লিওনার্দো দা ভিঞ্চির জীবনী - biography of Leonardo Da Vinci

লিওনার্দো দা ভিঞ্চির জীবনী - biography of Leonardo Da Vinci

May 13, 2025 - 09:51
May 13, 2025 - 20:25
 0  1
লিওনার্দো দা ভিঞ্চির জীবনী - biography of Leonardo Da Vinci

উচ্চ রেনেসাঁর শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি

 

জীবনী

কৈশোর (১৪৫২-১৪৬৬)

দা ভিঞ্চির জন্ম হয়েছিল ১৪৫২ সালের ১৫ এপ্রিল । তোসকানার পাহাড়ি এলাকা ভিঞ্চিতে, আর্নো নদীর ভাটি অঞ্চলে। তিনি ছিলেন ফ্লোরেন্সের এক নোটারি পিয়েরে দা ভিঞ্চির এবং এক গ্রাম্য মহিলা কাতেরিনার অবৈধ সন্তান। তার মা সম্ভবত মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত দাসী ছিলেন। আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে লিওনার্দোর নামে কোন বংশ পদবী ছিল না। "দা ভিঞ্চি" দিয়ে বোঝায় তিনি এসেছেন ভিঞ্চি নগরী থেকে। তার পুরো নাম “লেওনার্দো দি সের পিয়েরো দা ভিঞ্চি” এর অর্থ হল "পিয়েরোর পুত্র লেওনার্দো, যার জন্ম ভিঞ্চিতে"।

লিওনার্দোর জীবনের প্রথম অংশ বিষয়ে খুবই অল্প জানা গিয়েছে। তার জীবনের প্রথম ৫ বছর কেটেছে আনসিয়ান এর একটি ছোট্ট গ্রামে। তারপর তিনি চলে যান ফ্রান্সিসকোতে , সেখানে তিনি তার পিতা, দাদা,দাদি ও কাকার সাথে থাকতেন। তার পিতা অ্যালবিরা নামে এক ষোড়শী তরুণী কে বিয়ে করেছিল। সে লিওনার্দো কে অনেক স্নেহ করত। কিন্তু অল্প বয়সেই সে মৃত্যবরণ করে। এর পরে কৈশোর জীবন বিষয়ে লিওনার্দো দুটি ঘটনার কথা লিপিবব্ধ করে গিয়েছেন। প্রথমটি হল — একবার একটি চিল হঠাৎ করে আকাশ থেকে নেমে তার দোলনার উপর দিয়ে যাবার সময় তার মুখে এর লেজের পালক বুলিয়ে যায়। লোকজন এই ঘটনাকে তার ভবিষ্যৎ জীবনের সফলতার লক্ষণ হিসেবেই ধরে নিয়েছিল। দ্বিতীয় ঘটনা হল — তিনি ছোটবেলায় একবার এক পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি একটা গুহা আবিষ্কার করেছিলেন। গুহাটা ছিল অন্ধকার, আর তার মনে হচ্ছিল এর ভিতরে নিশ্চয় কোনো অতিকায় দৈত্য লুকিয়ে আছে। কিন্তু তার অদম্য কৌতূহলের কারণে তিনি এই গুহায় কী আছে, তা খুঁজেও দেখেছিলেন।

ষোড়শ শতাব্দীর জীবনী লেখক ভাসারি রেঁনেসার চিত্রশিল্পীদের জীবনী লিখেছিলেন। লিওনার্দো কে নিয়ে তিনি তার বর্ণনায় বলেছেন-লিওনার্দো-র বাবা কে স্থানীয় একজন লোক বলেছিল তিনি যেন তার ছেলেকে একটি ছবি আঁকতে বলেন। লিওনার্দো এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে একটি ছবি এঁকেছিল। ছবিটিতে ছিল একটি সাপ মুখ থেকে আগুন নির্গত করছে। ছবিটি এত সুন্দর হয়েছিল যে পিয়েরো তা স্থানীয় চিত্র ব্যবসায়ীদের কাছে তা বেশ ভাল দামে বিক্রি করেছিলেন। আর যে লোকটি তাকে এ ছবিটি আঁকিয়ে নিতে বলেছিল, তিনি তাকে একটি হৃদয়ের ছবি আঁকা ফলক উপহার দিয়েছিলেন।

