মাইকেল হাসি এর জীবনী | Biography Of Michael Hussey
মাইকেল হাসি এর জীবনী | Biography Of Michael Hussey

ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
পূর্ণ নাম |
মাইকেল এডওয়ার্ড কিলেন হাসি
|
জন্ম | ২৭ মে ১৯৭৫ মাউন্ট ললে, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া |
ডাকনাম | মি. ক্রিকেট[১], হাস |
উচ্চতা | ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার) |
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি |
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম |
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান |
সম্পর্ক | ডিজে হাসি (ভাই) |
মাইকেল এডওয়ার্ড কিলেন হাসি (ইংরেজি: Michael Edward Killeen Hussey; জন্ম: ২৭ মে, ১৯৭৫) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মাউন্ট ললে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার। বামহাতি ব্যাটসম্যানরূপে তার সবিশেষ খ্যাতি রয়েছে। মাইক হাসি নামে পরিচিত ব্যক্তি হিসেবে তিনি মিস্টার ক্রিকেট কিংবা হাস নামেও পরিচিতি পেয়েছেন। তুলনামূলকভাবে হাসি বেশ দেরীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষ হয়ে অংশগ্রহণ করেন। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং টেস্ট ক্রিকেটে তার অভিষেক হয় যথাক্রমে ২৮ ও ৩০ বছর বয়সে। টেস্টে অংশগ্রহণের পূর্বেই তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৫,৩১৩ রান করে ফেলেন। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ সফলকাম হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট রেটিংয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যান ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
ব্যক্তিগত জীবনে মাইক হাসি বিবাহিত। তিনি অ্যামি-কে বিয়ে করেন ও তাদের সংসারে চার সন্তান রয়েছে। বাবা ছিলেন সাবেক অ্যাথলেটিক্স কোচ। ছোট ভাই ডেভিড পেশাদারী ক্রিকেটের সাথে জড়িত। ভিক্টোরিয়া, নটিংহ্যামশায়ার, কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব এবং অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলেরও সদস্য তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণের পূর্বে মাইক হাসি বিজ্ঞানের শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন। বাবার সমর্থনের কারণে হাসি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের একনিষ্ঠ সমর্থক।
খেলোয়াড়ী জীবন
দ্বিতীয় সারির অস্ট্রেলিয়া এ দলের পক্ষ হয়ে খেলার সময় তার খেলার ধরন দেখে অ্যালান বর্ডার রসিকতা সহকারে বলেছিলেন যে হাসি পুরো ছয় ঘণ্টা জালে ব্যাটিং চর্চা করছেন। বর্ডারকে আশ্চর্যান্বিত করে হাসি ঠিক তাই করে দেখিয়েছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুর দিকে মাইক হাসি ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। কিন্তু অ্যালান বর্ডারের অনুপ্রেরণা ও পরামর্শে বামহাতে ব্যাটিং করে সফলতা লাভ করেন।
আইএনজি কাপে চমকপ্রদ ক্রীড়ানৈপুণ্যের পর ২০০৪-০৫ মৌসুমে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে হাসি'র আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ সফলতা লাভ করেছেন। জুন, ২০১০ সাল পর্যন্ত ৫২.১৬ রান গড়ে টেস্টের ব্যাটিং গড় রয়েছে তার। মাঝে মাঝে মিডিয়াম পেস বোলিং করে থাকেন। সাধারণতঃ পেস বোলারদেরকে বিশ্রাম দিয়ে তিনি বোলিং করে থাকেন। ২৮ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে বক্সিং ডে টেস্টের ৩য় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার পল হ্যারিসকে মিচেল জনসনের হাতে ক্যাচ দেয়ার মাধ্যমে তিনি টেস্টে তার একমাত্র উইকেটটি লাভ করেছিলেন। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তিনি দুইটি উইকেট পেয়েছিলেন। তার ধীরগতিতে বোলিং করার কারণে ভারত সফরে এসে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের একটি ম্যাচে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ হয়েছিল।
খাঁটি ক্রিকেট মানব
সেন্ট লুসিয়ায় তখন টান টান উত্তেজনা! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যেতে শেষ ওভারে পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ১৮ রান! শেষ ওভারে বল করতে আসলেন সাইদ আজমল আর স্ট্রাইকে মিশেল জনসন। প্রথম বল থেকে সিঙ্গেল নিয়ে হাসিকে স্ট্রাইক দেন তিনি।
