স্টিভ জবস এর জীবনী| Biography of Steve Jobs

স্টিভ জবস এর জীবনী| Biography of Steve Jobs

May 15, 2025 - 17:56
May 20, 2025 - 23:28
 0  0
স্টিভ জবস এর জীবনী| Biography of Steve Jobs

                                                  

জীবনবৃত্তান্ত

জবস জন্মেছিলেন সান ফ্রান্সিস্কোতেএবং পরে পল ও ক্লারা জবস তাকে দত্তক হিসাবে গ্রহণ করেন এবং তাকে নামকরণ করা হয় স্টিভেন পল জবস
প্রারম্ভিক কর্মজীবন: ১৯৭৩ সালের শেষ দিকে ক্যালিফোর্নিয়ার লস গ্যাটোসে অ্যাটারি ইনকর্পোরেটেডে প্রকর্মী হিসেবে যোগ দেন জবস।১৯৭৪ এর মাঝামাঝি সময় জবস ভারত ভ্রমণ করেন

অ্যাপল প্রতিষ্ঠা:

১৯৭৬ সালে ওজনিয়াক একক প্রচেষ্টায় অ্যাপল ১ কম্পিউটার উদ্ভাবন করেন। ওজনিয়াক কম্পিউটারটি জবসকে দেখালে, জবস তা বিক্রয় করার পরামর্শ দেন
মৃত্যু:

জবস অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে ভুগে ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন

জীবনবৃত্তান্ত:


জবস জন্মেছিলেন সান ফ্রান্সিস্কোতেএবং পরে পল ও ক্লারা জবস তাকে দত্তক হিসাবে গ্রহণ করেন এবং তাকে নামকরণ করা হয় স্টিভেন পল জবস। কিন্তু তার প্রকৃত পিতা-মাতা ছিলেন জোয়ান ক্যারোল এবং আব্দুল্লাহ ফাতাহ জান্দালি (সিরিয়া থেকে স্নাতকোত্তর ছাত্র ছিলেন।পরবর্তীতে রাস্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েছিলেন)। যারা পরবর্তীতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং তাদের ঘরে জবস-এর বোন সাহিত্যিক মোনা সিম্পসন জন্মান।

জবস কুপারটিনো জুনিয়র হাই স্কুলে এবং হোমস্টিড হাই স্কুলে গিয়েছিলেন। তিনি প্রায়ই হিউলেট-প্যাকার্ড কোম্পানির লেকচারগুলোতে অংশগ্রহণ করতেন। যেখানে পরবর্তীতে তিনি গ্রীষ্মকালীন কর্মচারী হিসাবে স্টিভ ওজনিয়াকের সাথে কাজ করেন। ১৯৭২ থ্রিস্টাব্দে তিনি হাই স্কুল শেষ করেন এবং রীড কলেজ়ে ভর্তি হন। যদিও তিনি পরবর্তীতে কলেজ ছেড়ে দেন তার পরেও তিনি ক্যালিগ্রাফীসহ আরো কিছু ক্লাসে যোগদান করেছিলেন। এই সম্পর্কে তার বক্তব্য ছিল "যদি আমি ওই কোর্সে না যেতাম তবে ম্যাকের কখনোই বিভিন্ন টাইপফেস বা সামঞ্জস্যপূর্ণ ফন্টগুলো থাকতো না।"

১৯৭৪ সালে জবস ক্যালির্ফোনিয়াতে পুনরায় চলে আসেন। এ সময় তিনি নিয়মিত ওজনিয়াকের সাথে হোমব্রিউ কম্পিউটার ক্লাবের সভাগুলোতে উপস্থিত থাকেন। তিনি ভিডিও গেমস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আটারিতে টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি এসময় মূলত ভারতে যাবার জন্য অর্থ জমানোর চেষ্টা করছিলেন। জবস ভারতে নিম কারোলি বাবার কাইনিচি আশ্রমে তার বন্ধু ড্যানিয়েল কটকের সাথে ভ্রমণ করেন। আধ্যত্মিক জ্ঞান অর্জনের জন্য তিনি ভারতে আসেন ও বৌদ্ধধর্মে ধর্মান্তরিত হন।

