হাসান ফকরী এর জীবন কাহিনী | Biography of Hasan Fakri
হাসান ফকরী এর জীবন কাহিনী | Biography of Hasan Fakri

হাসান ফকরী
জন্ম: ৭ অক্টোবর, ১৯৫২) বাংলাদেশের একজন কবি, গীতিকার, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি মাওবাদী রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী একজন কর্মী। তিনি পর্যাস নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন গণমুক্তির গানের দলের সহ সভাপতি।
শৈশব ও পেশাগত জীবন
তিনি রিকাবী বাজার মুন্সীগঞ্জ এ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবদুল করিম এবং মাতার নাম মজিলাল বেগম। পেশাগত জীবনে তিনি মুভিটোন অডিও, ভিজুয়াল প্রমোটার্সের মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। হাসান ফকরী ১৯৯৩ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত চাঁদাবাজ চলচ্চিত্রের "মুক্তিযোদ্ধা কোথায় তুমি" গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে লাভ করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
সাহিত্য জীবন
কবিতা
- মুঠো মুঠো কান্না (১৯৭০),
- হাসান ফকরীর কবিতা ও গান (২০০২)
- দ্রোহের পাঁচালি (২০১৭)
- দেশটা কি তোর বাপের (২০২০)
নাটক
- বাঁচতে চাই (১৯৭২),
- একখণ্ড বাংলাদেশ (১৯৭২),
- এপোয়েন্ট মেন্ট লেটার (১৯৭৫),
- ক্রাশ ফারাক্কা (১৯৭৬),
- রাক্ষুস সাবধান (১৯৭৭),
- সারেঙ লঞ্চ ঘোরাও (১৯৮০),
- তানোর এখন সারা দেশ, (১৯৮০);
- যদি এমন হতো (১৯৮২),
- খর বায়ু বয় (১৯৮৩),
- ভোটের ভ্যাট (১৯৮৬)
কাব্যনাট্য
- একুশের গান গা’ক মেশিনগান, (১৯৭৪),
- ঈদ পাখিটার মাংস খাবো (১৯৭৫),
- সব শতাব্দীর ঈশ্বর আমি (১৯৭৫)
- প্রেয়সীরা চায় রক্তশাড়ী (১৯৭৬)
প্রবন্ধ ও গবেষণা
- প্রকৃত শিক্ষা কী (১৯৭৬),
- প্রগতিশীল সাহিত্য ও শিল্পের সংকট এবং সম্ভাবনা (১৯৯৪),
- পলিটিকস বনাম পলিট্রিকস, (১৯৯৯)।
- ধর্ম ও ঈশ্বর অস্বীকারে বাধা কোথায় (২০০৭)
- এসো বিদ্রোহ করি (২০০৯)।
গীতিকার জীবন
হাসান ফকরীর লেখালেখির কারণে ১৯৬৯ থেকেই সম্পর্ক প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, জনপ্রিয় সুরকার আজাদ রহমানের সাথে পরিচিতি ঘটে। ১৯৭৫ সাল থেকে প্রায় ৩৫ বছর সার্বক্ষণিক ভাবে কাজ করেছেন আজাদ রহমানের সাথে।
তাঁর কয়েকটি গ্রন্থের নাম হলো:
কবিতা: মুঠো মুঠো কান্না (১৯৭০), হাসান ফকরীর কবিতা ও গান (২০০২); দ্রোহের পাঁচালি (২০১৭), দেশটা কী তোর বাপের (২০২০) এবং নির্বাচিত কবিতা (২০২২)।
নাটক: বাঁচতে চাই (১৯৭২), এপোয়েন্টমেন্ট লেটার (১৯৭৫), সারেঙ লঞ্চ ঘোরাও (১৯৮০), তানোর এখন সারা দেশ, (১৯৮০); ক্রাশ ফারাক্কা (১৯৭৬), একখণ্ড বাংলাদেশ (১৯৭২), রাক্ষুস সাবধান (১৯৭৭), খর বায়ু বয় (১৯৮৩), যদি এমন হতো (১৯৮২), ভোটের ভ্যাট (১৯৮৬)
কাব্যনাট্য: প্রেয়সীরা চায় রক্তশাড়ী (১৯৭৬) একুশের গান গা’ক মেশিনগান, (১৯৭৪), ঈদ পাখিটার মাংস খাবো (১৯৭৫), সব শতাব্দীর ঈশ্বর আমি (১৯৭৫)।
প্রবন্ধ ও গবেষণা: প্রকৃত শিক্ষা কী (১৯৭৬), প্রগতিশীল সাহিত্য ও শিল্পের সংকট এবং সম্ভাবনা (১৯৯৪), পলিটিকস বনাম পলিট্রিকস, (১৯৯৯)। ধর্ম ও ঈশ্বর অস্বীকারে বাধা কোথায় (২০০৭) এবং এসো বিদ্রোহ করি (২০০৯)।
১৯৭৫ সালে হাসান ফকরী লিখেছেন সাম্রাজ্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদ বিরোধী নাটক ক্রাশ ফারাক্কা। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের দ্বন্দ্ব ও বাংলাদেশ নিয়ে তাদের নানারকম ষড়যন্ত্রকে তুলে ধরা হয়েছিল নাটকে। মুন্সিগঞ্জ রিকাবী বাজারে কাদামাটি সাহিত্য সংস্কৃতি গোষ্ঠী প্রথম মঞ্চস্থ করে সেই নাটক। পরে ১৯৭৭ সালে মে দিবসে রাজধানীর ঢাকা জেলা ক্রীড়া সমিতির মিলনায়তনে বেশ ক’টি শ্রমিক, ছাত্র- যুব ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে মঞ্চস্থ হয়। তখন খুব আলোড়ন জাগিয়েছিল ক্রাশ ফারাক্কা।
এরকম এক মানুষ হাসান ফকরীকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তিনি সবটুকু উজাড় করে এদেশের শ্রমিক-কৃষকদের জন্য আজীবন কাজ করে যাবেন এই আস্থা আমাদের আছে।
What's Your Reaction?