বাকি গল্পটা হয়তো আজমল কখনোই মনে করতে চাইবেন না, আর মনে পড়লেও সেটা নেহাৎ গল্প ভেবেই হয়তো ভুলে যেতে চাইবেন। শেষ ৫ বলে দরকার ১৭ রান! স্ট্রাইকে যেয়েই পর পর দুই বলে ছক্কা হাঁকান মাইক হাসি! ৩ বল থেকে ফাইনালে যেতে অজিদের প্রয়োজন মাত্র ৫ রান।
পরের বলেই চার মেরে ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেললেন হাসি। অজি শিবিরে তখন জয়ের উল্লাস। শেষ ২ বলে দরকার ১ রান, পরের বলেই ছক্কা মেরে বাধ ভাঙ্গা উল্লাসে মেতে উঠেন হাসি! শেষ ওভারে তিন ছক্কা আর এক চারে সেদিন পাকিস্তানকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিয়ে অজিদের ফাইনালে নিয়ে যান হাসি।
এই ম্যাচের কথা আপনার মনে থাকলে মাইক হাসির ক্রিকেটের প্রতি প্রেম আর ক্রিকেটে তার অবদান নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয়। ক্রিকেটে যে সময়টায় একজন ক্রিকেটার তার ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করে সেই সময়টায় মাইক হাসি অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হবার!
২৮ বছরে যখন তার ওয়ানডে অভিষেক হয় সেই সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ১৫ হাজারেরও বেশি রানের মালিক! একটু নিঃশ্বাস ফেলুন আর ভাবুন ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন প্রতিভা দেখানোর পরেও একজন জাতীয় দলে সুযোগ পেতে কত সময় পার করেছে।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি খেলেছেন মাত্র সাত বছর। এই সাত বছরে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যা করে গেছেন সেটার সাথে যদি আর পাঁচ বছর বেশি সময় পেতেন তাহলে নি:সন্দেহে সর্বকালের সেরাদের কাতারে নিজেকে রেখে যেতে পারতেন। তিনি সাত বছরের ক্যারিয়ারে প্রমাণ করে গেছেন তার কতটুক প্রতিভা আর সামর্থ্য ছিলো।
মিস্টার ক্রিকেট উপাধি পাওয়া এই অজি গ্রেট কখনো কি রাত জেগে ভেবেছেন এতো রানের বন্যা ভাসিয়েও কেনো এতো দেরীতে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েছিলেন? কখনো সেই সুযোগ হলে অবশ্য জিজ্ঞেস করেও ফেলতাম। জানতে চাইতাম তার মধ্যে কি কোনো আক্ষেপ আছে? কেনো তাকে এতো দেরীতে সুযোগ দেওয়া হলো!
অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের কথা মনে হলেই আমার মনে পড়ে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যুবরাজের সাথে বাক বিতন্ডা আর যুবরাজ পরের ওভারে স্টুয়ার্ট ব্রডের ৬ বলে ৬ ছক্কা মেরে সেই ক্ষোভটা মিটিয়েছিলেন। আপনার প্রশ্ন জাগতেই পারে তাহলে মাইক হাসির সাথে ফ্লিনটফের কি সম্পর্ক? আপনি কি জানেন এই অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফই মাইক হাসিকে ‘মি. ক্রিকেট’ উপাধি দিয়েছিলেন!
মাইক হাসি একবার ডারহামের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলছিলেন। সেখানে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফও ছিলেন। তো সেখানে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে এক ম্যাচে সেদিন প্রচুর ঠান্ডা ছিলো ওল্ড ট্রাফোর্ডে। হাসি ভাষ্যমতে নাকি সেদিন দু:সহনীয় অবস্থা ছিলো! সেখানে তাদের দলের কোনো ক্রিকেটারই ওই মূহুর্তে খেলতে রাজি ছিলেন না, কিন্তু হাসি খেলার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন! তখনই ফ্লিনটফ তাঁকে মিস্টার ক্রিকেট উপাধি দেয়।
আরেকটা ব্যাপার, সচরাচর স্লেজিংয়ের জন্য অজি ক্রিকেটারদেরকে সেরা বলা হয়। অজি ক্রিকেটার আর স্লেজিং যেনো এক সূত্রে গাঁথা। আচ্ছা অজি ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও মাইক হাসি বেশ ভদ্র ক্রিকেটার ছিলেন যাকে ক্রিকেট মাঠে স্লেজিং করতে দেখা যেতো না! কিন্তু এর পিছনে কি কোনো কারণ আছে? একটু অনুসন্ধান করেই দেখি কিছু জানা যায় কিনা।
সাবেক ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং নিজের নামে একটা অনুষ্ঠান করতেন নাম ‘ভাজ্জি ব্লাস্ট’। সেই শো’য়ে একবার মাইক হাসিকে তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানে সাবেক এই ভারতীয় স্পিনার মাইক হাসিকে ‘নো স্লেজিং’ পুরস্কার দেবার কথা বলেন। হরভজন হাসিকে বলেছিলেন একজন অজি ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও সে কিভাবে স্লেজিং না করে ক্রিকেট খেলেন এটা তার কাছে বেশ বিস্ময়কর!
