মেহেদী হাসান মিরাজ এর জীবনী | Biography of Mehidy Hasan Miraz

মেহেদী হাসান মিরাজ এর জীবনী | Biography of Mehidy Hasan Miraz

May 23, 2025 - 12:04
May 29, 2025 - 23:43
 0  1
মেহেদী হাসান মিরাজ এর জীবনী | Biography of Mehidy Hasan Miraz

ব্যক্তিগত তথ্য

পূর্ণ নাম

মেহেদী হাসান মিরাজ

জন্ম

২৫ অক্টোবর ১৯৯৭ (বয়স ২৭)
বরিশাল, বাংলাদেশ

ডাকনাম

মিরাজ

উচ্চতা

১.৬৮ মিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি)

ব্যাটিংয়ের ধরন

ডান-হাতি

বোলিংয়ের ধরন

ডান-হাতি অফ ব্রেক

ভূমিকা

অল-রাউন্ডার

আন্তর্জাতিক তথ্য

জাতীয় দল

  • বাংলাদেশ

টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৮০)

২০ অক্টোবর ২০১৬ বনাম ইংল্যান্ড

শেষ টেস্ট

২৯ অক্টোবর ২০২৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা

ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১২৩)

২৫ মার্চ ২০১৭ বনাম শ্রীলংকা

শেষ ওডিআই

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বনাম নিউজিল্যান্ড

ওডিআই শার্ট নং

৫৩

টি২০আই অভিষেক

৬ এপ্রিল ২০১৭ বনাম শ্রীলঙ্কা

শেষ টি২০আই

৩ ডিসেম্বর ২০২৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ

টি২০আই শার্ট নং

৫৩

জেনে নিন মেহেদী হাসান মিরাজের জীবনী

মেহেদী হাসান মিরাজ (জন্ম: ২৫ অক্টোবর ১৯৯৭) একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেন। তিনি একজন বোলিং-অল-রাউন্ডার, ডান-হাতি ব্যাটসম্যান এবং ডান-হাতি অফ-ব্রেক বোলার।

প্রারম্ভিক ও ব্যাক্তিগত জীবন

তিনি জন্মগ্রহণ করেন বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার র‌ঙ্গশ্রী ইউনিয়ন এ। জীবিকার তাগিদে একসময় তার বাবার সাথে পুরো পরিবার খুলনার খালিশপুর চলে গেলে তিনি সেখানেই বেড়ে উঠেন। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ,খুলনা হতে। মেহেদী ৮ বছর বয়স হতেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেন।

২০১৯ এর মার্চে দীর্ঘ ৫ বছর প্রেম করার পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মিরাজ ও রাবেয়া আক্তার প্রিতী।[] ২০২০ সালের অক্টবরে পুত্র সন্তানের জনক হয়েছেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।

২০১৬ অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তিনি ২০১৬ আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন।

মিরাজের অসাধারণ অধিনায়কত্বের সুবাদে বাংলাদেশ যুব দল ২০১৬ আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে সেমি ফাইনালে প্রবেশ করতে সামর্থ্য হয়। উত্তেজনাপূর্ণ সেমি ফাইনালে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩ উইকেটে পরাজিত হয়। তৃতীয় প্লে-অফে শ্রীলঙ্কা জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে পরাজিত করে তৃতীয় স্থান অধিকার করে। অসাধারণ অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে প্রদর্শনের সুবাদে মিরাজ ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ৬ ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৪২ রান এবং বল করে ১২ উইকেট লাভ করেন।

ঘরোয়া ক্রিকেট

২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেন। অভিষেক ম্যাচে তিনি ৫১ রান সংগ্রহ করেন (যদিও তিনি ১ম ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পান) এবং ৪ উইকেট লাভ করেন। ১৬ নভেম্বর ২০১৬ সালে ২০১৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেটে রাজশাহী কিংসের হয়ে তার টি২০ ক্রিকেটে অভিষেক হয়।

২০১৭ বিপিএল  ২০১৯ বিপিএলেও তিনি রাজশাহীর হয়ে খেলেন। 

২০১৯-২০ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে তিনি খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলেন। ফাইনালে রাজশাহী কিংসের কাছে তার দল হেরে যায়।

২০২১ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে তিনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলেন।

২০২৩ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে তিনি ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলেন।

২০২৪ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে তিনি ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলেন। ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে প্রথমবার বিপিএল শিরোপা জিতেন।[১৯] টুর্নামেন্টে তিনি ১৫ ম্যাচে ১৫৬ রানের সাথে ১১ উইকেট নেন।

২০২৫ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে তিনি খুলনা টাইগার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

