রদ্রিগো ডে পল এর জীবনী | Biography of Rodrigo De Paul
রদ্রিগো ডে পল এর জীবনী | Biography of Rodrigo De Paul

ব্যক্তিগত তথ্য |
|||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম |
রোদ্রিগো হাভিয়ের দে পোল | ||
জন্ম |
২৪ মে ১৯৯৪ | ||
জন্ম স্থান |
সারান্দি (বুয়েনোস আইরেস), আর্জেন্টিনা | ||
উচ্চতা |
১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান |
মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য |
|||
বর্তমান দল
|
আতলেতিকো মাদ্রিদ |
||
জার্সি নম্বর |
৭ | ||
যুব পর্যায় |
|||
২০০২–২০১২ |
আভেয়ানেদা | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* |
|||
বছর |
দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১২–২০১৪ |
আভেয়ানেদা | ৫৪ | (৬) |
২০১৪–২০১৬
|
ভালেনসিয়া | ৩৪ | (১) |
২০১৬ |
→ আভেয়ানেদা (ধার) | ১১ | (০) |
২০১৬–২০২১ |
উদিনেসে | ১৭৭ | (৩৩) |
২০২১– |
আতলেতিকো মাদ্রিদ | ৪৭ | (৪) |
জাতীয় দল‡ |
|||
২০১৮– |
আর্জেন্টিনা | ৪১ | (২) |
আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সেরা দল আমরা: ডে পল
রদ্রিগো ডে পল (Rodrigo De Paul) একজন আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়, যিনি মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। তিনি বর্তমানে স্পেনের ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন।
রোদ্রিগো হাভিয়ের দে পোল
(স্পেনীয়: Rodrigo De Paul, স্পেনীয় উচ্চারণ: [roˈðɾiɣo ðe pol]; জন্ম: ২৪ মে ১৯৯৪; রোদ্রিগো দে পোল নামে সুপরিচিত) হলেন একজন আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে স্পেনীয় ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদ এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
রোদ্রিগো ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ৪৩ ম্যাচে ২টি গোল করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য
-
পূর্ণ নাম: রদ্রিগো হাভিয়ের ডে পল (Rodrigo Javier De Paul)
-
জন্ম: ২৪ মে ১৯৯৪, সারান্দি, আর্জেন্টিনা
-
উচ্চতা: ১.৮০ মিটার
-
পজিশন: সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার
-
বর্তমান ক্লাব: অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ (জার্সি নম্বর ৫)
-
চুক্তির মেয়াদ: জুন ২০২৬ পর্যন্ত
প্রারম্ভিক জীবন
রোদ্রিগো হাভিয়ের দে পোল ১৯৯৪ সালের ২৪শে মে তারিখে আর্জেন্টিনার সারান্দি (বুয়েনোস আইরেস) জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
ক্লাব ক্যারিয়ার
-
রেসিং ক্লাব (আর্জেন্টিনা): ২০০২ সালে মাত্র ৮ বছর বয়সে রেসিং ক্লাবের যুব দলে যোগ দেন। এখান থেকেই তার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয়।
-
ভ্যালেন্সিয়া (স্পেন): ২০১৪ সালে স্পেনের ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ায় যোগ দেন। তবে এখানে তার সময়টা খুব একটা সফল ছিল না।
-
উদিনেজে (ইতালি): ২০১৬ সালে ইতালির ক্লাব উদিনেজেতে যোগ দেন। এখানে তিনি ১৭৭ ম্যাচে ৩৩ গোল করেন এবং ৩৩টি অ্যাসিস্ট প্রদান করেন।
-
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ (স্পেন): ২০২১ সালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেন। ২০২৪-২৫ মৌসুমে তিনি ৩৩টি লা লিগা ম্যাচে ৩টি গোল এবং ৪টি অ্যাসিস্ট করেছেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবল
২০১৮ সালের ১১ই অক্টোবর তারিখে, ২৪ বছর, ৪ মাস ও ১৭ দিন বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী রোদ্রিগো ইরাকের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে আর্জেন্টিনার হয়ে অভিষেক করেছেন। তিনি উক্ত ম্যাচের মূল একাদশে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন; ম্যাচে তিনি ২৭ নম্বর জার্সি পরিধান করে বাম পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছিলেন। ম্যাচটি আর্জেন্টিনা ৪–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল আর্জেন্টিনার হয়ে অভিষেকের বছরে রোদ্রিগো সর্বমোট ৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
