চিত্রনায়ক ডিপজল জীবনী | biography of Dipjul
চিত্রনায়ক ডিপজল জীবনী | biography of Dipjul

জন্ম |
মনোয়ার হোসেন ডিপজল
৬ এপ্রিল ১৯৬২ মিরপুর, ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান
|
---|---|
অন্যান্য নাম |
বিশু |
নাগরিকত্ব |
বাংলাদেশী |
পেশা |
চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী |
কর্মজীবন |
১৯৯৩ - বর্তমান |
প্রতিষ্ঠান | ডিপজল ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, ফাহিম শুটিং স্পট, এশিয়া সিনেমা হল, পর্বত সিনেমা হল, জোবেদা ফিল্মস, পর্বত পিকচার্স-২, অমি বনি কথাচিত্র |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (১৯৯৪) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
আত্মীয় |
শাহাদাত হোসেন বাদশা (ভাই) আনোয়ার হোসেন আফজল (ভাই) |
মনোয়ার হোসেন ডিপজল
(জন্ম: ৬ এপ্রিল, ১৯৬২) যিনি ডিপজল নামে অধিক পরিচিত, একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, প্রযোজক, লেখক, রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী।তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ৬ এপ্রিল, ১৯৬২ সালে ঢাকার মিরপুরের বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। চলচ্চিত্র পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবরের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে তার। তিনি ফাহিম শুটিং স্পট, এশিয়া সিনেমা হল, পর্বত সিনেমা হল, জোবেদা ফিল্মস, পর্বত পিকচার্স-২, ডিপজল ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী।[৯][১০][১১] তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সক্রিয়। টাকার পাহাড়, হাবিলদার সহ একাধিক সিনেমায় অভিনয় করলেও তেজী ছবির মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। প্রথমে খল চরিত্রে অভিনয় করলেও কোটি টাকার কাবিন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি ভালো চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তার বড় ভাই শাহাদাত হোসেন বাদশা তার নামে (ডিপজল পরিবহন) বাস সার্ভিস চালু করেন।
কর্ম জীবন
ডিপজল ১৯৯৩ সালে টাকার পাহাড় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন। ডিপজলের বড় ভাই শাহাদাত হোসেন বাদশা যিনি বাদশা ভাই নামে পরিচিত তিনি সান পিকচার্স এর ব্যানারে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেন। পরিচালনা করেন মনতাজুর রহমান আকবর। আকবরেরও এটি পরিচালিতো প্রথম ছবি। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯৩ সালে।তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ] সহ-সভাপতির ছিলেন। ২০২৪ সালের এপ্রিলে এই সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি।
- বছর অজানা
- স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ (ভিলেন)
- সমাজকে বদলে দাও (ভিলেন)
- বাধা (শাহনাজ) (ভিলেন)
- টপ টেরর (ভিলেন)
- গণ দুশমন (ভিলেন)
- জিন্দা দাফন (ভিলেন)
- তুমি যে আমার (ভিলেন)
- বড় মালিক (ভিলেন)
- গুন্ডা নাম্বার ওয়ান (ভিলেন)
- ভয়ংকর সন্ত্রাসী (ভিলেন)
- কাল্লু মামা (ভিলেন)
- জগী ঠাকুর (ভিলেন)
- নানা ভাই (ভিলেন)
- গোলাম (ভিলেন)
- ঘাড়তেড়া (ভিলেন)
- ডাকু মাইয়া (ভিলেন)
- দুর্ধর্ষ খুনী (ভিলেন)
- ভালবাসার শত্রু (ভিলেন)
- দুশমন দরদী (ভিলেন)
- আজকের দাপট (ভিলেন)
- ওদের ধর (ভিলেন)
- দিলতো পাগল (শাবনূর) (ভিলেন)
