পিথাগোরাসের জীবনী | Biography Of Pythagoras In Bangla

পিথাগোরাসের জীবনী | Biography Of Pythagoras In Bangla

May 14, 2025 - 13:11
May 16, 2025 - 18:37
 0  1
পিথাগোরাসের জীবনী | Biography Of Pythagoras In Bangla

পিথাগোরাস আসলে কে ছিলেন? তাকে নিয়ে যত রহস্য

সামোসের পিথাগোরাস

(প্রাচীন গ্রিক:Pythagoras the Samian, অথবা শুধু পিথাগোরাস; ৫২৭– ৪৯৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ ) ছিলেন একজন আয়োনীয় গ্রিক দার্শনিক, গণিতবিদ এবং পিথাগোরাসবাদী ভ্রাতৃত্বের জনক যার প্রকৃতি ধর্মীয় হলেও তা এমন সব নীতির উদ্ভব ঘটিয়েছিল যা পরবর্তীতে প্লেটো এবং এরিস্টটলের মত দার্শনিকদের প্রভাবিত করেছে। তিনি এজিয়ান সাগরের পূর্ব উপকূল অর্থাৎ বর্তমান তুরস্কের কাছাকাছি অবস্থিত সামোস দ্বীপে জন্মেছিলেন। ধারণা করা হয় শৈশবে জ্ঞান অন্বেষণের তাগিদে মিশরসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছিলেন। ৫৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে ইতালির দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত গ্রিক কলোনি ক্রোতোনে চলে যান, এবং সেখানে একটি আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক ভ্রাতৃত্বমূলক সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন। তার অনুসারীরা তারই নির্ধারিত বিধি-নিষেধ মেনে চলত এবং তার দার্শনিক তত্ত্বসমূহ শিখতো। এই সম্প্রদায় ক্রোতোনের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে যা তাদের নিজেদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাড়ায়। এক সময় তাদের সভাস্থানগুলো পুড়িয়ে দেয়া হয় এবং পিথাগোরাসকে বাধ্য করা হয় ক্রোতোন ছেড়ে যেতে। ধারণা করা হয় জীবনের শেষ দিনগুলো তিনি দক্ষিণ ইতালিরই আরেক স্থান মেতাপোন্তুমে কাটিয়েছিলেন।

পিথাগোরাস কিছু লিখেননি এবং সমসাময়িক কারও রচনাতেও তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায় না। উপরন্তু ১ম খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে তাকে বেশ অনৈতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হতে থাকে। সে সময় ভাবা হতো পিথাগোরাস একজন স্বর্গীয় সত্তা এবং গ্রিক দর্শনে যা কিছু সত্য (এমনকি প্লেটো এবং এরিস্টটলের অনেক পরিণত চিন্তাধারা) তার সবই তিনি শুরু করেছেন। এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত করতে এমনকি কিছু গ্রন্থ পিথাগোরাস ও পিথাগোরাসবাদীদের নামে জাল করা হয়েছিল। তাই তার সম্পর্কে সত্যটা জানার জন্য মোটামুটি নির্ভেজাল এবং প্রাচীনতম প্রমাণগুলোর দিকে তাকাতে হবে কারণ স্পষ্টতই পরবর্তীরা তার ব্যাপারে তথ্য বিকৃতি ঘটিয়েছিল।

বর্তমানে পিথাগোরাস প্রধাণত গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত হলেও প্রাচীনতম প্রমাণ বলছে, তার সময় বা তার মৃত্যুর দেড় শত বছর পর প্লেটো ও এরিস্টটলের সময়ও তিনি গণিত বা বিজ্ঞানের জন্য বিখ্যাত ছিলেন না। তখন তিনি পরিচিত ছিলেন, প্রথমত মৃত্যুর পর আত্মার পরিণতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যিনি ভাবতেন আত্মা অমর এবং ধারাবাহিকভাবে তার অনেকগুলো পুনর্জন্ম ঘটে, দ্বিতীয়ত, ধর্মীয় আচারানুষ্ঠান বিষয়ে পণ্ডিত, তৃতীয়ত একজন ঐন্দ্রজালিক যার স্বর্ণের ঊরু আছে এবং যিনি একইসাথে দুই স্থানে থাকতে পারেন এবং চতুর্থত, একটি কঠোর জীবন ব্যবস্থা যাতে খাদ্যাভ্যাসের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং আচারানুষ্ঠান পালন ও শক্ত আত্ম-নিয়ন্ত্রয়ণের নির্দেশ আছে তার জনক হিসেবে।

