আবু মা'শার এর জীবনী | Biography of Abu Ma'shar al-Balkhi
আবু মা'শার এর জীবনী | Biography of Abu Ma'shar al-Balkhi

জন্ম |
১০ আগস্ট ৭৮৭ বাল্খ, খোরাসান[২] (বর্তমানে আফগানিস্তান)
|
---|---|
মৃত্যু |
৯ মার্চ ৮৮৬ (বয়স ৯৮) ওয়াসিত, ইরাক, আব্বাসীয় খিলাফত
|
উচ্চশিক্ষায়তনিক পটভূমি |
|
যার দ্বারা প্রভাবিত |
এরিস্টটল এবং টলেমি |
উচ্চশিক্ষায়তনিক কর্ম |
|
যুগ |
ইসলামি স্বর্ণযুগ (আব্বাসীয় যুগ) |
প্রধান আগ্রহ |
জ্যোতিষশাস্ত্র, জ্যোতির্বিজ্ঞান |
যাদের প্রভাবিত করেন |
আস-সিজযি, অ্যালবার্টাস ম্যাগনাস, রজার বেকন, পিয়ার ডি অ্যাইলি, পিকো দেলা মিরান্দোলা. |
আবু মা'শআর আল-বালখী; পারসিক মুসলিম জ্যোতিষী
আবু মা'শআর আল-বালখী, বা লাতিনীকৃত Albumasar (আলবুসার বা আলবুক্সার নামেও পরিচিত; পুরো নাম: আবু মাʿশার জাʿফার ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ʿউমার আল-বালখী أبو معشر جعفر بن محمد بن عمر البلخي; ১০ আগস্ট ৭৮৭ – ৯ মার্চ ৮৮৬, আহ ১৭১–২৭২) ছিলেন একজন প্রাথমিক পারসিক মুসলিম জ্যোতিষী, যিনি আব্বাসীয় খলিফাদের রাজদরবারে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্যোতিষী হিসেবে বিবেচিত হন। যদিও তিনি কোনো প্রধান উদ্ভাবক ছিলেন না, তবে জ্যোতিষীদের প্রশিক্ষণের জন্য তার লেখা ব্যবহারিক ম্যানুয়াল মুসলিম বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল এবং অনুবাদের মাধ্যমে পশ্চিম ইউরোপ ও বাইজেন্টাইনের ইতিহাসকেও প্রভাবিত করেছিল।
জীবনী
আবু মা'শার আল-বাল্খী (ফার্সি: ابوماشر بلخی) ছিলেন একজন পারসিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতবিদ এবং জ্যোতিষী। তিনি ৮০৫ সালে খোরাসানের বাল্খে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৮৮৬ সালে ইরাকের ওয়াসিতে মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি ছিলেন তাঁর সময়ের অন্যতম প্রভাবশালী জ্যোতিষী এবং তাঁর রচনাবলী মুসলিম বিশ্বে জ্যোতিষশাস্ত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তিনি জ্যোতিষশাস্ত্র, গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো "Kitab Al-Qiranat" (The Book of Conjunctions), "Kitab Al-Madkhal Al-Kabir" (The Book of the Great Introduction) এবং "Kitab Al-Uluf" (The Book of Thousands)।
আবু মা'শারের জ্যোতিষশাস্ত্রের মূল ভিত্তি ছিল হেলেনিস্টিক জ্যোতিষশাস্ত্র, তবে তিনি পারস্য এবং ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র থেকেও প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান মানুষের জীবন এবং ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে। তিনি জ্যোতিষশাস্ত্রকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক পূর্বাভাস, আবহাওয়া পূর্বাভাস এবং ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনার পূর্বাভাস দিতেন।
আবু মা'শারের জ্যোতিষশাস্ত্র ইসলামী বিশ্বের বাইরেও প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাঁর রচনাবলী ইউরোপে অনুবাদ করা হয় এবং ইউরোপীয় জ্যোতির্বিদ ও জ্যোতিষীগণের দ্বারা অধ্যয়ন করা হয়।
