ইসহাক আঃ এর জীবনী | Biography of Isaac in Islam
ইসহাক আঃ এর জীবনী | Biography of Isaac in Islam

নবী
ʾইসহাক
إسحاق ইস্হাক আলাইহিস সালাম
|
|
---|---|
![]() ইসলামি চারুলিপিতে লেখা ইসহাক
|
|
সমাধি |
কুলপিতাগণের গুহা, হিব্রোণ |
অন্যান্য নাম |
ইস্হাক: יִצְחָק Yiṣḥāq |
সন্তান |
ইয়াকুব, এষৌ |
পিতা-মাতা |
ইব্রাহিম সারা |
আত্মীয় |
ইসমাইল (সৎভাই), ইস্রায়েলের দ্বাদশ বংশ |
হযরত ইসহাক আঃ এর পরিচয় ও বিশেষ ঘটনা
পরিচয়ঃ হযরত ইসহাক ছিলেন ইবরাহীম (আঃ)-এর প্রথমা স্ত্রী সারাহ-এর গর্ভজাত একমাত্র পুত্র। তিনি ছিলেন হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর চৌদ্দ বছরের ছোট। এই সময় সারাহর বয়স ছিল ৯০ এবং ইবরাহীমের বয়স ছিল ১০০। অতি বার্ধ্যক্যের হতাশ বয়সে বন্ধ্যা নারী সারাহ্-কে ইসহাক জন্মের সুসংবাদ নিয়ে ফেরেশতা আগমনে করে। পবিত্র কুরআনে আকর্ষণীয় ভঙ্গীতে এ বিষয়ে আলোচিত হয়েছে সূরা হূদ ৭১-৭৩ আয়াতে, হিজর ৫১-৫৬ আয়াতে এবং যারিয়াত ২৪-৩০ আয়াতে। আল্লাহ ইসমাঈলকে দিয়ে যেমন মক্কার জনপদকে তাওহীদের আলোকে উদ্ভাসিত করেছিলেন, তেমনি ইসহাক্বকে নবুঅত দান করে তার মাধ্যমে শাম-এর বিস্তীর্ণ এলাকা আবাদ করেছিলেন।
হযরত ইবরাহীম (আঃ) স্বীয় জীবদ্দশায় পুত্র ইসহাক্বকে বিয়ে দিয়েছিলেন রাফক্বা বিনতে বাতওয়াঈল -এর সাথে। কিন্তু তিনিও বন্ধ্যা ছিলেন। পরে ইবরাহীমের খাছ দো‘আর বরকতে তিনি সন্তান লাভ করেন এবং তাঁর গর্ভে ঈছ ও ইয়াকূব নামে পরপর দু’টি পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করে। তার মধ্যে ইয়াকূব নবী হন। পরে ইয়াকূবের বংশধর হিসাবে বনু ইস্রাঈলের হাজার হাজার নবী পৃথিবীকে তাওহীদের আলোকে আলোকিত করেন। কিন্তু ইহুদী নেতাদের হঠকারিতার কারণে তারা আল্লাহর গযবে পতিত হয় এবং অভিশপ্ত জাতি হিসাবে নিন্দিত হয়। যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
জন্ম ও পরিবার
ইসহাক (আঃ) জন্মগ্রহণ করেন ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর স্ত্রী সারাহর ঘরে, যখন ইবরাহীম (আঃ) ছিলেন ১০০ বছর বয়সে এবং সারাহ ছিলেন ৯০ বছর বয়সে। এই অলৌকিক জন্মের পূর্বে ফেরেশতারা তাঁদেরকে পুত্রসন্তানের সুসংবাদ দেন, যা কুরআনের সূরা হূদ (১১:৭১-৭৩), হিজর (১৫:৫১-৫৬), এবং যারিয়াত (৫১:২৪-৩০) আয়াতে উল্লেখিত হয়েছে ।
সন্তানঃ ইয়াকুব আঃ
কোরআন-এর বর্ণনায়
ইসহাক মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন-এ মোট পনেরো বার বর্ণিত হয়েছেন; কখনও তার পিতা ইব্রাহিম-এর সাথে, আবার কখনও তার পুত্র ইয়াকুব-এর সাথে।
