেখ করেছেন।[] তিনি ১৯২৮ সালে University of Wisconsin–Madison থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯২৯ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশলেই মাস্টার অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৩৬ সালে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবন

১৯৩৮ সালে বারডিন মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করে। ১৯৪৩ সালে তাকে ম্যানহাটন প্রজেক্ট এ যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়, কিন্তু তিনি অস্বীকৃতি জানান। ১৯৪৫ সালে বারডিন বেল ল্যাব্‌স এ যোগ দেন। তিনি সেখানে উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড শকলির নেতৃত্বাধীন সলিড স্টেট ফিজিক্সের একটি গবেষণা দলে যোগ দেন। ১৯৫১ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় অ্যাট আর্বানা-শ্যাম্পেইন এ যোগ দেন। তিনি সেখানে তড়িৎ প্রকৌশল ও পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিসেবে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।

 জন্ম ও শিক্ষা

  • জন্ম: ২৩ মে ১৯০৮, ম্যাডিসন, উইসকনসিন, যুক্তরাষ্ট্র

  • মৃত্যু: ৩০ জানুয়ারি ১৯৯১, বোস্টন, ম্যাসাচুসেটস

তার পিতা ড. চার্লস বারডিন ছিলেন উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলের ডিন। জন বারডিন ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-ম্যাডিসন থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

পেশাগত জীবন ও গবেষণা

১৯৪৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর, বেল ল্যাবরেটরিজ-এ জন বারডিন, উইলিয়াম শকলি এবং ওয়াল্টার ব্র্যাটেইন যৌথভাবে প্রথম কার্যকর ট্রানজিস্টর তৈরি করেন। এই আবিষ্কারটি ইলেকট্রনিক্স জগতে বিপ্লব ঘটায়, কারণ এটি ভ্যাকুয়াম টিউবের পরিবর্তে ছোট, শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য উপাদান হিসেবে কাজ করে। এই উদ্ভাবনের জন্য তারা ১৯৫৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

সুপারকন্ডাক্টিভিটির তত্ত্ব (BCS তত্ত্ব)

১৯৫৭ সালে, জন বারডিন লিয়ন কুপার এবং জন শ্রিফার-এর সঙ্গে মিলে সুপারকন্ডাক্টিভিটির ব্যাখ্যা প্রদান করেন, যা BCS তত্ত্ব নামে পরিচিত। এই তত্ত্বটি ব্যাখ্যা করে কিভাবে নির্দিষ্ট ধাতুগুলি অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় বৈদ্যুতিক প্রতিরোধ ছাড়াই বিদ্যুৎ পরিবহন করতে সক্ষম হয়। এই গবেষণার জন্য তারা ১৯৭২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে দ্বিতীয় নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

 সম্মাননা ও পুরস্কার

  • নোবেল পুরস্কার: ১৯৫৬ ও ১৯৭২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে

  • ন্যাশনাল মেডেল অব সায়েন্স: ১৯৬৫ সালে

  • IEEE মেডেল অব অনার: ১৯৭১ সালে

  • প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম: ১৯৭৭ সালেdistributedmuseum.illinois.edu

 ব্যক্তিগত জীবন

জন বারডিনের স্ত্রী ছিলেন জেন ম্যাক্সওয়েল বারডিন, এবং তাদের তিন সন্তান ছিল। তাদের পুত্র, জেমস এম. বারডিন, একজন বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী ছিলেন, যিনি কৃষ্ণবিবর তত্ত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

 

উত্তরাধিকার

জন বারডিনের আবিষ্কার ও গবেষণা আধুনিক প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করেছে। ট্রানজিস্টরের আবিষ্কার কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সুপারকন্ডাক্টিভিটির তত্ত্ব উচ্চ প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন এমআরআই মেশিন ও কণা ত্বরণক যন্ত্রে, প্রয়োগ হয়েছে।তার সম্মানে, ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েসে "জন বারডিন প্রাইজ" প্রবর্তিত হয়েছে, যা সুপারকন্ডাক্টিভিটি বিষয়ে অসাধারণ গবেষণার জন্য প্রদান করা হয় জন বারডিনের জীবন ও কর্ম আধুনিক বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়। তার অবদান ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

sourse : wikipedia

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0