ইবন আল-নাফিস এর জীবনী | Biography of Biography of Ibn al-Nafis
ইবন আল-নাফিস এর জীবনী | Biography of Biography of Ibn al-Nafis

জন্ম |
আনু. ১২১৩ দামেস্ক, সিরিয়া, আইয়ুবীয় রাজবংশ
|
---|---|
মৃত্যু |
১৭ ডিসেম্বর ১২৮৮ কায়রো, মিশর
|
ধর্ম |
ইসলাম |
যুগ |
ইসলামি স্বর্ণযুগ |
অঞ্চল |
সিরিয়া ও মিশর |
ব্যবহারশাস্ত্র |
শাফিঈ |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস |
আশআরি |
প্রধান আগ্রহ |
|
আরব বিশ্বের সেরা চিকিৎসাবিজ্ঞানী ইবনুন নাফিস
ইবনুন নাফিস বা ইবনে আল-নাফিস (আরবি: ابن النفيس; ১২১৩–১২৮৮) ছিলেন একজন আরব বহুবিদ্যাবিশারদ, যার কাজের ক্ষেত্রগুলির মধ্যে যুক্ত ছিল চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার, শারীরবিদ্যা, শারীরস্থান, জীববিজ্ঞান, ইসলামিক অধ্যয়ন, আইনশাস্ত্র এবং দর্শন। তিনি প্রথম ফুসফুসের রক্ত সঞ্চালন বর্ণনা করার জন্য পরিচিত।[১] তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি গ্যালেন স্কুলের দীর্ঘকাল ধরে চলা বিতর্ককের বাজি করেছিলেন যে কার্ডিয়াক ইন্টারভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাম দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে এবং এর সাথে মিল রেখে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে বাম ভেন্ট্রিকেলে পৌঁছানো সমস্ত রক্ত ফুসফুসের মধ্য দিয়ে যায়। ইবনে আল-নাফিসের ডান দিকের (পালমোনারি) সঞ্চালন সম্পর্কিত কাজ উইলিয়াম হার্ভের পরবর্তী কাজের (১৬২৮) পূর্বের। উভয় তত্ত্বই সঞ্চালন ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে। ২য় শতাব্দীর গ্রীক চিকিৎসক গ্যালেনের রক্তসংবহনতন্ত্রের শারীরবিদ্যা সম্বন্ধে তত্ত্বটি ইবন আল-নাফিসের কাজ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ছিল, যার জন্য তাকে "সংবহনতন্ত্রের জনক" বা "সংবহন শারীরবৃত্তির জনক" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। একজন প্রাথমিক শারীরস্থানবিদ হিসেবে, ইবনে আল-নাফিস তার কাজের সময় বেশ কিছু মানুষের ব্যবচ্ছেদ করেছিলেন, রীরতত্ত্ব এবং শারীরস্থানের ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারও করেছিলেন। ফুসফুসীয় সঞ্চালনের তার বিখ্যাত আবিষ্কারের পাশাপাশি, তিনি করোনারি এবং কৈশিক সঞ্চালনের প্রাথমিক অন্তর্দৃষ্টিও দিয়েছেন। তিনি সুলতান সালাহউদ্দিন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আল-নাসেরি হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন।
চিকিৎসা ছাড়াও, ইবনে আল-নাফিস আইনশাস্ত্র, সাহিত্য এবং ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করেছিলেন। তিনি শাফিঈ আইনশাস্ত্রের একজন পন্ডিত এবং একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন। ইবনে আল-নাফিস দ্বারা লিখিত চিকিৎসা পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যা ১১০টিরও বেশি খন্ড অনুমান করা হয়।
জীবনী