জীবনী

আর্কিমিডিস আনুমানিক ২৮৭ খৃস্টপূর্বাব্দে তৎকালীন বৃহত্তর গ্রিসের উপনিবেশ সিসিলি দ্বীপের সিরাকিউজ নামের বন্দর নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। বাইজান্টাইন গ্রিক ঐতিহাসিক জন যেতজেসের বিবরণ অনুযায়ী আর্কিমিডিস পঁচাত্তর বছর বয়সে মারা যান, সেখান থেকে তার জন্মসাল সম্পর্কে ধারণা করা হয়। দ্য স্যান্ড রেকোনার নামক দলিলে আর্কিমিডিস তার বাবার নাম ফিডিয়াস বলে উল্লেখ করেন। ফিডিয়াস একজন জ্যোতির্বিদ ছিলেন, যাঁর সম্পর্কে আর কিছু জানা সম্ভব হয়নি।

ঐতিহাসিক প্লুটার্খ তার দ্য প্যারালাল লাইভস নামক জীবনী গ্রন্থে আর্কিমিডিসকে সিরাকিউজের রাজা দ্বিতীয় হিয়েরোর আত্মীয় বলে উল্লেখ করেন। আর্কিমিডিসের বন্ধু হেরাক্লিডিস তার একটি জীবনী লিখেছিলেন, কিন্তু সেটি পরবর্তীতে হারিয়ে যায়। আর্কিমিডিসের জীবনের অনেক খুঁটিনাটি তথ্য তাই আর জানা যায়নি। যেমন তিনি বিয়ে করেছিলেন কিনা, তার কোন সন্তান ছিল কিনা এগুলো এখনো অজানা। যৌবনে আর্কিমিডিস সম্ভবত মিসরের আলেকজান্দ্রিয়ায় পড়াশুনা করেছিলেন, যেখানে কোনোন অভ সামোস এবং এরাতোস্থেনেস অফ সিরেন তার সহপাঠী ছিলেন। তিনি কোনোন অভ সামোসকে তার বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন; অপরদিকে তার দুটি কাজের ( দ্য মেথোড অভ মেকানিক্যাল থিওরেমস এবং দ্য ক্যাটল প্রবলেম) শুরুতে এরাতোস্থেনেসের উদ্দেশ্যে কিছু নির্দেশনা ছিল।

২১২ খৃস্টপূর্বাব্দে দ্বিতীয় পিউনিক যুদ্ধের সময় আর্কিমিডিস নিহত হন, যখন রোমান সেনাপতি জেনারেল মার্কাস ক্লডিয়াস মার্সেলাস দুই বছর ধরে অবরোধের পর সিরাকিউজ শহর দখল করেন। প্লুটার্খের বিবরণ অনুযায়ী, সিরাকিউজের পতনের সময় আর্কিমিডিস একটি গাণিতিক চিত্র নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এক রোমান সৈন্য তাকে কাজ বন্ধ করে জেনারেল মার্সেলাসের সাথে দেখা করতে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। আর্কিমিডিস তার কাজ শেষ না করে যেতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত সৈনিক তার তলোয়ার দিয়ে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যা করে। অন্য একটি স্বল্প প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, আর্কিমিডিস এক রোমান সৈন্যের কাছে আত্মসমর্পণের সময় নিহত হন। এই মতবাদ অনুসারে, তিনি কিছু গাণিতিক সরঞ্জাম বহন করছিলেন যেগুলোকে সৈন্যটি মূল্যবান সম্পদ ভেবে বিভ্রান্ত হয় এবং লোভে পড়ে তাকে হত্যা করে। বলা হয়ে থাকে যে, জেনারেল মার্সেলাস আর্কিমিডিসের বৈজ্ঞানিক প্রতিভা সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং তিনি তার কোন ক্ষতি না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর্কিমিডিসের মৃত্যুসংবাদ তাই তাকে ক্ষুব্ধ করে

