চিত্রনায়ক চঞ্চল চৌধুরী এর জীবনী | Biography Of Chanchal Chowdhury
চিত্রনায়ক চঞ্চল চৌধুরী এর জীবনী | Biography Of Chanchal Chowdhury

চঞ্চল চৌধুরী
একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, মডেল, শিক্ষক ও গায়ক। ফরিদুর রহমানের "গ্রাস" নাটকের মাধ্যমে তার প্রথম টেলিভিশন নাটকে পদার্পণ হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দক্ষ অভিনেতা হিসেবে সুনাম অর্জন করা এই অভিনেতা পরবর্তীতে বেশকিছু ধারাবাহিক নাটকের পাশাপাশি অভিনয় করেন অনেকগুলো একপর্বের নাটকে। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ব্যস্ততম অভিনেতা হিসেবে বাংলাদেশের টিভি নাটক জগৎকে দিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক দর্শকনন্দিত সব নাটক।
ওয়েব ধারাবাহিক
বছর | শিরোনাম | চরিত্র | পরিচালক | ওটিটি | টীকা |
---|---|---|---|---|---|
২০১৯ | নীল দরজা | মির্জা | গোলাম সোহরাব দোদুল | বায়োস্কোপ | |
২০২০ | তাকদীর | তকদীর | সৈয়দ আহমেদ শাওকী | হইচই | |
২০২১ | কন্ট্রাক্ট | ব্ল্যাক রঞ্জু | তানিম নূর ও কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় | জি৫ | |
ঊনলৌকিক | সাইকোলজিস্ট | রবিউল আলম রবি | চরকি | পর্বঃ "মিসেস প্রহেলিকা" | |
লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলম্যান | মোস্তফা সরয়ার ফারুকী | জি৫ | |||
বলি | সোহরাব | শঙ্খ দাসগুপ্ত | হইচই | ||
ডার্ক রুম | পাবলো/ইফতেখার আমিন | গোলাম সোহরাব দোদুল | সিনেমাটিক | ||
জাগো বাহে | ইলিয়াস | সিদ্দিক আহমেদ | চরকি | পর্বঃ "শব্দের খোয়াব" | |
২০২২ | পেট কাটা ষ | মাহমুদ | নুহাশ হুমায়ূন | চরকি | পর্বঃ "মিষ্টি কিছু" |
কারাগার | ডেভিড | সৈয়দ আহমেদ শাওকী | হইচই | ||
২০২৩ | ওভারট্রাম্প | সেলিম | বাশার জর্জিস | চরকি | |
২০২৪ | রুমি | ভিকি জাহেদ | হইচই | ||
কালপুরুষ |
টেলিভিশন অনুষ্ঠান
বছর | অনুষ্ঠান | উপস্থাপক | চ্যানেল | টীকা |
---|---|---|---|---|
২০১৬ | ঈদ আড্ডা গান | রুমানা মালিক মুনমুন | আরটিভি | ঈদুল ফিতরে প্রচারিত |
লেট নাইট কফি | মারিয়া নূর ও তৌসিফ মাহবুব |
রূপকথার গল্পে শুরু সিনেমার রূপকথা
অভিনয় জীবনের প্রথম ধাপগুলোতে প্রচন্ড সংগ্রাম করে উঠে এসেছেন, পরিচয় দিয়েছেন ভীষণ ধৈর্য্য এবং নিষ্ঠার। সিনেমার গল্পটা কিন্তু একদমই উল্টো।
প্রথম সিনেমা তৌকির আহমেদের ‘রূপকথার গল্প’, সেই থেকে আজ অবধি পুরো সিনেমা ক্যারিয়ারটাই যেন এক রূপকথা। চঞ্চল চৌধুরী যেন সেই রূপকথার সোনা রূপার জিয়ন কাঠি, ছুঁয়ে দিলেই সোনা ফলে।
প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেছেন, বেকার যুবকের চরিত্রে যে মায়া ছড়িয়েছেন, মায়ায় আদ্র করেছেন প্রতিটা দর্শকের মন। প্রথমবারের মতো মিলেছে অভিনয়ের স্বীকৃতি সমালোচকদের কাছে থেকেও৷ প্রথম সিনেমাতেই মিলেছে মেরিল-প্রথম আলো চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতার পুরষ্কার।
শিক্ষাজীবন থেকেই শুরু অভিনয়ের যাত্রা
