লাউতারো মার্টিনেজ এর জীবনী | Biography of Lautaro Martínez
লাউতারো মার্টিনেজ এর জীবনী | Biography of Lautaro Martínez

ব্যক্তিগত তথ্য |
|||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম |
লাউতারো জেভিয়ের মার্তিনেস | ||
জন্ম |
২২ আগস্ট ১৯৯৭ | ||
জন্ম স্থান |
বাহিয়া ব্লাঙ্কা , আর্জেন্টিনা | ||
উচ্চতা |
১.৭৪ মি . | ||
মাঠে অবস্থান |
স্ট্রাইকার | ||
ক্লাবের তথ্য |
|||
বর্তমান দল
|
ইন্টার মিলান |
||
জার্সি নম্বর |
১০ | ||
যুব পর্যায় |
|||
২০১৩–২০১৪ |
লিনিয়ার্স | ||
২০১৪–২০১৫ |
রেসিং ক্লাব | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* |
|||
বছর |
দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১৫–২০১৮ |
রেসিং ক্লাব | ৬২ | (২৭) |
২০১৮– |
ইন্টার মিলান | ২৪১ | (১০৭) |
জাতীয় দল‡ |
|||
২০১৬–২০১৭ |
আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ | ১১ | (৭) |
২০১৮– |
আর্জেন্টিনা | ৪১ | (২১) |
বিশ্বকাপ ফাইনালের মতই অনুভূতি কাজ করছে মার্তিনেজের
লাউতারো জেভিয়ার মার্তিনেস
(স্প্যানিশ উচ্চারণ: [lawtaà maàtines]; জন্ম ২২ আগস্ট ১৯৯৭) একজন আর্জেন্টাইন পেশাদার ফুটবলার যিনি ইতালীয় ক্লাব ইন্টার মিলান এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে একজন স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেন।
তিনি তার জন্মভূমি আর্জেন্টিনায় তার ফুটবল কর্মজীবন শুরু যেখানে তিনি ২০১৫ সালে রেসিং ক্লাবে আত্মপ্রকাশ করেন। সেখানে তিনি চার মৌসুম অতিবাহিত করেন এবং লিগ এবংকোপা লিবার্টাডোরেস ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন, ২০১৮ সালে ইন্টার যোগদানের আগে ৬০ ম্যাচে ২৭ গোল করেন।
মার্তিনেস এর আগে বিভিন্ন যুব পর্যায়ে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ২০১৭ সালের দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০১৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ২০১৮ সালে তার সিনিয়র আন্তর্জাতিক অভিষেক, এবং ২০১৯ কোপা আমেরিকা সিনিয়র স্কোয়াড প্রতিনিধিত্ব করেন, যেখানে তার দল প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান হয়।
শৈশব ও শুরু
লাউতারো মার্টিনেজ জন্মগ্রহণ করেন আর্জেন্টিনার বাহিয়া ব্লাঙ্কা শহরে। ছোটবেলা থেকেই তিনি ফুটবলের প্রতি প্রবল আগ্রহী ছিলেন। তাঁর বাবা মারিও মার্টিনেজ একজন প্রাক্তন পেশাদার ফুটবলার ছিলেন, যিনি ছেলের ক্যারিয়ার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
ক্লাব ক্যারিয়ার
🎯 রেসিং ক্লাব (২০১৫–২০১৮)
লাউতারোর পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় আর্জেন্টিনার বিখ্যাত ক্লাব রেসিং ক্লাব থেকে। তিনি ২০১৫ সালে প্রথম দলে সুযোগ পান এবং খুব দ্রুতই নিজেকে একজন প্রতিভাবান স্ট্রাইকার হিসেবে প্রমাণ করেন।
-
ম্যাচ: ৪৮
-
গোল: ২২
🇮🇹 ইন্টার মিলান (২০১৮–বর্তমান)
২০১৮ সালে তিনি ইতালির সেরি আ ক্লাব ইন্টার মিলানে যোগ দেন। এখানে তিনি রোমেলু লুকাকুর সঙ্গে দুর্দান্ত এক স্ট্রাইকিং জুটি গড়ে তোলেন। ইন্টার মিলানের হয়ে তিনি ইতোমধ্যে ১০০+ গোল করেছেন।
সাফল্য:
-
সেরি আ চ্যাম্পিয়ন: ২০২০–২১, ২০২৩–২৪
-
কোপা ইতালিয়া: ২০২১–২২, ২০২২–২৩
-
সুপারকোপা ইতালিয়ানা: ২০২১, ২০২২, ২০২৩
-
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ রানার্স-আপ: ২০২২–২৩
প্রারম্ভিক
মার্তিনেস বাহিয়া ব্লাঙ্কায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন পেশাদার ফুটবলার হওয়ার জন্য তার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। এই লক্ষ্যে তিনি স্থানীয় লাইনিয়ার্সে যোগ দেন। এই ক্লাবে খেলার মাধ্যমে তিনি অনূর্ধ্ব-১৭ স্তরে দক্ষতা অর্জন করেন। ২০১৩ সালে তিনি অনূর্ধ্ব-১৭ লিগে ১৩টি গোল করেন এবং ন্যাশনাল কাপের ফাইনালেও বল জালে জড়িয়েছিলেন। লাইনার্স শেষ পর্যন্ত রোজারিওর কাছে পেনাল্টিতে হেরে যায়।
