জিওভানি লো সেলসো এর জীবনী | Biography of Giovani Lo Celso
জিওভানি লো সেলসো এর জীবনী | Biography of Giovani Lo Celso

ব্যক্তিগত তথ্য |
|||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম |
জিওভানি লো সেলসো | ||
জন্ম |
৯ এপ্রিল ১৯৯৬ | ||
জন্ম স্থান |
রোসারিও, আর্জেন্টিনা | ||
উচ্চতা |
১.৭৭ মিটার (৫ ফুট ৯+১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান |
মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য |
|||
বর্তমান দল
|
টটেনহাম হটস্পার | ||
জার্সি নম্বর |
১৮ | ||
যুব পর্যায় |
|||
২০১০–২০১৫ |
রোসারিও সেন্ট্রাল | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* |
|||
বছর |
দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১৫–২০১৬ |
রোসারিও সেন্ট্রাল | ২৭ | (২) |
২০১৬–২০১৮ |
প্যারিস সেন্ট জার্মেই | ৩৬ | (৪) |
২০১৬ |
→ রোসারিও সেন্ট্রাল (ধার) | ৯ | (১) |
২০১৮-২০১৯ |
→ রিয়াল বেতিস | ||
২০১৯ |
→ টটেনহাম হটস্পার | ||
জাতীয় দল‡ |
|||
২০১৬ |
আর্জেন্টিনা অলিম্পিক | ৩ | (০) |
২০১৭– |
আর্জেন্টিনা | ৪ | (০) |
জিওভানি লো সেলসো
জিওভানি লো সেলসো (জন্ম: ৯ এপ্রিল ১৯৯৬) হলেন একজন আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবলার, যিনি ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই হতে আর্জেন্টিনীয় ক্লাব রোসারিও সেন্ট্রালে ধারে এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
জিওভানি লো সেলসো (Giovani Lo Celso) একজন আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়, যিনি মূলত সেন্ট্রাল ও অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। বর্তমানে তিনি স্পেনের লা লিগা ক্লাব রিয়াল বেতিস এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য
-
পূর্ণ নাম: জিওভানি লো সেলসো
-
জন্ম: ৯ এপ্রিল ১৯৯৬, রোসারিও, আর্জেন্টিনা
-
উচ্চতা: ১.৭৭ মিটার
-
পজিশন: সেন্ট্রাল / অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার
-
বর্তমান ক্লাব: রিয়াল বেতিস (জার্সি নম্বর ২০)
-
জাতীয় দল: আর্জেন্টিনা (৬১ ম্যাচ, ৩ গোল)
ক্লাব ক্যারিয়ার
রোসারিও সেন্ট্রাল (২০১০–২০১৬)
লো সেলসো ১৪ বছর বয়সে রোসারিও সেন্ট্রালের যুব দলে যোগ দেন এবং ২০১৫ সালে সিনিয়র দলে অভিষেক করেন।
প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন (২০১৬–২০১৯)
২০১৬ সালে তিনি ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে যোগ দেন। সেখানে তিনি ২০১৭–১৮ মৌসুমে লিগ ১ শিরোপা জয় করেন।
রিয়াল বেতিস (২০১৮–২০১৯, ধারে)
২০১৮–১৯ মৌসুমে তিনি রিয়াল বেতিসে ধারে খেলেন এবং ৩২ ম্যাচে ৯ গোল করেন।
টটেনহ্যাম হটস্পার (২০১৯–২০২৪)
২০১৯ সালে তিনি ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যামে যোগ দেন। তবে ইনজুরি ও কোচিং পরিবর্তনের কারণে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাননি। তিনি ১০৮ ম্যাচে ১০ গোল করেন।
ভিয়ারিয়াল (২০২২–২০২৩, ধারে)
২০২২ সালে তিনি স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়ালে ধারে খেলেন এবং দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে পৌঁছাতে সাহায্য করেন।
রিয়াল বেতিস (২০২৪–বর্তমান)
২০২৪ সালের আগস্টে তিনি রিয়াল বেতিসে স্থায়ীভাবে যোগ দেন। ২০২৪–২৫ মৌসুমে তিনি ২৫ ম্যাচে ৮ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করেন।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
লো সেলসো আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে ৬১টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ৩টি গোল করেছেন। তিনি ২০২১ ও ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা জয়ী দলের সদস্য ছিলেন।
পানামার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে বেঞ্চে ছিলেন। আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি তাঁকে মাঠে নামাননি। কিন্তু কুরাসাওয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা দলের একাদশের হয়ে জিওভান্নি লো সেলসোকে মাঠে নামান স্কালোনি। এর মধ্য দিয়ে গত বছর নভেম্বরে সেই চোটের পর আবারও আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের একাদশে ফিরলেন লো সেলসো।