সাতক্ষীরার মফস্বল শহরে জন্ম, বেড়ে উঠেছেন সংস্কৃতিমনা এক পরিবারে। অন্য ভাইবোনের সাথে পারিবারিক আবহে ছোটবেলায় শিখেছেন গান। খাতায় আঁকিবুঁকি করতেন, সে আগ্রহ থেকেই ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পর ঢাকায় এসে চারুকলায় ভর্তি হওয়া।
মঞ্চনাট্য
বছর | শিরোনাম | ভূমিকা | মন্তব্য |
---|---|---|---|
১৯৯৮ | সংক্রান্তি | লালি | আরণ্যক নাট্যদল প্রোডাকশন |
১৯৯৯ | প্রকৃত জনের কথা | আরণ্যক নাট্যদল প্রোডাকশন | |
২০০০ | ওরা কদম আলী | আরণ্যক নাট্যদল প্রোডাকশন | |
২০০৩ | ময়ূর সিংহসন | আরণ্যক নাট্যদল প্রোডাকশন | |
সংক্রান্তি | আরণ্যক নাট্যদল প্রোডাকশন | ||
চে'র সাইকেল | শুভ্রা | বাংলা থিয়েটার প্রোডাকশন | |
২০০৪ | জয়জয়ন্তী | আরণ্যক নাট্যদল প্রোডাকশন | |
আড়ঙ | আরণ্যক নাট্যদল প্রোডাকশন |
ধর্ম নয়, পরিচয় হোক কর্মে
যে কথাটা লিখতে বসা, সে কথা লেখার আগেই এক লম্বা ফিরিস্তি দেয়া হয়ে গেল। কিন্তু কী বা করার, কাজ এবং অর্জনে চঞ্চল নিজেকে এমন অসীম এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যত লিখি তত যেন কম পড়ে যায়। অথচ এই মানুষটাকেই যখন কর্ম ছেড়ে ধর্ম দিয়ে বিচার করা হয়, সাম্প্রদায়িক নোংরামি ছড়িয়ে দিয়ে তার সকল কাজ এবং অর্জনকে পেছনে ফেলে দেয়ার পায়তারা চলে, তার চেয়ে দুঃখজনক আর কী ই বা হতে পারে?
‘মা দিবস’ চলে গেল কিছুদিন আগেই, এখন যে কোন উদযাপনে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে গেছে। যে কোন অনুভূতিই আমরা শেয়ার করতে চাই সবার সাথে, আর মায়ের সাথে জড়িয়ে থাকা অনুভূতিগুলো তো আরো স্পেশাল।
স্পেশাল চঞ্চলের জন্যও, সবার মতো তিনিও মায়ের সাথে চমৎকার একটি ছবি ফেসবুকে দিয়ে মা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। সেখানেই কিছু নেটিজেন সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে শুরু করে।
ব্যাপারটা নতুন নয়, বছরের পর বছর ধরে সেলিব্রেটিদের পাবলিক প্রোফাইলে তাদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে নোংরামো ছড়িয়ে আসছে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। এদের বেশীরভাগই উদ্দেশহীন, স্রেফ ঠাট্টাচ্ছলেই শুরু হয়ে থাকে, তারপর তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। সেলিব্রেটিরা ব্যস্ত থাকেন, তাদের চোখে পড়ে, হয়তো সময়ের অভাবেই এড়িয়ে যান বেশীরভাগ সময়। কিন্তু এমন নোংরা মন্তব্যগুলো যে তাদের মনে দিনের পর দিন ক্ষত তৈরী করে যাচ্ছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
যারা দিনরাত কষ্ট করে আমাদের আনন্দ বিনোদনের উপাদান তৈরী করে যাচ্ছে, বিনিময়ে এমন ক্ষত উপহার দেয়া ঠিক কতটা অমানবিক?
হোক প্রতিবাদ
এড়িয়ে যেতে যেতে সাইবার বুলি ভয়ংকরতার কতটা চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে, তা ভাবলে শিউরে উঠতে হয়। সেলিব্রেটিদের বেশীরভাগ পোস্টের কমেন্ট সেকশনে গিয়ে সুস্থ মনে ফেরা কঠিন হয়ে যায়। এতো বেশী নোংরামির চিত্র দেখে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি, সুস্থ মানুষই কি তবে আজ সংখ্যালঘুদের দলে?
What's Your Reaction?