ইবনে আল-নাফিস ১২১৩ সালে একটি আরব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সম্ভবত কারাশিয়া নামের দামেস্কের নিকটবর্তী একটি গ্রামে, যার পরে তার নিসবার উদ্ভূত হয়। জীবনের প্রথম দিকে তিনি ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও সাহিত্য অধ্যয়ন করেন। এরপর ১৬ বছর বয়সে তিনি দামেস্কের নুরি হাসপাতালে দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ডাক্তারি পড়া শুরু করেন, যা দ্বাদশ শতাব্দীতে তুরস্কের বাদশাহ নুরউদ্দিন জেনগি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বিখ্যাত দামাসিন চিকিৎসক ইবনে আবি উসাইবিয়ার সাথে সমসাময়িক ছিলেন এবং তারা দুজনেই দামেস্কের একটি মেডিকেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আল-দাখওয়ার কাছে শিক্ষা গ্ৰহণ করেছিলেন। ইবনে আবি উসাইবিয়া তার জীবনীমূলক অভিধান "লাইভস অফ দ্য ফিজিশিয়ানস"-এ ইবনে আল-নাফিসের কথা একেবারেই উল্লেখ করেননি। তিনি বিখ্যাত দামেসিন চিকিত্সক ইবনে আবি উসাইবিয়ার সাথে সমসাময়িক ছিলেন এবং তাদের দুজনকেই দামেস্কের একটি মেডিকেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আল-দাখওয়ার দ্বারা শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল। ইবনে আবি উসাইবিয়া তার জীবনীমূলক অভিধান "লিভস্ অফ দ্যা ফিজিসিয়ানস্"-এ ইবনে আল-নাফিসকে মোটেও উল্লেখ করেননি। আপাতদৃষ্টিতে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া ব্যক্তিগত শত্রুতা বা দুই চিকিৎসকের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে হতে পারে।
১২৩৬ সালে ইবনে আল-নাফিস তার কয়েকজন সহকর্মীর সাথে আইয়ুবিদ সুলতান আল-কামিলের অনুরোধে মিশরে চলে যান। ইবনে আল-নাফিস আল-নাসেরি হাসপাতালে প্রধান চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্ত হন যা সালাহউদ্দিন প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে চিকিৎসা শিক্ষা ও অনুশীলন করেন। তার অন্যতম উল্লেখযোগ্য ছাত্র ছিলেন বিখ্যাত খ্রীষ্টান চিকিৎসক ইবনে আল-কাফ। ইবনে আল-নাফিস আল-মাসরুরিয়া মাদরাসায় আইনশাস্ত্রও পড়াতেন। অন্যান্য পণ্ডিতদের মধ্যে তাঁর নাম পাওয়া যায়, যা ধর্মীয় আইনের অধ্যয়ন এবং অনুশীলনে তাকে কতটা ভাল ভাবে বিবেচনা করা হয়েছিল সে সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি দেয়।
ইবনে আল-নাফিস তার জীবনের বেশিরভাগ সময় মিশরে বাস করতেন এবং বাগদাদের পতন ও মামলুকদের উত্থানের মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। এমনকি তিনি সুলতান বাইবার এবং অন্যান্য বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতাদের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হয়েছিলেন, এভাবে তিনি চিকিৎসা অনুশীলনকারীদের মধ্যে একটি কর্তৃত্ব হিসাবে নিজেকে প্রদর্শন করেছিলেন। পরবর্তী জীবনে, যখন তার বয়স ৭৪ বছর, তখন ইবনে আল-নাফিসকে নবপ্রতিষ্ঠিত আল-মানসোরি হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয় যেখানে তিনি সারা জীবন কাজ করেছিলেন।
ইবনে আল-নাফিস অসুস্থ হওয়ার কয়েক দিনের পর কায়রোতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার ছাত্র সাফি আবু আল-ফাত'হ তাকে নিয়ে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন। মৃত্যুর আগে, তিনি তার বাড়ি এবং গ্রন্থাগার 'আল-মনসুরি কালাউন' হাসপাতালে দান করেছিলেন, যা হাউস অফ রিকভারি নামেও পরিচিত ছিল।
বিজ্ঞান চর্চা
তিনি সর্বপ্রথম (উইলিয়াম হার্ভের ৩০০ বৎসর পূর্বে) রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতি সম্বন্ধে সঠিক বর্ণনা করেন।
গ্রন্থ
ঔষধের উপর বইসমূহ