রেসিং ক্লাব
যুব পর্যায়ে মার্তিনেসের ফর্ম রেসিং ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ফ্যাবিও রাদায়েলির দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি পরবর্তীতে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি তাকে সই করেছিলেন। ক্লাবে যোগদানের পরপরই, মার্তিনেস হোমসিকনেসে ভুগতে শুরু করেন এবং নিজের শহরে ফিরে যেতে চান। তিনি শেষ পর্যন্ত সতীর্থ ব্রায়ান ম্যানসিলার কাছে থাকতে রাজি হন এবং ক্লাবের রিজার্ভ দলের হয়ে ৬৪টি খেলায় ৫৩ গোল করেন। ২০১৫ সালে, মার্তিনেসের স্বাক্ষরের জন্য রেসিং ক্লাব এবং স্প্যানিশ দল রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পন্ন হোয়ার কথা ছিল, কিন্তু তিনি আর্জেন্টিনায় থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
মার্তিনেসের বাবা মারিও পরে প্রকাশ করেন, মার্তিনেসসেই সময়ে রেসিং-এর সাথে থাকতে পছন্দ করেছিলেন কারণ তিনি ক্লাব ছেড়ে যেতে প্রস্তুত ছিলেন না। লিগে তার অভিষেক ২০১৫ সালের ১লা নভেম্বরে। ক্রুসেরো দেল নর্টের বিপক্ষে তার অভিষেক ম্যাচে ৩-০ ব্যবধানে জয়ে হয়।তিনি ওই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ডিয়েগো মিলিতোর বিকল্প হিসেবে মাঠে আসেন। ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিলে আর্জেন্টিনো ক্লাবের সাথে ২-২ ড্রতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি হলুদ কার্ড পাওয়ায় ক্যারিয়ারে প্রথমবারের তো তিনি মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। সে বছরের শেষদিকে তিনি তার প্রথম গোল করেন, নভেম্বরে হুরাকানের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেন।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
ফুটবলের সবচেয়ে বড় ম্যাচ ধরা হয় বিশ্বকাপ ফাইনাল। অনেকে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সেরা লড়াই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালকেও এই তালিকায় রাখতে চান।
শনিবার সেই লড়াইয়ে তুরস্কের ইস্তামবুলে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্ট্র মিলান। ইন্টারের অন্যতম ফরোয়ার্ড মার্তিনেজ বিশ্বকাপের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়েও ভাসছেন রোমাঞ্চে, 'বিশ্বকাপ ফাইনালের সময় আমার যে অনুভূতি ছিল, এখনো সেটা কাজ করছে। কেবল জার্সি বদল হয়েছে। এগুলো (বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল) বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। যেখানে সবাই খেলতে চায়।'
এক মৌসুমে বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পেরেছে এর আগে ৯ ফুটবলার। দশ নম্বর জায়গাটি পেতে মরিয়া জানালেন মার্তিনেজ, 'আমার জন্য খুব ভালো মৌসুম। যা কিছু করতে পেরেছি তাতে আমি খুশি। সম্ভাব্য সেরা উপায়ে শেষ করতে চাইব। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের শেষ ধাপের সামনে আছে। ইন্টারের জন্য এটি খুবই গুরুপূর্ণ ম্যাচ আমরা এটা জিততে চাই।'
মার্তিনেজের মতন একই সম্ভাবনায় দাঁড়িয়ে তার বিপক্ষ দলের হুলিয়ান আলভারেজ। আলভারেজও আর্জেন্টিনার হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপ। সিটির হয়ে জিততে পারেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগও। ফাইনালে কোন এক পর্যায়ে খেলতে নামলে এবং তার দল জিতলে সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম উঠবে তার।
