কৌশানি মুখোপাধ্যায় এর জীবনী | Biography Of Koushani Mukherjee
কৌশানি মুখোপাধ্যায় এর জীবনী | Biography Of Koushani Mukherjee

কৌশানী মুখোপাধ্যায়
(জন্ম: ১৭ মে ১৯৯২) হলেন একজন ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ২০১৫ সালে পারব না আমি ছাড়তে তোকে চলচ্চিত্রে বনি সেনগুপ্তের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যেমে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন । তার উল্লেখযোগ্য অন্যান্য কাজ হলো কেলোর কীর্তি (২০১৬), জিও পাগলা (২০১৭), বাচ্চা শ্বশুর (২০১৯) ও আবার প্রলয় (২০২৩ ওয়েব ধারাবাহিক)।১৯৮৬ সালে কৌশানী কলকাতা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গড চার্চ স্কুলে শিক্ষারত ছিলেন। এরপর তিনি হেরম্বচন্দ্র কলেজ থেকে বি.কম বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন । একই সময় তিনি মিস বিউটি অব কলকাতা সন্মানে সন্মনিত হন।
কর্মজীবন
২০১৫ সালে বনি সেনগুপ্ত বিপরীতে পারব না আমি ছাড়তে তোকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধমে চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক করেন। ২০১৬ সালে, তিনি রাজা চন্দ পরিচালিত একটি রোমান্টিক কমেডি কেলোর কীর্তিতে উপস্থিত হন । এতে তিনি একজন ধনী যুবতী, অনুষ্কা চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি একজন সাংবাদিকের প্রেমে পড়েন। ২০১৭ সালে, তিনি রবি কিন্নগীর জিও পাগলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন । ২০১৯ সালে তিনি এফএফএসিই ফ্যাশন ক্যালেন্ডারের কভার হিসাবে স্বাক্ষর করেছিলেন।
কৌশানি মুখার্জীর শিক্ষাজীবন এর বিভিন্ন দিক, Educational life
কৌশানি কলকাতা শহরেই বড়ো হয়েছেন এবং পড়াশুনাও শেষ করেছেন সেখান থেকেই। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের দ্য অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ স্কুল থেকে। এরপর তিনি কলকাতা শহরেই হেরম্ব চন্দ্র কলেজে ভর্তি হন, যেখান থেকে তিনি বি.কম নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
কৌশানি মুখার্জীর ব্যাক্তিগত জীবন, Personal life of Kaushani Mukherjee
অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জীর প্রেমিক এবং বিয়ে সংক্রান্ত কোনো কথা বলতে গেলে বনি সেনগুপ্তের কথা উল্লেখ হবেই। যদিও কৌশানি বর্তমানে অবিবাহিত তবে বাংলা সিনেমার অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের সাথে তাঁর অনেক দিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। নিজেদের সম্পর্কের ব্যাপারে সেভাবে কোনও দিনও লুকোছাপাও করেননি তাঁরা।
চলচ্চিত্রের তালিকা
বছর | শিরোনাম | ভূমিকা | পরিচালক |
---|---|---|---|
২০১৫ |
পারবো না আমি ছাড়তে তোকে | অপর্ণা রায় / অপু | রাজ চক্রবর্তী |
২০১৬ |
কেলোর কীর্তি | আনুশকা | রাজা চন্দ |
২০১৭ |
জিও পাগলা |
মোনালিসা | রবি কিনাগী |
তোমাকে চাই |
দিয়া | রাজিব কুমার | |
২০১৮ |
গার্লফ্রেন্ড |
সুচিত্রা | রাজা চন্দ |
হইচই আনলিমিটেড |
অনিন্দিতা | অনিকেত চট্টোপাধ্যায় | |
২০১৯ |
জামাই বদল |
রবি কিনাগী | |
বাচ্চা শ্বশুর |
জোনাকি | বিশ্বরুপ বিশ্বাস | |
জানবাজ |
প্রিয়া সরকার | অনুপ সেনগুপ্ত | |
২০২০ |
বিয়ে.কম |
শ্রেয়া | অভিজিৎ গুহ, সুদেষ্ণা রায় |
২০২১ |
তুমি আসবে বলে |
আঁখি | সুজিত মন্ডল |
২০২২ |
অন্তর্জাল |
প্রর্জুন মজুমদার | |
লক্ষণরেখা |
সুলগ্না | রোহান শ্যাম চৌধুরী | |
শুভ বিজয়া |
উমা | রোহন সেন | |
প্রজাপতি |
জয়শ্রী সেন | অভিজিৎ সেন | |
২০২৩ |
ডাল বাটি চুরমা |
বর্ষা গুপ্ত | হরনাথ চক্রবর্তী |
আবার প্রলয় |
মোহিনী মা/মনি | রাজ চক্রবর্তী | |
অংশুমান এমবিএ |
লাবণ্য | অভিজিৎ গুহ, সুদেষ্ণা রায় | |
সব করো প্রেম করো না |
ইশা | দেবরাজ সিনহা | |
২০২৪ |
ডার্ক ওয়ার্ল্ড |
পুলিশ কর্মকর্তা | মোস্তাফিজুর রহমান মানিক |
আসন্ন |
হাঙ্গামা ডট কম |
ডাঃ কৃষ্ণেন্দু চ্যাটার্জি |
পুরস্কার এবং স্বীকৃতি
