ইশা সাহা এর জীবনী | Biography Of Ishaa Saha
ইশা সাহা এর জীবনী | Biography Of Ishaa Saha

ইশা সাহা
|
|
---|---|
জন্ম |
কলকাতা, পশ্চিম বাংলা, ভারত
|
জাতীয়তা |
ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন |
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা |
মডেল, অভিনেত্রী |
কর্মজীবন |
২০১৬-বর্তমান |
ইশা সাহা
একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি মূলত বাংলা সিনেমায় কাজ করেন। তিনি বাংলা টেলিভিশনের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১৭ সালে অনিন্দ্য চ্যাটার্জি পরিচালিত প্রজাপতি বিস্কুটের মাধ্যমে তিনি বাংলা সিনেমায় তার চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন । তিনি স্টার জলসার ঝাঁঝ লবঙ্গ ফুল ধারাবাহিকে লবঙ্গ চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয় জগতে পদার্পণ করেন ।
শৈশব এবং শিক্ষা
ঈশা সাহার জন্ম কলকাতায়। ইশা সাহা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ (হাজরা ক্যাম্পাস) থেকে থেকে বি.এ.এল.এল.বি পাস করেছেন। তিনি ২০১৬ সালে স্টার জলসার ঝাঁঝ লবঙ্গ ফুলের সাথে লবঙ্গ চরিত্রে একটি টেলিভিশন শিল্পী হিসাবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন।
অভিনয় জীবন
তার অভিনয় জীবন ২০১৬ সালে স্টার জলসা'র ঝাঁঝ লবঙ্গ ফুল (শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস) ধারাবাহিকে লবঙ্গ চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় । ইশা সাহা অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র হল প্রজাপতি বিস্কুট। এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং চলচ্চিত্রটি ২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। চলচ্চিত্রটিতে ইশা সাহার বিপরীতে নবাগতা খেয়া চট্টোপাধ্যায়কে অভিনয় করতে দেখা যায় । ছবিটি বক্স-অফিসে সাফল্য পায় এবং ১৪ দিনে এই ছবির আয় ছিল ২.১৫ কোটি টাকা পরের বছর ২০১৮ সালে গুপ্তধনের সন্ধানে নামে একটি গোয়েন্দা কাহিনি-ভিত্তিক ছবিতে অভিনয় করেন । এই ছবিটি পরিচালনা করেন ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় । ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল মুক্তি পায় ছবিটি । প্রধান চরিত্র সোনাদার (আবীর চট্টোপাধ্যায়) ভাইপো আবীরের (অর্জুন চক্রবর্তী) ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ঝিনুক-এর চরিতে অভিনয় করেন তিনি । এই ছবিটিও বক্স-অফিসে দারুণ সাফল্য লাভ করে ।
২০১৯ সালে সোয়েটার ছবিতে অভিনয় করেন। ছবিটি পরিচালনা করেন শিলাদিত্য মৌলিক। ছবিটি দর্শকমহলে অনেক প্রশংসা লাভ করে। এই ছবিটি খুব সাদাসিধা একটি মেয়ের চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। এই সিনেমার গানগুলিও অত্যন্ত সুন্দর ও জনপ্রিয়, বিশেষ করে উল্লেখ করতে হয় প্রেমে পরা বারণ গানটির কথা, গানটি গেয়েছেন লগ্নজিতা চক্রবর্তী।
অভিনীত চলচ্চিত্র
সাল | শিরোনাম | চরিত্র | পরিচালক |
---|---|---|---|
২০১৭ | প্রজাপতি বিস্কুট | শাওন | অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় |
২০১৮ | গুপ্তধনের সন্ধানে | ঝিনুক | ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় |
২০১৯ | সোয়েটার | তুলিকা ওরফে টুকু | শিলাদিত্য মৌলিক |
দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন | ঝিনুক | ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় | |
বুড়ো সাধু | শ্বেতা | ভিক | |
২০২০ | ডিটেক্টিভ | সুধামুখী | জয়দীপ মুখোপাধ্যায় |
২০২১ | তরুলতার ভূত | কমলকলি | দেব রায় |
গোলন্দাজ | কমলিনী | ধ্রুব ব্যানার্জি | |
২০২২ | মহানন্দা | মহল | অরিন্দম শীল |
সহবাস | অঞ্জন কাঞ্জিলাল | ||
কলকাতা চলন্তিকা | টুম্পা | পাভেল | |
কাছের মানুষ | আলো | পথিকৃৎ বসু | |
কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন | ঝিনুক | ধ্রুব ব্যানার্জী | |
২০২৩ | মিথ্যে প্রেমের গান | অন্বেষা | পরমা নেওটিয়া |
ঘরে ফেরার গান | তারা | অরিত্র সেন | |
একটু সরে বসুন | কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় | ||
আসন্ন | অসুখ বিসুখ | কৌশিক গাঙ্গুলি | |