শিক্ষা

দা ভিঞ্চি কোনও রকম আনুষ্ঠানিক লেখাপড়া গ্রহণ করেননি। তার লেখাপড়ার সবকিছুই ঘরোয়াভাবে। তার ছিল প্রকৃতির প্রতি ভীষণ টান। এজন্য তিনি বেশিরভাগ সময় বাইরে বাইরে কাটাতে পছন্দ করতেন। ১৪৬৬ সালে লিওনার্দোর বয়স যখন ১৪ তখন তাকে ডেল ভেরোচ্চির কাছে শিক্ষানবিশ হিসেবে পাঠানো হয়, এরপর দ্রুতই তার প্রতিভার প্রকাশ ঘটে। বলা হয়ে থাকে ভিঞ্চির “দা ব্যাপ্টিজম অফ ক্রাইস্ট” এতটাই সুনিপুণ হয় যে তা দেখার পর ভেরোচ্চি জীবনের জন্য আঁকা ছেড়ে দেবার পণ করেন।

ভ্যারিচ্চিও-র কাজে যোগদান (১৪৬৬-১৪৭৬)

১৪৬৬ সালে লিওনার্দোর বয়স যখন ১৪, তখন তিনি ভ্যারিচ্চিও (Verrocchio)-র কাছে শিক্ষানবীশ হিসেবে যোগ দেন। ভ্যারিচ্চিও-র পুরো নাম “আন্দ্রে দাই সায়ন”, তিনি ছিলেন সে সময়ের একজন সফল চিত্রকর। ভ্যারিচ্চিও-র কর্মস্থলে তৎকালীন গুণী মানুষদের সমাগম হত।আরও নামকরা যেসব শিল্পী ভ্যারিচ্চিও-র তত্ত্বাবধানে কাজ করত বা তার ওয়ার্কশপে যাতায়াত করত, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন গিরল্যান্ডিও (Ghirlandaio), পেরুগন (Perugino), লরেঞ্জো দাই ক্রিডি (Lorenzo di Credi)।

এখানে কাজ করে লিওনার্দো হাতে কলমে প্রচুর কারিগরি জ্ঞানার্জন করেছিলেন। তার সুযোগ হয়েছিল কারুকার্য, রসায়ন, ধাতুবিদ্যা, ধাতু দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানানো, প্রাস্টার কাস্টিং, চামড়া দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানানো, গতিবিদ্যা এবং কাঠের কাজ ইত্যাদি শেখার। তিনি আরও শিখেছিলেন দৃষ্টিনন্দন নকশা করা, ছবি আঁকা, ভাস্কর্য তৈরি এবং মডেলিং। ভ্যারিচ্চিও-র ওয়ার্কশপে বেশিরভাগ কাজ করত তার অধীনস্থ কর্মচারীরা। ভাসারীর বর্ণনানুসারে লিওনার্দো ভ্যারিচ্চিও কে তার “ব্যাপ্টিজম অব ক্রাইস্ট” ছবিটিতে সাহায্য করেছিলেন। ছবিটিতে দেখানো হয়েছে একটি দেবদূত যীশুর লাঠি ধরে আছে। ছবিটি ভ্যারিচ্চিও কে এতটাই অভিভূত করেছিল যে তিনি নাকি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর কখনো তুলিই ধরবেন না, ছবিও আঁকবেন না। তবে খুব সম্ভবত ভাসারি ঘটনাটি অতিরঞ্জিত করেছিলেন। সূক্ষ্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এ ছবিটির যে সব বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় তা হল- এটি বিশেষ পদ্ধতিতে তৈল রং দিয়ে আঁকা। ভ্যারিচ্চিও বেশ কয়েকটি কাজে লিওনার্দো মডেল হিসেবে ছিলেন। যেমন- “ডেভিড” চরিত্রে “দি বার্জেলো” ( Bargello) নামক ব্রোঞ্জ মূর্তিতে, “আর্চঅ্যাঞ্জেল মাইকেল” হিসেবে “টোবিস এন্ড অ্যাঞ্জেল“(Tobias and the Angel) এ।

১৪৭২ সালে ২০ বছর বয়সে লিওনার্দো “গিল্ড অব সেন্ট লুক” এর পরিচালক হবার য্যোগ্যতা অর্জন করেন। এটি চিকিৎসক এবং চিত্রকরদের একটি সংঘ। কিন্তু তার বাবা তাঁকে নিজেদের ওয়ার্কশপের কাজে লাগিয়ে দেন। ভ্যারিচ্চিওর সাথে চুক্তি অনুসারে তিনি তার সাথেও কাজ চালিয়ে যান। লিওনার্দোর নিজের হাতে তারিখ দেওয়া সবচেয়ে পুরানো ছবি হল আর্নোভ্যালি, তারিখটি হল ৫ আগস্ট ১৪৭৩।