উত্তরে মাইক হাসি বলেন তিনি কেনো স্লেজিং করেননা সেটা শুনলে হরভজন আরো বেশি অবাক হবে। এরপর হাসি বলেন, ‘আমি একবার দুইজন ব্যাটসম্যানকে স্লেজিং করেছিলাম! কিন্তু সেই দুইজনই ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলো। এরপর থেকেই আমি আর কাউকে স্লেজিং করি না।’
আচ্ছা ছেলেবেলায় যে যা স্বপ্ন দেখেছিলেন সবাই কি তাই হতে পেরেছিলেন বড় হয়ে? যদি আপনার উত্তর না হয়ে থাকে তাহলে জেনে নিন মাইক হাসিও তা*র ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি!
২৭ মে ১৯৭৫ – ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া মাইক হাসি হতে চেয়েছিলেন একজন বিজ্ঞানের প্রফেসর। ছোট ভাই ডেভিড হাসির সাথেই ক্রিকেট খেলতেন আর স্বপ্ন দেখতেন একদিন বিজ্ঞানের শিক্ষক হবেন। তবে সেটা আর হয়ে ওঠা হয়নি তার! তবে ফুটবলেও তার বেশ নেশা ছিলো। ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফ্যান তিনি। ছেলেবেলায় স্কুল শিক্ষা শেষ করার পর তিনি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট একাডেমির স্কলারশিপ জিতে যান, তার সাথে সে সময়ে ব্রেট লি এবং জেসন গিলেস্পিও এই স্কলারশিপ পেয়েছিলেন।
হাসির ‘সেরা শত্রুদের’ একাদশে শচীন-লারা-কোহলি
সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বয়স নয় বছরেরও কম। কিন্তু স্বীয় দক্ষতায় ক্রিকেট ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছেন মাইকেল হাসি, যার ডাকনাম ‘মিস্টার ক্রিকেট’। অবসর নেওয়ার আগে বহুবার প্রতিপক্ষের ঘাম ছুটিয়ে ছেড়েছেন তিনি, খাইয়েছেন নাকানিচোবানি। কিন্তু হাসিকে কারা বিপাকে ফেলতেন? একইসঙ্গে করতেন মুগ্ধ?
টেস্টে প্রতিপক্ষ হিসেবে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান যাদের বিপক্ষে খেলেছেন, তাদের মধ্য থেকে সেরাদের বেছে নিয়ে একটি একাদশ গঠন করেছেন তিনি। গালভরা একটি নামও দেওয়া হয়েছে, ‘সেরা শত্রুদের’ একাদশ। সেখানে স্থান পেয়েছেন কিংবদন্তি সাবেক তারকা শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা থেকে শুরু করে হালের বিস্ময় বিরাট কোহলিও।
২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অজিদের হয়ে সাদা পোশাকে খেলেছেন হাসি। বুধবার ‘দ্য আনপ্লেয়েবল পডকাস্ট’-এ সাবেক এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন ক্রিকেটের প্রাচীনতম সংস্করণে তার নিজের মোকাবিলা করা সেরা এগার খেলোয়াড়ের নাম। তালিকায় ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা স্থান পেলেও পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড বা বাংলাদেশের কেউ নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সবচেয়ে বেশি চারজনকে বেছে নিয়েছেন হাসি। ভারতের আছেন তিনজন।
টেস্টের ‘সেরা শত্রুদের’ মধ্যে ওপেনার হিসেবে ভারতের বীরেন্দর শেবাগ ও দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথকে নিয়েছেন হাসি। তিন, চার ও পাঁচে রেখেছেন যথাক্রমে উইন্ডিজ রাজপুত্র খ্যাত লারা, ক্রিকেট ঈশ্বর খ্যাত টেন্ডুলকার ও ভারতের বর্তমান দলনেতা কোহলিকে। ছয়ে আছেন সাবেক প্রোটিয়া অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস। এরপর উইকেটরক্ষক হিসেবে স্থান পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা।
প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ হাসি সাজিয়েছেন তিন পেসার ও এক স্পিনার দিয়ে। লঙ্কান ঘূর্ণি জাদুকর মুত্তিয়া মুরালিধরনের সঙ্গে আছেন তিন ডানহাতি পেসার, দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল ও ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন।