তার বইগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় বই হল আল-শামিল ফি আল-তিব (মেডিসিনের উপর বই), যা ৩০০টি খন্ড সমন্বিত একটি বিশ্বকোষ হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যাইহোক, ইবনে আল-নাফিস তার মৃত্যুর আগে মাত্র ৮০টি প্রকাশ করতে সক্ষম হন এবং কাজটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সত্য সত্ত্বেও, কাজটি একজন ব্যক্তির দ্বারা লিখিত সর্ববৃহৎ চিকিৎসাশাস্ত্রে বিশ্বকোষগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এটি তৎকালীন ইসলামী বিশ্বের চিকিৎসা জ্ঞানের সম্পূর্ণ সারসংক্ষেপ দেয়। ইবনে আল-নাফিস তার সমস্ত লাইব্রেরির সাথে তার বিশ্বকোষ দান করেন মনসুরি হাসপাতালে যেখানে তিনি তার মৃত্যুর আগে কাজ করেছিলেন।
সময়ের সাথে সাথে, বিশ্বকোষের বেশিরভাগ খন্ড হারিয়ে গেছে অথবা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মাত্র ২টি খণ্ড এখনও মিশরে বিদ্যমান রয়েছে। মিশরীয় পণ্ডিত ইউসেফ জিদান এই কাজের বিদ্যমান পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ ও পরীক্ষা করার একটি প্রকল্প শুরু করেছিলেন যা ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার, বডলিয়ান গ্রন্থাগার এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের 'লেন মেডিকেল গ্রন্থাগার' সহ বিশ্বের অনেক গ্রন্থাগারে তালিকাভুক্ত করা আছে।
ইবনুন নাফিস মানবদেহে রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতি, ফুসফুসের সঠিক গঠন পদ্ধতি, শ্বাসনালী, হৃৎপিন্ড, শরীর শিরা উপশিরায় বায়ু ও রক্তের প্রবাহ ইত্যাদি সম্পর্কে বিশ্বের জ্ঞান ভান্ডারকে অবহিত করেন। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান জগতে তিনি যে কারণে অমর হয়ে আছেন তা হলো মানবদেহে রক্ত চলাচল সম্পর্কে গ্যালেনের মতবাদের ভুল ধরিয়ে ছিলেন তিনি এবং এ সম্বন্ধে নিজের মতবাদ সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছেন। ইবনুন নাফিস তাঁর ইবনে সিনার কানুনের এনাটমি অংশের ভাষ্য শরহে তসরিহে ইবনে সিনা গ্রন্থে এ মতবাদ প্রকাশ করেন।
তিনি ৫ জায়গায় হৃৎপিন্ড (Heart) এবং ফুসফুসের (Lungs) ভিতর দিয়ে রক্ত চলাচল সম্বন্ধে ইবনে সিনার মত উদ্ধৃত করেছেন এবং ইবনে সিনার এ মতবাদ যে গ্যালেনের মতবাদেরই পুনরাবৃত্তি তাও দেখিয়ে দিয়ে এ মতবাদের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। তিনি পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে, শিরার রক্ত এর দৃশ্য বা অদৃশ্য ছিদ্র দিয়ে ডান দিক থেকে বাম দিকের হৃদপ্রকোষ্টে চলাচল করে না; বরং শিরার রক্ত সব সময়েই ধমনী শিরার ভিতর দিয়ে ফুসফুসে যেয়ে পৌঁছায়; সেখানে বাতাসের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে শিরার ধমনীর মধ্য দিয়ে বাম দিকের হৃৎপ্রকোষ্ঠে যায় এবং সেখানে এ জীবনতেজ গঠন করে।
তিনি ফুসফুস এবং হৃৎপিন্ডের এনাটমি নিয়ে আলোচনা করেন। ইবনে সিনা এ্যারিস্টটলের মতবাদের সাথে একমত হয়ে হৃৎপিন্ডে ৩টি হৃৎপ্রকোষ্ঠ রয়েছে বলে যে মত প্রকাশ করেছেন তিনি তার তীব্র প্রতিবাদ করেন। এ্যারিস্টটল মনে করতেন যে, দেহের পরিমাপ অনুসারেই হৃপ্রকোষ্ট সংখ্যার কম বেশী হয়। তিনি এই মতকে ভুল বলে প্রমাণ করেন। তাঁর মতে হৃৎপিন্ডে মাত্র দুটো হৃৎপ্রকোষ্ট আছে। একটা থাকে রক্তে পরিপূর্ণ এবং এটা থাকে ডান দিকে আর অন্যটিতে থাকে জীবনতেজ, এটা রয়েঝে বাম দিকে। এ দুয়ের মধ্যে চলাচলের কোন পথই নেই।