টেস্ট ক্রিকেট

২০ অক্টোবর ২০১৬, মেহেদীর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়। তিনি একজন অফ ব্রেক বোলার। তিনি তার প্রথম টেস্ট ইনিংসে ৬ উইকেট লাভ করেন,যার মধ্যে ইংল্যান্ডের অভিষেক খেলোয়াড় বেন ডাকেটের উইকেটটিও অন্যতম। ম্যাচে সপ্তম এবং সর্বকনিষ্ঠ বাংলাদেশী টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। সিরিজের ২য় টেস্টে মাত্র ৬ষ্ঠ বোলার হিসাবে প্রথম ২ টেস্টে তিনবার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। ১৯ উইকেট নিয়ে ৯ম এবং ১ম বাংলাদেশী হিসাবে অভিষেক টেস্ট সিরিজেই প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ জেতার গৌরব অর্জন করেন। অভিষেকে টেস্টেই এমন সাফল্যের পর বাংলাদেশ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে একটি নতুন বাড়ি উপহার দেন।

জুলাই ২০১৮ সালে, সাবিনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে(বাংলাদেশের বাইরে) ৫ উইকেট লাভ করেন।[

নভেম্বর ২০১৮ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২য় টেস্টে মিরাজ ১৭৭ রান খরচায় ১২ উইকেট লাভ করেন যা একজন বাংলাদেশী বোলার হিসাবে টেস্টে সেরা বোলিং ফিগার।

৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরাজ ১০৩ রান করেন যা টেস্টে তার প্রথম সেঞ্চুরি।

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মিরাজ টেস্টে ১০০তম উইকেট লাভ করেন যা বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে দ্রুততম(টেস্ট ম্যাচ খেলার সংখ্যা হিসাবে)। ২৪ টেস্ট ম্যাচ খেলে এ কীর্তি গড়ে তিনি তাইজুল ইসলামের রেকর্ড ভেঙ্গে দেন।

আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যেই বেড়ে উঠেছেন মিরাজ। ক্রিকেট খেলায় ছোটবেলা থেকেই আগ্রহ ছিল তাঁর। তবে পরিবার থেকে ক্রিকেট খেলায় কোনও সমর্থন পেতেন না বলে লুকিয়ে ক্রিকেট খেলতেন তিনি।

এমনকি ক্রিকেট খেলার জন্য বাবার হাতে মারধোরও খেতে হয়েছে মিরাজকে।

তাঁর বাবা জালাল হোসেনও একথা স্বীকার করে বললেন যে আর সব বাবার মতো তিনিও চাইতেন ছেলে ভালোমতো লেখাপড়া শিখে ভালো চাকরি করুক।

"প্রথম থেকেই আমি তার ক্রিকেট খেলাকে সমর্থন করতাম না। আমি গরীব মানুষ, আর সবার মতো আমিও চাইতাম ছেলে ভালো পড়ালেখা করে সরকারি চাকরি করুক। ক্রিকেট খেলে যে সে এতদূর আসবে এটাতো আমার কল্পনাতেও ছিল না" - বলেন মিরাজের বাবা জালাল হোসেন।

মি: হোসেন জানান, খুলনার কাশিপুর ক্রিকেট একাডেমির কোচ মো: আল মাহমুদের হাত ধরেই মেহেদী হাসান মিরাজ এতদূর এগিয়েছে।

কথা হয়েছিল মো: আল মাহমুদের সাথেও। মি: মাহমুদ জানান, মিরাজকে তিনি আট বছর বয়স থেকে দেখছেন এবং সেই বয়স থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি তীব্র আগ্রহ ছিল ছেলেটির মধ্যে।

কিন্তু একাডেমিতে যে টাকা দিয়ে ভর্তি হয়ে ক্রিকেট খেলবে সেই অবস্থা মিরাজের ছিল না। একে তো টানাটানির সংসার, অন্যদিকে লুকিয়ে সে ক্রিকেট খেলতো।

তবে প্রতিবেশী রাসেল হোসেনের সহায়তায় কোচ আল মাহমুদকে পাশে পান মিরাজ।

আল মাহমুদ বলছিলেন, মিরাজের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না হলেও ওর তীব্র ইচ্ছা আর সাহসী মানসিকতা দেখে তাকে তিনি প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেন।

"সবচেয়ে মজার বিষয় হলো মিরাজের বাবা মাঠে এসেও তাকে মারধোর করেছে, মাঠ থেকে নিয়ে যেতো। আমি একদিন বললাম আপনি যদি ওকে এখানে খেলতে না দেন তাহলে এই এলাকায় আপনি থাকতে পারবেন না" - মিরাজের বাবাকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি হাসতে হাসতে জানাচ্ছিলেন মি: মাহমুদ।

