সান্তিয়াগো মেলে এর জীবনী | Biography of Santiago Mele
সান্তিয়াগো মেলে এর জীবনী | Biography of Santiago Mele
২০১৭ সালে উরুগুয়ের হয়ে মেলে
|
|||
|
ব্যক্তিগত তথ্য |
|||
|---|---|---|---|
|
পূর্ণ নাম |
সান্তিয়াগো আন্দ্রেস মেলে কাস্তানিয়েরো | ||
|
জন্ম |
৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ | ||
|
জন্ম স্থান |
মোন্তেভিদেও, উরুগুয়ে | ||
|
উচ্চতা |
১.৮৫ মিটার (৬ ফুট ১ ইঞ্চি) | ||
|
মাঠে অবস্থান |
গোলরক্ষক | ||
|
ক্লাবের তথ্য |
|||
|
বর্তমান দল
|
আতলেতিকো জুনিয়র | ||
|
জার্সি নম্বর |
৭৭ | ||
|
‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৩:৫৪, ১০ জুন ২০২৪ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
|||
দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী: এক স্বপ্নবাজ লড়াকু জেলের সংগ্রাম কাহিনী
সান্তিয়াগো আন্দ্রেস মেলে কাস্তানিয়েরো (স্পেনীয়: Santiago Mele; জন্ম: ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭; সান্তিয়াগো মেলে নামে সুপরিচিত) হলেন একজন উরুগুয়েয়ীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ব্রাজিলীয় ক্লাব আতলেতিকো জুনিয়র এবং উরুগুয়ে জাতীয় দলের হয়ে গোলরক্ষক হিসেবে খেলেন।
২০১৫ সালে, মেলে উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে উরুগুয়ের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় চার বছর যাবত উরুগুয়ের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০২৩ সালে উরুগুয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; উরুগুয়ের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ৪ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য
-
জন্ম তারিখ: ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭
-
জন্মস্থান: মন্টেভিডিও, উরুগুয়ে
-
উচ্চতা: ১.৮৫ মিটার
-
পজিশন: গোলরক্ষক
-
বর্তমান ক্লাব: আতলেতিকো জুনিয়র (জার্সি নম্বর ৭৭)
-
জাতীয়তা: উরুগুয়ে
প্রারম্ভিক জীবন
সান্তিয়াগো আন্দ্রেস মেলে কাস্তানিয়েরো ১৯৯৭ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর তারিখে উরুগুয়ের মোন্তেভিদেওতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।ক্লাব ক্যারিয়ার
-
ফেনিক্স (Fénix): মেলে ফেনিক্সের যুব একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৬ সালে পেশাদার অভিষেক করেন।
-
ওসমানলিস্পোর (Osmanlıspor): ২০১৭ সালে তুর্কি ক্লাব ওসমানলিস্পোরে যোগ দেন, তবে খেলার সুযোগ সীমিত ছিল।
-
লেইদা এস্পোর্তিউ (Lleida Esportiu): স্পেনের তৃতীয় বিভাগের এই ক্লাবে ধারে খেলেন।
-
প্লাজা কোলোনিয়া (Plaza Colonia): ২০২০ সালে উরুগুয়েতে ফিরে এই ক্লাবে যোগ দেন এবং নিয়মিত খেলেন।
-
উনিয়ন সান্তা ফে (Unión Santa Fe): ২০২২-২০২৩ মৌসুমে আর্জেন্টিনার এই ক্লাবে ধারে খেলেন এবং উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেন।
-
আতলেতিকো জুনিয়র (Atlético Junior): ২০২৩ সালে ধারে এবং ২০২৪ সালে স্থায়ীভাবে এই কলম্বিয়ান ক্লাবে যোগ দেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবল
মেলে উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-১৮, উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২০ এবং উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২২ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে উরুগুয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১৫ সালের ১২ই অক্টোবর তারিখে তিনি উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন। উরুগুয়ের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি প্রায় ৪ বছরে ৩৫ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