তিনি একজন পারস্য জাতীয়তাবাদী ছিলেন এবং সর্বদাই পারস্য সাম্রাজ্যের পুনরুত্থানের আশা করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে জ্যোতিষশাস্ত্রের মাধ্যমে পারস্য সাম্রাজ্যের পুনরুত্থানের সময় নির্ধারণ করা সম্ভব।
আবু মা'শার ছিলেন একজন অসাধারণ জ্যোতিষী, গণিতবিদ এবং জ্যোতির্বিদ। তাঁর রচনাবলী ইসলামী বিশ্ব এবং ইউরোপ উভয় ক্ষেত্রেই জ্যোতিষশাস্ত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আবু মা'শআর আল-বালখী (৭৮৭–৮৮৬), ছিলেন একজন প্রাথমিক পারসিক মুসলিম জ্যোতিষী। তিনি আব্বাসীয় খলিফাদের রাজদরবারে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্যোতিষী হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। যদিও তিনি কোনো প্রধান উদ্ভাবক ছিলেন না। তবে জ্যোতিষীদের প্রশিক্ষণের জন্য তার লেখা ব্যবহারিক ম্যানুয়াল মুসলিম বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। তিনি গ্রীক দার্শনিক এ্যারিস্টটল (খ্রী:পূ: ৩৮৪-৩২২) এবং ক্লডিয়াস টলেমী (খ্রী:পূ: ১৮০-১০০) থেকে প্রভাবিত হয়েছিলেন।
আবু মা'শার আল- বালখী'র বই অনুবাদের মাধ্যমে পশ্চিম ইউরোপ ও বাইজেন্টাইনের ইতিহাসও প্রভাবিত হয়েছিল। আবু মা'শার আল- বালখী'র দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তিগণ ছিলেন- আস-সিজযী (৯৪৫-১০২০), অ্যালবার্টাস ম্যাগনাস (১২০০-১২৮০), রজার বেকন (১২১৪-১২৯৪), পিয়ার ডি অ্যাইলি (১৩৫১-১৪২০), পিকো দেলা মিরান্দোলা (১৪৬৩-১৪৯৪)।
আবু মা'শার আল-বালখী ছিলেন একজন পারসিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতবিদ এবং জ্যোতিষী। তিনি ৭৮৭ সালে মতান্তরে ৮০৫ সালে আফগানিস্তানের খোরাসানের বালখে জন্মগ্রহণ করেন। ৮৮৬ সালে ইরাকের ওয়াসিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি ছিলেন তাঁর সময়ের অন্যতম প্রভাবশালী জ্যোতিষী এবং তাঁর রচনাবলী মুসলিম বিশ্বে জ্যোতিষশাস্ত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। আবু মা'শারের জ্যোতিষশাস্ত্রের মূল ভিত্তি ছিল হেলেনিস্টিক জ্যোতিষশাস্ত্র। তবে তিনি পারস্য এবং ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র থেকেও প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান মানুষের জীবন এবং ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে।
তিনি জ্যোতিষশাস্ত্রকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক পূর্বাভাস, আবহাওয়া পূর্বাভাস এবং ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনার পূর্বাভাস দিতে পারতেন।
আবু মা'শারের জ্যোতিষশাস্ত্র ইসলামী বিশ্বের বাইরেও প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাঁর রচনাবলী ইউরোপে অনুবাদ করা হয় এবং ইউরোপীয় জ্যোতির্বিদ ও জ্যোতিষীগণের দ্বারা অধ্যয়ন করা হয়।
তিনি পারস্য জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। সর্বদাই তিনি পারস্য সাম্রাজ্যের পুনরুত্থানের আশা করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে জ্যোতিষশাস্ত্রের মাধ্যমে পারস্য সাম্রাজ্যের পুনরুত্থানের সময় নির্ধারণ করা সম্ভব।