পেশাগত জীবন (১৪৭৬-১৫১৩)

আদালতের নথি থেকে দেখা যায় একবার লিওনার্দো সহ আরও ৩ জন যুবককে সমকামীতার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল এবং তারা বেকসুর খালাসও পেয়েছিল। এরপর ১৪৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি কি করেছিলেন, কোথায় ছিলেন তার কিছুই জানা যায়নি। ধারণা করা হয় পরবর্তিতে ১৪৭৮ থেকে ১৪৮১ পর্যন্ত লিওনার্দো তার নিজের ওয়ার্কশপে কাজ করেছেন। তিনি ১৪৭৮ সালে চ্যাপেল অব সেন্ট বার্নার্ড ও “অ্যাডোরেশন অব দি ম্যাগি” এবং ১৪৮১ সালে “মঙ্ক অব সান ডোনাটো এ স্কাপিটো” আঁকার দায়িত্ব পান।

ভাসারির মতে লিওনার্দো সে সময়ের সেরা সংগীতজ্ঞ ছিলেন। ১৪৮২ সালে তিনি ঘোড়ার মাথার আকৃতির একটি বীণা তৈরি করেছিলেন। লরেঞ্জো দ্য মেডিসি (Lorenzo de’ Medici) লিওনার্দো-র হাতে এই বীনা উপহার স্বরূপ মিলানের ডিউক লুদোভিকো এল মোরো (Ludovico il Moro) এর কাছে পাঠিয়েছিলেন শান্তিচুক্তি নিশ্চিত করার জন্য। এ সময় লিওনার্দো ডিউকের কাছে একটি চিঠি লিখেন, যাতে ছিল তার উদ্ভাবিত বিভন্ন চমকপ্রদ যন্ত্রের বর্ণনা। তিনি এ চিঠিতে নিজের চিত্রশিল্পী পরিচয়ের কথাও লিখেছিলেন।

লিওনার্দো ১৪৮২ থেকে ১৪৯৯ সালের মধ্যবর্তী সময়ে মিলানে কাজ করেছেন। এখানে তিনি ভার্জিন অব দ্যা রকস্ এবং দ্যা লাস্ট সাপার ছবি দুটি আঁকার দায়িত্ব পান। ১৪৯৩ থেকে ১৪৯৫ এর মধ্যে তার অধিনস্তদের মাঝে ক্যাটরিনা নামে এক মহিলার নাম পাওয়া যায়। ১৪৯৫ সালে এ মহিলাটি মারা যান। সে সময় তার শেষকৃত্যের খরচ দেখে ধারণা করা হয় তিনি ছিলেন লিওনার্দোর মা।

সালভাতোর মুন্ডি ও দ্য লাস্ট সাপার

ইতিহাস গড়া এই ছবিটি যিশুখ্রিষ্টের। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি এক হাত তুলে রয়েছেন (আশীর্বাদ দেওয়ার ভঙ্গি) এবং অন্য হাতে একটি স্ফটিকের গোলক। ‘সালভাতোর মুন্ডি’—শব্দের অর্থ ‘বিশ্বের পরিত্রাতা’।

বিশ্লেষকদের ধারণা, ১৫০৫ সালের কিছু পরে ছবিটি এঁকেছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ভিঞ্চি। অনেক দিন লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকার পর ২০০৫ সালে ছবিটি প্রকাশ্যে এলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। ২০১৩ সালে ছবিটি ১২ কোটি ৭৫ লাখ ডলারে কিনে নেন রুশ সংগ্রাহক এবং ফুটবল ক্লাব এএস মোনাকোর মালিক দিমিত্রি রাইবলোভেলভ।