এই ব্যাপারে অবশ্য জাতীয় দলের সতীর্থের সঙ্গে এখনো কথা হয়নি বলে জানান মার্তিনেজ, 'হুলিয়ানের সঙ্গে এখনো কথা হয়নি। কদিন আগে আমি বিয়ে করেছি, তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম কিন্তু সে আসতে পারেনি।'
একটা সময় গোলের সুযোগ হাতছাড়া করবার জন্যে বহু কটু কথা শুনেছেন লাউতারো মার্টিনেজ। সেই তিনিই এখন বনে গেছেন আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক। সেই লাউতারো এখন জয়সূচক গোলগুলো আদায় করে নিচ্ছেন আকাশী নীলদে হয়ে। বাকিরা যেখানে হচ্ছেন ব্যর্থ, সেখানে তিনিই যেন বল রাখছেন নিশানায়। ২০২৪ কোপা আমেরিকায় দূর্বার লাউতারো।
চিলির সাথে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন ডিল পলরা। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেছেন হুলিয়ান আলভারেজরা। একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আলবি সেলেস্তারা খেলে গেছেন ম্যাচের প্রথমার্ধে। একপাশে যখন আক্রমণের পর আক্রমণ হচ্ছে, অন্যপাশে তখন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ পার করেছেন অলস সময়।
প্রথমার্ধে রক্ষণ দূর্গ অটল রাখতেই হিমশিম খেতে হয়েছে চিলিকে। আক্রমণ সাজানোর সুযোগই দেয়নি তাদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দাপট দেখালেও গোলবার উন্মুক্ত করতে পারেননি মেসিরা। এক ক্লদিও ব্রাভোর দৃঢ়তায় বারবার থমকে গেছে আর্জেন্টিনার সকল আক্রমণ। প্রথমার্ধ তাই শেষ হয়েছে গোল শূন্য ব্যবধানে।
একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের বিরল কীর্তি আছে মাত্র ১১ ফুটবলারের। সেই তালিকায় যুক্ত হওয়ার হাতছানি রয়েছে দুই আর্জেন্টাইন তারকার সামনে। একজন ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ, আরেকজন ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার লাউতারো মার্তিনেজ।
ইস্তানবুলে আগামী ১১ জুন অনুষ্ঠিত হবে ২০২২-২৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইন্টারের মুখোমুখি হবে প্রথম শিরোপার খোঁজে থাকা সিটি। সেমিফাইনালে ইতালিয়ান সিরি আর পরাশক্তি ইন্টার বিদায় করে এসি মিলানকে। আর রিয়াল মাদ্রিদকে ছিটকে দেয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারী ম্যান সিটি।
একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের শিরোপা জেতার প্রথম ঘটনা দেখা যায় ১৯৭৪ সালে। সাত ফুটবলার বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ইউরোপিয়ান কাপ (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেসময় এই নামে পরিচিত ছিল) জয়ের সাত সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ নেন জার্মানির হয়ে। তারা হলেন ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, সেপ মায়ার, জার্ড মুলার, পল ব্রেইটনার, হ্যান্স গর্গ সোয়ার্জেনবেক, উলি হোনেস ও ইয়ুপ কাপেলমান।
২৪ বছর পর জার্মান খেলোয়াড়দের অর্জনে ভাগ বসান ক্রিস্তিয়ান কারেম্বু। ১৯৯৮ সালে রিয়ালের জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে আরও তিন ফুটবলার সফলতম স্প্যানিশ ক্লাব রিয়ালের গড়েন এই মর্যাদাপূর্ণ 'ডাবল'। তারা হলেন রবার্তো কার্লোস (২০০২ সালে, রিয়াল ও ব্রাজিল), সামি খেদিরা (২০১৪ সালে, রিয়াল ও জার্মানি) ও রাফায়েল ভারান (২০১৮ সালে, রিয়াল ও ফ্রান্স)।
লাউতারো ও আলভারেজের সামনে যে কীর্তি ছোঁয়ার হাতছানি

একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের বিরল কীর্তি আছে মাত্র ১১ ফুটবলারের। সেই তালিকায় যুক্ত হওয়ার হাতছানি রয়েছে দুই আর্জেন্টাইন তারকার সামনে। একজন ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ, আরেকজন ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার লাউতারো মার্তিনেজ।
