জো রুট এর জীবনী | Biography of Joe Root
জো রুট এর জীবনী | Biography of Joe Root

ব্যক্তিগত তথ্য |
|
---|---|
পূর্ণ নাম |
জোসেফ এডওয়ার্ড রুট
|
জন্ম | ৩০ ডিসেম্বর ১৯৯০ ডোর, শেফিল্ড, সাউথ ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড |
ডাকনাম |
রুটা |
উচ্চতা |
৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার) |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
ডানহাতি |
বোলিংয়ের ধরন |
ডানহাতি অফ ব্রেক |
ভূমিকা |
ব্যাটসম্যান |
আন্তর্জাতিক তথ্য |
|
জাতীয় দল |
|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৫৫) |
১৩ ডিসেম্বর ২০১২ বনাম ভারত |
শেষ টেস্ট |
১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ বনাম ভারত |
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৬৭) |
১১ জানুয়ারি ২০১৩ বনাম ভারত |
শেষ ওডিআই |
৯ মার্চ ২০১৭ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
ওডিআই শার্ট নং |
৬৬ (পূর্বে ৬১ ও ৫) |
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ২) |
২২ ডিসেম্বর ২০১২ বনাম ভারত |
শেষ টি২০আই |
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বনাম ভারত |
১৩ হাজারে ইংল্যান্ডের প্রথম জো রুট
জোসেফ এডওয়ার্ড রুট
(ইংরেজি: Joseph Edward Root; জন্ম: ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৯০) দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারের শেফিল্ড এলাকার ডোরেতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও মাঝে মাঝে অফ-স্পিনারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি; যা সাবেক ইংল্যান্ড দলনেতা মাইকেল ভনের মাঝে দেখা যায়। লক্ষ্যণীয় যে, রুট ভনের ভক্ত ও তাকে অনুসরণ করেই ক্রিকেট খেলায় উজ্জ্বীবিত হয়েছেন তিনি।[১] রুট ও ভন - উভয়েই শেফিল্ড কলেজিয়েট ক্রিকেট ক্লাবে খেলা শুরু করেছিলেন।[২] অধিকাংশ সময়ই মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমে থাকেন। প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে খেলে থাকেন জো রুট। একসময় টেস্ট ক্রিকেট র্যাঙ্কিংয়ে তিনি বিশ্বের ১নং ব্যাটসম্যান ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন ও পারিবারিক পটভূমি
-
জন্ম: ৩০ ডিসেম্বর ১৯৯০, শেফিল্ড, ইংল্যান্ড।
-
পরিবার: তার ছোট ভাই বিলি রুটও একজন পেশাদার ক্রিকেটার।
-
শিক্ষা: ওয়ার্কসওর্থ কলেজে পড়াশোনা করেছেন, যেখানে তিনি ক্রিকেটে বিশেষ মনোযোগ দেন।
প্রারম্ভিক জীবন
রুটের ভাই বিলি এমসিসিতে তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন। তিনি হেলেন ও ম্যাট দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান। তার দাদা জিওফ রুট অনেক বছর ইয়র্কশায়ার লীগে রথারহ্যাম ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক ছিলেন। কিন্তু জো তার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শেফিল্ড কলেজিয়েট ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দেন। সেখানে ইয়র্কশায়ারের তরুণ বয়সীদের কোচের নজর কাড়েন ও ১১ বছর বয়সে ইয়র্কশায়ার স্কুলস’ দলে খেলেন। নর্থ নটিংহ্যামশায়ারের ওয়ার্কসপ কলেজে অধ্যয়ন করে সেখানে থেকে ক্রিকেটের উপর বৃত্তি লাভ করেন। প্রথম মৌসুমেই তিনি দুই হাজারের অধিক রান করেন ৫০-এরও বেশি গড়ে। এরপর তিনি সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ইয়র্কশায়ার ক্রিকেট একাডেমি থেকে ১৩ বছর বয়সে বৃত্তি লাভ করেন ২০০৫ সালে ডেইলি টেলিগ্রাফের বানবুরি উৎসবের বৃত্তিপ্রাপক হন।
