লকি ফার্গুসন এর জীবনী | Biography of Lockie Ferguson
লকি ফার্গুসন এর জীবনী | Biography of Lockie Ferguson

ব্যক্তিগত তথ্য |
|
---|---|
পূর্ণ নাম |
লাচলান হ্যামন্ড ফার্গুসন
|
জন্ম |
১৩ জুন ১৯৯১অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড |
ব্যাটিংয়ের ধরন |
ডানহাতি |
বোলিংয়ের ধরন |
ডানহাতি ফাস্ট |
ভূমিকা |
বোলার |
আন্তর্জাতিক তথ্য |
|
জাতীয় দল |
|
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৯০) |
৪ ডিসেম্বর ২০১৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া |
শেষ ওডিআই |
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বনাম বাংলাদেশ |
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৭১) |
৩ জানুয়ারি ২০১৭ বনাম বাংলাদেশ |
শেষ টি২০আই |
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বনাম ভারত |
ঘরোয়া দলের তথ্য |
|
বছর |
দল |
২০১৩-বর্তমান |
অকল্যান্ড |
২০১৭ |
রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্ট |
২০১৮ |
ডার্বিশায়ার |
২০১৯-২০২১ |
কলকাতা নাইট রাইডার্স |
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে লকি ফার্গুসনের ‘বিশ্বরেকর্ড’
লাচলান হ্যামন্ড লকি ফার্গুসন
(ইংরেজি: Lockie Ferguson; জন্ম: ১৩ জুন, ১৯৯১) অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ারের পক্ষে খেলছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলিং করে থাকেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিং করে থাকেন ‘লকি’ ডাকনামে পরিচিত লকি ফার্গুসন।
শৈশব ও প্রারম্ভিক জীবন
পূর্ণ নাম: লকলান হামিশ ফার্গুসন
জন্ম: ১৩ জুন ১৯৯১
জন্মস্থান: অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
লকি ফার্গুসন জন্মগ্রহণ করেন নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরে। ছোটবেলা থেকেই তার গতি ও স্পোর্টস নিয়ে আগ্রহ ছিল। তিনি Auckland Grammar School-এ পড়াশোনা করেন, যেখানে তিনি অ্যাথলেটিক্স ও ক্রিকেটে দারুণ পারদর্শিতা দেখান। স্কুল পর্যায়েই তার বোলিং গতি ছিল অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি।
ঘরোয়া ক্রিকেট
ডানহাতে দ্রুতগতিতে বাউন্সার প্রদানের সক্ষম তিনি। প্লাঙ্কেট শীল্ডে তার এই দূরন্ত গতিই সফলতা এনে দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষমতা দেখান লকি ফার্গুসন। নিজস্ব প্রথম দুই মৌসুমে অকল্যান্ড দলে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল তার। ২০১৪-১৫ মৌসুমে নিজেকে খেলার জগতে ফিরিয়ে আনেন। ২৩.৩৮ গড়ে ২১ উইকেট পান তিনি। পরের বছর ৩১ উইকেট নিয়ে লিস্ট এ দলে সাফল্যের বার্তা বয়ে আনেন।
ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ৫০ লক্ষ রূপির বিনিময়ে রাইজিং পুনে সুপারজায়েন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।[২] ডিসেম্বর, ২০১৮ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ২০১৯ সালের সংস্করণে খেলোয়াড়দের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে দলে টেনে নেয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
নভেম্বর, ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়া গমনে নিউজিল্যান্ডের একদিনের (ওডিআই) দলে লকি ফার্গুসনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আঘাতপ্রাপ্ত অ্যাডাম মিলেনের ফাস্ট বোলিংয়ের শূন্যতা পূরণে তাকে দলে নেয়া হয়েছিল। ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে লকি ফার্গুসনের। সিডনিতে অভিষেক ঘটা ফার্গুসন তার প্রথম ওভারেই ডেভিড ওয়ার্নারকে বিদেয় করে তার অন্তর্ভুক্তির যথার্থতা তুলে ধরেন।৩ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে সফরকারী বাংলাদেশের বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে টম ব্রুস, বেন হুইলারের সাথে একযোগে অভিষেক হয় তার। খেলায় তিনি নির্ধারিত চার ওভারে ৩/৩২ পান। ঐ খেলায় তিনি তার প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট তুলে নেন। এ ধরনের খেলায় এটি দ্বিতীয় ঘটনারূপে স্বীকৃতি পায়।