হযরত ইসহাক (আঃ) এর জীবনি:
হযরত ইসহাক ছিলেন ইবরাহীম (আঃ)-এর প্রথমা স্ত্রী সারাহ-এর গর্ভজাত একমাত্র পুত্র। তিনি ছিলেন হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর চৌদ্দ বছরের ছোট। এই সময় সারাহর বয়স ছিল ৯০ এবং ইবরাহীমের বয়স ছিল ১০০। অতি বার্ধ্যক্যের হতাশ বয়সে বন্ধ্যা নারী সারাহ্-কে ইসহাক জন্মের সুসংবাদ নিয়ে ফেরেশতা আগমনের ঘটনা আমরা ইতিপূর্বে বিবৃত করেছি। পবিত্র কুরআনে আকর্ষণীয় ভঙ্গীতে এ বিষয়ে আলোচিত হয়েছে সূরা হূদ ৭১-৭৩ আয়াতে, হিজর ৫১-৫৬ আয়াতে এবং যারিয়াত ২৪-৩০ আয়াতে- যা আমরা ইবরাহীমের জীবনীতে বর্ণনা করেছি।
আল্লাহ ইসমাঈলকে দিয়ে যেমন মক্কার জনপদকে তাওহীদের আলোকে উদ্ভাসিত করেছিলেন, তেমনি ইসহাক্বকে নবুঅত দান করে তার মাধ্যমে শাম-এর বিস্তীর্ণ এলাকা আবাদ করেছিলেন। হযরত ইবরাহীম (আঃ) স্বীয় জীবদ্দশায় পুত্র ইসহাক্বকে বিয়ে দিয়েছিলেন রাফক্বা বিনতে বাতওয়াঈল (رفقا بنت بتوائيل )-এর সাথে। কিন্তু তিনিও বন্ধ্যা ছিলেন। পরে ইবরাহীমের খাছ দো‘আর বরকতে তিনি সন্তান লাভ করেন এবং তাঁর গর্ভে ঈছ ও ইয়াকূব নামে পরপর দু’টি পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করে। তার মধ্যে ইয়াকূব নবী হন। পরে ইয়াকূবের বংশধর হিসাবে বনু ইস্রাঈলের হাযার হাযার নবী পৃথিবীকে তাওহীদের আলোকে আলোকিত করেন। কিন্তু ইহুদী নেতাদের হঠকারিতার কারণে তারা আল্লাহর গযবে পতিত হয় এবং অভিশপ্ত জাতি হিসাবে নিন্দিত হয়। যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
ইসহাক্ব (আঃ) ১৮০ বছর বয়স পান। তিনি কেন‘আনে মৃত্যুবরণ করেন এবং পুত্র ঈছ ও ইয়াকূবের মাধ্যমে হেবরনে পিতা ইবরাহীমের কবরের পাশে সমাহিত হন। স্থানটি এখন ‘আল-খালীল’ নামে পরিচিত’ উল্লেখ্য যে, হযরত ইসহাক্ব (আঃ) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের ১৪টি সূরায় ৩৪টি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। . আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ ১/১৮১। . আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ ১/১৮৪। . যথাক্রমে সূরা বাক্বারাহ ২/১৩২, ১৩৩, ১৩৬, ১৪০; আলে ইমরান ৩/৮৪; নিসা ৪/১৬৩; আন‘আম ৬/৮৪; হূদ ১১/৭১-৭৩; ইউসুফ ১২/৬; ইবরাহীম ১৪/৩৯; হিজর ১৫/৫১-৫৬=৭; মারিয়াম ১৯/৪৯-৫০; আম্বিয়া ২১/৭২-৭৩; আনকাবূত ২৯/২৭; ছাফফাত ৩৭/১১৩; ছোয়াদ ৩৮/৪৫-৪৭; যারিয়াত ৫১/২৪-৩০=৭। সর্বমোট =৩৪টি \