খেলোয়াড়ী জীবন
২০১২-১৩ মৌসুমে ভারত সফরে রুট মনোনীত হন। নাগপুরে অনুষ্ঠিত ৪র্থ টেস্টের মাধ্যমে অভিষেক ঘটে তার। সাবেক ইংরেজ অল-রাউন্ডার পল কলিংউডের কাছ থেকে ৬৫৫তম খেলোয়াড় হিসেবে ক্যাপ নেন। ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২২৯ বলের সাহায্যে ৭৩ রান করেন। কেভিন পিটারসনের সাথে তিনিও দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে দলের মোট রান সংখ্যাকে ৩৩০-এ নিয়ে যান।
ক্রিকেট ক্যারিয়ার
আন্তর্জাতিক অভিষেক
-
টেস্ট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ বনাম ভারত, নাগপুর।
-
ওডিআই: ১১ জানুয়ারি ২০১৩ বনাম ভারত, রাজকোট।
-
টি২০আই: ৫ ডিসেম্বর ২০১২ বনাম ভারত, পুনে।
পরিসংখ্যান (মে ২০২৫ পর্যন্ত)
-
টেস্ট: ১৫৩ ম্যাচ, ১৩,০০৬ রান, গড় ৫০.৮৭, ৩৬ সেঞ্চুরি।
-
ওডিআই: ১৭৭ ম্যাচ, ৬,৮৫৯ রান, গড় ৪৭.৯৬, ১৭ সেঞ্চুরি।
-
টি২০আই: ৩২ ম্যাচ, ৮৯৩ রান, গড় ৩৫.৭২।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
২০ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য ইংল্যান্ড তাদের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।১ মার্চ, ২০১৫ তারিখে ওয়েলিংটন ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের ৪র্থ খেলায় শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে ১০৮ বলে ১২১ রান করেন। এরফলে ডেভিড গাওয়ারকে পাশ কাটিয়ে বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ঠ ইংরেজ ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেন। এছাড়াও খেলায় তিনি তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ করেন। কিন্তু, লাহিরু থিরিমানে (১৩৯*) ও কুমার সাঙ্গাকারার (১১৭*) নৈপুণ্যে তার দল ৯ উইকেটের ব্যবধানে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়।
মূল্যায়ন
২০১৪ সালে মার্টিন ক্রো টেস্ট ক্রিকেটের তরুণ চার ফ্যাবের অন্যতম হিসেবে স্টিভ স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন ও বিরাট কোহলি’র সাথে তাকেও অন্তর্ভুক্ত করেন।উল্লেখযোগ্য সাফল্য
-
২০২৫ সালের মে মাসে, তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ১৩,০০০ রান পূর্ণ করেন, যা ইতিহাসে পঞ্চম এবং সবচেয়ে দ্রুততম (১৫৩ ম্যাচে) ।
-
২০২৪ সালে, তিনি স্যার অ্যালেস্টার কুকের ১২,৪৭২ রানের রেকর্ড ভেঙে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ টেস্ট রান সংগ্রাহক হন ।
-
২০১৯ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে, তিনি ইংল্যান্ডের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
তিনি হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে ৪৫৪ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি গড়েন, যা টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ চতুর্থ উইকেট জুটি
পুরস্কার ও সম্মাননা
-
তিনি ২০২২ সালে টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান এবং এরপর ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি করেন ।
-
তিনি ২০২৪ সালে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরি (৩৬টি) করেন, স্যার অ্যালেস্টার কুকের ৩৩টি সেঞ্চুরিকে ছাড়িয়ে ।
ব্যক্তিত্ব ও প্রভাব
জো রুট তার শান্ত স্বভাব, টেকনিক্যাল ব্যাটিং এবং নেতৃত্বগুণের জন্য পরিচিত। তিনি ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচিত হন এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা।
sourse : bangla ... bdnews24 .. bdnews24
What's Your Reaction?