সবশেষ ১৯৮৬ সালে ডিয়াগো ম্যারাডোনার হাত ধরে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর কাতারে ৩৬ বছর পর মরুর বুকে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার রদ্রিগো ডে পল মনে করেন, বর্তমান দলটি আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সেরা দল।
২০১৮ সাল থেকে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সঙ্গে আছেন ডে পল। কোপা আমেরিকা, ফিনালিসিমা ও বিশ্বকাপ জয়ে আকাশি নীল জার্সিতে দারুণ ভুমিকা রাখেন ২৮ বর্ষী মিডফিল্ডার।মাদ্রিদ থেকে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসকে সাক্ষাৎকার দেন আতলেতিকোর এ তারকা। দলটির কোচ লিওনেল স্কালোনিকে নিয়ে ডে পল বলেন, ‘ তিনি সবকিছু গোড়া থেকে শুরু করেছেন। দারুণ কিছু জিনিস দলের মধ্যে তৈরি করেছেন। তিনি শিখিয়েছেন জাতীয় দলের জার্সিকে কীভাবে সম্মান করতে হয়’।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া। যা আমাদের মধ্যে ভালোভাবেই তৈরি হয়েছিল। তিনি আমাদের পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সবার আগে জাতীয় দল। আমারও সেটাই মেনেছি। যে কারণে আমরা শেষপর্যন্ত বিশ্বকাপ জিততে পেরেছি। আপনি আমাকে ক্ষমা করেন, আমাদের দেশের ইতিহাসে সেরা জাতীয় দল এটি।’
আর্জেন্টাইন এ তারকা কোনো বিতর্ক তৈরি করতে এসব বলেননি, আগেই এমনটা স্বীকার করে তিনি বলেন , ‘আমি এটা নিয়ে অহংকার করছি না। আমি মনে করি, জাতীয় দলে বাইরে আরও ভালো খেলোয়াড় ছিল, কিন্তু দল হিসেবে আমরা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পরাজিত করেছি। সর্বশেষ আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল, ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন ইতালি এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে আমরা হারিয়েছে।’
দীর্ঘ সময় পর হলেও আর্জেন্টাইন সমর্থকদের হতাশ করেনি স্কালোনির দল। ডে প বলেন, ‘এগুলো আসলে সহজ বিষয় না। এ দলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু অর্জন করেছে এবং সমর্থকদের দেয়া কথা আমরা রাখতে পেরেছি। জাতীয় দলের জার্সির মান রেখেছি।’
কাতার বিশ্বকাপ জয়ের প্রসঙ্গে ডে পল বলেন, ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়াই অমরত্বের চাবিকাঠি। আমরা অমর হয়ে থাকব। আপনি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে (এএফএ) প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখবেন ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালের চ্যাম্পিয়নদের ছবি। এখন আমরাও ছবি হয়ে সেখানে রয়ে যাব আজীবন। অবিশ্বাস্য!’
জাতীয় দল ক্যারিয়ার
-
আন্তর্জাতিক অভিষেক: ১১ অক্টোবর ২০১৮, ইরাকের বিপক্ষে ৪–০ গোলের জয়ে
-
কোপা আমেরিকা ২০১৯: আর্জেন্টিনা তৃতীয় স্থান অর্জন করে
-
কোপা আমেরিকা ২০২১: কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোল করেন এবং ফাইনালে তার পাস থেকে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া গোল করেন, যা আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জয়ে সাহায্য করে
-
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২: আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন
-
কোপা আমেরিকা ২০২৪: আর্জেন্টিনা দলের সদস্য ছিলেন
খেলার ধরন ও অবদান
ডে পল একজন শক্তিশালী, পরিশ্রমী এবং কৌশলী মিডফিল্ডার। তিনি বল কন্ট্রোল, পাসিং এবং আক্রমণ ও রক্ষণে সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কোচ দিয়েগো সিমিওনে তাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
ডে পল এর আগে আর্জেন্টিনার পপ তারকা টিনি স্টোয়েসেলের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। তাদের বিচ্ছেদের পর টিনি পুয়ের্তো রিকোর র্যাপার ইয়াং মিকোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। ডে পলের প্রাক্তন স্ত্রী কামিলা হোমসের সঙ্গে তার দুই সন্তান রয়েছে।
SOURSE : wikipedia .. channelionline .... prothomalo
What's Your Reaction?