ওই একাডেমি থেকে বয়সভিত্তিক বাছাইয়ে প্রথমেই অনুর্ধ্ব-১৪ দলে সুযোগ পান মেহেদী হাসান মিরাজ। অনুর্ধ্ব-১৪ টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ২৫ হাজার টাকা জেতেন মিরাজ, এরপর অবশ্য তাঁর বাবা আর খেলায় বেশি বাধা দেননি।

অনুর্ধ্ব-১৪ টুর্নামেন্টের পর অনুর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টেও ডাক পান মিরাজ। তারপর আস্তে আস্তে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে থাকেন তিনি। অনুর্ধ্ব-১৯ দলে জায়গা করে নিয়ে দলের নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগও চলে আসে তাঁর সামনে এক সময়।

আর অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে থেকেই মেহেদী হাসান মিরাজের নামটি জানতে পারেন অনেকে। এরপর তাঁর পারফরম্যান্স দিয়েই তিনি জাতীয় দলে জায়গা করে নেন।

এরপর জাতীয় দলে অভিষেকে তাঁর পারফরম্যান্স দেখেছে বিশ্ববাসী।

যদিও ব্যাট হাতে নিজের দক্ষতা দেখাতে পারেননি মিরাজ, তবে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন বাংলাদেশের নতুন এই মুখ ক্রিকেটকে অনেক কিছু দেবার যোগ্যতা রাখেন।

১৫ মার্চ ২০২২-এ, বাংলাদেশ টেস্ট দলের বেশ কয়েকজন সদস্যের সাথে, তিনি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নূর মসজিদে প্রবেশ করার মুহূর্ত ছিল যখন একটি সন্ত্রাসী হামলা শুরু হয়েছিল।

দলের সকল সদস্য “গভীরভাবে প্রভাবিত” হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের “সন্ত্রাসী হামলার” ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে হাসান তার দীর্ঘদিনের বাগদত্তা রাবেয়া আক্তার প্রীতিকে ২১ মার্চ ২০২২-এ বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

মেহেদী বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিভাবান এবং মনোযোগী তরুণ ক্রিকেটার। অলরাউন্ডার রাইট আর্ম অফ ব্রেক বোলার হিসেবে খেলছেন তিনি। হাসান শৈশব থেকেই ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। মেহেদী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সের জন্য মেহেদী হাসান টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।

মেহেদী হাসানের মিরাজের ক্যারিয়ার

দল যখন অন্ধকারে, তখনই আলো ঝলমলে পারফরম্যান্সে চোখ ধাঁধিয়ে দেন মিরাজ। মিরাজের ভাষায় যার নাম ‘বিলিভ সিস্টেম’। একটা জিনিস বারবার সাফল্যের সঙ্গে করতে পারলেই একজন খেলোয়াড়ের মধ্যে তৈরি হয় এই ‘বিশ্বাস-প্রক্রিয়া’। ভারতের বিপক্ষে জিততে বাংলাদেশের যখন ৫১ রান দরকার, হাতে ১ উইকেট নিয়েও মিরাজ জয়ের স্বপ্ন দেখেছেন। অনেকের কাছে সেটা হয়তো কষ্টকল্পনা, কিন্তু মিরাজ সে দলের নন। তাঁকে নিয়ে তাই তামিমের আরেকটা কথা, ‘৫ রান দরকার, প্রতিপক্ষের হাতে আছে ৬ উইকেট। মিরাজ তবু বিশ্বাস করবে, সেখান থেকে ম্যাচ জেতা সম্ভব। আমাদের কাছে সেটা হাস্যকর মনে হতে পারে। কিন্তু মিরাজ সত্যিই বিশ্বাস করবে।’

বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের রাতারাতি তারকা বনে যাওয়ার সহজ উপায় ভারতকে হারানোয় ভূমিকা রাখা। ২০০৪ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ভারতকে হারানোর স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বলে। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে তামিমের বিধ্বংসী ফিফটি, ২০১২ সালের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমের ফিনিশিং ও ২০১৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমানের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ের সঙ্গে এখন ‘মিরাজ মিরাকল’ও জুড়ে দেওয়া যায় অনায়াসে।

ঘরোয়া ক্যারিয়ার

হাসান ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫-এ রাজশাহী বিভাগীয় ক্রিকেট দলের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয়। তার অভিষেক ম্যাচে তিনি ৫১ রান করেন (তিনি শুধুমাত্র প্রথম ইনিংসে ব্যাট করেছিলেন) এবং চার উইকেট নেন। ২০১৬-১৭ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে রাজশাহী কিংসের হয়ে খেলে 9 নভেম্বর ২০১৬ তারিখে তার টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়।