আবু মা'শার ছিলেন একজন অসাধারণ জ্যোতিষী, গণিতবিদ এবং জ্যোতির্বিদ। তাঁর রচনাবলী ইসলামী বিশ্ব এবং ইউরোপ উভয় ক্ষেত্রেই জ্যোতিষশাস্ত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি জ্যোতিষশাস্ত্র, গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। যেগুলো নাম জানা গেছে সেগুলো হলো: "কিতাব আল-কিরানাত", "কিতাব আল-মুদখাল আল-কবির", "কিতাব মুখতাসার আল-মুদখাল", "কিতাব আল-মিলাল ওয়া আল-দওয়াল", "ফী জিকর মা তাদুল্লা আলাইহি আল-আশখাস আল-উলউইয়া", "কিতাব আল-দালালাত আলা আল-ইত্তিসালাত ওয়া কিরানাত আল-কওয়াকিব", "কিতাব তাহাউইল সিনী আল-আলাম ", "কিতাব তাহাউইল সিনী আল-মাওয়ালিদ ", "কিতাব মাওয়ালিদ আল-রিজাল ওয়া আল-নিসা", এবং "কিতাব আল-উলুফ"।
জানা যায়, "কিতাব আল-মুদখাল আল-কবির" গ্রন্থটি ১১শ শতাব্দীতে ল্যাটিন ও গ্রীক ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল। "কিতাব মুখতাসার আল-মুদখাল" গ্রন্থটি ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিলো। "কিতাব তাহাউইল সিনী আল-আলাম" গ্রন্থটি ১২শ শতাব্দীতে ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল। "কিতাব তাহাউইল সিনী আল-মাওয়ালিদ" গ্রন্থটি ১০০০ সালে গ্রীক ভাষায় এবং ১৩শ শতাব্দীতে গ্রীক থেকে ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল।
প্রধান গ্রন্থসমূহ:
-
"Kitāb al-Mudkhal al-Kabīr ilā ʿIlm Aḥkām al-Nujūm"
(বড় ভূমিকা গ্রন্থ জ্যোতিষশাস্ত্রে) — এটি তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ, যা ল্যাটিনে অনূদিত হয় "Introductorium in Astronomiam" নামে এবং ইউরোপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। -
"Kitāb al-Mawālid"
(জন্মকুণ্ডলী ও নক্ষত্রের প্রভাব নিয়ে আলোচনা) -
"Kitāb taḥāwil sinī al-ʿālam"
(বিশ্বের বার্ষিক পরিবর্তন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী)
প্রভাব ও উত্তরাধিকার:
-
আবু মা'শার ছিলেন ইউরোপীয় জ্যোতিষবিদ্যার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলা প্রথমদিকের মুসলিম পণ্ডিতদের একজন।
-
তাঁর অনুবাদিত গ্রন্থসমূহ থমাস একুইনাস, আলবার্টাস ম্যাগনাস ও অন্যান্য মধ্যযুগীয় চিন্তাবিদদের হাতে পড়েছিল।
-
জ্যোতির্বিদ্যা ও দর্শনের সংমিশ্রণে তাঁর কাজ ইসলামী বিজ্ঞানচর্চায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
উত্তরাধিকার:
আবু মা'শার শুধু একজন জ্যোতিষীই ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন এক যুগান্তকারী বুদ্ধিজীবী, যিনি প্রাচীন বিদ্যাকে সংরক্ষণ ও ব্যাখ্যার মাধ্যমে একটি নতুন ধারার ভিত্তি স্থাপন করেন। তিনি প্রমাণ করেন যে জ্যোতিষশাস্ত্র শুধুমাত্র ভাগ্য গণনা নয়, বরং এটি বিজ্ঞান, যুক্তি ও দর্শনের একটি মিলিত প্রয়াস।
মৃত্যু:
৯ মার্চ, ৮৮৬ খ্রিস্টাব্দ; ওয়াসিত, বর্তমান ইরাক
sourse: wikipedia
What's Your Reaction?






