গোবিন্দ অভিনেতা এর জীবনী | Biography Of Govinda

গোবিন্দ অরুণ আহুজা

জন্ম: ২১ ডিসেম্বর ১৯৬৩), যিনি গোবিন্দ নামে পরিচিত , একজন ভারতীয় অভিনেতা - রাজনীতিবিদ , যিনি ১৬৫টিরও বেশি হিন্দি ভাষার ছবিতে অভিনয় করেছেন। ১৯৯০-এর দশক জুড়ে একজন শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা, তিনি তার চটকদার অভিনয় এবং নৃত্য দক্ষতার জন্য পরিচিত । তিনি ১২টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন এবং দুটি ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরস্কার এবং একটি সেরা কমেডিয়ানের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন ।

১৯৮০-এর দশকে অ্যাকশন এবং ড্যান্সিং হিরো হিসেবে যাত্রা শুরু করে , তার প্রথম ছবি ছিল ১৯৮৬-এর লাভ ৮৬ , যা হিট হয়েছিল। এরপর তিনি পরবর্তী হিট সিনেমাগুলিতে অভিনয় করেন যার মধ্যে রয়েছে ইলজাম (১৯৮৬), মার্তে দাম তক (১৯৮৭), খুদগর্জ (১৯৮৭), দরিয়া দিল (১৯৮৮),

জাইসি করনি ওয়াইসি ভরনি (১৯৮৯), স্বর্গ (১৯৯০) এবং হাম (১৯৯১)। তবে, ১৯৯২-এর রোমান্স ' শোলা অর শবনম' এবং ১৯৯৩-এর অ্যাকশন কমেডি ' আঁখে' -তে একজন দুষ্টু তরুণ এনসিসি ক্যাডেটের ভূমিকায় অভিনয় করার পর, ১৯৯০-এর দশকে গোবিন্দ নিজেকে একজন কমিক হিরো হিসেবে নতুনভাবে আবিষ্কার করেন, যেখানে তিনি দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।

এই চলচ্চিত্রগুলির সাফল্যের পরে, গোবিন্দ বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিকভাবে সফল কমেডি চলচ্চিত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন, যেমন রাজা বাবু (1994), কুলি নং 1 (1995), সাজন চলে সসুরাল (1996), হিরো নং 1 (1997), দিওয়ানা মাস্তানা (1997), দুলহে রাজা (198), আন বাদেয়ান (198), নং 1 (1999), হাসিনা মান যায়েগি (1999) এবং জোডি নং  (2001)। তিনি সাজন চলে সাসুরালের জন্য ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরস্কার এবং হাসিনা মান যায়েগির জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতার জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন ।

২০০০-এর দশকে বেশ কয়েকটি অসফল ছবির পর, তার পরবর্তী বাণিজ্যিক হিট ছবির মধ্যে রয়েছে ভাগম ভাগ (২০০৬), পার্টনার (২০০৭) এবং হলিডে (২০১৪)। ২০১৫ সালে, গোবিন্দ জি টিভির রিয়েলিটি শো , ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স সুপার মমস - এ বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

গোবিন্দ ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ভারতের সংসদ সদস্য ছিলেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের সদস্য হিসেবে, তিনি ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাই উত্তর নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন।  ২০২৪ সালে, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক

তার ক্যারিয়ার 2000 এর দশকের প্রথম দিকে ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ চলচ্চিত্রগুলির একটি সিরিজের পরে একটি ধাক্কার সম্মুখীন হয়। তার অভিনীত ছবি,

 আখিওঁ সে গলি মারে , কিয়ো কি... আমি ঘুঠ না বোলতা সবগুলোই ব্যর্থ হয়েছিল। তিনি কিয়ো কি... ম্যায় ঘুঠ না বোলতা (2001) এবং আখিওঁ সে গলি মারে (2002) ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতার জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছিলেন ।

এরপর গোবিন্দ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পাঁচবারের সাংসদ, প্রাক্তন পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী রাম নায়েককে ৫০,০০০ ভোটের বেশি ভোটে পরাজিত করে মুম্বাই উত্তর থেকে সংসদে একটি আসন জিতেছিলেন।

২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই অভিনেতা চলচ্চিত্র থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। ২০০৪ এবং ২০০৫ সালে তাঁর কোনও নতুন ছবি মুক্তি পায়নি, যদিও এই সময়ে তাঁর কিছু বিলম্বিত ছবি মুক্তি পায়, (যেমন ২০০৫ সালের খুল্লাম খুল্লা প্যায়ার কারেন এবং সুখ — গোবিন্দ প্রযোজিত এবং তাঁর ভাই কীর্তি কুমার পরিচালিত এবং ২০০৬ সালের স্যান্ডউইচ ) যা বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়।