কুরাসাওয়ের বিপক্ষে খেলেছেনও দুর্দান্ত। মেসির সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া যে অসাধারণ, সেটাও নতুন করে বোঝা গেল আজ কুরাসাওয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে। আর্জেন্টিনার ৭-০ গোলের বড় জয়ে লিওনেল মেসিকে দিয়ে দুটো গোল করিয়েছেন টটেনহাম থেকে ভিয়ারিয়ালে ধারে আসা এই মিডফিল্ডার।
মেসির ১০০তম গোলটি এসেছে লো সেলসোর পাস থেকেই। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের হ্যাটট্রিক-গোলের উৎসও ছিল তাঁর দূরপাল্লার লম্বা মাপা পাস। ৬৭ মিনিটে তাঁকে তুলে নিয়ে আনহেল দি মারিয়াকে বদলি নামান স্কালোনি।
পুরো সময় দুর্দান্ত খেলেও লো সেলসোর হয়তো মন ভরেনি। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’ জানিয়েছে, জাতীয় দলে ফেরার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জিওভান্নি লো সেলসো লিখেছে, ‘সেরাটা এখনো বাকি।’
তবে লো সেলসো ফেরাটা যে উপভোগ করেছেন, সেটি বোঝা গেছে তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে। মেসিকে অভিনন্দন জানানোর ছবি পোস্ট করে লো সেলসো লিখেছেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জার্সি পরার আনন্দ আবারও উপভোগ করছি। এ মুহূর্তের অপেক্ষাতেই ছিলাম। সতীর্থদের সঙ্গে উপভোগ করেছি। ১০০ গোল পেরিয়ে যাওয়ার নতুন রেকর্ডের জন্য লিওনেল মেসিকে অভিনন্দন।’
গত বছর নভেম্বরের শুরুতে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে পায়ে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন লো সেলসো। কয়েক দিন পর নিশ্চিত হয়, এ চোটের কারণেই কাতার বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না। তবে লো সেলসোকে ছাড়াই কাতারে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা।
গত ডিসেম্বরে শেষ হওয়া সেই বিশ্বকাপের আগে জিওভান্নি লো সেলসো ছিলেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডে ‘অটোমেটিক চয়েস’। দাপট বিস্তার ও মেসির সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ার কারণে বিশ্বকাপে লো সেলসোকে অপরিহার্যই ভাবা হয়েছিল। সৌদি আরবের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হারের ম্যাচে তাঁর অভাবটা আরও বেশি টের পাওয়া গেছে। অবশ্য পরে ম্যাক অ্যালিস্টার-এনজো ফার্নান্দেজরা ঘাটতিটুকু পুষিয়ে দিয়েছেন।
তবু লো সেলসোর বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ার যন্ত্রণা কি উপশম হয়েছিল? আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আনন্দিত হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে লো সেলসোর বাদ পড়ার যন্ত্রণার কোনো সান্ত্বনা নেই। বিশ্বকাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা যে সব ফুটবলারেরই স্বপ্ন। কাতারে সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার পর কী করেছিলেন, সেটাই কুরাসাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন লো সেলসো, ‘বিশ্বকাপে খেলতে পারব না জানার পর তিন-চার দিন বাথরুমে শুধুই কেঁদেছি।’
লো সেলসো কেঁদেছেন আরেকটি সময়ে। বিশ্বকাপের আগে প্রীতি ম্যাচে তাঁর সুস্থতা কামনা ব্যানারসহ মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা দল। সেই স্মৃতিও স্মরণ করলেন গত বছর আগস্টে টটেনহাম থেকে দ্বিতীয় দফা ধারে ভিয়ারিয়ালে যোগ দেওয়া লো সেলসো, ‘আমি আরও একবার কেঁদেছি, বিশ্বকাপের আগে প্রীতি ম্যাচে যখন ওরা (জাতীয় দল) আমার জন্য ব্যানারসহ মাঠে নেমেছিল।’
ব্যক্তিগত জীবন
লো সেলসোর জন্ম রোসারিও শহরে। তার বাবা-মা হলেন সান্দ্রা ও হুয়ান পেরো লো সেলসো। তার ছোট ভাই ফ্রান্সেস্কো লো সেলসোও একজন পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। বর্তমানে তিনি মডেল ম্যাগুই আলকাসারের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন এবং তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
সাম্প্রতিক খবর
-
২০২৪–২৫ মৌসুমে রিয়াল বেতিসে ফিরে লো সেলসো দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। তিনি ৫ ম্যাচে ৫ গোল করে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে লা লিগার গোলদাতাদের তালিকায় সমান অবস্থানে ছিলেন।
-
রিয়াল বেতিসের কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি তাকে দলের কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রেখেছেন এবং তার খেলা দলের পারফরম্যান্সে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।
sourse : wikipedia
What's Your Reaction?






