থিলান সামারাবীরা এর জীবনী | Biography Of Thilan Samaraweera
থিলান সামারাবীরা এর জীবনী | Biography Of Thilan Samaraweera

ব্যক্তিগত তথ্য |
|
---|---|
পূর্ণ নাম |
থিলান থুসারা সামারাবীরা
|
জন্ম |
২১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ কলম্বো, শ্রীলঙ্কা |
উচ্চতা |
৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
ডানহাতি |
বোলিংয়ের ধরন |
ডানহাতি অফ ব্রেক |
ভূমিকা |
ব্যাটসম্যান |
সম্পর্ক |
দিলীপ সামারাবীরা (ভাই) |
থিলান থুসারা সামারাবীরা (সিংহলি: තිලාන් සමරවීර; জন্ম: ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত থিলান সামারাবীরা কার্যকরী অফ-স্পিনার হিসেবেও দলে ভূমিকা রাখছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
কলম্বোর আনন্দ কলেজে অধ্যয়ন করেন তিনি। ইরান্দাতি সামারাবীরা নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির ওসুনি ও সিদ্ধা নাম্নী দুই কন্যা রয়েছে। ভাই দিলীপ সামারাবীরাও শ্রীলঙ্কার পক্ষে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেট খেলেছেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
সামারাবীরা অফ-স্পিনার হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করলেও মুত্তিয়া মুরালিধরনের জন্য জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। ১৯৯৮ সালে একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলার সুযোগ পান। কিন্তু টেস্ট খেলার জন্য তাকে আগস্ট, ২০০১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ভারত দলের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টেই দূর্দান্ত সেঞ্চুরি করে সবাইকে অবাক করে দেন। তার অসামান্য ক্রীড়ানৈপুণ্যে শ্রীলঙ্কা শক্তিশালী ভারত দলের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয় করে। পরবর্তী পাঁচ টেস্টে তিনি আরও দু’টি শতক করেন যার সবগুলোই নিজ মাঠ কলম্বোর সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে করেছিলেন।
এরফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে তার অবস্থান পাকাপোক্ত হয় ও দলে মাঝারি সারির ব্যাটসম্যান হিসেবে অবসরগ্রহণকারী অরবিন্দ ডি সিলভা ও হাসান তিলকরত্নের শূন্যস্থান পূরণে সক্ষম হয়।
কিন্তু ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজে চার ইনিংসের কোনটিতেই দুই সংখ্যা গড়তে ব্যর্থ হওয়ায় দল থেকে বাদ পড়েন। এরপর তাকে শ্রীলঙ্কা এ দলের অধিনায়ক মনোনীত করা হয়। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পুনরায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উভয় ইনিংসে যথাক্রমে ১৩ ও ২০ রান সংগ্রহ করেন। ফলে তাকে রেখে কুমার সাঙ্গাকারাকে হোবার্ট টেস্টে নেয়া হয়। তারপর থেকেই দলে অনিয়মিত ছিলেন তিনি। ক্যান্ডিতে ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে তাকে ডাক দেয়া হয়।
২০১১ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দূর্বল খেলা উপহার দেয়ায় পাকিস্তান দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজে তাকে নেয়া হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাকে দলের বাইরে রাখলেও শেষদিকে মাহেলা জয়াবর্ধনের হাঁটুর আঘাতপ্রাপ্তির কারণে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিন টেস্ট সিরিজের দুইটিতে তিনি সেঞ্চুরি করেন। এরফলে আইসিসি প্লেয়ার র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো শীর্ষ দশে অন্তর্ভুক্ত হন।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং পরামর্শক সামারাবীরা
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য শ্রীলঙ্কার স্পিন সহায়ক উইকেটে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং কোচ পিটার ফুলটনের পাশে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন থিলান সামারাবীরা। ৪২ বছর বয়সি সাবেক এই লঙ্কান টেস্ট ব্যাটসম্যান এর আগে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে অস্ট্রেলিয়া দলের পরামর্শক হিসেবেও নিয়োগ কাজ করেছেন। ব্যাটিং কোচ হিসেবে শ্রীলঙ্কা সফরটি ফুলটনের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সম্প্রতি তিনি ক্রেইগ ম্যাকমিলানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
আরো পড়ুন : মান বাঁচানোর লড়াই আজ
নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ গ্যারি স্টিড বলেছেন, ‘এই সফরে টেস্ট দলে থিলানকে পেয়ে আমরা দারুণ খুশি। শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে তার অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে। ফুলটনের প্রথম সফরের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপে কোচিং বিভাগে অতিরিক্ত সহযোগিতা আমাদের দারুণভাবে কাজে লেগেছে। এবার থিলানকে পেয়ে আমরা সেই সহযোগিতাই আশা করছি।’
ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন সামারাবীরা
চার দিন আগে পি সারা ওভালের এক কোণে দাঁড়িয়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, বোলার সাকিব আর সেই সাকিব নেই। সাকিব এখন ২০১০ সালের সাকিবের ছায়া। প্রতিপক্ষ ব্যাটিংকে তছনছ করে দেওয়ার সেই বোলিং হারিয়ে গেছে।
কাল কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পড়ন্ত বেলায় সাকিবের ব্যাটিং দেখে শিউরে উঠলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ, আরেক শ্রীলঙ্কান থিলান সামারাবীরা। সাকিবের পাগুলে এবং ঝোড়ো ১৮ রানের ইনিংসটি দেখে বললেন, ‘আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমার মাথায় কিছু আসছে না।’
৮ বল খেলে ৩ চারে ১৮ রান। এর মধ্যে দুবার আউট হতে হতে বেঁচে গেছেন। উইকেটটা খোয়াননি নিতান্তই ভাগ্য গুণে। বাংলাদেশ যে ৫ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করতে পেরেছে—এটিকেও সৌভাগ্যই বলছেন সামারাবীরা।
আন্তর্জাতিক তথ্য |
|
---|---|
জাতীয় দল |
|
টেস্ট অভিষেক |
২৯ আগস্ট ২০০১ বনাম ভারত |
শেষ টেস্ট |
৩ জানুয়ারি ২০১৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া |
ওডিআই অভিষেক(ক্যাপ ৯৭) |
৬ নভেম্বর ১৯৯৮ বনাম ভারত |
শেষ ওডিআই |
২ এপ্রিল ২০১১ বনাম ভারত |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২ মার্চ ২০১৭
|
sourse: prothomalo: ittefaq: wikipedia...
What's Your Reaction?