২০২৩ সালের ২৮শে মার্চ তারিখে, ২৫ বছর, ৬ মাস ও ২২ দিন বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী মেলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে উরুগুয়ের হয়ে অভিষেক করেছেন। তিনি উক্ত ম্যাচের মূল একাদশে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন; ম্যাচে তিনি ২৩ নম্বর জার্সি পরিধান করে গোলরক্ষক হিসেবে খেলেছিলেন। ম্যাচটি উরুগুয়ে ২–১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। উরুগুয়ের হয়ে অভিষেকের বছরে মেলে সর্বমোট ৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
দিনের শুরুতে রাখাল ছেলে সূর্যের দিকে চালিয়ে দেয় পালটাকে। তাদের কোন সিদ্ধান্ত নিতে হবে না, হয়ত এজন্যই আমার কাছে থাকতে ভালবাসে।
ভেড়াগুলোর একটাই চিন্তা। খাবার আর পানি। যতদিন ছেলেটা আন্দালুসিয়ার খাবারের উৎস চিনবে, ততদিন তারা চলবে তার সাথে। অবশ্যই, তাদের দিনরাত সবই একঘেয়ে। কাটে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তারা পড়তে জানে না। জানে না কী করে রাখালের কথা শুনতে হয়। তারা শুধু খাবার চেনে। বিনিময়ে দেয় পশম। মাঝে মাঝে মাংস।
আমি যদি আজ একটা বিকট দানব হয়ে একে একে তাদের মেরে ফেলতে থাকি, তাহলে বিচ্ছিন্ন হতে দেরি করবে না। বিশ্বাস করে আমাকে, তাই নিজের কল্পনা আর সাবধানতার উপর ভরসা করতে ভুলেই গেছে। কারণ পুষ্টির পথ দেখাই আমি।
ভাবনা থেকে অবাক হয়ে যায় ছেলেটা। হয়ত গির্জা, গির্জার ভিতরের দৈত্যাকার গাছটা ভূতুড়ে। এটাইতো তাকে এক স্বপ্ন দুবার দেখিয়েছে, রাগিয়ে তুলেছে তার পোষা জীবগুলোর বিরুদ্ধে। কাল রাতের খাবার থেকে বেঁচে যাওয়া একটু মদ চেখে নেয় সে। শরীরের সাথে জ্যাকেটটা আটসাট থেকে ঢিল করে। তারপর খুলে ফেলে। আর একটু পর সূর্যটা যখন মাথার উপরে চলে আসবে তখন কড়া তাপে মাঠের ভিতর দিয়ে ভেড়া চালানো রীতিমত মুশকিল হয়ে যাবে। আজ এমন এক ভোর যখন পুরো স্পেন ঘুমে কাতর। গ্রীষ্মের ভোরতো, তাই। রাত নামা পর্যন্ত ভারি জামাটা বয়ে নিতে হল তাকে। ভারটা নিয়ে বিরক্ত হতে গিয়ে মনে পড়ে গেল, এটাই ভোরের শীত থেকে রক্ষা করে।
আমাদের বদলের জন্য প্রস্তুত হতে হবে, ভাবে সে, ভাবে, থাক ভারি জামার ওজন। মন্দ নয়।
ভারি জামার একটা উদ্দেশ্য আছে, যেমন আছে ছেলেটার। তার জীবনের লক্ষ্য পরিভ্রমণ, আর আন্দালুসিয়ায় দুটা বছর হেঁটে হেঁটে এলাকার সব শহর চলে এসেছে নখদর্পণে। এবার সে মেয়েটার কাছে ব্যাখ্যা করবে কী করে এক রাখাল ছেলে পড়তে জানে। বলবে, ষােল বছর পর্যন্ত পাঠশালায় ছিল। বাবা
মা চেয়েছিল সে হবে যাজক, আর সাধারণ সে পরিবারে আসবে সম্মান। তারা শুধু খাবার পানির জন্য অনেক কষ্ট করত, ঠিক এ ভেড়াগুলোর মত।
সে লাতিন পড়েছে, পড়েছে স্প্যানিশ, আর ধর্মতত্ত্ব। কিন্তু একেবারে ছেলেবেলাতেই তার ইচ্ছা ছিল পৃথিবীকে জানার, মনে হয়েছে ঈশ্বর আর পাপ সম্পর্কে জানারচে এসব অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তারপর, এক বিকালে সে সাহস করে বাবাকে বলেই ফেলল, যাজক হতে চায় না। চায় ঘুরে ঘুরে পৃথিবীটাকে দেখতে।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
-
যুব দল: উরুগুয়ে U18, U20, এবং U22 দলের সদস্য ছিলেন।
-
সিনিয়র দল: ২০২৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে অভিষেক। ২০২৪ কোপা আমেরিকায় উরুগুয়ে দলের সদস্য ছিলেন এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।
অর্জনসমূহ
-
ক্লাব:
-
আতলেতিকো জুনিয়র: ২০২৩-II ক্যাটেগোরিয়া প্রিমেরা এ চ্যাম্পিয়ন।
-
-
জাতীয় দল:
-
উরুগুয়ে U20: ২০১৭ দক্ষিণ আমেরিকান যুব চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী।
-
উরুগুয়ে: ২০২৪ কোপা আমেরিকায় তৃতীয় স্থান।
-
-
ব্যক্তিগত:
-
২০২১ সালে উরুগুয়ান প্রিমেরা ডিভিশনের বর্ষসেরা একাদশে স্থান পান।
-
সামাজিক উদ্যোগ
মেলে তার পারফরম্যান্সের সাথে সামাজিক দায়বদ্ধতা যুক্ত করেছেন। উনিয়ন সান্তা ফেতে খেলার সময়, প্রতি পাঁচটি ক্লিন শিটের জন্য একটি দাতব্য ক্লজ অন্তর্ভুক্ত করেন, যার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেন।
sourse:wikipedia
https://www.facebook.com/groups/football.freak.bangladesh/posts/953906913459568/
What's Your Reaction?
Like
0
Dislike
0
Love
0
Funny
0
Angry
0
Sad
0
Wow
0