- গুন্ডার প্রেম/কালা মানিক (শাবনূর)
- বোমা হামলা (ভিলেন)
- দুই নাগিন (ভিলেন)
- লাট্টু কসাই (ভিলেন)
- মুখোমুখি (ভিলেন)
- ভয়ানক সংঘর্ষ (ভিলেন)
- ওরা ভয়ংকর (ভিলেন)
- কঠিন শাস্তি (ভিলেন)
- ভয়ংকর পরিণাম (ভিলেন)
- হিম্মত (ভিলেন)
- বিশ্ব বাটপার (ভিলেন)
- ভন্ড ওঝা (ভিলেন)
- বোবা খুনী (ভিলেন)
- দুর্ধর্ষ সম্রাট (ভিলেন)
- চাই ক্ষমতা (ভিলেন)
- রাঙা মাস্তান (ভিলেন)
- যাবি কই (ভিলেন)
- চেয়ারম্যান (ভিলেন)
- খাইছি তোরে (ভিলেন)
- আজকের ক্যাডার (ভিলেন)
- কদম আলী মাস্তান (ভিলেন)
- খলনায়িকা (ভিলেন)
- ভয়াবহ (ভিলেন)
- বিল্লু মাস্তান (ভিলেন)
- ওরে বাবা (ভিলেন)
- নাটের গুরু (ভিলেন)
- অশান্ত আগুন (ভিলেন)
- দলপতি (ভিালন)
- সাবধান (ভিলেন)
- বুকের পাটা (ভিলেন)
- ক্ষ্যাপা বাসু (ভিলেন)
- জানের জান (ভিলেন)
- নায়ক (ভিলেন)
- মুন্না মাস্তান (ভিলেন)
- ঝড় (ভিলেন)
- ধর (ভিলেন)
- পানজা (ভিলেন)
- কষ্ট (ভিলেন)
- বর্তমান (ভিলেন)
- খবর আছে (ভিলেন)
- গিরিঙ্গিবাজ (ভিলেন)
- মগের মুল্লুক (ভিলেন)
- মহা সংগ্রাম (ভিলেন)
- কঠিন বাস্তব (ভিলেন)
- মন দিওয়ানা (ভিলেন)
- হীরা চুন্নি পান্না (ভিলেন)
- ঠেকাও মাস্তান (ভিলেন)
- আর্তনাদ (ভিলেন)
- তের পান্ডা এক গুন্ডা (ভিলেন)
- নয়া কসাই (ভিলেন)
- বিপদজনক (ভিলেন)
- স্ত্রী কেন শত্রু (ভিলেন)
- কাটা রাইফেল (ভিলেন)
- জোর যার মুল্লুক তার (ভিলেন)
- আমি গুন্ডা আমি মাস্তান (ভিলেন)
- লন্ডভন্ড (ভিলেন)
- ইজ্জতের লড়াই (ভিলেন)
- কাটা লাশ (ভিলেন)
- মন (ভিলেন)
- শিকারী (ভিলেন)
- ধাওয়া (ভিলেন)
- জখম (ভিলেন)
- ক্রোধ (ভিলেন)
- আলী বাবা (ভিলেন)
- অনেক দামে কেনা
- গরীবের ভাই (রেসি)
- স্বামী ভাগ্য (রেসি)
- বাজারের কুলি (রেসি,নিপুন)
- আমার পৃথিবী তুমি (রেসি)
- ছোট্ট সংসার (রেসি)
- মানিক রতন দুই ভাই (রেসি)
- অংক (দিতি)
- এক জবান (রেসি, শাকিবা)
- আমার স্বপ্ন আমার সংসার (রেসি)
- মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি (আন্না)
ডিপজল
- সিনেমার চরিত্র যার বাস্তবের অনুগামী অথবা পরগামী - দূর্দান্ত গুন্ডা, বদমাশ, জোচ্চর, রাজনীতিবিদ। কিন্তু ইদানিং সিনেমার পোস্টার দেখলে মনে হয় সম্ভবত এখন ডিপজল সিনেমাতে আবির্ভূত হচ্ছেন পজিটিভ চরিত্রে, স্নেহময় পিতা, ত্যাগী ভাই, মায়ের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সন্তান হিসাবে।
সাধারণ দর্শকরা ডিপজলের পর্দা ও বাস্তবের জীবন আলাদা ভাবার কোন কারণ খুঁজে পায়নি এতোকাল। পর্দায় সে যেমন বাঞ্চোত হিসাবে আবির্ভূত হতো, বাস্তবেও তার সম্বন্ধে তেমন খবর ছাপা হতো পত্রিকায়। ঢাকাইয়া এফডিসির ফিল্মে একজন ভিলেনের যা যা খাসলত থাকে - সবই ডিপজলের বাস্তব জীবনেও ছিল বলে যা দর্শকদের বিশ্বাস করতে সাহায্য করেছে। মানে ডিপজল 'ইন সিনেমা অর আউট সিনেমা' ডিপজলই - কোনো ফারাক নাই!
সিনেমায় যেমন কখনও দেখা যায় ভিলেনের বোধোদয় হয় - ডিপজলের জীবনেও তেমন কোন মেটামরফসিস হয়েছে সম্ভবত। পোস্টার দেখে মনে হচ্ছে এখন তার ছবিগুলোতে তিনি আর ভিলেন নন। দর্শকদের কাছে ডিপজল আবির্ভূত হচ্ছেন নায়োকচিত ব্যক্তিত্বরূপে। এবং নিশ্চিত বলা যায় দর্শকরা এবারও ডিপজলকে লুফে নেবে। ভিলেন থেকে সৎমানুষে রূপান্তরিত হয়ে গেলে দর্শক আরো বেশি উৎফুল্ল হয়ে ওঠে।
ডিপজলের ইমেজ পুনরুদ্ধার হয়ে গেছে বোধহয় অলরেডি! চাওয়াটা যদি হয় নিকুত, পাওয়াটা সুনিশ্চিত।
soure : wikipedia
What's Your Reaction?