যদি তা থাকত তাহলে রক্ত জীবনতেজের জায়গায় বয়ে গিয়ে সেটাকে নষ্ট করে ফেলতে। হৃৎপিন্ডের এনাটমি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ইবনুন নাফিস যুক্তি দেখান যে, ডান দিকের হৃপ্রকোষ্ঠে কোন কার্যকরী চলন নেই এবং হৃৎপিন্ডকে মাংসপেশীই বলা হউক বা অন্য কিছুই বলা হউক তাতে কিছু আসে যায় না। বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ মতবাদটি সম্পূর্ণ বিজ্ঞান সম্মত বলে গৃহীত হলেও ইবনুন নাফিসকে বিজ্ঞান জগতে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।
ইবনুন নাফিস কেবল মাত্র একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানীই ছিলেন না; বরং তিনি সাহিত্য, আইন, ধর্ম ও লজিক শাস্ত্রেও অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি বহু বৃহৎ গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি ২০ খন্ডে ইবনে সিনার বিখ্যাত গ্রন্থ কানুন ‘ এর ভাষ্য প্রণয়ন করেন। এতে তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের বিভিন্ন কঠিন সমস্যার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বিভিন্ন রোগের ঔষধ সম্পর্কে তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম হচ্ছে ‘কিতাবুশ শামিল ফিল সিনায়াত তিব্বিয়া’। গ্রন্থটি প্রায় ৩০০ খন্ডে সমাপ্ত হবার কথা ছিল কিন্তু তার অকাল মৃত্যুতে তা সম্ভব হয়নি। এ গ্রন্থটির হস্তলিপি দামেস্কে রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে তিনি হিপোক্রেটস, গ্যালেন, হুনায়েন ইবনে ইসহাক এবং ইবনে সিনার গ্রন্থের ভাষ্য প্রণয়ন করেন।
তিনি হাদীসশাস্ত্রের উপরও কয়েকখানা ভাষ্য লেখেন। এছাড়া তিনি আরো বহু গ্রন্থ রচনা করেন যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে–আল মুখতার মিনাল আগজিয়া (মানবদেহে খাদ্যের প্রভাব সম্পর্কে), রিসালাতু ফি মানাফিয়েল আদাল ইনসানিয়াত (মানবদেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কার্য সম্বন্ধে)’, আল কিতাবুল মুহাজ ফিল কুহল (চক্ষু রোগ সম্বন্ধে), শারহে মাসায়েলে ফিত তিব্ব’, ‘তারিকুল ফাসাহ, মুখতাসারুল মানতেক’ প্রভৃতি।
তিনি ৬৮৭ হিজরী মোতাবেক ১২৮৮ খ্রীঃ কায়রোতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে সুস্থ করে তোলার প্রায় সকল চিকিৎসাই ব্যর্থ হয়ে যায়। অবশেষে মৃত্যু শয্যায় তার মিসর ও কায়রোর চিকিৎসক বন্ধুরা তাঁর রোগের প্রতিষেধক হিসেবে তাকে মদ পান করতে অনুরোধ করেন। মদ পান করলেই তাঁর রোগ সেরে যাবে বলে তারা পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি এক ফোঁটা মদ পান করতেও রাজি হলেন না। তিনি বন্ধুদেরকে উত্তর দিলেন, “আমি আল্লাহ পাকের দরবারে চলে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি চিরদিন এ নশ্বর পৃথিবীতে থাকতে আসিনি। আল্লাহ আমাকে যতটুকু ক্ষমতা দিয়েছেন আমি চেষ্টা করেছি মানুষের কল্যাণে কিছু করে যেতে। বিদায়ের এ লগ্নে শরীরে মদ নিয়ে আল্লাহ পাকের দরবারে উপস্থিত হতে আমি চাই না।”
মৃত্যু:
অতঃপর ৬৮৭ হিজরীর ২১শে জিলকদ মোতাবেক ১২৮৮ খ্রীষ্টাব্দের ১৮ই ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার সকালে এ মহামনীষী ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি তাঁর একমাত্র বাড়ীটি এবং তার সমস্ত বইপত্র মনসুরী হাসপাতালে দান করে যান।
sourse: wikipedia
What's Your Reaction?