ইস্তানবুলে আগামী ১১ জুন অনুষ্ঠিত হবে ২০২২-২৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইন্টারের মুখোমুখি হবে প্রথম শিরোপার খোঁজে থাকা সিটি। সেমিফাইনালে ইতালিয়ান সিরি আর পরাশক্তি ইন্টার বিদায় করে এসি মিলানকে। আর রিয়াল মাদ্রিদকে ছিটকে দেয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারী ম্যান সিটি।
একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের শিরোপা জেতার প্রথম ঘটনা দেখা যায় ১৯৭৪ সালে। সাত ফুটবলার বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ইউরোপিয়ান কাপ (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেসময় এই নামে পরিচিত ছিল) জয়ের সাত সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ নেন জার্মানির হয়ে। তারা হলেন ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, সেপ মায়ার, জার্ড মুলার, পল ব্রেইটনার, হ্যান্স গর্গ সোয়ার্জেনবেক, উলি হোনেস ও ইয়ুপ কাপেলমান।
২৪ বছর পর জার্মান খেলোয়াড়দের অর্জনে ভাগ বসান ক্রিস্তিয়ান কারেম্বু। ১৯৯৮ সালে রিয়ালের জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে আরও তিন ফুটবলার সফলতম স্প্যানিশ ক্লাব রিয়ালের গড়েন এই মর্যাদাপূর্ণ 'ডাবল'। তারা হলেন রবার্তো কার্লোস (২০০২ সালে, রিয়াল ও ব্রাজিল), সামি খেদিরা (২০১৪ সালে, রিয়াল ও জার্মানি) ও রাফায়েল ভারান (২০১৮ সালে, রিয়াল ও ফ্রান্স)।
এবার প্রথম আর্জেন্টাইন ফুটবলার হিসেবে একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের কীর্তি গড়ার দ্বারপ্রান্তে লাউতারো ও আলভারেজ। গত বছরের ডিসেম্বরে রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ফাইনালে শুরু থেকে খেলেছিলেন আলভারেজ। অতিরিক্ত সময়ে তার বদলি হিসেবে নেমেছিলেন লাউতারো।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে লাউতারো ও আলভারেজ— দুজনই জালের দেখা পান। ফিরতি লেগে লাউতারোর একমাত্র গোলে সান সিরোতে স্বদেশি ক্লাব মিলানকে হারায় ইন্টার। আলভারেজও লক্ষ্যভেদ করেন ফিরতি লেগে। ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রিয়ালের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানের বড় জয়ে সিটির শেষ গোলটি আসে তার পা থেকে।
লাউতারো ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক করেন। এরপর থেকেই তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ ফরোয়ার্ড হিসেবে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেন।
সাফল্য:
-
কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন: ২০২১
-
ফিনালিসিমা (ইতালি বনাম আর্জেন্টিনা): ২০২২
-
ফিফা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন: ২০২২ (কাতার)
খ্যাতি ও খেলা শৈলী
লাউতারো মার্টিনেজের খেলা শৈলী হলো:
-
দ্রুত গতি
-
বল নিয়ন্ত্রণে দক্ষতা
-
বুদ্ধিদীপ্ত পজিশনিং
-
প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করা
তিনি আক্রমণভাগে একসঙ্গে স্কোরার ও সৃষ্টিশীল খেলোয়াড় হিসেবে কাজ করতে সক্ষম।
ব্যক্তিগত জীবন
লাউতারো বিবাহিত, তার স্ত্রীর নাম আগুস্তিনা গান্দলফো। তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বেশ জনপ্রিয় এবং তার ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন।
উপসংহার
লাউতারো মার্টিনেজ আধুনিক ফুটবলের অন্যতম উদীয়মান তারকা, যিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেকে একজন নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার বয়স তুলনামূলকভাবে কম হলেও তার পারফরম্যান্স এবং নেতৃত্বগুণ আর্জেন্টিনা ও ইন্টার মিলান—উভয় দলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
sourse : khela71 ....bangla ...bangla
What's Your Reaction?