২০০৬ সালে প্রিয়দর্শন পরিচালিত কমেডি ছবি ' ভাগম ভাগ ' দিয়ে গোবিন্দ চলচ্চিত্রে প্রত্যাবর্তন করেন , যেখানে তিনি অক্ষয় কুমার এবং লারা দত্তের সাথে অভিনয় করেছিলেন । এটি ছিল গোবিন্দ এবং কুমারের প্রথম একসাথে ছবি।

২০০৭ সালে তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল পরিচালক নিকিল আদভানির বিগ-বাজেটের রোমান্টিক কমেডি-ড্রামা, সালাম-ই-ইশক: আ ট্রিবিউট টু লাভ । এই ছবিতে আরও ছিলেন শ্যানন এসরা , সালমান খান , প্রিয়াঙ্কা চোপড়া , অনিল কাপুর , জুহি চাওলা , অক্ষয় খান্না , আয়েশা টাকিয়া , জন আব্রাহাম , বিদ্যা বালান , 

সোহেল খান এবং ইশা কোপ্পিকার । গোবিন্দ রাজুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যিনি একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার যিনি ককেশীয় স্টেফানি (এসরা) কে তার প্রেমিক খুঁজে পেতে সাহায্য করেন। রাজু অবশেষে তার প্রেমে পড়েন। যদিও ছবিটি বক্স অফিসে হতাশাজনক ছিল , গোবিন্দের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। ^[ 43 ]

সেই বছর তার দ্বিতীয় মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল ডেভিড ধাওয়ানের কমেডি পার্টনার , যেখানে তিনি সালমান খান , লারা দত্ত এবং ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ছিলেন । ছবিটি প্রথম সপ্তাহে ভারতে ₹ 300,000,000 আয় করে, যা সেই সময়ে কোনও ভারতীয় ছবির জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘরোয়া উদ্বোধনী সপ্তাহের আয়।  গোবিন্দ পার্টনারে অভিনয়ের জন্য বেশ কয়েকটি পুরষ্কার জিতেছিলেন, যার মধ্যে সেরা কৌতুক অভিনেতার জন্য আইফা পুরষ্কার এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেতার জন্য জি সিনে পুরষ্কার - পুরুষ ।

পূর্বে নির্মিত জাহান জায়েগা হামেন পায়েগা ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন তার ভাগ্নে জন্মেন্দ্র ওরফে ডাম্পি, যার বয়স তখন 17 বছর। ^{[ তথ্যসূত্র প্রয়োজন ]} এটি 2007 সালে মুক্তি পায় এবং বক্স অফিসে খারাপ ব্যবসা করে। ছবিটি গোবিন্দের দুই ভাগ্নে, কৃষ্ণ অভিষেক এবং বিনয় আনন্দকেও পরিচয় করিয়ে দেয়। গোবিন্দ শাহরুখ খান অভিনীত ওম শান্তি ওম (2007) এর "দিওয়াঙ্গি দিওয়াঙ্গি" গানেও অভিনয় করেছিলেন

Govinda এর চরিত্রের রাশিফল

Govinda এর সুখ ও সাচ্ছন্দের রাশিফল

Govinda এর জীবন শৈলির রাশিফল

গোবিন্দাা এর অ্যাওয়ার্ডস – Govinda Awards : 

 গোবিন্দাা অরুন আহুজা (Govinda) নিজেই চলচ্চিত্র জগতে তার দক্ষতা প্রমাণ করেছেন এবং তার আবেগের কারণে তিনি চলচ্চিত্র জগতের কিছু পুরস্কারে ভূষিতও হয়েছেন। যার মধ্যে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের জন্য ১২টি মনোনয়ন এবং একটি ফিল্মফেয়ার স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড এবং সেরা কমেডিয়ান অ্যাওয়ার্ড তাঁর নামে। এছাড়াও তিনি 4 বার জি সিনে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

 কাদের খানের সঙ্গে গোবিন্দাা অরুন আহুজা (Govinda) অনেক ছবি করেছেন

গোবিন্দাা রাজনৈতিক ক্যারিয়ার – Govinda Political Career : 

গোবিন্দাা অরুন আহুজা (Govinda) চলচ্চিত্র জগতে তার দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।  তবে এর বাইরেও তিনি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।  মহারাষ্ট্র মুম্বাইয়ের উত্তর অঞ্চলে, গোবিন্দা জি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টি থেকে 2004 সালে সপ্তম এমপি হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং তিনি বিজয়ীও হয়েছিলেন। এই নির্বাচনে তিনি রাম নায়েকের মুখোমুখি ছিলেন।  গোবিন্দা জি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে বলেছিলেন যে তিনি স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার দিকে বিশেষ মনোযোগ দেবেন এবং তিনি তা করেছিলেন, কিন্তু কিছু অসুবিধার কারণে তিনি বেশি দিন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে থাকতে পারেননি।  রাজনীতিবিদ হিসাবে গোবিন্দা জির সমস্ত কাজ আজও প্রশংসিত হয়। গোবিন্দাা অরুন আহুজা (Govinda) রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও প্রশংসিত।

soruse : astrosage   wikipedia  bhugolshiksha