প্রারম্ভিক কর্মজীবন:

১৯৭৩ সালের শেষ দিকে ক্যালিফোর্নিয়ার লস গ্যাটোসে অ্যাটারি ইনকর্পোরেটেডে প্রকর্মী হিসেবে যোগ দেন জবস।১৯৭৪ এর মাঝামাঝি সময় জবস ভারত ভ্রমণ করেন। নিম কারোলি বাবার সাথে সাক্ষাত্‍ করার জন্য জবস তার কৈঞ্চি আশ্রমে যান রিড কলেজের বন্ধু ড্যানিয়েল কোটকেকে সাথে নিয়ে। কিন্তু তা প্রায় জনশূন্য অবস্থায় ছিল, কারণ নিম কারোলি বাবা ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে মারা যান।এরপর তারা চলে যান হরিয়াখান বাবার আশ্রমে। ভারতে তারা কয়েকবার বাস ভ্রমণ করেন। দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশ, সেখান থেকে ফিরে হিমাচল প্রদেশ এরপর পুনরায় দিল্লি ফিরে আসেন।সাত মাস অবস্থানের পর জবস ভারত ত্যাগ করেন।

ভারত থেকে ফেরার পর জবসের নতুন আবির্ভাব ঘটে। তার মস্তক মুন্ডিত ছিল এবং তিনি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাক পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। এছাড়া তিনি বৌদ্ধধর্মের অনুসারি হয়ে ওঠেন।

এরপর জবস অ্যাটারিতে ফিরে আসেন এবং আর্কেড ভিডিও গেম ব্রেকআউটের জন্য সার্কিট বোর্ড তৈরির কাছে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। প্রত্যেক চিপের জন্য $১০০ দেওয়ার প্রস্তাব দেয় অ্যাটারি। সার্কিট বোর্ড ডিজাইনে জবসের একটু বিশেষ জ্ঞান ছিল এবং তিনি ওজনিয়াকের সাথ সমানভাবে ফি ভাগ করে নেওয়ার চুক্তি করেন, যদি ওজনিয়াক চিপের সংখ্যা কমাতে পারেন। অ্যাটারি ইঞ্জিনিয়ারদের বিস্মিত করে, ওজনিয়াক চিপের সংখ্যা ৫০-এ নামিয়ে আনেন। ডিজাইন এতটাই দূর্ভেদ্য ছিল যে অ্যাসেম্বলি লাইন নকল করা প্রায় অসম্ভব ছিল। ওজনিয়াকের কাছে থেকে জানা যায় যে অ্যাটারি তাদেরকে মাত্র $৭০০

 দিয়েছিল (প্রস্তাবিত $৫,০০০ এর পরিবর্তে), এতে ওজনিয়াকের অংশ দাড়ায় $৩৫০। অবশ্য, ওজনিয়াক ১০ বছর পর আসল বোনাসের পরিমাণ জানতে পারেন। তবে তিনি বলেন যে যদি জবস তাকে এ সম্পর্কে জানাত এবং তার টাকাগুলোর প্রযোজনীয়তা সম্পর্কে বলত তাহলে তিনি তা তাকে দিয়ে দিতেন।

টেলিফোন নেটওয়ার্ককে নিপূনভাবে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় টোন উত্‍পন্ন করতে, ওজনিয়াক একটি কম খরচের “ব্লু বক্স” তৈরি করেন। এতে দীর্ঘ দূরত্বের টেলিফোন কল বিনামূল্যে করা যেত। জবস সিদ্ধান্ত নেন যে তারা এটি বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই অবৈধ ব্লু বক্সের চোরাগোপ্তা বাণিজ্য ভালই চলে এবং এটি জবসের মনে বীজ বুনে দেয় যে ইলেকট্রনিক্স মজাদার এবং লাভজনক হতে পারে।