প্রকৌশল এবং উদ্ভাবন

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি তার জীবদ্দশায় প্রকৌশলী হিসেবেও অনেক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। লুভোডিকো মুরো নামক এক ব্যক্তিকে তিনি এক চিঠি দিয়ে দাবি করেছিলেন যে তিনি একটি শহরের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য স্বয়ংক্রিয় কিছু যন্ত্র আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছেন। তারপর যখন তিনি ভেনিসে স্থানান্তরিত হলেন, তখন সেখানে তিনি এক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে চাকরি পান। যেখানে তিনি তার উদ্ভাবনী শক্তির পূর্ন বিকাশ সাধন করেন। শহরকে বহিরাগত আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য একটি স্থানান্তর যোগ্য ব্যারিকেট তৈরিতে সক্ষম হন যার ফলে তিনি অনেক খাতি অর্জন করেন। লিওনার্দো তার পত্রিকায় বিভিন্ন বাস্তব এবং অবাস্তব যন্ত্রের বর্ণনা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে রয়েছে নানা রকম বাদ্যযন্ত্র , একটি যান্ত্রিক সৈন্য, হাইড্রোলিক পাম্প, ডানার মর্টার শেল এবং একটি বাষ্প কামান।

তিনি তার জীবনের একটি বড় সময় উড্ডন সক্ষম যন্ত্র তৈরিতে ব্যয় করেন। তিনি তার জীবদ্দশায় উড়তে সক্ষম এরকম যন্ত্র ডিজাইনে ব্যাস্ত ছিলেন। তারই প্রদত্ত ডিজাইনে বর্তমানে আধুনিক বিমান নির্মাণ সক্ষম হয়েছে।

ভাস্কর্য

Ludovico Sforza এছাড়াও তার পিতা এবং পরিবার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা, Francesco Sforza একটি 16 ফুট লম্বা ব্রোঞ্জ অশ্বারোহী মূর্তি sculpting সঙ্গে ড ভিন্সি দায়িত্ব অর্পণ। তার কর্মশালায় অ্যাপেন্টস এবং শিক্ষার্থীদের সাহায্যে, দ্য ভিঞ্চি একটি ডজন বছরের বেশি সময় ধরে প্রকল্পটি চালু এবং বন্ধ করে দিয়েছিল। লিওনার্দো মূর্তিটির একটি জীবন-আকারের মৃত্তিকা মডেলের মূর্তিটি নির্মাণ করেছিলেন, কিন্তু ফ্রান্সের সাথে যুদ্ধ যখন যুদ্ধের জন্য ব্রোঞ্জ ব্যবহার করা হতো তখন ভবঘুরে না। ফ্রেঞ্চ বাহিনী 1499 সালে মিলানকে পরাজিত করার পর এবং মৃত্তিকা মডেলকে টুকরো টুকরো করে ফেললে - দ্য ভিঞ্চি শহরের সাথে ডিউক ও এসফোরজা পরিবার পালিয়ে যায়।


আশ্চর্যের ব্যাপার হল, 1499 খ্রিস্টাব্দে লুডোভিকোকে পরাজিত ফ্রান্সিয়ান বাহিনীর নেতৃত্বে গিয়েন গিয়াকোওো ত্রিভূজিয়েও তাঁর শত্রুদের পদচিহ্ন অনুসরণ করেছিলেন এবং দ্য ভ্যানিকে একটি বিশাল অশ্বারোহী মূর্তি বানানোর জন্য কমিশন করেছিলেন, যেটি তার কবরের উপর মাউন্ট করা যেতে পারে।

পেন্টিং কৌশল

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি তার দুটি পেইন্টিং কৌশলগুলির অগ্রগতির জন্য সুপরিচিত:
Chiaroscuro: দ্য ভিঞ্চি এর পরিসংখ্যান একটি ত্রিমাত্রিকতা দিয়েছেন যে অন্ধকার এবং আলো মধ্যে একটি অসদৃশ পার্থক্য।
Sfumato: একটি কৌশল যা কঠোর সীমান্তের পরিবর্তে সূক্ষ্ম ধাপে ধাপে, একটি নরম, ধূমকেতু আভা সঙ্গে পেইন্টিং আঁকা।
1483 সালে শুরু হয় "রক্সের ভার্জিন" ছবিটি, এই দুটি কৌশলগুলির একটি চমৎকার উদাহরণ।
অনুসন্ধান: উড়ন্ত মেশিন
একজন মানুষ তার সময়ের আগে, দ্য ভিঞ্চি ভবিষ্যতের ভবিষ্যদ্বাণীতে হাজির হন একটি যন্ত্রের স্কেচ এবং একটি হেলিকপ্টার। সম্ভবত তার সবচেয়ে সুপরিচিত "আবিষ্কার" একটি "উড়ন্ত মেশিন", যা একটি ব্যাট এর শারীরবিদ্যা উপর ভিত্তি করে।