অবদান

 সেই সময় নদী তার সাথে কথা বলে বলেও শোনা যায়, এক দৈববাণী তাকে ‘শুভ সকাল’ বার্তা দিয়েছিল।

একবার এক মারাত্মক বিষধর সাপকে কামড় দিয়ে মেরে ফেলেন পিথাগোরাস। আর আরেকবার এক ভালুক এসে শহরে হানা দিলে তিনি সেটাকে ফলমূল আর বার্লি খাইয়ে শান্ত করেন এবং ভালুকের থেকে কথা আদায় করেন যে সে আর কখনো জীবন্ত কোন প্রাণীর উপর হামলা করবে না।

পিথাগোরাসের উপপাদ্য

পিথাগোরাসের উপপাদ্য অনুসারে, সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজের বর্গ, এর লম্ব ও ভূমির বর্গের যোগফলের সমান। বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় জ্যামিতিক সূত্র এটি। কিন্তু এই সূত্র কি পিথাগোরাসই প্রমাণ করেছিলেন?

পিথাগোরাস ওয়েবসাইটে এ নিয়ে সুইডিশ গণিত বিশেষজ্ঞ সাইমন রেব্রান্ড লিখেছেন, “এর কৃতিত্ব পিথাগোরাসকে দেয়া হলেও এরকম কোনো প্রমাণ নেই যে তিনিই প্রথম এটি সমাধান করেন।”

পিথাগোরাসের আগেই এই উপপাদ্য ব্যবিলনীয়রা ও চীনা গণিতবিদরা সমাধান করেন বলে এখানে বলা হয়। তবে এটা জানা যায় না যে এই জ্যামিতিক সূত্র কি একবারই আবিষ্কার হয়েছে নাকি বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় আবিষ্কার হয়েছে।

ধারণা করা হয় যে পিথাগোরাস যেহেতু ব্যাবিলনে গিয়েছিলেন, তিনি সেখান থেকে এটি শিখে এসে গ্রিসের মানুষদের মাঝে তা ছড়িয়ে দেন এবং পরবর্তীকালে গ্রিস থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন বইয়ে তাকেই এর কৃতিত্ব দেয়া হয়। আর এভাবেই বিশ্বজুড়ে এটি পরিচিতি পায় ‘পিথাগোরাসের উপপাদ্য’ হিসেবে।

পিথাগোরাসের দর্শন

“আজ আমরা পিথাগোরাস সম্পর্কে যা জানি তার বেশিরভাগই এসেছে প্লেটো, এরিস্টটলসহ অন্য লেখকদের লেখা থেকে” – পিথাগোরাস সম্পর্কে এমনটাই বলছে রিপলি’স।

প্লেটো আর এরিস্টটলের উপর পিথাগোরাসের ব্যাপক প্রভাব ছিল এবং তারা দুজনই নানা দার্শনিক ও ধর্মীয় চিন্তায় পিথাগোরাসের অবদানের কথা বলেছেন।

পিথাগোরাস ‘মেটেমসাইকোসিস’ বা ‘পুর্নজন্মে’ বিশ্বাস করতেন। অর্থাৎ আত্মা অবিনশ্বর এবং তা এক দেহ থেকে অন্য দেহে প্রবেশ করতে পারে। যার মানে মানুষ মারা যাবার পর তার আত্মা অন্য শরীর এমনকি সেটা পশু পাখির শরীরেও প্রবেশ করতে পারে।

পিথাগোরাসের জীবনীতে দার্শনিক পরফেরি লিখেছেন, “পিথাগোরাস বিশ্বাস করতেন যাদের আত্মা আছে তারা সবাই এক। স্ট্যানফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফিলোসফিতে বলা হয় যে, কারো কারো মতে পিথাগোরাসই ‘দর্শন’ শব্দটা প্রথম ব্যবহার করেন জ্ঞান ও প্রজ্ঞা বোঝাতে।

পিথাগোরাস মহাবিশ্বে বিশ্বাস করতেন। তার মতে প্রতিটি বস্তুর পেছনে সংখ্যা আছে এবং তিনি বিশ্বাস করতেন এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে সংখ্যাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে। তার এসব চিন্তাধারা গণিত ও পশ্চিমা দর্শনে পরবর্তীতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।