অক্টোবর ২০১৮-এ, ২০১৮-১৯ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের খসড়া অনুসরণ করে তাকে রাজশাহী কিংস দলের স্কোয়াডে নাম দেওয়া হয়েছিল। নভেম্বরে, তিনি ২০২০- বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলার জন্য নির্বাচিত হন।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

ডিসেম্বর ২০১৬ এ তাকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) দলে নাম দেওয়া হয়েছিল। মার্চ ২০১৭ সালে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের সিরিজের জন্য তাকে বাংলাদেশের ওডিআই দলে যোগ করা হয়।২৫ মার্চ ২০১৭ -এ সিরিজের প্রথম ম্যাচে তার ওডিআই অভিষেক হয়।

২০ অক্টোবর ২০১৬ -এ, হাসান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়। তিনি একজন অফ ব্রেক বোলার এবং তার প্রথম টেস্ট ইনিংসে বোলিং ওপেন করেন। একই ম্যাচে তিনি টেস্টে অভিষেকে পাঁচ উইকেট শিকার করা সপ্তম এবং সর্বকনিষ্ঠ বাংলাদেশী খেলোয়াড়ও হন।

এপ্রিল ২০১৭ সালে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের সিরিজের জন্য তাকে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল। তিনি ৬ এপ্রিল ২০১৭-এ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে তার টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক করেন। এপ্রিল -এ, ২০১৮ মৌসুমের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB) দ্বারা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ভূষিত হওয়া দশজন ক্রিকেটারের মধ্যে তিনি একজন ছিলেন।

ওয়ানডে ক্রিকেট

ডিসেম্বর ২০১৬ সালে তাকে নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় যদিও সে সিরিজে তিনি খেলেননি।

মার্চ ২০১৭ সালে তাকে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২৫ মার্চ ২০১৭ সালে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে তার আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে তার অভিষেক হয়। কুশাল মেন্ডিসকে ৪ রানে আউট করে তিনি তার প্রথম ওয়ানডে উইকেট লাভ করেন। ম্যাচ শেষে তিনি ১০ ওভারে মাত্র ৪৩ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন।

২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বাংলাদেশ সফর চলাকালে ৩য় ওয়ানডেতে তিনি ২৯ রানে ৪ উইকেট নেন। বাংলাদেশ সে সিরিজ ২-১ এ জিতে যায়।

এপ্রিল ২০১৯ সালে তাকে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। টুর্নামেন্টে তিনি ৫.০৮ ইকোনমিতে ৬ উইকেট নেন।

ডিসেম্বর ২০২০ সালে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে জন্য তাকে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।  ২য় ওয়ানডেতে তিনি তার ক্যারিয়ার সেরা ওয়ানডে বোলিং ফিগার ৪-২৫ অর্জন করে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করেন।[৩৮][৩৯] করোনা মহামারীর পর এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ যা বাংলাদেশ পরে ৩-০ ব্যবধানে জিতে যায়।[৪০]

মে ২০২১ সালে তিনি আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে আব্দুর রাজ্জাক আর সাকিব আল হাসানের পর ৩য় বাংলাদেশী হিসেবে ২ নাম্বার স্থান অধিকার করেন।

ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে তিনি চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৮১ রান করেন যা ওয়ানডে ক্রিকেটে সফলভাবে রান তাড়া করতে নেমে ৮ নাম্বার বা এর নিচে ব্যাটিং পজিশনে সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রান।

৭ ডিসেম্বর ২০২২ সালে, ভারতের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষীয় সিরিজের ২য় ম্যাচে তার প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন যা বাংলাদেশকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করে। এর সাথে তিনি বিশ্বের ২য় ক্রিকেটার হিসাবে নাম্বার ৮ ব্যাটিং পজিশনে সেঞ্চুরি করেন ও যৌথভাবে এই পজিশনে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রানের অধিকারী হন। মাহমুদুল্লাহ, যিনি ৯৬ বলে ৭৭ রান করেন, তার সাথে ১৪৮ রানের পার্টনারশিপ করেন যা ভারতের বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ।

অক্টোবর ২০২৩ সালে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে তার ১০০তম উইকেট পূর্ণ করেন।

টি২০ ক্রিকেট

এপ্রিল ২০১৭ সালে তাকে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের টি২০ দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৬ এপ্রিল ২০১৭ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়।

০২৫-২০২৬

জানুয়ারি ২০২৫ সালে তাকে ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য বাংলদেশ দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

sourse : dhakatoday  ...medbox  ....  wikipedia

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0