অপরিচিত | জয়দীপ মুখোপাধ্যায় |
টেলিভিশন
বছর
|
শিরোনাম | ভূমিকা | চ্যানেল | উৎপাদন |
---|---|---|---|---|
২০১৬
|
ঝাঁঝ লোবোঙ্গো ফুল | লোবোঙ্গো | স্টার জলসা | এসভিএফ |
ওয়েব ধারাবাহিক
বছর | শিরোনাম | চরিত্র | পরিচালক | প্ল্যাটফর্ম |
---|---|---|---|---|
২০১৮ | জাপানি খেলনা (সিজন ১) | কিঙ্কিনি | সৌরভ চক্রবর্তী | হইচই |
২০১৯ | জাপানি খেলনা (সিজন ২) | কিঙ্কিনি | সৌমিক চট্টোপাধ্যায় | |
দাব চিংরি | সোহিনী | সুদীপ দাস | জি৫ | |
ভালোবাসার শহর (গল্প:কলকাতার কবিতারা) | মালিনী | অভিজিৎ গুহ ও সুদেষ্ণা রায় | ||
২০২০ | মাফিয়া | অনন্যা | বিরসা দাশগুপ্ত | হইচই |
২০২১ | বয়ফ্রেন্ড এবং গার্লফ্রেন্ড | অমৃতা | শুভঙ্কর পাল | |
ইন্দু | ইন্দু | সায়ন্তন ঘোষাল |
ইশা:
প্রথমত, ছবির ইউনিটের সিংহভাগ সদস্যই ছিল ছাত্র। গোড়ার দিকে একটু দ্বন্দ্বে ছিলাম, নতুনরা কি ঠিক মতো ছবিটা তৈরি করতে পারবে? কারণ ছাত্রদের ভাবনার সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির কাজের ধরনের মধ্যে পার্থক্য থাকে। তবে সত্রাজিৎদার (ছবির পরিচালক সত্রাজিৎ সেন) কথায় আমি আরও মনের জোর পাই। তা ছাড়া আজ যারা নতুন, আগামী দিনে তাদের মধ্যে থেকেই তো ভাল পরিচালক উঠে আসতে পারে। দ্বিতীয়ত, গল্পের মধ্যে একটা নতুনত্ব রয়েছে। তা ছাড়া নতুনদের সঙ্গে কাজ করে শেখারও একটা সুযোগ থাকে।
ইশা:
অভিনেতার কাজ অভিনয় করা। তাঁকে তো সেই অভ্যাস ছাড়লে চলবে না। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি বলিউড নয়, যে দু’বছরে একটা ছবি করেই টিকে থাকা যাবে। তাই কাজ করতেই হবে। অন্য দিকে, বছরে একজন অভিনেতার পাঁচটা ছবি মুক্তি পাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে সেটাও কতটা সম্ভব জানি না। তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি বিশ্বাস করি, ‘অপরিচিত’ চারপাশের বহু খারাপ ছবির তুলনায় ভাল।
প্রশ্ন: হাতে কাজ কম থাকলে একজন অভিনেত্রী হিসাবে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
ইশা: আমি বিষয়টাকে একটু অন্য ভাবে দেখতে চাই। কারণ প্রাসঙ্গিক রাখতেই হলে, সেখানে একটা জেদ চেপে যায়। সেটা ঠিক নয়। কোথায় খেতে যাচ্ছি, তা নিয়ে চারটে কথা! কোন বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে যাচ্ছি, তা নিয়ে দুটো গসিপ নিজেই ছড়িয়ে দিলাম অথবা আমার বাড়িতে লক্ষ্ণীপুজো বা ভাইফোঁটা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে... (একটু থেমে) এগুলো আমি কোনও দিন পারিনি। আর ঈশ্বরের আশীর্বাদে ভবিষ্যতেও যেন আমাকে কোনও দিন এগুলো না করতে হয়।
প্রশ্ন: কিন্তু এখন তো প্রচারের আলো না পেলে...
ইশা: আমার কাজ অভিনয় করা। আর আমি শুধু সেটাই করতে চাই। কারণ এখন মনে হচ্ছে, প্রাসঙ্গিক থাকতে গিয়ে মানুষ যা ইচ্ছে তাই করছেন! অনেকেই নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে বিক্রি করে ফেলছেন! যেটা আরও দশ জনের জানার কোনও প্রয়োজন নেই, কিন্তু মানুষ সেটারই সুযোগ নিচ্ছে। আমার এটা না করলেও হয়তো চলবে। কোনও দিনই ব্যক্তিগত জীবনে কাউকে প্রবেশ করতে দিইনি। আগামী দিনেও যাতে সেটা না হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকব।
যুগে যুগে অসত্যের বিনাশে এগিয়ে এসেছেন নারী। কখনও উর্দিতে কখনও সাধারণ চেনা মানুষের রূপে। পরিস্থিতিও বদলে দিয়েছে লড়াইয়ের সমীকরণ। ঠিক এইরকম সত্য-অসত্যর লড়াইয়ের গল্প বলতে আসছে এক মহিলা গোয়েন্দা!
না, 'মিতিন মাসি' নয়। এবার একেবারে নতুন এক মহিলা গোয়েন্দার সঙ্গে পরিচয় হবে দর্শকের। পরিস্থিতিই তাঁর হাতে তুলে দিয়েছে আতস কাচ। সন্দেহবাতিক থেকে হয়ে উঠেছে সে সত্যের সন্ধানী। আসছে ভরপুর রহস্যে ঘেরা গোয়েন্দা সিরিজ।
পরিচালনায় জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। কাহিনি ও চিত্রনাট্যের দায়িত্বে পারমিতা মুন্সী। সূত্রের খবর, মহিলা গোয়েন্দার চরিত্রে সম্ভবত দেখা যেতে পারে অভিনেত্রী ইশা সাহাকে। যদিও এই মুহূর্তে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে সিরিজের কাজ। চলছে চিত্রনাট্য ঘষামাজা ও অভিনেতা নির্বাচন পর্বও।
soruse : wikipedia .anandabazar.abplive
What's Your Reaction?