৪৪ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেটারের ‘সেরা শত্রুদের’ একাদশে উইকেটরক্ষক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স আর ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনিও। তাদেরকে পেছনে রেখে সাঙ্গাকারাকে নেওয়ার ব্যাখ্যায় হাসি বলেছেন, ‘সাঙ্গাকারা, ধোনি ও ভিলিয়ার্সের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নিতে আমাকে যুদ্ধ করতে হয়েছে। তবে আমার মনে হয়, পরের দুজনের প্রভাবটা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অর্থাৎ ছোট সংস্করণে বেশি।’
টেস্টে মাইক হাসির ‘সেরা শত্রুদের’ একাদশ: বীরেন্দর শেবাগ, গ্রায়েম স্মিথ, ব্রায়ান লারা, শচীন টেন্ডুলকার, বিরাট কোহলি, জ্যাক ক্যালিস, কুমার সাঙ্গাকারা, ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল, জেমস অ্যান্ডারসন, মুত্তিয়া মুরালিধরন।
টেস্ট ক্রিকেট
৩ নভেম্বর, ২০০৫ সালে ব্রিসবেনের গাব্বায় পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় ব্যাটসম্যান জাস্টিন ল্যাঙ্গারের পরিবর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে অভিষিক্ত হন। ১৮ এপ্রিল, ২০০৬ সালে এক পঞ্জিকা মৌসুমে সবচেয়ে দ্রুততম হাজার রানের কোঠা অতিক্রম করেন। এ মাইলফলক অতিক্রমণে তিনি মাত্র ১৬৬ দিন ব্যয় করেছিলেন। এছাড়াও তিনি এলজি আইসিসি ক্রিকেট রেটিংয়ে খুব দ্রুত শীর্ষ দশে স্থান পান। ২০০৬-০৭ অ্যাশেজ সিরিজে ১০৫.২৫ গড়ে রান করেছিলেন। ঐ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল। এ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে হাসি নিজস্ব ৫ম শতক অর্জনের মাত্র ৯ রান পূর্বে ৯১ রানে ম্যাথু হগার্ডের বলে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ ওভারে ১৬৮ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হলে শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার দু'টি উইকেটের পতন ঘটে। ড্যামিয়েন মার্টিনের পরিবর্তে চার নম্বরে উত্তরণ ঘটিয়ে রিকি পন্টিং এবং তিনি শক্ত জুটি গড়েন। ৪৯ রানে পন্টিং আউট হলেও হাসি ৬১* রানে অপরাজিত থেকে জয়সূচক রানটি করেন। ঐ সময় তার সহযোদ্ধা ছিলেন মাইকেল ক্লার্ক, যিনি ২১* রানে অপরাজিত ছিলেন।
অবসর
২০১২ সালের মেলবোর্নে আয়োজিত বক্সিং ডে টেস্ট শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মাইক হাসি। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৩ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে অনুষ্ঠিত নতুন বছরের সময়সূচী মোতাবেক শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলাটিই ছিল তার শেষ খেলা। তিনি অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণে পরিকল্পনা করেছেন। অবসর নেয়ার বিষয়ে হাসি ব্যাখ্যা করেছেন যে, নিজ পরিবারের সাথে আরো সময় ব্যয় করাই এর প্রধান কারণ।
আন্তর্জাতিক তথ্য | |
---|---|
জাতীয় দল |
|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৯৩) |
৩ নভেম্বর ২০০৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
শেষ টেস্ট | ৩-৬ জানুয়ারি ২০১৩ বনাম শ্রীলঙ্কা |
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৫০) |
১ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ বনাম ভারত |
শেষ ওডিআই | ৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ বনাম পাকিস্তান |
ওডিআই শার্ট নং | ৪৮ |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
sourse: khela71: bangla: wikipedia...
What's Your Reaction?