নভেম্বর, ২০১৭ সালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলার জন্য নিউজিল্যান্ডের সদস্যরূপে মনোনীত হন। তিনি টিম সাউদির স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। টম ব্লান্ডেলের টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হলেও তিনি খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি। মে, ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কর্তৃক ২০১৮-১৯ মৌসুমের জন্য বিশজন খেলোয়াড়কে চুক্তিবদ্ধ করা হয়। টড অ্যাশলে’র সাথে তিনিও অন্যতম হিসেবে মনোনীত হন।
৩ এপ্রিল, ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য কেন উইলিয়ামসনকে অধিনায়কত্ব করে ১৫-সদস্যের নিউজিল্যান্ড দল ঘোষণা করা হয়। ঐ তালিকায় তিনিও অন্যতম সদস্যরূপে মনোনয়ন লাভ করেন।
আন্তর্জাতিক অভিষেক ও সাফল্য
-
ওডিআই অভিষেক: ৪ ডিসেম্বর ২০১৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া
-
টি-২০ অভিষেক: ৩ জানুয়ারি ২০১৭ বনাম বাংলাদেশ
-
টেস্ট অভিষেক: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া
তাঁর ওডিআই অভিষেকে প্রথম বলেই উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন। এরপর তিনি নিউজিল্যান্ডের সীমিত ওভারের দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেন।
অধ্যায় ৪: বিশ্বকাপ ও বড় মঞ্চে পারফরম্যান্স
২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ:
-
ফার্গুসন ছিলেন নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম সেরা পারফর্মার।
-
পুরো টুর্নামেন্টে ২১ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারি হন।
-
নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে নিয়ে যেতে তার ভূমিকা ছিল অসাধারণ।
টি-২০ বিশ্বকাপ:
-
২০২1 সালের টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ইনজুরির কারণে বাদ পড়লেও, ২০২2 সালে তিনি দলে ফিরে আসেন আগ্রাসী ফর্মে।
অধ্যায় ৫: আইপিএল ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট
লকি ফার্গুসন বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে অংশগ্রহণ করেছেন:
-
IPL:
-
কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)
-
গুজরাট টাইটান্স (GT)
-
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB)
-
তিনি আইপিএলে তার দুর্দান্ত গতি, ইয়র্কার ও শর্ট বল দিয়ে আলোচিত। গতি ও ভ্যারিয়েশনের কারণে তিনি ‘এক্স ফ্যাক্টর’ বোলার হিসেবে পরিচিত।
অধ্যায় ৬: খেলোয়াড়ি বৈশিষ্ট্য
-
গতি: নিয়মিত ১৪৫-১৫৫ কিমি/ঘণ্টা স্পিডে বল করতে পারেন
-
বোলিং স্টাইল: ডানহাতি ফাস্ট বোলার
-
বিশেষত্ব: দ্রুত ইয়র্কার, বাউন্সার, ডেথ-ওভারে কার্যকর
-
ব্যাটিং: সাধারণত নিচের দিকে খেলেন
ব্যক্তিগত জীবন ও চরিত্র
লকি একজন শান্ত স্বভাবের, ধীরস্থির ও পরিশ্রমী খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত। ক্রিকেটের বাইরে তিনি প্রযুক্তি ও সিনেমার দারুণ ভক্ত। মিডিয়াতে খুব কম কথা বলেন, এবং ব্যক্তিগত জীবন সাধারণত গোপন রাখেন।
ভবিষ্যৎ ও উত্তরাধিকার
লকি ফার্গুসন নিউজিল্যান্ডের গতির প্রতীক। তিনি প্রমাণ করেছেন, ইনজুরি ও বাধা সত্ত্বেও ধৈর্য, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাস থাকলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা যায়। তরুণ পেসারদের জন্য তিনি একটি প্রেরণার উৎস।
sourse : jamuna .... thedailystar ....wikipedia
What's Your Reaction?