১৯৯৪ সালে একটি সাক্ষাত্‍কারে, জবস বলেন যে ব্লু বক্স কীভাবে তৈরি করতে হয় তা বুঝে উঠতে তাদের ছয় মাস সময় লেগেছিল। তিনি বলেন যে যদি ব্লু বক্সগুলো তৈরি না হত, তাহলে হয়ত অ্যাপলও থাকত না। তিনি আরও বলেন যে এটি তাদেরকে দেখিয়েছিল যে তা বড় কোম্পানিগুলোকে হারিয়ে দিতে পারে।

১৯৭৫ সালে, জবস ওজনিয়াকের সাথে হোমব্রিউ কম্পিউটার ক্লাবের সভায় নিয়মিত উপস্থিত হতে শুরু করেন। তিনি এডুইন এইচ. ল্যান্ডের ব্যাপক প্রশংসা করেন, যিনি ইন্সট্যান্ট ফটোগ্রাফির উদ্ভাবক এবং পোলারইড কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৭৬ সালে, জবস এবং ওজনিয়াক নিজেদের ব্যবসা শুরু করেন। তারা তাদের কোম্পানির নাম দেন “অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানি”। প্রথম দিকে সার্কিট বোর্ড বিক্রয়ের মাধ্যমে তারা এই কোম্পানি চালু করেন।

অ্যাপল প্রতিষ্ঠা:

১৯৭৬ সালে ওজনিয়াক একক প্রচেষ্টায় অ্যাপল ১ কম্পিউটার উদ্ভাবন করেন। ওজনিয়াক কম্পিউটারটি জবসকে দেখালে, জবস তা বিক্রয় করার পরামর্শ দেন। তখন তারা এটিকে বিক্রয়ের জন্য রোনাল্ড ওয়েনকে সাথে নিয়ে জবসের গ্যারেজে অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। ওয়েন অল্প কিছু দিন ছিলেন। অতঃপর তিনি জবস এবং ওজনিয়াককে ছেড়ে চলে যান। অবশ্য, তিনিও ছিলেন অ্যাপলের প্রাথমিক সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ইন্টেলের তত্‍কালীন অর্ধ-অবসরপ্রাপ্ত পণ্য বিপণন ব্যবস্থাপক মাইক মার্ককুলা তাদেরকে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।

১৯৭৮ সালে, অ্যাপল মাইক স্কটকে প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়। ১৯৮৩ সালে, জবস পেপসি-কোলার জন স্কালীকে অ্যাপলের প্রধান নিবাহী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রলুব্ধ করেন। জবস তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি কি তোমার জীবনের বাকিটা সময় চিনির পানীয় বিক্রয় করে কাটাতে চাও, নাকি আমার সাথে এসে বিশ্বকে বদলে দিতে চাও?”

১৯৮০’র দশকের প্রথম দিকে, জবস তাদের একজন ছিলেন যারা জেরক্স পার্কের মাউস নিয়ন্ত্রিত গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেসের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা দেখছিলেন, যা জবসকে অ্যাপল লিসা উদ্ভাবনে পরিচালিত করে। এক বছর পর, অ্যাপলের কর্মচারী জেফ রাস্কিন ম্যাকিন্টশ উদ্ভাবন করেন।

পরের বছর, অ্যাপল “১৯৮৪” শিরোনামে একটি সুপার বোল টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রচার করে। ১৯৮৪ সালের ২৪ জানুয়ারি, অ্যাপলের অংশীদারদের বার্ষিক সভায় জবস ব্যাপকভাবে উত্‍সাহী দর্শকদের সামনে ম্যাকিন্টশ উন্মোচন করেন।

অ্যাপলে প্রত্যাগমন:

১৯৯৬ সালে, অ্যাপল নেক্সটকে ৪২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ক্রয়ের ঘোষণা দেয়। ১৯৯৬ সালের শেষ দিকে লেনদেন চূড়ান্ত হয়।[৪৮] এর মাধ্যমে অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জবসের কোম্পানিটিতে প্রত্যাগমন ঘটে। ১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে, অ্যাপলের তত্‍কালীন প্রধান নির্বাহী গিল আমেলিওকে উচ্ছেদ করা হলে জবস কার্যত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেপ্টেম্বরে তিনি অন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহীর পদ পেয়ে যান।[৪৯] ১৯৯৮ সালের মার্চে, অ্যাপলকে পুনরায় লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করা প্রচেষ্টা হিসেবে জবস নিউটন, সাইবারডগ এবং ওপেনডকের মত কিছু প্রকল্প বন্ধ করে দেন। জবস ম্যাকিন্টস ক্লোনের লাইসেন্সকরণ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনেন, তিনি এটিকে প্রস্তুতকারকদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল করে দেন।

পুনরায় অ্যাপল ত্যাগ:

২০১১ সালের আগস্টে, জবস অ্যাপলের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে তিনি কোম্পানির পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বহাল ছিলেন। ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেয়ার বাজারে অ্যাপলের পাঁচ শতাংশ দরপতন ঘটে।এই ক্ষুত্র দরপতন অ্যাপলে জবসের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত বহন করে। বিগত কয়েক বছর ধরে তার স্বাস্থ সমস্যা খবরের শিরোনাম হয়ে আসছিল এবং তিনি ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে চিকিত্‍সার জন্য ছুটিতে ছিলেন। ফোর্বস কর্তৃক প্রকাশিত হয় যে জবসের পদত্যাগ অ্যাপলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং সেই সাথে দ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটতে পারে, যেখানে তিনি পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।[৫৭] ঘোষণার দিন ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির শেয়ারেও ১.৫ শতাংশ দরপতন ঘটে।

সম্পদ:

জবস অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী হিসেবে বছরে মাত্র ১ মার্কিন ডলার বেতন গ্রহণ করতেন।অবশ্য তার কাছে অ্যাপলের ৫.৪২৬ মিলিয়ন শেয়ার ছিল, যার মূল্য ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া ছিল ডিজনির ১৩৮ মিলিয়ন শেয়ার, যার মূল্য ৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।জবস ঠাট্টস্বরূপ বলেন যে অ্যাপল থেকে তিনি বছরে যে ১ মার্কিন ডলার পান, তার ৫০ সেন্ট পান বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য এবং বাঁকি ৫০ সেন্ট পান নিজের কাজের জন্য। ২০১০ সালে ফোর্বসের হিসাব অনুসারে, তার সম্পত্তির পরিমাণ ৮.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪২তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।

সম্মাননা:

স্টিভ জবস ১৯৮৫ সালে স্টিভ ওজনিয়াকের সাথে প্রথম ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি লাভ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ২০১১ সালে ৩২ জনের নাম 'পার্সন অফ দ্য ইয়ার' হিসেবে মনোনীত করে। এ তালিকায় - আঙ্গেলা ম্যার্কেল, বারাক ওবামা, সিলভিও ব্যার্লুস্কোনি, লিওনেল মেসি প্রমূখ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি তিনিও স্থান পেয়েছেন৷

মৃত্যু:

জবস অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে ভুগে ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৩ সালে জবসের অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং পুরো সময়কাল জুড়ে তিনি বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন। তার স্বাস্থ্য সমস্যা সত্ত্বেও, জবস ২০১১ সালের আগস্টে পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত অ্যাপলের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। মৃত্যুর মাত্র দুই মাস আগে অ্যাপলের সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। মৃত্যুর সময় জবসের বয়স ছিল ৫৬ বছর।

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0