- পি. সি. চন্দ্র জুয়েলার্স গোল্ডলাইটস ডিভা: বিজয়ী
- মিস্ বিউটিফুল স্মাইল অ্যান্ড মিস্ বিউটিফুল হেয়ার উপাধিসমূহ
কৌশানী:
হেমলক সোসাইটি’ তো আমরা সকলেই দেখেছি, সেখানে আত্মহত্যা করতে চাওয়ার পিছনে প্রচুর কারণও দেখানো হয়েছিল। জীবনের কোন সিচুয়েশনে পৌঁছলে মানুষ এমনটা করার কথা ভাবতে পারে, সেটায় অবাক হচ্ছি। তবে ‘হেমলক’ থেকে ‘কিলবিল’-এর গল্প অনেকটাই আলাদা। এখানে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের একটা আলাদা চমক আছে। আর ‘কিলবিল’ একেবারে আধুনিক প্রজন্মের গল্প। এখন আর অত সময় নিয়ে খাবারে বিষ মিশিয়ে কেউ কাউকে মারে না। একেবারে সরাসরি শুট করো মেরে দাও। তবে তার আগে বিল পেমেন্ট করে দিতে হবে উইথ জিএসটি। কারণ, মরে যাওয়ার পরে তো আর কারও থেকে টাকা পাওয়া যাবে না। তাই দেওয়ালে টাঙানো ছবি হওয়ার আগে টাকা পেমেন্ট করতে হবে। এই গল্পের মূলমন্ত্র, বাঁচতে হলেও যেমন ভালো করে বাঁচা উচিত। তেমনই মরতে হলে ছড়িও না। ভালো করে মরো।
কৌশানী:
আমার মনে হয় না জীবনের কোনও সমস্যারই এই ভাবে সমাধান হয়। নিজের জীবন নিজের হাতে শেষ করার মতো পাপ আর কিছুতে নেই। তবে তার পরেও মানুষকে এমন কিছু সিচুয়েশনে পড়তে হয়, যখন অবসাদে হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নেয়। ‘কিলবিল সোসাইটি’তে মরাটাকেও খুব ইন্টারেস্টিং করে দেখানো হয়েছে। মানে বেঁচে থাকতে থাকতেই তুমি সিদ্ধান্ত নিতে পারো তোমার শ্রাদ্ধের মেনু কী হবে। ডেকরেশন কেমন হবে। অর্থাৎ মৃত্যুটাকে যাতে এনজয় করা যায়, সেটার ব্যবস্থা করা।
এখানে একটা এরকম সিন আছে, যেখানে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে যে তুমি তোমার মৃত্যুটা ঠিক কী রকম চাইছো? মানে তুমি কি মরার পরে প্যান্ডেলটা সাদার উপর রাখতে চাইছ? নাকি কোনও কালার থিম হবে? মেনুতে ভেজ থাকবে না ননভেজ? সেখানে একটা সময় আমারও মনে হবে, আমি মরতে চলেছি বুঝলাম, তাই বলে আমি চিংড়ির পকোড়া ছেড়ে পনির পকোড়া কেন খাব? মানে মৃত্যুটাকেও খুব এনজয় করে দেখানো হয়েছে।
এই সময় অনলাইন: ভাগ্যে বিশ্বাস করেন?
হ্যাঁ, আমার মনে হয় সবটাই কপালে লিখে এনেছি। সেটা যেমন কেউ তোমার থেকে ছিনিয়ে নিতে পারবে না। তেমনই আবার তোমার যেটা পাওয়ার নেই, সেটা কেউ দিতেও পারবে না। তুমি তোমার হার্ডওয়ার্ক এবং ডিসিপ্লিনের মাধ্যমে নিজেকে অনেকটা পরিবর্তন করতে পারো। তবে কিছু জিনিস অপরিবর্তিত। যেমন, জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে। সবটাই যখন হওয়ার তখনই হয়।
কৌশানী:
এটা আসলে সত্যিই আমার একটা আফসোসের জায়গা। তবে নিজেও তো অনেক ম্যাচিওর হয়েছি। আমি তো সব সময় বাচ্চার মতো কাঁদতে পারব না, আমায় কেন নিলেন না বলে। আমার মনে হয় এটা আমার পুনর্জন্ম এই ইন্ডাস্ট্রিতে। যাঁদের সঙ্গে আমার কাজ করার ইচ্ছে ছিল, তাঁরা আমার কথা এখন ভাবছেন। অনেক সময় অনেক চরিত্র দেখে মনে হয়েছে যে এটা তো আমিও করতে পারতাম। কিন্তু কেউ তো সেই সুযোগটাই আমায় দেয়নি। এতদিন যারা ট্রোল করতো, নেগেটিভ কমেন্ট করতো, তারাও আজকে ভালো ভালো কথা বলছে। ভালোই লাগছে।
কৌশানী: রাজদা আমার মেন্টর। তাঁর জায়গা আমার কাছে একদম আলাদা। অভিনেত্রী কৌশানী অনেকটাই কৃতজ্ঞ রাজ চক্রবর্তীর কাছে।
নন্দিতাদি আমার একেবারে মায়ের মতো। দিদির সঙ্গে আমার ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্ট অনেক বেশি।
শিবুদা আমার ময়দা মুখো। আমার অনস্ক্রিন হাজ়বেন্ড। শিবুদার থেকে যতই বলব, যতই শিখবো সেটাই কম। অনেক বড় পাওনা।
সৃজিতদা হলেন ম্যাজিশিয়ান। আমি জানি না কতজন বলেছেন, সৃজিতদা দুর্দান্ত অভিনেতা। যদি অভিনয় করেন তা হলে অনেকের অসুবিধা হয়ে যাবে। সৃজিতদা চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলবেন, আবার সেখান থেকে বের করে আনার রাস্তা বের করে দেবেন। তাই সৃজিত মুখোপাধ্যায় ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম নক্ষত্র।
sorusse ; wikipedia ...okbangla ... eisamay
What's Your Reaction?