কখন এবং কোথায় ড্যানি ভ্যানি জন্ম হয়েছিল?
লিওনার্দো দ্য ভ্যানি 155২ সালের 15 এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন একটি ফার্মহাউজ যা আজকের ইতালিতে অ্যানচিয়ানো গ্রামের বাইরে টাস্কিনিয়ের অমূল্য পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত।
সম্মানিত ফ্লোরেনটাইনের নাটিক সার্ পিরিও এবং ক্যাটরিনার নামক একটি তরুণ কৃষক মহিলা বিবাহের বাইরে জন্মগ্রহণ করেন, লিওনার্দো দ্য ভ্যানি তার পিতার এবং তার সতীর্থ দ্বারা উত্থাপিত হয়। পাঁচ বছর বয়সে, তিনি নিকটবর্তী ভ্যানি, টাস্কান শহরে তার বাবার পরিবারের আভ্যন্তরীণ জায়গায় চলে আসেন, যেখান থেকে লিওনার্দোর সাথে সম্পৃক্ত উপনামটি এসেছে, এবং তার চাচা এবং দাদা-দাদীদের সাথে বসবাস করে।

তরুণ লিওনার্দো মৌলিক পড়ার, লেখা এবং গণিত নির্দেশনার বাইরে সামান্য আনুষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেন, কিন্তু শৈল্পিক প্রতিভা শৈল্পিকতা থেকে প্রাথমিক যুগের থেকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। 14 বছর বয়সে, দ্য ভিঞ্চি ফ্লোরেন্সের বিখ্যাত শিল্পী আন্দ্রে দেল ভেরোকোইয়ের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণপ্রাপ্তি শুরু করে। তিনি ধাতব কাজ, চামড়া শিল্প, কার্পেট, অঙ্কন, চিত্রাঙ্কন এবং ভাস্কর্য সহ প্রযুক্তিগত দক্ষতার একটি বিস্তৃত শিখেছেন। তাঁর নিকটতম পরিচিত কাজের - অরুন উপত্যকায় একটি আড়াআড়ি একটি কলম এবং কালি অঙ্কন - 1473 সালে স্কেচ ছিল।

২0 বছর বয়সে, ড্যানি ভ্যানি ফ্লোরেন্সসের সেন্ট লুকের গিল্ডের মাস্টার শিল্পী হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেন এবং নিজের কর্মশালা প্রতিষ্ঠা করেন। তবে তিনি আরও পাঁচ বছরের জন্য তার শিক্ষকের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছিলেন। মনে করা হয় যে ডেল ভিরোকিও তাঁর ছাত্রের সহায়তায় 1475 খ্রিস্টাব্দে তার "খ্রীষ্টের বাপ্তিস্ম" সম্পন্ন করেছেন, যিনি ব্যাকগ্রাউন্ডের অংশ আঁকিয়েছেন এবং যিশুর পোশাকধারী তরুণ দেবদূত শিল্পকলা জর্জজি Vasari দ্বারা 1550 এর কাছাকাছি লেখা সর্বাধিক চিত্রশিল্পী, ভাস্কর্য এবং স্থপতিদের মতে, ভেরোকচিয়ো তার ছাত্রের উচ্চতর প্রতিভা দ্বারা এতই নীচু হয়েছিলেন যে তিনি কখনও কখনও একটি পশমীড়্ তুলে নেননি। অধিকাংশ পণ্ডিত, তবে, Vasari এর অ্যাকাউন্ট হিসাবে apocryphal বরখাস্ত।

শেষ জীবন,১৫১৩ থেকে ১৫১৯

সেপ্টেম্বর ১৫১৩ থেকে ১৫১৬ পর্যন্ত অধিকাংশ সময় তিনি রোমে দশম পোপ এর অধীনে কাটিয়েছিলেন। অক্টোবর ১৫, ১৫১৫ তে যখন রাজা ফ্রান্সিস ১ম মিলান দখল করলেন তখন লিওনার্দো তার অধীনে কাজ শুরু করেন। তিনি তখন রাজার বাসভবনের পাশেই "ক্লস লুইস" নামক ভবনে বসবাস করতে শুরু করলেন যেখানে তিনি তার জীবনের পরবর্তী ৩ বছর অতিবাহিত করেন।

২রা মে ১৫১৯ এ লিওনার্দো এই "ক্লস লুইস" ভবনে মৃত্যু বরণ করেন।

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0