পিথাগোরিয়ান

পিথাগোরাস যখন জন্মভূমি গ্রীসের সামোস থেকে ইতালিতে চলে আসেন, সেখানে আস্তে আস্তে তার অনুসারী তৈরি হতে থাকে।

দক্ষিণ ইতালির ক্রোতোনে তিনি গণিত নির্ভর দর্শন শেখাতে শুরু করেন। শীঘ্রই তার অনুসারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে, যারা কঠোর জীবন আচারের মধ্যে ঢুকে যায়। আর তাদের পরিচিতি হয় পিথাগোরিয়ান হিসেবে। তবে তারা খুবই গোপনে তাদের পড়াশোনা ও কার্যক্রম চালাতে থাকে।

শুরুর দিকে এই পিথাগোরিয়ানরা ছিল উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর এবং রাজনীতি সচেতন। তাদের বিশ্বাস ছিল অমরত্ব পেতে হলে ও আত্মাকে মুক্ত করতে হলে শরীরকে কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যে রাখতে হবে যাতে নৈতিকভাবে একেবারে বিশুদ্ধ থাকা যায়।

ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি বলছে তিনিই প্রথম মাংসের গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দেন এবং তার অনুসারীরা পুরোপুরি নিরামিষভোজী হয়ে উঠে।

এছাড়া যে কোন ধরণের শিম, মটরশুটি বা বিচিজাতীয় খাবার গ্রহণ পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল পিথাগোরিয়ানদের জন্য।

পিথাগোরাসের মৃত্যু

পিথাগোরাসের জীবনের মতো মৃত্যু নিয়েও নানা গল্প আছে।

তার পরবর্তী দিকের জীবনীকাররা লিখেছেন, স্বৈরশাসন থেকে পালিয়ে ইতালি এসে মধ্যবয়সে পিথাগোরাস নিজেই স্বৈরশাসক হয়ে ওঠেন।

ব্রিটানিকা বর্ণনা করছে, একসময় ক্রোতোনে পিথাগোরিয়ান বিরোধী মনোভাব জেগে উঠে, ফলে ৫১০ খ্রিস্টপূর্বে তিনি পালিয়ে মিটাপনতাম (বতর্মান ইতালির মেটাপনতো) শহরে চলে আসেন।

সেখানেও দ্রুত তার অনুসারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু বিপত্তি বাধে গ্রীসের এক ধনী অভিজাত পরিবারের সন্তানের পিথাগোরিয়ান গোষ্ঠীতে যোগ দেয়া নিয়ে। কঠোর অনুশাসন ও সমস্ত নিয়ম মানা তার পক্ষে সম্ভব হবে না ভেবে তাকে অন্তর্ভুক্ত করেননি পিথাগোরাস।

সেই ছেলেটি পরে শহরের লোকজনকে ক্ষেপিয়ে তোলে পিথাগোরাসের বিরুদ্ধে। খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ থেকে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। ভীষণ চাপের মধ্যে পড়ে পিথাগোরিয়ানদের কেউ কেউ পালাতে থাকে, অনেকে মারা পড়তে থাকে।

ব্রিটানিকা অনুযায়ী ৪৯০ থেকে ৫০০ খ্রিস্টপূর্বের মধ্যে পিথাগোরিয়ানদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উপচে পড়ে। তাদের আস্তানায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও হামলা শুরু হয়। সৌভাগ্যক্রমে সেখান থেকে পালাতে পারেন পিথাগোরাস। কিন্তু শহর ছেড়ে পালাতে গিয়ে তিনি পড়ে যান এক মটরশুঁটি ক্ষেতের সামনে।

এখন তার সামনে উপায় ছিল মটরশুঁটি ক্ষেত মাড়িয়ে দৌড়ে চলে যাওয়া। কিন্তু পিথাগোরাসের বিশ্বাস ছিল মটরশুঁটি মৃতদের আত্মা বহন করে, তাই তাদের খেয়ে ফেলা বা ক্ষতি করা মানে আত্মার ক্ষতি। তার বিশ্বাস, তার অনেক বন্ধুই আছে এসব মটরশুঁটির ভেতর।

ফলে তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন ও পেছন থেকে আক্রমণকারীরা এসে তাকে হত্যা করে।

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0