বিশেষ ঘটনাঃ আল্লাহর হুকুমে কয়েকজন ফেরেশতা মানুষের রূপ ধারণ করে প্রথমে হযরত ইবরাহীমের বাড়ীতে পদার্পণ করলেন। তিনি তাদেরকে মেহমানদারীর জন্য একটা আস্ত বাছুর গরু যবেহ করে ভুনা করে তাদের সামনে পরিবেশন করলেন। কিন্তু তারা তাতে হাত দিলেন না। এতে ইবরাহীম (আঃ) ভয় পেয়ে গেলেন (হূদ ১১/৬৯-৭০)। কেননা এটা ঐ সময়কার দস্যু-ডাকাতদেরই স্বভাব ছিল যে, তারা যে বাড়ীতে ডাকাতি করত বা যাকে খুন করতে চাইত, তার বাড়ীতে খেত না। ফেরেশতাগণ নবীকে অভয় দিয়ে নিজেদের পরিচয় দিয়ে বললেন, ‘আমরা এসেছি অমুক শহরগুলি ধ্বংস করে দিতে।
ইবরাহীম একথা শুনে তাদের সাথে ‘তর্ক জুড়ে দিলেন’ (হূদ ১১/৭৪) এবং বললেন, ‘সেখানে যে লূত আছে। তারা বললেন, সেখানে কারা আছে, আমরা তা ভালভাবেই জানি। আমরা অবশ্যই তাকে ও তার পরিবারকে রক্ষা করব, তবে তাঁর স্ত্রী ব্যতীত। সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আনকাবূত ২৯/৩১-৩২)। অতঃপর তারা ইবরাহীম দম্পতিকে ইসহাক-এর জন্মের সুসংবাদ শুনালেন।
বিবি সারা ছিলেন নিঃসন্তান। অতি বৃদ্ধ বয়সে এই সময় তাঁকে হযরত ইসহাকের জন্মের সুসংবাদ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় ইসহাকের পরে তার ঔরসে যে ইয়াকূবের জন্ম হবে সেটাও জানিয়ে দেওয়া হ’ল (হূদ ১১/৭১-৭২)। উল্লেখ্য যে, ইয়াকূবের অপর নাম ছিল ‘ইস্রাঈল’ এবং তাঁর বংশধরগণকে বনু ইস্রাঈল বলা হয়। যে বংশে হাজার হাজার নবীর আগমন ঘটে।
নবুয়ত ও দাওয়াত
ইসহাক (আঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুয়ত প্রাপ্ত হন এবং শাম অঞ্চলে তাওহীদের বার্তা প্রচার করেন। তিনি তাঁর পুত্র ইয়াকুব (আঃ)-কে দাওয়াতের দায়িত্ব অর্পণ করেন, যিনি পরবর্তীতে ইস্রাঈল বংশের পিতা হন ।
কুরআনে উল্লেখ
কুরআনে ইসহাক (আঃ)-এর নাম ১৪টি সূরায় ৩৪ বার উল্লেখিত হয়েছে। আল্লাহ তাঁকে "সৎকর্মশীল" এবং "নবী" হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বংশধর ও উত্তরাধিকার
ইসহাক (আঃ)-এর স্ত্রী রাফকা (রেবেকা) ছিলেন বন্ধ্যা, তবে ইবরাহীম (আঃ)-এর দোয়ার ফলে তিনি ঈছ ও ইয়াকুব নামে দুই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। ইয়াকুব (আঃ) নবী হন এবং তাঁর বংশধরদের মধ্য থেকে বহু নবী প্রেরিত হন ।
মৃত্যু ও সমাধি
ইসহাক (আঃ) ১৮০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এবং হেবরনে তাঁর পিতা ইবরাহীম (আঃ)-এর পাশে সমাহিত হন। এই স্থানটি বর্তমানে "আল-খালীল" নামে পরিচিত ।
sourse: hikmahbd
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95_(%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A7%80)
https://islamerpothea.blogspot.com/2015/07/blog-post_91.html
What's Your Reaction?






